Sayem The Selfish

Sayem The Selfish it's me Sayem the selfish.I love to eat and I want to be a traveler. I want to travel the whole world just vedio uoload

অহংকার ও পরিণামএকদা এক গভীর জঙ্গলে একটি বিশাল আকৃতির হাতি বাস করত। সে ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তার এই শক্তির জন্য সে খু...
26/10/2025

অহংকার ও পরিণাম

একদা এক গভীর জঙ্গলে একটি বিশাল আকৃতির হাতি বাস করত। সে ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তার এই শক্তির জন্য সে খুবই অহংকারী ছিল। জঙ্গলের অন্য প্রাণীদের সে তুচ্ছ মনে করত এবং প্রায়শই তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করত। ছোট প্রাণী যেমন পিঁপড়ে, খরগোশ, এমনকি বানরদেরও সে পাত্তা দিত না।

একদিন হাতিটি নদীর ধারে জল পান করতে গিয়েছিল। সেখানে একটি ছোট পিঁপড়ে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিল। হাতিটি ইচ্ছাকৃতভাবে পিঁপড়ের কাছাকাছি গিয়ে তার শক্তিশালী পা দিয়ে মাটিতে এমন জোরে আঘাত করল যে পিঁপড়েটি প্রায় উড়ে গিয়েছিল। পিঁপড়েটি ভয়ে গুটিয়ে গেল এবং হাতিটিকে অনুরোধ করল যেন সে এমন না করে। কিন্তু অহংকারী হাতিটি হাসতে হাসতে বলল, "তুই এত ছোট যে আমার এক পায়ের নিচে তোর অস্তিত্বই শেষ হয়ে যাবে। দূরে সরে যা!" পিঁপড়েটি সেদিন অপমানের জ্বালা নিয়ে চলে গেল এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল যে সে এই অহংকারের জবাব দেবে।

কয়েকদিন পর হাতিটি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। পিঁপড়েটি সুযোগ বুঝে হাতিটির শুঁড়ের ভেতর ঢুকে পড়ল এবং কামড়ানো শুরু করল। ব্যথায় হাতিটির ঘুম ভেঙে গেল এবং সে শুঁড় ঝাঁকাতে লাগল। কিন্তু পিঁপড়েটিকে বের করতে পারল না। ব্যথায় হাতিটি ছটফট করতে লাগল এবং অসহায়ভাবে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকল। জঙ্গলের অন্য প্রাণীরা হাতিটির কষ্ট দেখেও এগিয়ে এল না, কারণ তারা তার অহংকারী স্বভাবের কারণে বিরক্ত ছিল।

অবশেষে হাতিটি যখন ব্যথায় কাতর হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল, তখন পিঁপড়েটি শুঁড় থেকে বেরিয়ে এসে বলল, "আজ তুই তোর অহংকারের ফল পেলি। মনে রাখিস, আকার দিয়ে কাউকে বিচার করা উচিত নয়। ছোট হলেও যে কেউ বড় ক্ষতি করতে পারে।" হাতিটি সেদিন নিজের ভুল বুঝতে পারল এবং পিঁপড়েটির কাছে ক্ষমা চাইল। সেদিন থেকে হাতিটি তার অহংকার ত্যাগ করল এবং সব প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠল।

শিক্ষা: এই গল্পের শিক্ষা হলো, অহংকার পতনের মূল। কাউকে তার আকার বা শক্তির জন্য ছোট মনে করা উচিত নয়। প্রত্যেকেরই নিজস্ব গুরুত্ব আছে এবং বিনয়ী হওয়াই শ্রেষ্ঠ গুণ। #শিক্ষণীয়গল্প #অহংকারপতনেরমূল #বিনয় #গল্প #নীতিশিক্ষা #হাতিওপিঁপড়ে

"এক ছোট্ট নদীর গল্প: জীবন যেখানে শেখায় ধৈর্য আর নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা""একসময়, এক বিশাল পর্বতের কোল ঘেঁষে জন্ম নিয়েছিল ...
26/10/2025

"এক ছোট্ট নদীর গল্প: জীবন যেখানে শেখায় ধৈর্য আর নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা"

"একসময়, এক বিশাল পর্বতের কোল ঘেঁষে জন্ম নিয়েছিল একটি ছোট্ট নদী। সে ছিল চঞ্চল, উচ্ছল, আর তার স্বপ্ন ছিল অনেক বড় – সমুদ্রে গিয়ে মিশে যাওয়া। কিন্তু তার সামনে ছিল অসংখ্য বাধা: বড় বড় পাথর, উঁচু নিচু পথ, আর ঘন জঙ্গল।

নদীটি যখন তার যাত্রা শুরু করলো, তখন সে দেখলো একটি বিশাল পাথর তার পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। নদীটি বারবার চেষ্টা করলো পাথরটিকে সরানোর, কিন্তু পারলো না। হতাশ হয়ে সে ভাবলো, 'আমার দ্বারা হয়তো এটা সম্ভব নয়। আমি কখনোই সমুদ্রে পৌঁছাতে পারবো না।'

হঠাৎ তার পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল একটি জ্ঞানী পাখি। পাখিটি নদীর হতাশা দেখে বললো, 'প্রিয় নদী, তুমি যদি তোমার লক্ষ্য থেকে সরে যাও, তবে তুমি কখনোই তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। বড় বাধা দেখে ভয় পেয়ো না, বরং ধীরে ধীরে চেষ্টা করো। জল তো পাথরের উপর দিয়েই বয়ে যায়, তাই না?'

পাখির কথা শুনে নদীটি নতুন করে শক্তি পেলো। সে বুঝতে পারলো, পাথর সরানোর দরকার নেই, বরং তার উপর দিয়ে বা পাশ দিয়ে পথ করে নিতে হবে। নদীটি তার গতিপথ পরিবর্তন করলো না, শুধু ধৈর্য ধরে পাথরের গা ঘেঁষে প্রবাহিত হতে থাকলো। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে নদীটি অবিরাম বয়ে চললো।

আশ্চর্যজনকভাবে, ধীরে ধীরে সেই কঠিন পাথরের উপরও জলের ধারা গভীর ছাপ ফেলতে শুরু করলো। একসময় পাথরটি ক্ষয়ে গিয়ে মসৃণ হয়ে উঠলো, আর নদী তার নিজস্ব পথ করে এগিয়ে চললো। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, সব বাধা অতিক্রম করে অবশেষে সে সমুদ্রে গিয়ে মিশে গেল, তার স্বপ্ন পূরণ হলো।

শিক্ষণীয়: এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে, জীবনের পথে যতই বড় বাধা আসুক না কেন, ধৈর্য এবং নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা সবকিছু অর্জন করতে পারি। সাফল্য রাতারাতি আসে না, এর জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায় এবং লক্ষ্য পূরণের অদম্য ইচ্ছা। কখনোই হাল ছেড়ে দেবেন না, কারণ ছোট ছোট প্রচেষ্টাও একদিন বড় পরিবর্তন আনতে পারে।"

হ্যাসট্যাগ: #শিক্ষামূলকগল্প #অনুপ্রেরণা #ধৈর্য #সাফল্য #জীবনশিক্ষা #মোটিভেশন #ছোটগল্প #নদীওপাথর

এটি একটি বিখ্যাত এবং সবচেয়ে ভালোভাবে নথিভুক্ত "সত্যিকারের" ভৌতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, যা একটি পরিবারকে আতঙ্কিত করেছিল ...
24/10/2025

এটি একটি বিখ্যাত এবং সবচেয়ে ভালোভাবে নথিভুক্ত "সত্যিকারের" ভৌতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, যা একটি পরিবারকে আতঙ্কিত করেছিল এবং তদন্তকারীদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল। এটি "এনফিল্ড পোল্টারগাইস্ট" (Enফিল্ডের ভূত) নামে পরিচিত।

ঘটনার শুরু ১৯৭৭ সালের আগস্ট মাসের এক সাধারণ রাতে, উত্তর লন্ডনের এনফিল্ডের এক শান্ত শহরতলিতে। পেগি হজসন নামে একজন একক মা তার চার সন্তান: মার্গারেট (১৩), জ্যানেট (১১), জনি (১০), এবং বিলি (৭) -কে নিয়ে একটি সাধারণ বাড়িতে থাকতেন।

ভয়ের শুরুটা হয়েছিল খুব সাধারণভাবে। এক সন্ধ্যায়, জ্যানেট এবং জনি তাদের মায়ের কাছে অভিযোগ করে যে তাদের বিছানা নিজে থেকেই "কাঁপছে" এবং নড়াচড়া করছে। পেগি, ভেবেছিলেন বাচ্চারা হয়তো খেলা করছে, তাই তিনি তাদের ঘুমিয়ে পড়তে বলেন।

কিন্তু পরের রাতে, তাকে আবার তাদের ঘরে ডাকা হয়। এবার, তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে নিজের চোখেই দেখলেন যে একটি ভারী ড্রয়ারের সিন্দুক নিজে থেকেই মেঝেতে ঘষে ঘষে সরে যাচ্ছে। তিনি সেটাকে ধাক্কা দিয়ে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন, কিন্তু একটি অদৃশ্য শক্তি তাকে বাধা দিচ্ছিল। যেন আসবাবপত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আতঙ্কিত হয়ে, তিনি তার সন্তানদের নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছুটে যান।

প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে নিজেরাই সেই শব্দ শুনতে পান: দেয়ালের ভেতর থেকে আসা অদ্ভুত, ছন্দবদ্ধ ঠক্ ঠক্ শব্দ। তারা এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন যে তারা সাথে সাথে পুলিশকে ফোন করেন।

ডব্লিউপিসি ক্যারোলিন হিপস নামে একজন পুলিশ কনস্টেবল ঘটনাস্থলে আসেন। তিনিও এই অদ্ভুত ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। তার অফিসিয়াল পুলিশ রিপোর্টে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে তিনি একটি আর্মচেয়ারকে সামান্য শূন্যে ভেসে উঠতে এবং ঘরের একপাশ থেকে অন্যপাশে সরে যেতে দেখেছেন। তিনি এই ঘটনার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি—কোনো তার ছিল না, কোনো চালাকিও ছিল না।

এটি ছিল কেবল শুরু।

বাড়ির ভেতরের কার্যকলাপ নাটকীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে, এবং মনে হচ্ছিল এর সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল ১১ বছর বয়সী জ্যানেট। সোসাইটি ফর সাইকিক্যাল রিসার্চের মরিস গ্রোস সহ প্যারানরমাল (পরাবাস্তব) তদন্তকারীরা এই ঘটনাটি নথিভুক্ত করতে আসেন। তারা যা রেকর্ড করেছিলেন তা আজ পর্যন্ত ভৌতিক ঘটনার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রমাণগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কয়েক মাস ধরে, পরিবারটি নির্যাতিত হয়েছিল।

জিনিসপত্র উড়ে এসে ঘরের এপাশ থেকে ওপাশে যেত। মার্বেল এবং লেগো ব্রিক (খেলনা) একটি অদৃশ্য হাত ছুঁড়ে মারত, যা প্রায়শই স্পর্শ করলে বেশ গরম থাকত। আসবাবপত্র উল্টে যেত এবং ভারী বিছানা উল্টে ফেলা হতো। দরজা সজোরে খোলা এবং বন্ধ হতো। বিভিন্ন ঘরে হঠাৎ করে রহস্যময় আগুন জ্বলে উঠত, আবার পরক্ষণেই তা নিজে থেকেই নিভে যেত।

কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অংশ ছিল সেই কণ্ঠস্বর।

জ্যানেট প্রায়ই এক ধরনের ঘোরের মধ্যে চলে যেত এবং তার মধ্য থেকে একটি গভীর, কর্কশ এবং ভয়ঙ্কর কণ্ঠস্বর কথা বলত। সেই কণ্ঠস্বর কোনো ছোট মেয়ের ছিল না। এটি ছিল একজন বৃদ্ধের কর্কশ, ঘড়ঘড়ে আওয়াজ। রেকর্ডিং সরঞ্জামের মাধ্যমে, তদন্তকারীরা সেই কণ্ঠটিকে নিজের পরিচয় দিতে শোনেন। এটি দাবি করে যে সে "বিল উইলকিনস", একজন ব্যক্তি যিনি বহু বছর আগে এই বাড়িতে থাকতেন এবং মারা গিয়েছিলেন।

সেই কণ্ঠটি প্রায়ই গালিগালাজ করত, হুমকি দিত এবং তার নিজের মৃত্যুর বর্ণনা দিত। "আমি মারা যাওয়ার ঠিক আগে," কণ্ঠটি জ্যানেটের মাধ্যমে গর্জন করে বলত, "আমি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম... এবং তারপরে আমার রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, এবং আমি নিচের তলার কোণার ওই চেয়ারে মারা গিয়েছিলাম।"

গবেষকরা পরে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে বিল উইলকিনস নামে একজন ব্যক্তি সত্যিই সেখানে থাকতেন এবং ঠিক সেভাবেই মারা গিয়েছিলেন।

তদন্তকারীরা ১,৫০০ টিরও বেশি পৃথক ঘটনা নথিভুক্ত করেছেন। তারা, সাংবাদিক এবং প্রতিবেশীদের সাথে, জ্যানেটকে শূন্যে ভাসতেও দেখেছেন। বেশ কয়েকবার, তাকে অসম্ভব অবস্থানে ঘুমাতে দেখা গেছে, কখনও কখনও একটি উঁচু ক্যাবিনেটের উপরে, অথবা একটি অদৃশ্য শক্তি তাকে বিছানা থেকে সজোরে ছুঁড়ে ঘরের অন্য প্রান্তে ফেলে দিত।

এই কার্যকলাপ ১৮ মাস ধরে চলেছিল, যা বিশ্বব্যাপী মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ করে। যদিও কিছু তদন্তকারী বিশ্বাস করেন যে বাচ্চারা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কিছু ঘটনা নকল করেছিল (জ্যানেট নিজেও পরে স্বীকার করেছিলেন যে তিনি কয়েকটি ঘটনা নকল করেছিলেন "কেবল তারা তাকে ধরতে পারে কিনা তা দেখার জন্য"), তারা বেশিরভাগ ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পুলিশের দেখা সেই চলন্ত আসবাবপত্র, বিপুল সংখ্যক সাক্ষী, এবং বিল উইলকিনসের সেই ভয়ঙ্কর, রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

এই ভৌতিক উপদ্রবটি অবশেষে এটি যেভাবে রহস্যময়ভাবে শুরু হয়েছিল সেভাবেই একসময় ম্লান হয়ে যায়। কিন্তু এটি হজসন পরিবারের উপর যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল এবং এর পিছনে যে শীতল প্রমাণগুলো রেখে গেছে, তা এটিকে সর্বকালের সবচেয়ে inquietante বাস্তব জীবনের ভৌতিক গল্পগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে।

প্রাচীন মিশরের ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কারের ঘটনাটি ইতিহাসের পাতায় এক যুগান্তকারী অধ্যায় রচনা করেছিল, কিন্তু এর ...
23/10/2025

প্রাচীন মিশরের ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কারের ঘটনাটি ইতিহাসের পাতায় এক যুগান্তকারী অধ্যায় রচনা করেছিল, কিন্তু এর পরপরই ঘটে যাওয়া রহস্যময় ঘটনাগুলো এটিকে আরও বেশি ভয়ংকর ও কৌতূহলোদ্দীপক করে তুলেছে। ১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর, ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মিশরের "ভ্যালি অফ কিংস"-এ খুঁজে পান তুতেনখামেনের অক্ষত সমাধি। এই আবিষ্কার বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে, কারণ এটিই ছিল প্রায় ৩,০০০ বছর পর আবিষ্কৃত প্রথম অক্ষত ফারাওয়ের সমাধি।

সমাধির ভেতরে প্রবেশ করার পর কার্টার এবং তার দল দেখতে পান এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য। সোনার তৈরি কফিন, মূল্যবান অলংকার, রত্ন এবং অসংখ্য শিল্পকর্ম দিয়ে ভর্তি ছিল সমাধি কক্ষ। কিন্তু এই অসাধারণ আবিষ্কারের পরেই শুরু হয় এক রহস্যময় ঘটনাপ্রবাহ, যা "ফারাওয়ের অভিশাপ" নামে পরিচিতি লাভ করে।

প্রথম শিকার হন লর্ড কার্নারভন, যিনি কার্টারের এই অভিযানে অর্থায়ন করেছিলেন। সমাধি খোলার কয়েক মাস পরেই তিনি মশার কামড়ে আক্রান্ত হন এবং পরে রহস্যজনক জ্বরে ভুগে ১৯২৩ সালের ৫ এপ্রিল কায়রোর একটি হোটেলে মারা যান। তার মৃত্যুর দিনই কায়রোতে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তার পোষা কুকুরটি লন্ডনে মারা যায় বলে শোনা যায়। তার মৃত্যুর পরপরই গুজব ছড়াতে শুরু করে যে, ফারাও তুতেনখামেনের সমাধিতে লেখা একটি অভিশাপের ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বলা ছিল, "যে ফারাওয়ের ঘুম ভাঙাবে, তার উপর মৃত্যুর ছায়া নেমে আসবে।"

এরপর একে একে আরও অনেকেই রহস্যজনকভাবে মারা যেতে শুরু করেন যারা এই সমাধি আবিষ্কারের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন। কার্নারভনের ভাই, কর্নেল অউব্রে হার্বার্ট, এক বছর পরেই অসুস্থ হয়ে মারা যান। কার্টারের সহকারী আর্থার মেস এবং ডেনিসন পিকল, যারা সমাধির চিত্রগ্রহণের কাজ করেছিলেন, তারাও অল্প সময়ের ব্যবধানে মারা যান। এমনকি কার্টার নিজে, যিনি অভিশাপকে অস্বীকার করতেন, তিনি প্রায় ১৬ বছর পর স্বাভাবিকভাবে মারা গেলেও তার দলের বেশিরভাগ সদস্যই অপ্রত্যাশিতভাবে মারা যান।

সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি হলো, একদল বিজ্ঞানী যখন মমির এক্স-রে করছিলেন, তখন তাদের একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়াও, যারা সমাধি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র সরানোর কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেকেই রহস্যজনক অসুস্থতায় ভুগে অথবা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রাণ হারান।

এই মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, সমাধির ভেতরে থাকা প্রাচীন ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে প্রবেশ করে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আবার কেউ বলেন, সমাধির ভেতরে থাকা বিষাক্ত গ্যাস বা রাসায়নিক পদার্থ এর জন্য দায়ী। কিন্তু এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। কারণ, মৃত্যুর ধরনগুলো এতটাই বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল যে, শুধু একটি কারণ দিয়ে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করা কঠিন।

আজও ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি এবং এর অভিশাপ এক গভীর রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। এটি কি শুধুমাত্র কাকতালীয় ঘটনা, নাকি প্রাচীন মিশরীয়দের কোনো গোপন জ্ঞান বা আধ্যাত্মিক শক্তির ফল? এই প্রশ্ন আজও অমীমাংসিত এবং ইতিহাসের অন্যতম সেরা রহস্য হিসেবে বিশ্বজুড়ে মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে চলেছে।
#ফারাওয়েরঅভিশাপ #তুতেনখামেন #রহস্যময়মিশর #প্রাচীনইতিহাস #অমীমাংসিতরহস্য #হাওয়ার্ডকার্টার #রাজারউপত্যকা #ভয়ংকরসত্যি

22/10/2025

cat skateboarding

গল্প: শ্যাডো ফলের অভিশাপআর্কটিক সার্কেলের কাছাকাছি, নরওয়ের জনমানবহীন পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত ছিল এক বিচ্ছিন্ন গ্রাম, যার ন...
22/10/2025

গল্প: শ্যাডো ফলের অভিশাপ

আর্কটিক সার্কেলের কাছাকাছি, নরওয়ের জনমানবহীন পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত ছিল এক বিচ্ছিন্ন গ্রাম, যার নাম ছিল শ্যাডো ফল (Shadow Fall)। গ্রামটি তার অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত ছিল, যেখানে বছরের বেশিরভাগ সময় বরফ ঢাকা থাকত এবং রাতের আকাশে দেখা যেত শ্বাসরুদ্ধকর অরোরা বোরিয়ালিস। কিন্তু এই সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক সুপ্রাচীন অভিশাপ, যা গ্রামবাসীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিশ্বাস করে আসত।

কয়েক দশক আগে, শ্যাডো ফল গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। গ্রামের প্রাচীনতম বাসিন্দা এবং লোককথার ধারক, বৃদ্ধা লিবাকে একদিন তার কুঁড়েঘরের বাইরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখ ছিল ভয়ের এক বীভৎস ছাপে বিকৃত, যেন মৃত্যুর ঠিক আগে তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা কোনো মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। তার হাতে আঁকড়ে ধরা ছিল একটি ছোট, প্রাচীন কাঠের পুতুল, যার চোখ দুটি ছিল গভীর শূন্যতার প্রতীক।

গ্রামবাসীরা জানত, লিবাই ছিলেন 'অরোরা শ্যাডো'র (Aurora Shadow) উপাসক। অরোরা শ্যাডো ছিল এক কিংবদন্তি সত্তা, যা অরোরা বোরিয়ালিসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে বলে মনে করা হত। বলা হত, যে তার দিকে তাকায়, তার আত্মা কেড়ে নেওয়া হয়। লিবার মৃত্যুর পর গ্রামে শুরু হয় অদ্ভুত সব ঘটনা।

প্রথমেই, রাতের বেলা অদ্ভুত সব শব্দ শোনা যেতে শুরু করে। যেন কেউ বরফের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, কিন্তু পায়ের কোনো ছাপ থাকত না। এরপর, রাতের আকাশে অরোরা বোরিয়ালিস দেখা দিলে, তার রঙে এক অস্বাভাবিক কালো আভা দেখা যেতে লাগল। এই কালো আলোর মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য কিছু অস্পষ্ট ছায়ামূর্তি দেখা যেত, যা গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

গ্রামের যুবক ও সাহসী শিকারী, এনার, এই রহস্যের গভীরে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে লিবাকে ভালোবাসত এবং তার মৃত্যুর পেছনের সত্য জানতে চেয়েছিল। এনার লিবার কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে এবং সেখানে একটি গুপ্ত ডায়েরি খুঁজে পায়। ডায়েরিটি ছিল লিবার হাতের লেখা, যেখানে তিনি অরোরা শ্যাডো এবং শ্যাডো ফলের অভিশাপ সম্পর্কে বিশদভাবে লিখেছিলেন।

ডায়েরিতে লেখা ছিল, শত শত বছর আগে, শ্যাডো ফল গ্রামের কিছু মানুষ প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে এক নিষিদ্ধ জাদু অনুশীলন করেছিল। এর ফলস্বরূপ, অরোরা শ্যাডো জাগ্রত হয়, যা রাতের বেলা গ্রামের উপর এক অন্ধকার ছায়া ফেলে। এই সত্তা নাকি সেই সব মানুষের আত্মাকে খুঁজে বেড়াত, যারা প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেছিল। ডায়েরিতে লিবাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে, যদি কেউ অরোরা শ্যাডোর দিকে সরাসরি তাকায়, তার আত্মাও গ্রাস করা হবে। লিবাই ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠায় লিখেছিলেন, তিনি তার মৃত্যুর ঠিক আগে অরোরা শ্যাডোর প্রকৃত রূপ দেখেছিলেন, যা ছিল এক অতিকায়, কালো ধোঁয়ার মতো সত্তা, যার চোখ দুটি ছিল আগুনের মতো উজ্জ্বল।

এনার ডায়েরিটি পড়ার পর আরও বেশি ভীত হয়ে পড়ে। সে বুঝতে পারে, লিবাকে হত্যা করা হয়নি, বরং তিনি অরোরা শ্যাডোর শিকার হয়েছিলেন। এনার গ্রামের প্রাচীনতম শামান, বৃদ্ধা ফ্রেয়ার কাছে যায়। ফ্রেয়া এনারকে বলেন যে, অভিশাপ ভাঙার একমাত্র উপায় হলো, নতুন করে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়া এবং অরোরা শ্যাডোর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এর জন্য দরকার ছিল গ্রামের সবচেয়ে পবিত্র বরফখণ্ডে একটি প্রাচীন আচার পালন করা, যেখানে গ্রামের সকল মানুষকে উপস্থিত থাকতে হবে।

এক হিমশীতল রাতে, যখন অরোরা বোরিয়ালিস তার কালো আভা নিয়ে আকাশে জ্বলে উঠেছিল, এনার এবং গ্রামবাসীরা পবিত্র বরফখণ্ডে একত্রিত হয়। ফ্রেয়া প্রাচীন মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করেন। হঠাৎ করে, অরোরা বোরিয়ালিসের কালো আভা আরও গাঢ় হয়ে ওঠে এবং তার মধ্য থেকে একটি বিশাল কালো ছায়ামূর্তি গ্রামের দিকে ধেয়ে আসে। গ্রামবাসীরা ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। এনার লিবার ডায়েরিতে পড়া একটি মন্ত্র ফিসফিস করে বলতে থাকে, যা প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার মন্ত্র ছিল।

মন্ত্রের প্রভাবে, কালো ছায়ামূর্তিটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফ্রেয়া বলেন, "শ্যাডো ফলকে ক্ষমা করো! আমরা প্রকৃতির সন্তান, আমরা তোমার শান্তিতে বিশ্বাস করি!" ধীরে ধীরে, কালো ছায়ামূর্তিটি অরোরা বোরিয়ালিসের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে শুরু করে এবং অরোরার কালো আভা আবার তার স্বাভাবিক সবুজ ও নীল রঙে ফিরে আসে।

সেই রাত থেকে শ্যাডো ফল গ্রামে আর কোনো অদ্ভুত ঘটনা ঘটেনি। অরোরা বোরিয়ালিস আবার তার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসে। এনার বুঝতে পারে, মানুষের লোভ এবং প্রকৃতির প্রতি অবজ্ঞাই এই অভিশাপের কারণ ছিল। গ্রামটি আবার শান্তিতে ফিরে আসে, কিন্তু শ্যাডো ফলের মানুষরা আজও রাতের আকাশে অরোরা বোরিয়ালিস দেখার সময় এক অদ্ভুত শিহরণ অনুভব করে। তারা জানে, প্রকৃতির সাথে তাদের যে সম্পর্ক, তা যেন কখনও ছিন্ন না হয়, কারণ অরোরা শ্যাডো হয়তো এখনও কোথাও ঘুমিয়ে আছে, সুযোগের অপেক্ষায়।

Winter season! 😂
22/10/2025

Winter season! 😂

প্রাচীন আমলের এক ছোট্ট গ্রাম, যেখানে কোনোদিনও হিংস্র প্রাণী দেখা যায়নি। গ্রামের মানুষ শান্তিতেই বসবাস করত। একদিন রাতের ব...
21/10/2025

প্রাচীন আমলের এক ছোট্ট গ্রাম, যেখানে কোনোদিনও হিংস্র প্রাণী দেখা যায়নি। গ্রামের মানুষ শান্তিতেই বসবাস করত। একদিন রাতের বেলা হঠাৎ করেই গ্রামের প্রধান পুরোহিত এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন। স্বপ্নে তিনি দেখলেন, গ্রামের ঠিক মাঝখানে থাকা শতবর্ষী বটগাছটি থেকে এক বিকট শব্দ হচ্ছে এবং গাছটির চারপাশ থেকে এক অদ্ভুত আলো বেরোচ্ছে। পুরোহিত মশাই ঘুম থেকে উঠেই গ্রামের মানুষকে এই স্বপ্নের কথা জানালেন। সবাই প্রথমে হাসাহাসি করলেও, একসময় ভয় পেতে শুরু করল।

সেই রাতেই গ্রামের সবাই জড়ো হয়ে বটগাছের দিকে এগিয়ে গেল। কিন্তু গাছের কাছে পৌঁছতেই তারা এক ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সম্মুখীন হলো। গাছটির কাণ্ড থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল এবং তার পাশেই কিছু অদ্ভুত চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। গ্রামের মানুষ এর আগে এমন কিছু দেখেনি। তাদের মধ্যে একজন সাহসী যুবক সেই চিহ্নগুলোর ছবি তুলে রাখল। পরদিন সকালে সেই ছবিগুলো নিয়ে গ্রামের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে যাওয়া হলো। জ্ঞানী ব্যক্তি ছবিগুলো দেখে কিছুক্ষণ নীরব রইলেন, তারপর তিনি বললেন, "এই চিহ্নগুলো প্রাচীন এক অভিশাপের প্রতীক। এই চিহ্নগুলো যেখানেই দেখা যায়, সেখানেই অশুভ শক্তির আগমন ঘটে।"

গ্রামের মানুষ ভয়ে জড়সড় হয়ে গেল। তারা জানতে চাইল, কীভাবে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। জ্ঞানী ব্যক্তি বললেন, "এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে সেই শক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে, যে এই চিহ্নগুলো তৈরি করেছে।" কিন্তু সেই শক্তিকে খুঁজে পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব। গ্রামের মানুষ দিনের পর দিন চেষ্টা করে গেল, কিন্তু কোনো লাভ হলো না। দিনের পর দিন রহস্য আরও ঘনীভূত হতে থাকল। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করল। রাতের বেলা অচেনা শব্দ শোনা যেত, দিনের বেলা জিনিসপত্র আপনাআপনি নড়াচড়া করত। ভয়ে গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে শুরু করল।

আজও সেই গ্রামে কেউ বাস করে না। সেই বটগাছটিও আর নেই। কিন্তু সেই রহস্যময় চিহ্নগুলো আজও সবার মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। কেউ জানে না, কী ছিল সেই অশুভ শক্তি, আর কেনই বা সেই গ্রামের উপর এমন অভিশাপ নেমে এসেছিল। এই রহস্য আজও সবার কাছে অধরা।

আপনার কি মনে হয়, কী ঘটেছিল সেই গ্রামে?

ডিয়াটলভ পাসের অমীমাংসিত রহস্যইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এটি এমন এক সত্যি ঘটনা, যা যেকোনো ভৌতিক সিনেমার চেয়েও বেশি ভয়ং...
20/10/2025

ডিয়াটলভ পাসের অমীমাংসিত রহস্য
ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এটি এমন এক সত্যি ঘটনা, যা যেকোনো ভৌতিক সিনেমার চেয়েও বেশি ভয়ংকর এবং অদ্ভূত।

১৯৫৯ সাল। রাশিয়ার উরাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৯ জন অভিজ্ঞ স্কি-হাইকারের একটি দল উত্তর উরাল পর্বতমালার একটি অভিযানে বের হয়। তাদের নেতা ছিলেন ইগর ডিয়াটলভ। তারা সবাই ছিলেন তরুণ, শক্তিশালী এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় পারদর্শী।

তারা আর কখনো ফিরে আসেনি।

যখন উদ্ধারকারী দল "খোলাত সিয়াখল" (স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ "মৃত পাহাড়") নামক স্থানে তাদের শেষ ক্যাম্পসাইটে পৌঁছায়, তখন তারা যা দেখেছিল তা ছিল হাড়হিম করা এবং সম্পূর্ণ অবোধ্য:

১. ছেঁড়া তাঁবু: তাদের তাঁবুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁবুটি снаружи থেকে নয়, বরং ** ভেতর থেকে** হিংস্রভাবে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। মনে হচ্ছিল আরোহীরা প্রচণ্ড আতঙ্কে নিজেদের তাঁবু নিজেরাই কেটে বাইরে পালিয়েছিলেন।

২. শূন্য হাতে পলায়ন: তাদের সমস্ত গরম কাপড়, জুতো, খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাঁবুতেই পড়ে ছিল। আরোহীরা মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-৩০°C) তাপমাত্রার ভয়ঙ্কর তুষারঝড়ের মধ্যে কেউ খালি পায়ে, কেউ বা শুধু মোজা পরে গভীর তুষারের মধ্যে ছুটে পালিয়েছিলেন।

৩. প্রথম মৃতদেহ: প্রথম দুটি মৃতদেহ ক্যাম্প থেকে প্রায় এক মাইল দূরে, একটি বড় পাইন গাছের নিচে পাওয়া যায়। তাদের পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। পাশে একটি ছোট অগ্নিকুণ্ডের চিহ্ন ছিল।

৪. ক্যাম্পে ফেরার চেষ্টা: ডিয়াটলভসহ আরও তিনটি মৃতদেহ গাছ এবং তাঁবুর মাঝপথে এমনভাবে পাওয়া যায়, যেন তারা মরিয়া হয়ে ক্যাম্পে ফিরে আসার চেষ্টা করছিলেন।

৫. চূড়ান্ত আবিষ্কার: শেষ চারটি মৃতদেহ খুঁজে পেতে আরও দুই মাস সময় লেগেছিল। তাদের পাওয়া যায় একটি গভীর খাদের মধ্যে, ১২ ফুট তুষারের নিচে। এই শেষ চারটি মৃতদেহই ছিল সবচেয়ে মর্মান্তিক। * তাদের মধ্যে তিনজনের শরীরে ছিল ভয়ঙ্কর আঘাত: একজনের মাথার খুলি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল, এবং দুজনের পাঁজরের হাড় এমনভাবে ভেঙেছিল যা সাধারণত একটি দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় হতে পারে। * আশ্চর্যের বিষয় হলো, তাদের শরীরে বাইরে থেকে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। সমস্ত আঘাত ছিল অভ্যন্তরীণ। * একজন নারী সদস্য, লিউডমিলা ডুবিনিনার, জিভ এবং চোখ অনুপস্থিত ছিল।

যে রহস্যের কোনো উত্তর মেলেনি:

এমন কী ভয়ানক জিনিস ৯ জন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীকে এতটা আতঙ্কিত করতে পারে যে, তারা নিজেদের তাঁবু ছিঁড়ে জুতো বা গরম কাপড় ছাড়াই প্রাণঘাতী তুষারঝড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন?

কোনো রকম ধস্তাধস্তি বা পশুর আক্রমণের চিহ্ন ছাড়াই কীভাবে তাদের শরীরে এমন ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ আঘাত এলো?

কেন তাদের কারো কারো পোশাকে উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল?

তৎকালীন সোভিয়েত তদন্তের উপসংহারে বলা হয়েছিল, দলটি একটি "অপ্রতিরোধ্য প্রাকৃতিক শক্তির" কারণে মারা গিয়েছিল। এই অস্পষ্ট উত্তরটি কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এরপর থেকে এই রহস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা তত্ত্ব—গোপন সামরিক অস্ত্রের পরীক্ষা, তুষারধস, ইনফ্রাসাউন্ড (যা তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে) অথবা কোনো অজানা ভয়ংকর কিছুর সাথে মোলাকাত।

আজ পর্যন্ত, এটি বিশ্বের অন্যতম বড় এবং সবচেয়ে রহস্যময় অমীমাংসিত ঘটনা হয়েই রয়েছে।

হ্যাশট্যাগ:



#ডিয়াটলভপাস #রহস্যজনকঘটনা #অমীমাংসিতরহস্য #ভয়ানকসত্যি #ভূতুড়েগল্প #রহস্য #বাস্তবঘটনা

প্রাচীন মিশরীয় অভিশাপ: তুতেনখামেনের সমাধি১৯২২ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার এবং লর্ড কার্নারভন যখন ফার...
20/10/2025

প্রাচীন মিশরীয় অভিশাপ: তুতেনখামেনের সমাধি

১৯২২ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার এবং লর্ড কার্নারভন যখন ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি আবিষ্কার করেন, তখন তারা জানতেন না যে তারা ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিশাপগুলোর একটিকে জাগ্রত করতে চলেছেন। সমাধির ভেতরে একটি মাটির ফলকে লেখা ছিল, "যে ফারাওয়ের ঘুম ভাঙাবে, তার উপর মৃত্যুর ডানা প্রসারিত হবে।"

সমাধি খোলার কয়েক মাসের মধ্যেই লর্ড কার্নারভন একটি মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, যা দ্রুত সেপসিসে রূপান্তরিত হয়। এরপর একে একে সেই দলের আরও অনেক সদস্য রহস্যজনকভাবে মারা যেতে শুরু করেন। কেউ ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন, কেউ বা অস্বাভাবিক দুর্ঘটনায়। এমনকি কার্নারভনের পোষা কুকুরও তার মৃত্যুর ঠিক একই মুহূর্তে চিৎকার করে মারা গিয়েছিল বলে গুজব আছে।

এই ঘটনাগুলো এতটাই ভয়ানক ছিল যে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন, ফারাও তুতেনখামেনের প্রাচীন অভিশাপই এর পেছনে দায়ী। বৈজ্ঞানিকরা অবশ্য বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছেন, যেমন সমাধির ভেতরের বিষাক্ত ছত্রাক বা গ্যাস। কিন্তু অভিশাপের রহস্য আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে, যা প্রতি বছর অসংখ্য মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।

গল্পের নাম: দ্য সোমারটন ম্যান (The Somerton Man) বা 'তামাম শুদ' কেসঘটনাটি কী ছিল?সাল ১৯৪৮, ১লা ডিসেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার অ...
19/10/2025

গল্পের নাম: দ্য সোমারটন ম্যান (The Somerton Man) বা 'তামাম শুদ' কেস

ঘটনাটি কী ছিল?

সাল ১৯৪৮, ১লা ডিসেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের সোমারটন বিচে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি সৈকতের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, পরনে ছিল স্যুট-কোট, যেন তিনি ঘুমিয়ে আছেন।

রহস্যের শুরু

পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করে, তখন এক এক করে অদ্ভুত সব তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে: ১. লোকটির কাছে কোনো মানিব্যাগ, টাকা বা পরিচয়পত্র ছিল না। ২. তার পরনের দামী স্যুট-কোট সহ সমস্ত পোশাকের ভেতরের সব ট্যাগ বা লেবেল সাবধানে কেটে ফেলা হয়েছিল। ৩. ময়নাতদন্তেও মৃত্যুর কোনো স্পষ্ট কারণ (যেমন বিষ বা আঘাত) খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে অদ্ভুত সূত্র

কয়েক মাস পর, লোকটির ট্রাউজারের একটি গোপন পকেটে একটি ছোট, পাকানো কাগজের টুকরো পাওয়া যায়। তাতে টাইপ করা ছিল দুটি মাত্র শব্দ: "Tamám Shud" (তামাম শুদ)।

এটি একটি ফার্সি শব্দ, যা কবি ওমর খৈয়ামের 'রুবাইয়াত' কাব্যগ্রন্থের শেষ কথা। এর অর্থ: "সমাপ্ত" বা "শেষ"।

জট পাকাতে শুরু করে

পুলিশ সারা দেশে বিজ্ঞাপন দেয়। এক ব্যক্তি জানান যে, তিনি ঠিক ওই বইটি খুঁজে পেয়েছেন, যা তার গাড়ির পেছনের সিটে কেউ ফেলে গিয়েছিল। বইটির শেষ পাতা থেকে সত্যিই "Tamám Shud" শব্দটি ছেঁড়া হয়েছিল।

কিন্তু রহস্যের শেষ এখানেই নয়। বইটির পেছনের কভারে পেন্সিল দিয়ে লেখা ছিল এক অদ্ভুত সাংকেতিক লিপি (Code), যা আজ পর্যন্ত বিশ্বের সেরা কোডব্রেকাররাও ভাঙতে পারেননি!

অমীমাংসিত প্রশ্ন

এই লোকটি কে ছিলেন? কেন তার পরিচয় গোপন করা হয়েছিল? তিনি কি কোনো দেশের গুপ্তচর ছিলেন, যিনি ঠান্ডা যুদ্ধের (Cold War) সময় কোনো গোপন মিশনে ছিলেন? সেই দুর্বোধ্য সাংকেতিক লিপির মধ্যেই বা কী লেখা ছিল?

৭৫ বছরেরও বেশি সময় পরও, 'সোমারটন ম্যান'-এর আসল পরিচয় এবং তার মৃত্যুর পেছনের এই জটিল রহস্য আজও সম্পূর্ণ অমীমাংসিত।

#সোমারটনম্যান #রহস্যগল্প #অমীমাংসিত

Address

Notunbazar Road
Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sayem The Selfish posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sayem The Selfish:

Share

Category