নিখোঁজ

নিখোঁজ Welcome to my page🥀🥀 Hello Everyone! My name is Md. Mohibulla.I'am a student in the digital marketing department?

09/08/2025

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

18/06/2025

এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা খুব নীরব থাকে, কোন কিছুতে মাথা নাড়তে চায় না সহজেই, কোন সম্পর্ক এ জড়াতে চায় না, এরা দুংখ পেলে তা হাসির আড়ালে মুছে ফেলে, এরা সহজে কাউকে বিস্বাস করে না, এরা সব সময় একা থাকে।

- এই শ্রেণীর মানুষ গুলোর জীবনে গল্প থাকে, ঠকে যাওয়ার গল্প, বিস্বাস ভঙে যাবার গল্প, মন ভেঙে যাবার গল্প।

- এরা এক সময় কাউকে খুব ভালবাসতো, বিস্বাস করতো, স্বপ্ন গড়তো কিনতু কোন বেইমানির ছোয়ায়, মিথ্যার ফাদে তা শেষ হয়ে যায়, দুংখ ও পেয়েছিল এরা, বুকের পাজরটা ও ভেঙে গেছিলো এদের।

- কিনতু আজ এরা খুব বদলে গেছে, এখন আর এরা কষ্ট পায় না, অশ্রু ফেলে না, মন খারাপ করে না, কারো সঙ্গ থাকে না, দিব্যি একাই ভালো থাকে।

- যদিও এদের মন খারাপ হয় তখন এরা শান্ত নদীর ধারে যায় মন ভালো করতে, যদি কিছু বলার থাকে, কিচির মিচির পাখিদের কাছে যায় কথা বলতে, তবু ও এরা মানুষের কাছে আর যায় না, বলে না তাদের কোন কিছু।

- এরা এখন কোন মানুষকে বিলিভ করতে পারে না, কারো ভরসা হতে চায় না, কারো সঙ্গী হতে চায় না, কারন এরা জানে, সবাই প্রতারনা, ঠকানোর জন্য ফাদ পেতে আছে।

- এদের যদি কখনো অভিযোগ থাকে, তখন ঐ আকাশের দিকে চেয়ে অভিযোগ জানায়, তবুও মানুষের কাছে এরা যায় না। এরা বাস্তবতা শিখে গেছে।

- বদলে নিয়েছে এই শেণীর আঘাত পাওয়া মানুষ গুলো, বাচতে শিখে গেছে, এখন এরা অন্যের উপর ভর করে না। এরা মিথ্যার মায়া জালে জড়ায় না,

- এরা আর খারাপ থাকবে না , কারো কাছে ঠকবে না, বাকিটা জীবন ভালো থাকবে।

- এরা যেমন বদলে গেছে তেমনি তুমিও বদলে যাও, মন খারাপ হলে শান্ত নদীর কাছে যাও, কিছু বলার থাকলে পাখিদের বলো, অভিযোগ থাকলে আকাশের দিকে ছুড়ে দাও, তবুও মানুষের কাছে যেও না, সবাই মুখোশধারী।

যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন! সে মানুষটা আপনাকে অ'ভিশাপ দিক বা না দিক, আপনিও একদিন খুব বাজে ভাবে ঠ'কে যাবে...
14/06/2025

যে মানুষটাকে আপনি আজ খুব বাজে ভাবে ঠ'কালেন! সে মানুষটা আপনাকে অ'ভিশাপ দিক বা না দিক, আপনিও একদিন খুব বাজে ভাবে ঠ'কে যাবেন, হয়তো অন্য কারো কাছে নয়তো অন্য কোনো ভাবে, তবে ঠকে আপনি অবশ্যই যাবেন, কারণ! বাস্তবতা হচ্ছে-- তার থেকে আপনার মুক্তি মিললেও, তার রুহের হায় থেকে কখনোই আপনার মুক্তি মিলবে না;

কাউকে বিনা কারণে অ'ন্যায়ভাবে আ'ঘাত করলে, কারো সাথে বে'ঈমানী কিংবা প্র'তারণা করলে সাময়িকভাবে আপনি নিঃসন্দেহে ভালো থাকবেন, তবে বেশি দিন ভালো থাকবেন না, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তো কখনোই নয়, আর ওপারের কথাটা না হয় না-ই বা বললাম;

বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় আপনি খুব দক্ষতার সহিত কারো বিশ্বাস ভা'ঙ্গছেন? আপনার দেওয়া দুঃ'খ - ক'ষ্টে প্রার্থনায় বসেও কেউ চোখের জল ফেলছে?
প্রস্তুত থাকুন আজ না হয় কাল আপনার বিশ্বাসও কেউ না কেউ ভা'ঙ্গ'বে, আপনার চোখের জলও কেউ না কেউ ফেলবে, ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনি কারো ক্ষ'তিসাধন করলে আপনার ক্ষ'তিও কোনো না কোনো ভাবে হবেই, অন্যের দূ'র্বলতা, সরলতা কিংবা ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে আপনি যা যা অ'ন্যায় করবেন, গোলাকার এই পৃথিবীতে ঘুরে ফিরে তার সবটাই ফিরে পাবেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র;

আপনার অ'ন্যায়, অ'ত্যাচার, অ'বিচার, ব্য'ভিচার, অ'প'কর্ম, প্র'তারণা, ঠ'কানো, বে'ঈমানী
সব কিছু আপনি ভুলে যেতে পারেন, যার সাথে করেছেন সেও হয়তো কোনো দিন ভুলে যেতে পারে কিন্তু! প্রকৃতি কখনোই কোনো কিছু ভুলে না, তাই আপনার কর্ম ভালো হোক বা মন্দ! প্রকৃতি আপনাকে সেভাবেই সবটা ফিরিয়ে দিবে, ভালো কর্ম করলে ভালো, আর মন্দ কর্ম করলে মন্দ, সে যাইহোক না কেনো, তবে ফিরিয়ে আপনাকে অবশ্যই দিবে;

মনে রাখবেন! গোলাকার এই পৃথিবীতে ভালো মন্দ সব কিছুই ঘুরে ফিরে ফিরে আসে, মানুষের হিসাবে ভুল হলেও প্রকৃতির হিসাবে কখনোই ভুল হয় না, প্রকৃতি তার নিজস্বতায় সব কিছুর হিসাব খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবেই রাখে, প্রকৃতি যে হিসাবে বড্ড পাকা, কর্মফল ভোগ না করিয়ে কখনো কাউকে ছাড়ে না;

জানেন তো? ইংরেজিতে Revenge of Nature বলে একটা কথা আছে! বাংলায় যাকে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে, কিন্তু! আমরা যখন ঠকে গিয়ে ঠকবাজ, প্রতারক, বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও চরিত্রহীন মানুষ গুলোকে ভালো থাকতে দেখি, তাও আবার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কিংবা যুগের পর যুগ ধরে, তখন আমরা বলি-- Revenge of Nature বলে কিচ্ছু হয় না, কিচ্ছু না, ওটা শুধুমাত্র সান্ত্বনার বাণী, কিন্তু না, মোটেও তা ঠিক নয়, এগুলো আসলে আমাদের আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া অশান্ত মনের অশ্রুকণা;

আসল কথা হচ্ছে -- আপনি সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও প্রকৃতিকে কখনোই ফাঁকি দিতে পারবেন না, সবাই আপনাকে ছেড়ে দিলেও প্রকৃতি কখনোই আপনাকে ছেড়ে দিবে না, মনে রাখবেন! মানুষ যা পারে না প্রকৃতি তা খুব ভালো ভাবেই পারে, মানুষ যে হিসাব মিলাতে পারে না বলে, হিসাব খানি অপূর্ণ রয়ে যায়, প্রকৃতি সে হিসাব সময় মত কড়ায়গণ্ডায় মিলায়, মানুষ যে বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়ে নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে সব সহ্য করে যায়, প্রকৃতি সে বিচারের সাজা এই দুনিয়াতেই ভো'গ করিয়ে নিয়ে যায়;

কাউকে অন্যায়ভাবে আ'ঘা'ত করা ছাড়ুন, ঠ'কিয়ে লাভবান হওয়ার চিন্তা বাদ দিন, প্র'তা'র'ণা করার মানসিকতার জলাঞ্জলি দিন, জীবনে এমন ভাবে বাঁচুন যেন আপনার দ্বারা কখনোই কারো ক্ষ'তি না হয়, আপনি যেন কখনো কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ না হন, জানেন তো? মানুষের দী'র্ঘ'শ্বা'স ভীষণ ভ'য়ং'ক'র, কারো দী'র্ঘ'শ্বা'সে'র কারণ হয়েছেন তো আপনার শা'স্তি অনিবার্য, তাই! জীবনে আর কাউকে পরোয়া করুন আর না করুন সৃষ্টিকর্তাকে পরোয়া করুন, মনে রাখবেন! তিনি ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না কখনো।

ভালোবাসা, যদি সত্যিই খাঁটি হয়, তবে তা সময়, দূরত্ব, কিংবা বাধার কাছে কখনও হার মানে নাহ। এই পৃথিবীতে কারও হাত ধরা যতটা সহজ...
11/06/2025

ভালোবাসা, যদি
সত্যিই খাঁটি হয়, তবে তা সময়,
দূরত্ব, কিংবা বাধার কাছে কখনও
হার মানে নাহ। এই পৃথিবীতে কারও
হাত ধরা যতটা সহজ, সেই হাতটা চিরদিন
ধরে রাখা ঠিক ততটাই কঠিন। কিন্তু যারা
সত্যিকারের ভালোবাসে, তারা জানে
কিভাবে এই বন্ধনকে
অটুট রাখতে হয়।
দূরত্ব কখনো ভালোবাসার অন্তরায় নয়;
বরং এটা পরীক্ষার মতো। যাদের হৃদয়
সত্যিই একে অপরের জন্য, তারা দূরত্বকেও
ভালোবাসার গল্পের অংশ বানিয়ে নেয়।
হাজার মাইল দূরে থেকেও তারা অনুভব করে
একে অপরের স্পর্শ। প্রতিটি টেক্সট, কল,
বা ভিডিও কলে সেই উষ্ণতা পাওয়া যায়
যা কাছে থেকেও অনেকেই হারিয়ে ফেলে।
একটা ছোট্ট গল্প দিয়ে বুঝি—
"হৃদয় আর রুপা "দু'জন দুই শহরে। শুরুতে সবাই বলেছিল, "দূরত্বে সম্পর্ক টেকে নাহ।" কিন্তু তারা প্রমাণ করেছে যে ভালোবাসার
গভীরতা থাকলে সবকিছু সম্ভব।
তারা প্রতিদিন একে অপরের সময় দিতো,
ছোট ছোট সুখের মুহূর্ত ভাগ করতো,
এবং বিশ্বাস রাখতো।
আজকে তারা একসঙ্গে, সুখে।
তারা প্রমাণ করেছে, সম্পর্ক শুধু
কাছাকাছি থাকার বিষয় নয়; বরং
এটা হলো হৃদয়ের বন্ধন, একে অপরের
প্রতি বিশ্বাস, এবং কঠিন সময়ে
শক্ত হাতে ধরে রাখার ক্ষমতা।

তাই, ভালোবেসে হাত ধরুন। কিন্তু এমনভাবে ধরুন, যেন সেই বন্ধন সময়ের সাথে আরও দৃঢ় হয়। দূরত্ব থাকুক বা না থাকুক, ভালোবাসার গল্প যেন হয় "শুরু থেকে শেষ অবদি" একই রকম সুন্দর।

সত্যিকারের
ভালোবাসায় সবকিছু সম্ভব।
দূরত্বে নয়, বরং হৃদয়ে
একসঙ্গে থাকুন। ❤️

ফ্যামিলি নিয়ে সবাই চিন্তা করে,, একটা ছেলে যেমন তাঁর ফ্যামিলির কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটায়, সারাক্ষণ চিন্তায় মগ্ন থাকে,...
05/06/2025

ফ্যামিলি নিয়ে সবাই চিন্তা করে,, একটা ছেলে যেমন তাঁর ফ্যামিলির কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটায়, সারাক্ষণ চিন্তায় মগ্ন থাকে, নিজের শখ আল্লাদ বিসর্জন দেয়,, ঠিক তেমনি অনেক মেয়েও আছে যারা সবসময় ফ্যামিলি নিয়ে চিন্তা করে কত শত শখ , স্বপ্ন, ইচ্ছা ,যে পরিবারের কথা ভেবে দাফন করেছে তাঁর খোঁজ কেউ রাখেনি।
একটা মেয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড গেঁটে দেখো,,তাঁর জীবনে কত কষ্ট আর সমস্যার পাহাড় রেখে দিব্যি হাসিমুখে সবার সাথে কথা বলছে। আফসোস,,এই অন্ধ সমাজ শুধু ছেলেদের কষ্টের কথা আর ত্যাগের কথাই স্বীকার করে।
একটা মেয়েও যে পরিবারের জন্য অন্ধকারে বুকচেড়া দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে, তাঁর আর্তনাদ কেউ শুনেনা।
বিশেষ করে,,যে মেয়েদের মাথার উপর ভাই নামক ছাঁদটা নেই,কেবল সেই মেয়েটিই জানে তাঁর জীবনটা কতটা কষ্টের। কারন,, তাঁর ভাই নেই , তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবার দ্বায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। তাঁর ক্যারিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো কেউ নেই।যা করার তাঁকেই করতে হবে।
ইসলাম নারীদের উপর কারো ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব দেয়নি, কিন্তু পরিস্থিতি আর সময়ের কাছে একজন নারী যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন তাঁকে তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য কোনো কাজ করে দ্বায়িত্ব পালন করাটাই একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়ায়।
একটা ছেলে বাহিরে কাজ করবে এটা অবশ্যই কষ্টকর, কিন্তু ইসলাম তাঁদের উপর মা-বাবা, ভাইবোন,বউ-সন্তানের ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব দিয়েছে,এটা তাঁদের কর্তব্য।
কিন্তু একটা মেয়ের পক্ষে বাহিরে কাজ করা,একা হাতে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করা,মা-বাবার সব দ্বায়িত্ব পালন করা যে কতটা কঠিন কাজ,সেটা কখনো কেউ ভেবে দেখেনি।
একটা মেয়ের কাঁদে যখন তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবার দ্বায়িত্ব নেওয়াটা কর্তব্য হয়ে পড়ে, তখন শুধুমাত্র সেই মেয়েটিই জানে সে কতটা অসহায়।
অন্ধ সমাজ ছেলেদের কষ্টের কথা, ত্যাগের কথা শুনলে চোখের জলে বুক ভাষায়,আর মেয়েদের এরূপ কষ্টের কথা, ত্যাগের কথা শুনলে উপহাস করে বলে,তর আবার কিসের কষ্ট, কিসের ত্যাগ, কিসের চিন্তা।
মেয়েদের কষ্টের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।একটা ছেলে যদি ফ্যামিলি প্রবলেমে পড়ে ,তখন তাঁর আরো অনেক অপশন থাকে,সে যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু একটা মেয়ে যখন ফ্যামিলি প্রবলেমে পড়ে তখন তাঁর আর কোনো অপশন থাকে না,সে কোথাও যেতে পারেনা সমাজের মানুষ কি বলবে,কি ভাববে,এটা চিন্তা করে।
মেয়েরা জীবনের প্রতিটা বয়সে, প্রতিটা ক্ষেত্রে, প্রতিটা সময়ে, প্রতিটা অধ্যায়ে অসহায়।
কারন,, মেয়েদেরকে হাসতে গেলেও ভাবতে হয়, কাঁদতে গেলেও ভাবতে হয়।
মেয়েদেরকে সবসময়ই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বাঁচতে হয়,একটা মেয়ে কখনো নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে পারেনা। মেয়েদের পায়ে সবসময় হাজারটা নিয়মের শিখল বেঁধে দেওয়া হয় ?

"নারী তুমি সত্যিই বড্ড অসহায়"😅😅

তুমি পুড়ে যাওয়া এক চিঠির শেষ অক্ষর,যার কোনো প্রাপক নেই, শুধু ধোঁয়ার গন্ধ আছে।তুমি বৃষ্টির ভেতর হারিয়ে যাওয়া একটি নাম—আমি...
04/06/2025

তুমি পুড়ে যাওয়া এক চিঠির শেষ অক্ষর,
যার কোনো প্রাপক নেই, শুধু ধোঁয়ার গন্ধ আছে।
তুমি বৃষ্টির ভেতর হারিয়ে যাওয়া একটি নাম—
আমি ডাকলে কেবলই কেঁপে ওঠে বাতাস।

তুমি এক অন্ধকার আয়নার ভিতর ঘুমিয়ে থাকা মুখ,
যেখানে আমি নিজেকে খুঁজি—আর পাই না।
তুমি ফেলে আসা জন্মদিনের কেকের মোমবাতি,
যাকে ফুঁ দিয়ে নিভাইনি, তবুও নিভে গেছ একা।

তুমি আমার নীরবতার দরজা—আলতো ঠেললে কান্না ঝরে।
তুমি থেকে যাও, থেকো না, যেভাবেই হও,
তুমি আমি—এক অনুচ্চারিত বেদনার ধ্বনি।
তুমি আমার, এবং তবুও—নও।

তুমি এক ফেলে আসা শহরের মতো,
যেখানে সমস্ত রাস্তা শেষ হয়ে গেছে কোনো না-পাওয়া ঠিকানায়।
তুমি সেই পুরনো মানচিত্রের দাগ,
যেখানে আমার হাত বারবার ফিরে যায়,
যেন হারানো কিছু আবিষ্কার করব বলে—
কিন্তু প্রতিবারই পাই শুধু ভুল বাঁক, ফাঁকা রাস্তাঘাট,
আর নামহীন ঘর, জানালাহীন জীবন।

তুমি সেই ঘুম না-আসা রাত,
যেখানে নিঃশব্দে কান্না গড়িয়ে পড়ে বালিশের প্রান্তে।
তুমি এক অদ্ভুত রকমের উপস্থিতি—
যাকে ছুঁতে গেলেই ফসকে যাও,
তবু তুমি আছো, বুকের গভীরে,
একটা কাঁটার মতো, ছোট্ট অথচ স্থায়ী,
যে কাঁটা রক্ত ঝরায় না,
কিন্তু ব্যথা দিয়ে যায় প্রতিটা নিশ্বাসে।

তুমি আমার লেখা না-হওয়া কবিতা—
যার প্রতিটি ছত্র মনে মনে বলি,
কিন্তু কাগজে নামাতে পারি না,
কারণ তুমি নামলে শেষ হয়ে যাবে,
তুমি হারিয়ে যাবে অক্ষরের ভিতর,
যেখানে আর আমি তোমায় খুঁজে পাব না।

তুমি এক লাল ডায়েরির পাতা,
যেখানে শুধু তোমার নাম,
তোমার ছায়া, তোমার গন্ধ—
যেন সেই নামটাই আমার প্রার্থনা,
যেন সেই ছায়াটাই আমার দিনরাত্রির সঙ্গী,
যেন সেই গন্ধটাই আমার জীবনের একমাত্র সত্য।

তুমি এক গোপন ব্যথা,
যাকে আমি লুকিয়ে রাখি সবার চোখ থেকে,
যেন কেউ না জানতে পারে,
আমি আসলে কতটা ভেঙে আছি তোমার জন্য।
তুমি আমার বুকের ভিতর এক অনুপ্রবেশকারী,
তুমি এক নিঃশব্দ অনিবার্যতা—
যাকে মেনে নিতে হয়,
চাইলেও ভুলে যাওয়া যায় না।

তুমি আমি নও,
তুমি তুমি—
তবু আমার ভিতর এতখানি তুমি হয়ে আছো,
যেন আমি নিজেকেই চিনতে পারি না আর।

- না পাওয়া তুমি

তাকে সুযোগ দিও না, যে তোমাকে একবার ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বাস করো, সুযোগ পেলে তোমাকে আবার ভেঙে চুরমার করে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবব...
03/06/2025

তাকে সুযোগ দিও না, যে তোমাকে একবার ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বাস করো, সুযোগ পেলে তোমাকে আবার ভেঙে চুরমার করে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না সে।

ফেলে দেওয়া থুথু আর ফেলে যাওয়া মানুষ—কোনটাই ভিতরে নিতে নেই।
ফেলে দেওয়া থুথু যেমন মুখে নিতে ঘেন্নাপিত্তি হয়, ফেলে যাওয়া মানুষের জন্য ঘেন্নাপিত্তি না রাখলেও ভালবেসে বুকে টেনে নিও না।

ফেলে যাওয়া মানুষের মায়া কাটানোর ঔষধ হলো সময়। নিজের সাথে যুদ্ধ করেও তাকে চাপা দাও দুঃস্বপ্ন ভেবে। অভিনয় কিংবা নিজেকে করুণা করে হলেও ছিঁড়ে ফেলে দাও তার সকল অধ্যায়।
দেখো, সময়ের ব্যবধানে একদিন ঠিক মুছে যাবে পাথুরে লিখে যাওয়া শব্দের মায়া।

মানুষ বলে, মায়া কাটানোর ঔষধ নেই—অথচ প্রতিটি মানুষের বুকে অজস্র মায়া কাটানোর প্রেসক্রিপশন রয়েছে।
মরে যাওয়া মানুষের শোক মানুষ কিন্তু ঠিক সময়ের দেয়াল তুলে দিয়ে ভুলে যায়। যে ছেড়ে গেলো, উপেক্ষা করে তাকেও কবর দিয়ে দাও বুকে—যেন ফিরে এসে আবার ভেঙে দিতে না পারে।
সময় ঠিক মায়া কাটিয়ে দেবে; চাইলেও আর তাকে মায়া করতে পারবে না।

স্বপ্ন মানুষকে বাঁচতে শেখায়

ভালোবাসা মানে কি,, ভালোবাসা কাকে বলে ?ভালোবাসা মানে হচ্ছে আপনি যাকে ভালোবাসেন তাঁর সম্পূর্ণ অস্তিত্বটাকেই আপনাকে ভালোবাস...
01/06/2025

ভালোবাসা মানে কি,, ভালোবাসা কাকে বলে ?
ভালোবাসা মানে হচ্ছে আপনি যাকে ভালোবাসেন তাঁর সম্পূর্ণ অস্তিত্বটাকেই আপনাকে ভালোবাসতে হবে। তাঁকে আপনার কাছে একদম নিখুঁত মনে করতে হবে।সে যেমনি হোক আপনার চোখে সে থাকবে পৃথিবীর সব সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠ উপমা। আপনি যদি তাঁর মধ্যে হাজারটা খুঁত খোঁজে বের করেন, আপনি যদি তাকে অন্য কারো সাথে তুলনা করতে থাকেন,আপনি যদি তাকে সারাক্ষন বলতে থাকেন তোমার গায়ের রং শ্যামলা বর্নের না হয়ে আরেকটু ফর্সা হলে ভালো হতো,তুমি খাটো আরেকটু লম্বা হলে ভালো হতো, তুমি বেশি রোগা আরেকটু স্বাস্থ্যবান হলে ভালো হতো, যদি আপনি এভাবে প্রতিনিয়ত তাঁর সবকিছুতে খুঁত ধরতে থাকেন,তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন ,তাহলে দয়া করে আপনি এটা দাবি করবেন না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন। আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে -সে একটা মানুষ কোনো পণ্য নয়।কেউ কখনোই কারো চাহিদা মতো হয়না, কাউকে ভালোবাসলে চাহিদা মতো মনে করতে হয়,আপনি যদি তাকে আপনার জন্য পারফেক্ট মনে করতে না পারেন, তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে তাঁকে ভালোবাসেন না। কারন,, কাউকে ভালোবাসলে তাঁর ভালো দিকটাকেও আপনাকে ভালোবাসতে হবে, তাঁর খারাপ দিকটাকেও আপনাকে ভালোবাসতে হবে। কাউকে ভালোবাসলে হারানোর তীব্র ভয় আর পাওয়ার প্রাণপন চেষ্টা থাকতে হয়।যদি আপনার মধ্যে তাঁকে হারানোর তীব্র ভয় আর পাওয়ার প্রাণপন চেষ্টা না থাকে, তাহলে আপনি তাকে ভালোবাসেন না। এটাকে ভালোবাসা দাবি করবেন না। আপনি যদি তাঁর সাথে কথা না বলে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন থাকতে পারেন, তাহলে আপনি দয়া করে এটা দাবি করবেন না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন।কারন কেউ যদি কাউকে মন থেকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলে তাহলে কোনোভাবেই তাঁর সাথে কথা না বলে থাকতে পারবে না,, হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর জন্য একটু সময় বের করে নিবে। আপনি যদি তাঁর অনুপস্থিতিতে শূন্যতা অনুভব না করে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য অন্য কারো সাথে কথা বলতে পারেন ,সময় কাটাতে পারেন, তাহলে আপনি এটা বলবেন না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন। কাউকে ভালোবাসলে তাঁর চোখের ভাষা পড়তে হয়, তাঁর না বলা কথাগুলো বুঝে নিতে হয়, তাঁর হৃদয় স্পর্শ করতে হয়, তাঁর মনের ভাবনাগুলো অনুভব করতে হয়, তাঁর মুখে না বলা ব্যাথাগুলো ভালোবাসার ছোঁয়ায় দূর করে দিতে হয়...?

"কাউকে ভালোবাসি কথাটা বলাটা যতটা সহজ,, তাঁকে ভালোবেসে তাঁর হাতে হাত রেখে সারাজীবন তাঁর পাশে থাকাটা ঠিক ততটাই কঠিন"

কথাগুলো একান্ত আমার জীবন নিয়ে লেখা কারো সাথে মিলে গেলে ক্ষমা করবেন।     গতকাল হলো অতীত। আগামীকাল একটা রহস্য। কিন্তু আজকে...
31/05/2025

কথাগুলো একান্ত আমার জীবন নিয়ে লেখা কারো সাথে মিলে গেলে ক্ষমা করবেন।
গতকাল হলো অতীত। আগামীকাল একটা রহস্য। কিন্তু আজকের দিনটি একটি উপহার। একারনেই একে বলা হয় 'প্রেজেন্ট'।

সময়ের সাথে সাথে যদি ভালোবাসা কমে যায়, বুঝে নেবে এটা কখনো ভালোবাসাই ছিলো না। এটা ছিলো সময়ের প্রয়োজনে একটু ভালো লাগা।

কারো হৃদয়ে আঘাত করাটা সাগরের বুকে পাথর ছুড়ে মারার মত। কেউ জানেনা সেই পাথর কত গভীরে আঘাত করবে। শুধু মাত্র যার হৃদয়ে আঘাত করবে সেই বুঝবে।

পাশাপাশি থাকা মানেই কাছাকাছি থাকা নয়। দূরে থেকেও কাছাকাছি থাকা যায়। এটা কেবলমাত্র আপনার মানুষিকতার উপর নির্ভর করে।

পৃথিবীতে ভালো থাকতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। একটু খানি সততা, নিজের উপর বিশ্বাস, অল্প কিছু আপন মানুষ যারা তোমাকে চোখ বুঝে বিশ্বাস করবে কিংবা যাদের কাছে প্রান খুলে কথা বলতে পারবে আর অল্পতেই সুখী হবার মানসিকতা। ভালো থাক সবাই, ভালো রাখুক প্রিয় মানুষদের। ভালো থাকুক আপনজনেরাও।

কখনো কাউকে অযোগ্য বলে অবহেলা করো না। ভেবে দেখো তুমিও কারো না কারো কাছে অযোগ্য। কেউ কারো যোগ্য নয়, যোগ্য বিবেচনা করে নিতে হয়।

তোমার ভুলগুলোকে নিজের সাথে বহন কোরো না, সেগুলোকে পায়ের নিচে ফেলো এবং সেগুলোর উপর ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে চলার কাজে ব্যবহার করো।

একটি ছাতা হয়তো বৃষ্টিকে থামিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু তা আমাদের বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়াতে সাহায্য করে। তেমনি নিজের প্রতি কনফিডেন্স হয়তো নিশ্চিত সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না তবে তা আমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার শক্তি দেয়।

সেই সময়টা খুব কঠিন, যে সময়ে চোখের জল ফেলতে হয়। কিন্তু ওই সময়টা তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন,যে সময় চোখের জল লুকিয়ে হাসতে হয় ।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধই একজনে হয় না ঠিক কিন্তু শুরুটা সাহস করে একজনকেই করতে হয়। বাকিদের কাজ শুধু তার পাশে দাড়িয়ে যাওয়া।

মন ভালো করার জন্যে খুব বেশী কিছু দরকার হয় না। প্রিয় মানুষ গুলোর একটু হাসিই যথেষ্ট।

কাপড় রঙিন করতে হয়তো রঙের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু জীবন রঙিন করতে রঙের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় কিছু ভাল বন্ধুর আর কিছু আপনজনের।

এমন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করো, যে তোমার গুন গুলো মনে রাখে, আর তোমার ভুলগুলো সংশোধন করিয়ে দিয়ে সেই ভুলগুলোকে ভুলে যায়।

পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে আকাশটাকে যতটা কাছের মনে হয়, আসলে আকাশটা ততটা কাছের নয়। তেমনি আপাতদৃষ্টিতে কোন কাজ সহজ মনে হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সহজ নয়।

মানুষের মন বড় জটিল। সেটাকে বুঝতে হলে তোমাকে অনেকটা সময় নিতে হবে। তুমি যদি খুব তাড়াতাড়ি বুঝে ফেল তাহলে নিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে পার, তুমি ভুল বুঝেছ।

যে কখনো আশা ছাড়ে না, তাকে হারানো সবচেয়ে কঠিন। তুমি তাকে ভেঙ্গে চুড়ে শেষ করে দিলেও সে আবার উঠে দাড়াবে, তোমাকে হারানোর স্বপ্ন দেখবে; ঠিক মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।

তোমার হাসি যেন শুধু তোমার ঠোঁট থেকে নয়, মন থেকেও যেন আসে। একটি প্রাণোচ্ছল হাসি তোমার সম্পর্ককেও অনেক গভীর করে দিতে পারে।

জীবনে দুঃখ হতাশা থাকবেই, তাই বলে জীবনটাকে হতাশার মধ্যে ডুবিয়ে রাখা ঠিক নয়, সময় থাকতে চেষ্টা করো ঘুরে দাঁড়ানোর, অবশ্যই তুমি সফল হবে, কারন চেষ্টাই সফলতা বয়ে আনে।

26/05/2025

কাউকে ডেডিকেট করে বলা হয়নি তবে জাস্ট ওয়াও

*আমার কোন আচরণে যদি অস্বাভাবিকতা দেখেন, তাহলে বুঝে নিবেন সমস্যার শুরুটা হয়েছে আপনাদের কাছ থেকেই।

*যদি আমি আপনার সাথে পূর্বের তুলনায় কম কথা বলি, তাহলে বুঝে নিবেন আপনাদের কোন কথা বা কাজ আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।

*যদি আমার মায়া-টান আপনাদের ওপর থেকে কমে যায়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনাদের স্বার্থপরতা আমাকে বহুবার ক্ষত করেছে।

*যদি আমার কোনো কথাকে খোঁচা দেয়া মনে হয়, তাহলে বুঝতেই পারছেন এমন খোঁচামার্কা কথা আপনারাও বহুবার বলেছেন। তাই নিজেও ফেরত পাচ্ছেন।

*যদি আমি আগের মত আপনাদের সাথে মিশতে না পারি তাহলে বুঝে নিবেন আপনাদের দেয়া কোন আঘাত আমি আজও ভুলতে পারিনি।

*যদি দেখেন আপনাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে আমার বাঁধছে না তাহলে বুঝে নিবেন আপনাদের চরম খারাপ ব্যবহারের কারনেই আমার ভদ্রতা লোপ পেয়েছে।

দুনিয়ায় সব সম্পর্কের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তা অতিক্রম হলেই মানুষের মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়।🖤

যে মানুষ আপনাকে কখনো কাছে টানে, আবার কখনো দূরে সরিয়ে দেয়—সে আপনাকে ভালোবাসে না। যে মানুষ আপনাকে শুধু নিজের সুবিধার সময় ম...
22/05/2025

যে মানুষ আপনাকে কখনো কাছে টানে, আবার কখনো দূরে সরিয়ে দেয়—সে আপনাকে ভালোবাসে না। যে মানুষ আপনাকে শুধু নিজের সুবিধার সময় মনে করে, আর বাকি সময় অচেনার মতো ব্যবহার করে—সে আপনাকে সত্যিকারের চায় না। ভালোবাসা যদি হয়, তবে সেটা কুয়াশার মতো হবে না, কখনো কাছে কখনো দূরে। ভালোবাসা হবে প্রবাহমান নদীর মতো—ধারাবাহিক, সতেজ, আর সত্য।

কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনি কারো জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিচ্ছেন, অথচ সে আপনাকে শুধুমাত্র একটুখানি মনোযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনাকে ছুঁড়েও ফেলছে না, ধরে রাখছেও না—শুধু নিজের ইচ্ছেমতো টানছে আর ছাড়ছে। এটা ভালোবাসা নয়, এটা এক ধরনের মানসিক খেলা, যেখানে আপনাকে শুধু একটা পুতুল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই মায়ার জালে আটকে থাকার কোনো মানে নেই। ভুল সম্পর্কের শেকল যত দ্রুত ভাঙবেন, তত দ্রুত মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন। ভুল মানুষের সঙ্গে কাটানো শত রাতের চেয়ে, একা জেগে থাকা এক রাতও বেশি শান্তির। নিজের একাকিত্বকে ভয় পাবেন না, বরং এটাকে আলিঙ্গন করুন। একাকিত্বের মাঝে নিজেকে নতুনভাবে চিনতে পারবেন, নিজের মূল্য বোঝার সুযোগ পাবেন।

যে মানুষ আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসবে, সে আপনাকে নিয়ে খেলবে না, বরং আপনাকে আগলে রাখবে। তাই মিথ্যে মায়ার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসুন—আপনার শান্তি, সম্মান আর সুখের জন্য এটাই সবচেয়ে জরুরি।

21/05/2025

জীবনের কোন না কোন সময়ে একটা বড় ধাক্কা আসে! একেকজনের ধাক্কাটা একেকরকম। কারো পরীক্ষায় ফেল করার ধাক্কা। কারো বেকারত্বের ধাক্কা। কারো মনের মানুষটিকে না পাওয়ার ধাক্কা। কারো ডিভোর্সের ধাক্কা। কারো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ধাক্কা। কারো আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা। কারো প্রিয় কোন মানুষের মৃত্যুর ধাক্কা।
কারো জীবনে যখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কাটা আসে, তখন তার মধ্যে চরম একটা হতাশা কাজ করে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সে। দিশেহারা হয়ে পড়ে, কী করবে বুঝে ওঠতে পারে না। সবমিলিয়ে জীবনের প্রতি অনেকটা অনীহা চলে আসে। আর তখনই কিন্তু সে নেতিবাচক চিন্তা করে, ভুল কাজ করে। পূর্বে যেটিকে সে ঘৃণা করত, এখন সেটাকে সে আকড়ে ধরে স্বস্তি খোঁজে। জীবনে হাত দিয়ে ছুঁয়ে না দেখা ছেলেটিও সিগারেট-মদে আসক্ত হয়ে পড়ে, নানাধরনের অবৈধ কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। কেউ কেউ তো আত্মাহুতি দেয়!
আমাদের জীবনটা সুখ-দুঃখের সমষ্টি। এ জীবনে শুধু দুঃখ থাকবে, তা নয়। শুধুই সুখ থাকবে, তাও নয়। সুখ-দুঃখের সমন্বয়েই আমাদের জীবনটা গড়া। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে একটার পর একটা ধাক্কা আসবে। এসব ধাক্কায় আমরা কষ্ট পাব, তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করব, টপটপ করে চোখের পানি ফেলব, সবই ঠিক আছে। কিন্তু কোনভাবেই ভেঙে পড়া যাবে না, অনৈতিক কাজ করা যাবে না, জীবনের প্রতি অনীহা আসতে দেয়া যাবে না। যত কষ্টই হোক, আমাদের এই বলে মনকে বোঝাতে হবে যে, ধাক্কাটা আমার জীবনেরই একটা অংশ। এই ধাক্কা সামলে ওঠতে পারলে সামনের দিনগুলোতে আমি অবশ্যই ভালো একটা প্রতিদান পাব। একটা ধাক্কা কাটিয়ে ওঠতে পারলে ভবিষ্যতের অনেকগুলো ধাক্কা আসার পথটা রুদ্ধ হয়ে যাবে। দুঃখের পরেই তো জীবনে সুখ আসে। দুঃখ আছে বলেই তো সুখ এতটা উপভোগ্য! আমার জীবন তো শেষ হয়ে যায়নি। আমার তো সামনের দিনগুলোতেও ভালো কিছু করার সুযোগ আছে।
যত যা-ই ঘটুক, তোমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হওয়া উচিত তোমার জীবন। সবচেয়ে প্রায়োরিটি দেয়া উচিত তোমার জীবনকে। আগে তোমার জীবন, পরে অন্য কিছু। তুমি জীবনে বেঁচে থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে। ফেলে আসা দিনের ক্ষতিটাও পুষিয়ে নিতে পারবে। তাহলে কেন তুমি একটা ধাক্কা সামলে ওঠার কোনপ্রকার চেষ্টা না করে পরাজয় বরণ করবে? কেন তুমি একটা ধাক্কা সামলে ওঠার চিন্তা না করে অনৈতিক কাজে নিজেকে জড়াবে? কেন তুমি নিজের হাতে জীবনটাকে শেষ করে দেবে? তুমি যদি বেঁচেই না থাক, তোমার তো সব সম্ভাবনার পথটাই বন্ধ হয়ে যাবে! তুমি তো নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটিও দিলে না, তুমি আসলে কী? কী অপার সম্ভাবনা লুকিয়ে ছিল তোমার মাঝে!

লেখা: আহম্মেদ হৃদয়

#লিখালিখি

Address

Pathargata
Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নিখোঁজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share