Al-amin Khan

Al-amin Khan Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Al-amin Khan, Digital creator, Barishal.

আল -আমীন খান🌿 এসো কুরআন শিখি 📖
আমি একজন শিক্ষক. বিশেষভাবে . কুরআনুল কারীম কে সুন্দর ভাবে শিক্ষা দেই।
(ইসলামী রুকিয়া শারীয়ার জন্য যোগাযোগ করুন) 01716807373/01724430344 📖 🌿

প্রশ্ন:সালাতুল ইস্তেখারার সালাত কী ভাবে পড়তে হয়? কী দোয়া করা হবে? এই সলাতের রাকাআত সংখ্যা কত?▬▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬▬উত্তর:পর...
11/07/2025

প্রশ্ন:সালাতুল ইস্তেখারার সালাত কী ভাবে পড়তে হয়? কী দোয়া করা হবে? এই সলাতের রাকাআত সংখ্যা কত?
▬▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর:পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। অতঃপর: আজ তৃতীয় ও শেষ পর্ব।
❑ দশম পয়েন্ট: ইস্তেখারার দোয়া করার স্থান:

ইস্তিখারার দোয়া কখন পড়া উচিত এ বিষয়ে কিছুটা মতানৈক্য থাকলেও বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে,সালাত শেষে সালাম ফিরানোর পর পড়া মুস্তাহাব (সুন্নত) —এ ব্যাপারে অধিকাংশ আলেম একমত।আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে এসেছে:قال الحنفية ، والمالكية ، والشافعية ، والحنابلة : يكون الدعاء عقب الصلاة ، وهو الموافق لما جاء في نص الحديث الشريف عن رسول الله صلى الله عليه وسلم "হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মাজহাবের আলেমগন বলেন: দোয়া করতে হবে সলাতের পরপর। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ“।(আল-মাউসু‘আতুল ফিকহিয়্যাহ” খণ্ড;৩;পৃষ্ঠা:২৪১)
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, " المشروع للمسلم إذا صلى صلاة الاستخارة ، أن يدعو بعد السلام منها لقوله - صلى الله عليه وسلم : ( إذا هم أحدكم بالأمر فليركع ركعتين من غير الفريضة ، ثم ليقل : اللهم إني أستخيرك بعلمك ) الحديث.
وهذا يدل على أن الدعاء يكون بعد السلام من الصلاة "
"মুসলিমদের জন্য শরিয়তের নির্দেশ হল, সে যখন সালাতুল ইস্তিখারার দুই রাকাআত পড়বে, তখন সালাম ফিরানোর পর দোয়া করবে। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ইচ্ছা করবে, প্রথমে দুই রাকাআত (নফল) সলাত আদায় করবে । এরপর বলবে—:আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা [হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার কাছে (আমার উদ্দিষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই]... (অর্থাৎ দোয়া শুরু করুক)।"এ হাদীস প্রমাণ করে যে, দোয়াটি সালাত শেষ করার পর পড়া উচিত।"(মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ,খণ্ড:১১;পৃষ্ঠা:৩৮৯)
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ইস্তিখারার দোয়া কি সালাম ফেরানোর আগেই পড়তে হবে, নাকি সালাত শেষ করে সালাম ফিরানোর পর পড়তে হবে?

তারা উত্তর দিয়েছেন:دعاء الاستخارة يكون بعد التسليم من صلاة الاستخارة " ان"ইস্তিখারার দোয়া সালাত শেষ করে সালাম ফেরানোর পর পড়তে হয়।"(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ;খন্ড;৮; পৃষ্ঠা;১৬২)
বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:دعاء الاستخارة بعد السلام؛ لأن النبي عليه الصلاة والسلام قال: ( فليصل ركعتين ثم ليقل ) وذكر الدعاء "ইস্তিখারার দোয়া সালাম ফেরানোর পর পড়া উচিত; কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:‘সে যেন প্রথমে দুই রাকাআত সলাত আদায় করবে, এরপর বলবে— এরপর তিনি দোয়াটি উল্লেখ করেছেন।"(ইবনু উসামীন লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-২০)
অপরদিকে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) সালাম ফিরানোর পর পড়া উত্তম বলেছেন তিনি ‘আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা’ গ্রন্থে বলেন: مَسْأَلَةٌ فِي دُعَاءِ الِاسْتِخَارَةِ، هَلْ يَدْعُو بِهِ فِي الصَّلاةِ ؟ أَمْ بَعْدَ السَّلامِ؟ الْجَوَابُ: يَجُوزُ الدُّعَاءُ فِي صَلاةِ الاسْتِخَارَةِ، وَغَيْرِهَا: قَبْلَ السَّلامِ، وَبَعْدَهُ، وَالدُّعَاءُ قَبْلَ السَّلامِ أَفْضَلُ؛ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرُ دُعَائِهِ قَبْلَ السَّلامِ، وَالْمُصَلِّي قَبْلَ السَّلامِ لَمْ يَنْصَرِفْ، فَهَذَا أَحْسَنُ."ইস্তেখারার দোয়ার মাসআলা: এ দোয়া দিয়ে কি সলাতের ভেতরে দোয়া করবে; নাকি সালাম ফেরানোর পরে? উত্তর হলো: ইস্তেখারার সলাতে এবং অন্য যে কোন সলাতে দোয়া করা জায়েয; সেটি সালাম ফেরানোর আগে হোক বা পরে হোক। তবে, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করা উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকাংশ দোয়া ছিল সালাম ফেরানোর আগে। সালাম ফেরানোর আগে মুসল্লী নামায ত্যাগ করেনি; সুতরাং এমন অবস্থায় (দোয়া করা) উত্তম।"(ইবনু তাইমিয়া;আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা;খণ্ড;২;পৃষ্ঠা;২৬৫)
সারকথা:ইস্তিখারার সলাত শেষ করে সালাম ফেরানোর পরই দোয়া করা সুন্নত। এটি অধিকাংশ আলেমের অভিমত এবং সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
❑ একাদশ তম পয়েন্ট: ইস্তিখারার দু'আ মুখস্থ হওয়া শর্ত নাকি দেখে দেখে পড়া যায় :
ইস্তিখারার দুআ পাঠের ক্ষেত্রে মুখস্থ হওয়া আবশ্যক নয়। কেউ যদি কাগজ দেখে পড়ে, তাও যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ মূল উদ্দেশ্য হল—আল্লাহর নিকট দুআ করা, আর সে তো তা করেছে। অধিকাংশ আলেম নফল সলাতে মুশহাফ দেখে কুরআন তিলাওয়াতের অনুমতি দিয়েছেন, অথচ সলাতের পরে দুআ পাঠ তো তার চেয়েও সহজ। তবে কেউ যদি মুখস্থ করে পাঠ করতে পারে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে উত্তম।

আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে এসেছে;ذهب الشافعية والحنابلة إلى جواز القراءة من المصحف في الصلاة , قال أحمد : لا بأس أن يصلي بالناس القيام وهو ينظر في المصحف , قيل له : الفريضة ؟ قال : لم أسمع فيها شيئا . وسئل الزهري عن رجل يقرأ في رمضان في المصحف , فقال : كان خيارنا يقرءون في المصاحف“শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাবের আলেমদের মতে নামাজে মুসহাফ দেখে কুরআন পড়া বৈধ। ইমাম আহমদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, মুসহাফ দেখে তারাবিহর নামাজে ইমামতি করা দোষনীয় নয়। যখন তাঁকে ফরজ সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি বলেন—এ বিষয়ে তিনি কিছু শুনেননি। আর ইমাম যুহরি (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল রমজানে মুসহাফ দেখে কুরআন পাঠ করার ব্যাপারে,তিনি বলেছিলেন:'আমাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা রমজানে মুসহাফ দেখে কুরআন পড়তেন।"(আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ;খণ্ড;৩৩;পৃষ্ঠা:৫৭)
শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:لا مانع أن يقرأ الإنسان الدعاء من الورقة إذا كان لا يحفظ وكتب الدعاء في ورقة وقرأه في الأوقات التي يحب أن يدعو فيها مثل آخر الليل أو أثناء الليل أو غيرها من الأوقات، ولكن لو تيسر حفظ ذلك وأن يقرأه عن حضور قلب وعن خشوع كان ذلك أكمل “কোনো বাধা নেই যে মানুষ কাগজ থেকে দু’আ পড়ুক, যদি তার মুখস্থ না থাকে এবং সে যদি কাগজে দু’আ লিখে নেয় এবং তা পড়ে এমন সময়গুলোতে যখন সে দু’আ করতে পছন্দ করে, যেমন রাতের শেষ ভাগে, বা রাতের কোনো সময়, বা অন্য যেকোনো সময়। তবে যদি তা মুখস্থ করা সহজ হয় এবং মনোযোগ ও বিনয়ের সাথে তা পড়া হয়, তাহলে তা অধিক পরিপূর্ণ।"(মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ,খণ্ড;২৬ পৃষ্ঠা:১৩৬)
স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:“কোনো কাজ বা প্রয়োজন বা যে কোনো বিষয়ে ইস্তিখারা সলাত আদায়ের ক্ষেত্রে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণিত ইস্তিখারার দু’আ মুখস্থ করাটা কি আবশ্যক? নাকি কেবল বই দেখে পড়লেই চলবে?”

তারা উত্তরে বলেন:إن حفظت الدعاء للاستخارة وقرأته من الكتاب فالأمر في ذلك واسع، وعليك الاجتهاد في إحضار قلبك والخشوع لله، والصدق في الدعاء..যদি তুমি ইস্তিখারার দুআ মুখস্থ করেও তা বই দেখে পাঠ করো—তাতে কোনো অসুবিধা নেই;এ ব্যাপারে প্রশস্ততা রয়েছে। তবে তোমার উচিত হবে মনোযোগ সহকারে হৃদয় প্রস্তুত করে, বিনয় ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর কাছে দু’আ করা।”(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ;খন্ড;৮; পৃষ্ঠা;১৬১)
❑ দ্বাদশ তম পয়েন্ট:ইস্তিখারার সালাত আদায়ের বিশুদ্ধ পদ্ধতি:
আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি, ওয়াজিব ও মুস্তাহাব কর্ম পালন করার ক্ষেত্রে এবং হারাম ও মাকরূহ বিষয় বর্জন করার ক্ষেত্রে ইস্তিখারা করা যাবে না। তাই ইস্তিখারার গণ্ডি সীমাবদ্ধ শুধু মুবাহ বিষয়ের ক্ষেত্রে এবং এমন মুস্তাহাবের ক্ষেত্রে যে মুস্তাহাব অপর একটি মুস্তাহাবের সাথে সাংঘর্ষিক; সুতরাং দুইটির কোনটা আগে পালন করবে কিংবা কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা পালন করবে সেক্ষেত্রে। সুতরাং সালাত আদায়ের পদ্ধতি হল:প্রথমে ব্যক্তি (নারী পুরুষ) অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অযু করবে, তারপর ইস্তেখারার উদ্দেশ্যে দুই রাকআত সাধারণ নফল সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করবে ।বিশেষ কোনো নিয়ম নেই।এক্ষেত্রে সূরা ফাতেহার পর যেকোন সূরা পড়া যায় তারপর সালাত শেষে সালাম ফিরিয়ে আল্লাহ তায়ালা বড়ত্ব ও মর্যাদার কথা মনে জাগ্রত করে একান্ত বিনয় ও আন্তরিকতা সহকারে অর্থের দিকে খেয়াল রেখে নিচের দুয়াটি পাঠ করা। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ইচ্ছা করবে, প্রথমে দুই রাকাআত সলাত আদায় করবে । এরপর বলবে—
اَللّٰهُمّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা
[হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার কাছে (আমার উদ্দিষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই]
وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ
ওয়া আসতাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিকা
[আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার কাছে (কল্যাণ অর্জনের) শক্তি চাই]
وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ
ওয়া আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকাল ‘আযীম
[আর আপনার কাছে আপনার মহান অনুগ্রহের কিছুটা আমি চাই]
فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ
ফাইন্নাকা তাক্বদিরু, ওয়া লা আক্বদির
[কেননা, (সকল বিষয়ে) আপনার ক্ষমতা রয়েছে; আমার কোনো ক্ষমতা নেই]
وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ
ওয়া তা‘অ্লামু, ওয়া লা আ‘অলাম
[আপনি (সবকিছু) জানেন, আমি কিছুই জানি না]
وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوْبِ
ওয়া আনতা ‘আল্লামুল গুয়ূব
[আপনি অদৃশ্যের সকল বিষয়ে সর্বজান্তা]
اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ
আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা‘অ্লামু
[হে আল্লাহ! আপনি যদি জানেন]
أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ
আন্না ★হাযাল আমরা★ খাইরাল লী
[★এই কাজটি★ আমার জন্য কল্যাণকর]
فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ
ফী দী-নী, ওয়া মা‘আ-শী, ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী
[আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কাজের পরিণামের বিচারে]
فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ
ফাক্বদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী
[তাহলে আমার জন্য তা নির্ধারণ করে দিন এবং বিষয়টিকে আমার জন্য সহজ করে দিন]
ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ
সুম্মা বা-রিক লী ফীহি
[অতঃপর এতে আমার জন্য বরকত দান করুন]
وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ
ওয়া ইন কুনতা তা‘অ্লামু
[আর, যদি আপনি জানেন]
أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ
আন্না ★হাযাল আমরা★ শাররুল লী
[★এই কাজটি★ আমার জন্য অকল্যাণকর]
فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ
ফী দী-নী, ওয়া মা‘আ-শী, ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী
[আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কাজের পরিণামের বিচারে]
فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ
ফাসরিফহু ‘আন্নী, ওয়াসরিফনী ‘আনহু
[আপনি তা আমার থেকে সরিয়ে দিন এবং আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন]
وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ
ওয়াক্বদুর লিয়াল খাইরা ‘হাইসু কা-না
[আর আমার জন্য কল্যাণের ফায়সালা করুন; তা যেখানেই হোক]
ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِه
সুম্মা আরদ্বিনী বিহি
[অতঃপর তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন]
জাবির (রা) বলেন, দু‘আটির যে দুই জায়গায় هَذَا الأَمْرَ হাযাল আমর (যার অর্থ) ‘‘এই কাজটি’’ বলা আছে, সেখানে নিজ প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে। (কিংবা অন্তত মনে মনে সেটি কল্পনা করবে) (সহীহ বুখারি১১৬৬; তিরমিযি ৪৮০;, আবুদাঊদ হা/১৫৩৮; মিশকাত হা/১৩২৩ ‘ঐচ্ছিক সালাত’ অনুচ্ছেদ-৩৯; মির‘আত ৪/৩৬২)। উক্ত দু‘আ শেষ করার পর মন যেদিকে সায় দেবে এবং যেভাবে কাজটি করা কল্যাণকর মনে হবে, সেটিকে সঠিক ভেবে কাজ শুরু করবেন। ধরুন, আপনার কোথাও যাওয়া দরকার আবার বাসার মধ্যেও থাকা দরকার। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তখন ইস্তিখারা করবেন। ইস্তিখারার পর যদি মনে হয়, বাসায় থাকাটাই আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে, তাহলে আপনি সেটিই করবেন এবং ভেবে নিবেন, এই সিদ্ধান্তটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে আর এতেই আপনার কল্যাণ রয়েছে।ইস্তিখারা করার সাথে সাথেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের জন্য ইস্তিখারা করলে এক বেলা বা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিনও অপেক্ষা করতে পারেন। তবুও সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হলে প্রয়োজনে একাধিকবার ইস্তিখারা করতে পারেন। এটিও জায়েয। এরপর মন যেদিকে ঝুঁকবে, সেদিকেই কল্যাণ আছে ভেবে নেবেন। এর সাথে সাথে নিজের বিবেক-বুদ্ধির সাহায্য নেবেন এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের সাথেও পরামর্শ করবেন।
❑ ত্রয়োদশ ও সর্বশেষ পয়েন্ট: একাধিকবার ইস্তেখারা করা যাবে নাকি একবারই করতে হবে:
অনেক ফুকাহা ও মুহাদ্দিসগণ উল্লেখ করেছেন, যদি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও সুস্পষ্ট না হয় এবং ইস্তেখারা কারী যদি দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকেন—দুইটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি বেছে নেবেন তা ঠিক করতে না পারেন—তাহলে তিনি সে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ইস্তেখারা করতে পারেন।তবে যদি ইস্তিখারার পর অন্তরে স্বস্তি অনুভূত হয়, হৃদয় প্রশান্ত হয়ে যায় অর্থাৎ একধরনের আত্মিক নিশ্চয়তা জাগে তাহলে ঐ বিষয়ে পুনরায় ইস্তিখারা করার প্রয়োজন নেই।"
আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে এসেছে;

" قال الحنفية، والمالكية، والشافعية: ينبغي أن يكرر المستخير الاستخارة بالصلاة والدعاء سبع مرات؛ لما روى ابن السني عن أنس. قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا أنس إذا هممت بأمر فاستخر ربك فيه سبع مرات، ثم انظر إلى الذي يسبق إلى قلبك فإن الخير فيه.ويؤخذ من أقوال الفقهاء أن تكرار الاستخارة يكون عند عدم ظهور شيء للمستخير، فإذا ظهر له ما ينشرح به صدره لم يكن هناك ما يدعو إلى التكرار. وصرح الشافعية بأنه إذا لم يظهر له شيء بعد السابعة استخار أكثر من ذلك"

হানাফি,মালিকি এবং শাফেয়ি মাজহাবের ফুকাহাগণ উল্লেখ করেছেন:ইস্তিখারা প্রার্থনাকারী ব্যক্তি যেন সলাত ও দুআর মাধ্যমে সাতবার ইস্তিখারা করে। কেননা,ইবনুস সুন্নী (রাহিমাহুল্লাহ) আনাস ইবনু মালিক (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেন—তিনি বলেন:রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছিলেন: "হে আনাস! যখন কোনো বিষয়ে সংকল্প করো, তখন সে বিষয়ে তোমার প্রতিপালকের নিকট সাতবার ইস্তিখারা করো। এরপর তোমার অন্তরে যেটি প্রাধান্য পায়—জেনে রেখো, সেটিতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।(বর্ননাটি দুর্বল;দেখুন সিলসিলা জয়ীফা;খণ্ড;১৪;পৃষ্ঠা;৯৫২)।ফুকাহাগণের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়:ইস্তিখারা তখনই পুনরাবৃত্তি করা হবে, যখন ইস্তিখারার পরেও বিষয়টি পরিষ্কার না হয়, অথবা সিদ্ধান্তহীনতা দূর না হয়।কিন্তু যদি ইস্তিখারার পর অন্তর প্রশান্ত হয় ও নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আত্মা নিশ্চিন্ততা লাভ করে, তাহলে পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।শাফেয়ি আলেমগণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন:যদি সাতবার ইস্তিখারা করার পরও বিষয়টি স্পষ্ট না হয়, তাহলে ইচ্ছা করলে আরও বেশিবার ইস্তিখারা করা যাবে।”(আল-মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ;খণ্ড;৩ পৃষ্ঠা;২৪৬)
শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ)–কে প্রশ্ন করা হয়েছিল:ইস্তেখারার সলাত কি একবার পড়া যথেষ্ট, নাকি তা পুনরাবৃত্তি করা শরিয়তসম্মত?

তিনি উত্তর দেন:

:" تشرع مكررة ، حتى يطمئن قلبه ، وينشرح صدره لما يريد، ويستشير إخوانه الثقات المعروفين الذين يعتقد فيهم الخير، وأنهم يحبون له الخير يستشيرهم بعد الصلاة، يصلي ركعتين ويستخير ربه بما جاء في حديث جابر -والحديث معروف موجود في رياض الصالحين وغيره- ثم يستشير بعد الدعاء ، فإن انشرح صدره ، وإلا أعاد الصلاة ، وأعاد الاستشارة، وهكذا، مرتين ثلاث أربع أكثر ، حتى يحصل له الطمأنينة والانشراح ، في الزواج أو في شراء بيت أو في سفر إلى بلد أو في إقامة شركة ، أو ما أشبهها من الأمور التي تشتبه عليه، فيستخير الله فيها ويستشير إخوانه الطيبين ثم يعمل ما يطمئن إليه قلبه وينشرح له صدره بعد الاستخارة وبعد الاستشارة"

"হ্যাঁ,ইস্তেখারার সলাত একাধিকবার আদায় করা শরিয়তসম্মত, যতক্ষণ না ব্যক্তি অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করে এবং যে কাজটি করতে চায় সে বিষয়ে তার অন্তর প্রশস্ত হয়। তার উচিত এমন বিশ্বস্ত, সৎ ও কল্যাণকামী ভাইদের সঙ্গে পরামর্শ করা—যাদের সম্পর্কে সে নিশ্চিত যে, তারা তাকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসে এবং তার মঙ্গলের চিন্তা করে।এরপর সে দুই রাকাআত সলাত আদায় করবে এবং জাবির (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী ইস্তিখারার দুআ পাঠ করবে—যে হাদীসটি ‘রিয়াদুস সালিহীন’ ও অন্যান্য গ্রন্থে উল্লেখিত আছে। তারপর ইস্তিখারার দু'আর পর পরামর্শ করবে।যদি ইস্তিখারা ও পরামর্শের পর তার অন্তর প্রশান্তি লাভ করে, তাহলে সে কাজটি করে ফেলবে। আর যদি অন্তর দ্বিধাগ্রস্ত থাকে ও স্বস্তি না পায়, তাহলে আবার ইস্তিখারা করবে, আবার পরামর্শ করবে। এভাবে দু’বার, তিনবার, চারবার—এমনকি যতবার প্রয়োজন হয়—ইস্তিখারা ও পরামর্শ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তার অন্তর প্রশান্ত হয় এবং সে যে সিদ্ধান্ত নিতে চায়, সে বিষয়ে মনে এক ধরনের স্থিরতা ও নিশ্চয়তা অনুভব করে। সেই বিষয়টি হতে পারে বিয়ের সিদ্ধান্ত, বাড়ি ক্রয়, ভিন্ন দেশে গমন কিংবা কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা—এই ধরনের যে কোনো সিদ্ধান্ত, যা মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে তোলে। তার উচিত এসব বিষয়ে আল্লাহর কাছে ইস্তিখারা করা এবং ঈমানদার, অভিজ্ঞ ও মঙ্গলকামী ভাইদের সঙ্গে পরামর্শ করা। এরপর ইস্তিখারা ও পরামর্শের মাধ্যমে অন্তরে যেটিতে প্রশান্তি ও সন্তুষ্টি অনুভব করে—সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।”(বিন বায;ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব;খণ্ড;১১ পৃষ্ঠা;৭৩)
বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:

" ثم بعد ذلك الدعاء : إن انشرح صدره بأحد الأمرين ، بالأقدام أو الإحجام : فهذا المطلوب ، يأخذ بما ينشرح به صدره .

فإن لم ينشرح صدره لشيء وبقى مترددا ، أعاد الاستخارة مرة ثانية وثالثة ، ثم بعد ذلك المشورة ، إذا لم يتبين له شيء بعد الاستخارة ، فإنه يشاور أهل الرأي والصلاح ...

وإنما قلنا: إنه يستخير ثلاث مرات ، لأن من عادة النبي صلى الله عليه وسلم أنه إذا دعا دعا ثلاثا ، والاستخارة دعاء ، وقد لا يتبين للإنسان خير الأمرين من أول مرة ، بل قد يتبين في أول مرة ، أو في الثانية ، أو في الثالثة ، وإذا لم يتبين فليستشر"

“এরপর আসে দোয়ার বিষয়টি: যদি ইস্তিখারার পর তার অন্তর দুইটি বিষয়ের একটির প্রতি প্রশান্তি অনুভব করে—তা হোক অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে অথবা পিছু হটার বিষয়ে—তাহলে সে সেই দিকটিই গ্রহণ করবে, যাতে তার অন্তর প্রশান্ত হয়। এটাই কাম্য। আর যদি তার অন্তর কোনো কিছুতে স্থির না হয় এবং সে দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকে,তাহলে সে আবার ইস্তিখারা করবে—দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার। এরপরও যদি বিষয়টি তার কাছে পরিষ্কার না হয়, তাহলে সে বুদ্ধিমান ও দ্বীনদার ন্যায়পরায়ণ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

আমরা বলি: সে যেন তিনবার ইস্তিখারা করে। এর কারণ হলো, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কোনো দো‘আ করতেন, তখন তিনবার করতেন। আর ইস্তিখারা তো একটি দু‘আ। আর মানুষ সবসময় প্রথমবারেই বুঝে উঠতে পারেনা যে,কোনটা তার জন্য কল্যাণকর। বরং কখনো সে তা প্রথমবারেই বুঝে ফেলে, কখনো দ্বিতীয়বারে, আবার কখনো তৃতীয়বারে। আর যদি এতকিছুর পরও কিছু বুঝে না আসে, তাহলে তাকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।”(ইবনু উসাইমিন,শারহু রিয়াদিস সালিহিন;খণ্ড;৪ পৃষ্ঠা;১৬২) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)

"সালাতুল ইস্তিখারা" ধারাবাহিক তিন পর্বের আজ তৃতীয় ও সর্বশেষ পর্ব।
▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি

05/07/2025
05/07/2025

ইবনু হিব্বান বলেন,
"সত্যিকারের সৌন্দর্য হলো ভালো আচরণ। যার মধ্যে এই সৌন্দর্য নেই, তার সৌন্দর্যই নেই।"

[আর-রাওযা, পৃ. ২২২]

03/07/2025

বৃষ্টি যেমন মৃত ভূমিকে জীবিত করে-প্রাণবন্ত করে, অনুরূপভাবে দ্বীনের জ্ঞানও মৃত অন্তরকে জীবিত করে প্রাণবন্ত করে।
📖(ফাতহুল বারী, ১/১৭৭)

👉অধিকাংশ নারী কেন জাহান্নামী হয়, স্ত্রীর উপর স্বামীর হক এবং আদর্শ নারীর গুণাবলী=====================👉কোন এক বৈঠকে নবী (স...
03/07/2025

👉অধিকাংশ নারী কেন জাহান্নামী হয়, স্ত্রীর উপর স্বামীর হক এবং আদর্শ নারীর গুণাবলী
=====================

👉কোন এক বৈঠকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের বেশির ভাগই নারীজাতি; (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞেস করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অকৃতজ্ঞ হয়।’ তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে, ‘আমি কক্ষণো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যবহার পাইনি।’ [সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯]

👉আবু হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যদি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম তবে স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম (তিরমযী, মিশকাতঃ ৩২৫৫; বাংলা মিশকাতঃ ৩১১৬; হাদীস সহীহ)। অত্র হাদীসে স্ত্রীর উপর স্বামীর হক্ব কতটুকু তা স্পষ্ট হয়েছে।

👉অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘স্বামী হচ্ছে মহিলাদের জন্য জাহান্নাম এবং জান্নাতের মাধ্যম’ (সিলসিলা সহীহাহঃ ১৯৩৪, ২৬১২)। অত্র হাদীসগুলি দ্বারা বুঝা যায় যে, আদর্শ মহিলার জন্য তার স্বামীকে রাজি-খুশি করা, আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, তার খিদমতে সর্বদা নিয়োজিত থাকা অত্যন্ত জরুরী।

👆উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, একজন মহিলাকে আদর্শ হতে হলে নিম্নোক্ত গুণাবলী অর্জন করতে হবে। ঈমানদার, পরহেযগার, নেককার, আল্লাহভীরু, লজ্জাস্থানের হিফাযতকারীণী, সতী-সাধবী, উত্তম চরিত্রের অধিকারিণী, অনুগত, পর্দাশীলা, দানশীলা, সলাত আদায়কারিণী, সিয়াম পালনকারিণী ইত্যাদি। এক কথায় যার মধ্যে রাসূল (সঃ) এর আদর্শ রয়েছে সেই হচ্ছে প্রকৃত আদর্শ নারী।

👉কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘প্রকৃত পক্ষে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর জীবনে রয়েছে এক সর্বোত্তম আদর্শ। এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি আশাবাদী এবং খুব বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে’। (সূরা আহযাবঃ ২১)

👉বইঃ আদর্শ নারী
লেখকঃ শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ।

30/06/2025
রবের পথে আহবান একটি দাওয়াতি প্ল্যাটফর্ম। যা মানুষকে কোরআন সুন্নাহ ও সঠিক জ্ঞানের দিকে আহবান করে। যা পরকালের পাথেয় হিসে...
30/06/2025

রবের পথে আহবান একটি দাওয়াতি প্ল্যাটফর্ম।
যা মানুষকে কোরআন সুন্নাহ ও সঠিক জ্ঞানের দিকে আহবান করে। যা পরকালের পাথেয় হিসেবে সঞ্চয় থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

সুন্দর একটি দোয়া।
30/06/2025

সুন্দর একটি দোয়া।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দু'আ জিকির করতেনঃ...🖊️=========================১. “আসতাগফিরুল্লা-হ” - ৩ বার...
29/06/2025

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দু'আ জিকির করতেনঃ...🖊️
=========================

১. “আসতাগফিরুল্লা-হ” - ৩ বার ।(ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪ)
অর্থঃ হে আল্লাহ!আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

২. “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – ১ বার।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন “রাসুল (সাঃ) যখন সালাম ফেরাতেন তখন তিনি তিনবার ইস্তেগফার পড়তে্ন অর্থাত ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন।

তারপর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা -
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

৪. একবার
اَللّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الَجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’তিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬২ নং)

৫. একবার
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله
উচ্চারণ:- লা-হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ্‌।
অর্থ:- আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার শক্তি নেই।

৬. একবার
لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ
উচ্চারণ:- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফায্বলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বিনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউকারিহাল কা-ফিরুন।

অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত কেউসত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না, তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তাঁরই যাবতীয় সুপ্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফেরদল তা অপছন্দ করে। (মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬৩ নং)

৭. আয়াতুল কুরসী (সুরা বাক্বারা আয়াতঃ ২৫৫) ১ বার।
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেনা”।(নাসায়ী, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহিহাহ-হাদিস ৯৭২)

৮. আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়। (মুসলিম-১২২৮)।

৯. সুরা ইখলাস,ফালাক্ব ও নাস ১ বার করে। (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)

১০. “আল্লাহুম্মা আ ই’ন্নী আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা”১বার
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, তোমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার সুন্দর ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর”। -আবু দাউদ ১/২১৩

১১. একবার
اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক।
অর্থ:- হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম)
১২. হযরত আব্দুর রহমান বিন গানম (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে নামাজ শেষ করেছে সেভাবে বসেই, এদিক অদিক ঘুরা বা অন্য রকম করে বসার পূর্বেই) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে,
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ»
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।

আল্লাহ্‌ তার আমলনামায় প্রত্যেকবারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লিপিবদ্ধ করেন, ১০টি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকির) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে”(আহমাদ,সহীহ তারগীব-হাদিস ৪৭২)

১৩. ফজরের সলাতের পর ১ বার
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْماً نَّافِعاً وَّرِزْقاً طَيِّباً وَّعَمَلاً مُّتَقَبَّلاً
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না-ফিআ, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়িবা, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ফলদায়ক শিক্ষা,হালাল জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।
ফজরের নামাযের পর এটি পঠনীয়। (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান১/১৫২, ত্বাবারানী সাগীর, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১১১)

দ্রষ্টব্য- এখানে সিরিয়ালি যেভাবে দেওয়া হয়েছে এভাবেই করতে হবে এমন নয়, এভাবে করতে পারেন কিংবা সিরিয়াল আগ পাছ হলেও সমস্যা নেই,

প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর সবগুলো দোয়া জিকিরই করার চেষ্টা করবেন হয়তো ৭-৮ মিনিট লাগতে পারে তবে সময় সল্প থাকলে সেই ওয়াক্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণগুলোও করতে পারেন

মুল কথা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে এগুলো দোয়া জিকির করতেন আমাদেরও সাধ্যমত এগুলোর অনুসরণ করা উচিত।


================================

ফরজ সলাত শেষে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত এই দোয়া জিকিরগুলো পরিত্যাগ করে সম্মিলিত মুনাজাত করার মাধ্যমে আমরা কতটা খতিগ্রস্থ হয়েছি দেখুন

=================================

১- প্রতি ফরজ সলাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাত এই সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সম্মিলিত মুনাজাতের মাধ্যমে।

২- আমাদের সব পাপ ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি-

“আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’(সহিহ মুসলিম হাদিস-২২২০, হাদিস একাডেমী)

যদি রাসূল (সাঃ) এর নিম্নে বর্ণিত হাদিসটি লক্ষ্য করেন--
রাসূল (সাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেক ফরয স্বলাতের পর-
“সুবহা-নাল্লাহ” (আল্লাহ কতই না জ্ঞ-মহান)”«سُبْحَانَ اللَّه ((৩৩ বার
“আলহামদুলিল্লাহ” (সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য) الْحَمْدُ لِلَّهِ، (৩৩ বার)
“আল্লা-হু আকবার” (আল্লাহ সবচেয়ে বড়)” اللَّهُ أَكْبَرُ (৩৩ বার)
তারপর ১ বার নিম্নোক্ত দোয়া বলে
« لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

তাহলে ঐ ব্যক্তির সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমতুল্যও হয়। (সহিহ মুসলিম হাদিস-১২৩৯, হাদিস একাডেমী)
আর এ দোয়া না পারলে আর ১ বার “আল্লা-হু আকবার” বলে ১০০ পূর্ণ করবে।
#তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলেই তার ৩৬০ বার নয় ৫০০ বার উপরোক্ত তাসবিহ, তাহলিল, তাকবীর, তাহমিদ আদায় এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে যার বিনিময়ে তার সব গুনাহ মাফ এমনকি জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সেটা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি সম্মিলিত মুনাজাতের মাধ্যমে।

৩- ১২ নাম্বার হাদিসে বর্ণীত ফজর ও মাগ্রিবের সলাতের পর ১০ বার করে ঐ জিকির পাঠ করলে শিরক বাদে বাকি সব পাপ ক্ষমার কথা বলা হয়েছে, এটা কত বড় ফজিলত সেটা কি চিন্তা করা যায়!!

অথচ এগুলো না করে সম্মিলিত মুনাজাতের নামে এমন বিদাতে আমরা লিপ্ত হয়েছি যার সহিহ হাদিস দূরে থাক রাসুল (সাঃ) ফরজ সলাত শেষে সাহাবীদের নিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন এই মর্মে কোন জাল হাদিসও নেই

অথচ শয়তান আমাদের কাছে এটাই লোভনীয় করে তুলে ধরেছে,

এমনকি বিদআতপন্থি কিছু মানুষ এই কাজকে জায়েজ প্রমান করার জন্য ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিভিন্ন দলিল দেওয়ার চেষ্টা করে

অথচ কিয়ামত পর্যন্তও তারা স্পষ্ট কোন দলিল দেখাতে পারবে না যে, রাসুল (সাঃ) ফরজ সলাত শেষে সাহাবীদের নিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন।

সত্যিকার অর্থে সুন্নাতের অনুসরনেই মুক্তি রয়েছে, দলিল বিহিন আমল তথা বিদাতের অনুসরণ না করে আল্লাহর রাসুল যা করতেন, যা করতে বলেছেন অর্থাৎ রাসুলের সুন্নাতের ছায়াতলে আসাটাই নিরাপদ,

এতেই কল্যান রয়েছে, এটাই সরল পথ যেই পথ আমাদেরকে জান্নাতে পৌঁছে দিবে ইন শা আল্লাহ।
(AK)

Address

Barishal

Telephone

+8801724430344

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al-amin Khan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Al-amin Khan:

Share