GaurNitai TV

GaurNitai TV Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from GaurNitai TV, Video Creator, Barisal.

হরিবোল 🙌🙏
"GaurNitaiTV" - তে সবাইকে সু-স্বাগতম, কৃষ্ণপ্রীতি ও শুভেচ্ছা 🙏 কৃপা করে কলিযুগ পাবন অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বানী প্রচারে ভক্তিমূলক কন্টেন্ট পেতে পেজটি লাইক, ফলো ও শেয়ার করে এবং ইনভাইট দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
হরেকৃষ্ণ 🙏

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ০৩-১০-২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার পবিত্র পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল...
02/10/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ০৩-১০-২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার পবিত্র পাশাঙ্কুশা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৫১-০৯:৪৮
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:৩০-০৯:২৭
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
আশ্বিন শুক্লপক্ষীয়া পাশাঙ্কুশা একাদশী মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে। যুধিষ্ঠির বললেন---হে মধুসূদন! আশ্বিন শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি?
তদুত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন---হে রাজেন্দ্র! আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী পাশাঙ্কুশা নামে প্রসিদ্ধা। কেউ কেউ একে পাপাঙ্কুশাও বলে থাকেন। এই একাদশীতে অভিষ্ট ফল লাভের জন্য মুক্তিদাতা পদ্মনাভের পূজা করবে। শ্রী হরির নাম সংকীর্তনের দ্বারা পৃথিবীর সব তীর্থের ফল লাভ হয়। বদ্ধ জীব মোহবশত বহু পাপকর্ম করেও ভগবান শ্রী হরির শরণাপন্ন হয়ে প্রণাম নিবেদনে নরক যাতনা থেকে রক্ষা পায়। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শোনার ফলে নিদারুণ যমদন্ড থেকে মুক্তি লাভ হয়। শ্রী হরি বাসর ব্রতের মতো ত্রিভুবনে পবিত্রকারী আর কোন বস্তু নেই। হাজার হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ ও শত শত রাজসূয় যজ্ঞ এই ব্রতের শতভাগের একাংশের সমান হয় না। এই ব্রত পালনে স্বর্গ বাস হয়। মুক্তি, দীর্ঘায়ু, আরোগ্য, সুপত্নী, বন্ধু প্রভৃতি অনায়াসে লাভ করা যায়।
হে রাজন! গয়া, কাশী এমনকি কুরুক্ষেত্রও শ্রী হরি বাসর অপেক্ষা পুণ্য স্থান নয়। হে ভূপাল! একাদশী উপবাস ব্রত করে রাত্রি জাগরণ করলে অনায়াসে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই পাশাঙ্কুশা ব্রতের ফলে মানুষ সর্বপাপ মুক্ত হয়ে গোলোকে গমন করতে সমর্থ হয়।
এই পবিত্র দিনে যিনি স্বর্ণ, তিল, গাভী, অন্ন, বস্ত্র, জল, ছত্র, পাদুকা দান করেন, তাকে আর যমালয়ে যেতে হয় না। যারা এই সকল পুণ্য কার্য করে না, তাদের জীবন কামারশালার হাপরের মতো বিফল। নিষ্ঠার সঙ্গে এই ব্রত পালনে উচ্চ কুলে নিরোগ ও দীর্ঘায়ু শরীর লাভ হয়। অত্যন্ত পাপাচারীও যদি এই পুণ্য ব্রতের অনুষ্ঠান করে, তবে সেও রৌরব নামক মহা যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠ সুখ লাভ করে। কৃষ্ণ ভক্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষঙ্গিক রূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।

30/09/2025

Durgapuja 2025 Barishal
বরিশালের #দুর্গাপূজা ২০২৫

22/09/2025

The night before the exam Others vs Me 😁😍

নিত্যলীলায় প্রবিষ্ট শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজের ৮০ তম ব্যাসপূজা মহোৎসব "২৫ইংবিশ্ব হরিনাম দিবস,     প্রভুপ...
17/09/2025

নিত্যলীলায় প্রবিষ্ট শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজের ৮০ তম ব্যাসপূজা মহোৎসব "২৫ইং
বিশ্ব হরিনাম দিবস, প্রভুপাদ স্মরনোৎসব,
ইন্দিরা একাদশী
শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর মন্দির (ইসকন) বরিশাল।🥰🙏

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ১৭-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বুধবার পবিত্র ইন্দিরা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল(বাংল...
15/09/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ১৭-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বুধবার পবিত্র ইন্দিরা একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৬:০৬-০৯:৫০
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:৩৮-০৯:২৮
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন---হে মধুসূদন! আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! আশ্বিন মাসের একাদশী 'ইন্দিরা' নামে পরিচিত। এই ব্রত পালনে মহাপাপ বিনষ্ট হয়। এমনকি কর্মবিপাকে যারা নিম্নযোনি লাভ করেছেন, সেই পূর্বপুরুষদেরও উত্তম গতি লাভ হয়। এই একাদশীর মাহাত্ম্য শোনামাত্রেই সামবেদীয় যজ্ঞ ফল লাভ করা যায়।
হে রাজন! মাহিস্মতি নগরে ইন্দ্রসেন নামে এক প্রসিদ্ধ রাজা ছিলেন। ধর্ম বিধি অনুসারে রাজ্য পালনে তিনি বিশেষ খ্যাতি সম্পন্ন ছিলেন। তার বিপুল ধনসম্পত্তি ছিল। পুত্র পৌত্রাদিসহ তিনি সুখে রাজ্য পরিচালনা করতেন। বিষ্ণু ভক্তি পরায়ন সেই রাজা নিরন্তর শ্রী গোবিন্দ নাম গানে মগ্ন থাকতেন।
একদিন রাজা সুখে রাজসভায় বসে আছেন। এমন সময় দেবর্ষি নারদ স্বর্গ থেকে সেখানে এলেন। তাঁকে দর্শন করে রাজা হাত জোড় করে উঠে দাঁড়ালেন। দন্ডবৎ প্রণাম করে মুনিকে আসন, পাদ্য, অর্ঘ্য আদি ষোড়শোপচারে পূজা নিবেদন করলেন। তারপর বললেন---হে মুনিবর! আপনার দর্শন মাত্রই আমার যাবতীয় যজ্ঞ ফল লাভ হয়েছে। এখন আপনার আগমনের কারণ জানিয়ে আমাকে কৃতার্থ করুন।
দেবর্ষি নারদ বললেন---হে মহারাজ! অতি বিস্ময়কর এক কথা শ্রবণ করুন। আমি এক সময় যমলোকে গিয়েছিলাম। সেখানে যমরাজের রাজসভায় বহু পুণ্যকারী আপনার পিতাকে দেখলাম। ব্রত ভঙ্গ পাপে তাকে সেখানে যেতে হয়েছে। হে রাজন! আপনার পিতা যে সংবাদ প্রেরণ করেছেন, আমি এখন তা আপনাকে বলছি।
তিনি বললেন ---হে ঋষিবর! মাহিস্মতির ইন্দ্রসেন রাজা আমার পুত্র। তাকে বলবেন যে, আমি বহু পুণ্য অনুষ্ঠান করলেও কোনো কারণ বশত যমালয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। আপনি কৃপা করে তাকে ভয় সর্বপাপ নাশক ইন্দিরা একাদশী পালন করতে বলবেন। সেই ব্রত প্রভাবে আমি নিষ্পাপ হয়ে স্বর্গ লোকে যেতে পারবো।' এই কথা জানাবার জন্যই আমার আগমন। হে রাজন! আপনার পিতার মঙ্গল বিধানে আপনি যথাবিধি ইন্দিরা একাদশী পালন করুন।
রাজা জিজ্ঞাসা করলেন--হে দেবর্ষি! সেই ইন্দিরা একাদশীর বিধি কি, কোন তিথি বা কোন পক্ষে এই ব্রত পালন করা কর্তব্য তা কৃপা করে আমাকে বলুন।
দেবর্ষি উত্তর দিলেন--- হে মহারাজ! আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের দশমীর দিনে শ্রদ্ধা সহকারে প্রাতঃস্নান করবেন, মধ্যাহ্নে ভক্তি ভাবাপন্ন হয়ে পুনরায় স্নান করবেন এবং রাত্রি কালে ভূমিতে শয়ন করবেন। পরদিন একাদশীতে প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপণ করে নিরাহারে থাকবেন। ব্রতের নিয়মাবলী দৃঢ়ভাবে পালন করবেন। 'হে পুন্ডরীকাক্ষ! হে অচ্যুত! এশরণাগতের প্রতি কৃপা করুন'। এই ভাবে শ্রদ্ধা সহকারে শালগ্রাম পূজা করে পিতার উদ্দেশ্যে ব্রতের ফল অর্পণ করবেন। দ্বাদশীর দিন সকালে ভক্তিভরে শ্রী গোবিন্দের পূজা করে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে অবশেষে নিজে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করবেন। হে রাজন! বিধি অনুসারে শ্রী হরি এবং ভক্তদের অর্চন করলে আপনার পিতৃবর্গ মুক্তিলাভ করে শীঘ্রই বৈকুণ্ঠে গমন করবেন।
রাজাকে এই উপদেশ দিয়ে দেবর্ষি নারদ প্রস্থান করলেন। রাজা ইন্দ্রসেন মুনির উপদেশ অনুসারে পুত্র পরিজন সহ ভক্তি সহকারে এই ব্রতের অনুষ্ঠান করলেন। তখন দেবলোক থেকে পুষ্প বৃষ্টি হতে লাগল এবং তার পিতাও বিষ্ণুলোকে গমন করলেন। তারপর রাজা ইন্দ্রসেন নিজপুত্রকে রাজ্য ভার অর্পণ করে নিজেও বিষ্ণুলোকে ফিরে গেলেন। এই ইন্দিরা একাদশীর মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে মানুষ সকল পাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হয়।

পরম মঙ্গলময় ভাদ্র পূর্ণিমা!"আমরা ভাদ্র পূর্ণিমার দ্বারপ্রান্তে। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাদ্র পূর্ণিমার মহিমা বিশেষভাবে বর্ণিত ...
07/09/2025

পরম মঙ্গলময় ভাদ্র পূর্ণিমা!

"আমরা ভাদ্র পূর্ণিমার দ্বারপ্রান্তে। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাদ্র পূর্ণিমার মহিমা বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে- স্বর্ণসিংহাসনে স্থাপন করে শ্রীমদ্ভাগবতের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং ভাগবত প্রচারের মহিমান্বিত দিন রূপে। আমি আমার সন্ন্যাসের এই অর্ধশত বার্ষিকীতে এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত- কেননা অনেক ভক্তই শ্রীমদ্ভাগবত সেট দান করছে। তাই মায়াপুরের প্রত্যেক গৌড়ীয় মঠে, যেখানে গ্রন্থাগার রয়েছে, সেখানে আমরা ভাগবত সেট প্রদান করতে পারি, তাঁরা শ্রদ্ধার সাথে সেই শ্রীমদ্ভাগবত সেট রাখতে পারেন, এবং এর মাধ্যমে তাঁরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন যে, শ্রীল প্রভুপাদ এই পৃথিবীকে কী অমূল্য সম্পদ প্রদান করেছেন! শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তিনটি মূল নির্দেশনা প্রদান করেছেন- “বল কৃষ্ণ, ভজ কৃষ্ণ, কর কৃষ্ণ শিক্ষা।“ শ্রীল প্রভুপাদ বিশ্লেষণ করেছেন যে, শিক্ষা মূলত দুটি - শ্রীমদ্ভগবদগীতা, যা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা, এবং শ্রীমদ্ভাগবত - যা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে কথা। আমরা জানি যে এই শ্রীমদ্ভাগবত সমগ্র বৈদিক সাহিত্যের সুপক্ক ফল। বলা হয়ে থাকে যে, অন্যান্য সকল পুরাণ এবং শাস্ত্রসমূহ ততক্ষণ পর্যন্তই মহিমান্বিত যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রীমদ্ভাগবত প্রকাশিত হননি, এবং যখন শ্রীমদ্ভাগবত অবতীর্ণ হলেন তখন উপলব্ধ হল যে, অন্যান্য সকল শাস্ত্রের গুরুত্ব এখন আগের মত নেই, এবং শ্রীমদ্ভাগবত অনন্যসাধারণ। তাই এটি আমাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ- শ্রীমদ্ভাগবত দান করার জন্য। অবশ্যই শ্রীল প্রভুপাদ চেয়েছেন যে, আমরা যেন শ্রীমদ্ভাগবত অধ্যয়ন করি।
.. এই শ্রীমদ্ভাগবত বৈদিক বৃক্ষের সুপক্ক ফল। আমাদের তাই এই ভাগবত অধ্যায়ন করা উচিত এবং অবশ্যই এ ভাগবতের সর্বত্র প্রচার করা উচিত। এবং এই ভাদ্র পূর্ণিমা শ্রীমদ্ভাগবত প্রচার করার জন্য আমাদের এক মহান সুযোগ প্রদান করছে। এবং সকলেই এই তিথিতে শ্রীমদ্ভাগবত প্রদান করার মাধ্যমে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হতে পারে এবং তারা জীবনের পরম গতি লাভ করতে সমর্থ হবে।

আমাদের জন্য এটি এক দুর্লভ সুযোগ। এবং আমরা জানতে পেরেছি যে কীভাবে ভক্তেরা শ্রীমদ্ভাগবত সেট দান করছে- তাঁদের অন্তর্ধান প্রাপ্ত পূর্বপুরুষদের নামে, পিতা-মাতা, পিতা-মাতামহ, পিতা-মাতামহীর কল্যাণার্থে। পুত্রপুত্রী- 'পুত' অর্থ হল নরক এবং 'র' অর্থ হল রক্ষা করা, তাই পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ পিতা-মাতাকে নরক থেকে রক্ষা করাই হচ্ছে পুত্র বা পুত্রীর কর্তব্য। তাই এটি হলো আপনার পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করার একটি পন্থা।

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সবাইকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এই বলে যে, সকলেরই শ্রীমদ্ভাগবত অধ্যয়ন করা উচিত এবং প্রচার করা উচিত। আমি শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য শ্রবণ করছিলাম। যেহেতু শ্রীমদ্ভাগবত হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী অবতার, তাই যে ঘরে শ্রীমদ্ভাগবত রাখা হয় দেবতারা সেখানে আসেন এবং সেখানে প্রণতি নিবেদন করেন, কেননা এই শ্রীমদ্ভাগবত কৃষ্ণ থেকে অভিন্ন। আমরা জানি যে, কৃষ্ণ এবং তাঁর নাম অভিন্ন। কৃষ্ণ এবং তার লীলার মধ্যে কোনো প্রভেদ নেই। তাই কৃষ্ণ এবং শ্রীমদ্ভাগবতের মাঝে কোন পার্থক্য নেই- যা কৃষ্ণ, তাঁর বিভিন্ন অবতার এবং ভক্তের লীলার এক পূর্ণ সংকলন। প্রকৃতপক্ষে কেবলমাত্র শ্রীমদ্ভাগবত স্পর্শ করার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি সুমহান আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। কোন ব্যক্তি শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক পাঠ করার মাধ্যমে পরম সত্যের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। তাই আমাদের এই কৃপার সুযোগ যতটা সম্ভব সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।

~ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
২৮শে আগস্ট ২০২০
শ্রীধাম মায়াপুর

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ০৪-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র পার্শ্ব একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল...
02/09/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ০৪-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র পার্শ্ব একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৪১-০৯:৫১
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:২০-০৯:৩০
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শুক্লপক্ষের পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই রকম বলা হয়েছে।
যুধিষ্ঠির মহারাজ জিজ্ঞাসা করলেন--হে কৃষ্ণ! ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং এই ব্রত পালনের বিধি কি, ব্রত পালনেই বা কি পুণ্য লাভ হয়?
উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে ধর্মরাজ! মহাপুণ্যপ্রদা, সমস্ত পাপহারিনী, এবং মুক্তিদায়িনী এই একাদশী বাজপেয় যজ্ঞ থেকেও বেশি ফল প্রদান করে। যে ব্যক্তি এই তিথিতে ভক্তি সহকারে ভগবান শ্রী বামনদেবের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজিত হন। পদ্মফুলে পদ্মলোচন শ্রী বিষ্ণুর অর্চনকারী বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন। শায়িত ভগবান এই তিথিতে পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। তাই এর নাম পার্শ্ব একাদশী বা পরিবর্তিনী একাদশী।
যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন--হে জনার্দন! আপনার এসকল কথা শুনেও আমার সন্দেহ পূর্ণরূপে দূর হয়নি। হে দেব! আপনি কিভাবে শয়ন করেন, কিভাবেই বা পার্শ্ব পরিবর্তন করেন, আর চাতুর্মাস্য ব্রত পালনকারীর কি কর্তব্য এবং আপনার শয়নকালে লোকের কি করণীয়? এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমাকে বলুন। আর কেনই বা দৈত্যরাজ বলিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তা বর্ণনা করে আমার সকল সন্দেহ দূর করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! দৈত্য কুলে আবির্ভূত প্রহ্লাদ মহারাজের পৌত্র 'বলি' আমার অতি প্রিয় ভক্ত ছিল। সে আমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গো-ব্রাহ্মণ পূজা ও যজ্ঞাদি ব্রত সম্পাদন করত। কিন্তু ইন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষবশত সকল দেবলোক সে জয় করে নেয়। তখন দেবতাগণসহ ইন্দ্র আমার শরণাপন্ন হয়েছিল। তাদের প্রার্থনায় আমি ব্রাহ্মণ বালক বেশে বামনরূপে বলি মহারাজের যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলাম। তার কাছে আমি ত্রিপাদভূমিমাত্র প্রার্থনা করেছিলাম। সেই তুচ্ছ বস্তু থেকে আরও শ্রেষ্ঠ কিছু সে আমাকে দিতে চাইলেও আমি কেবল ত্রিপাদ ভূমি গ্রহণেই স্থির থাকলাম। দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য আমাকে ভগবান রূপে জানতে পেরে বলি মহারাজকে ঐ দান দিতে নিষেধ করল। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বলি গুরুর নির্দেশ অমান্য করে আমাকে দান দিতে সংকল্প করল। তখন আমি এক পদে নীচের সপ্তলোক, আরেক পদে উপরের সপ্তভুবন অধিকার করে নিলাম। পুনরায় তৃতীয় পদের স্থান চাইলে সে তার মাথা পেতে দিল। আমি তার মস্তকে তৃতীয় পদ স্থাপন করলাম। তার আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে আমি সর্বদা তার কাছে বাস করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।
ভাদ্র শুক্লপক্ষীয়া একাদশীতে ভগবান শ্রী বামনদেবের এক মূর্তি বলি মহারাজের আশ্রমে স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় মূর্তি ক্ষীর সাগরে অনন্তদেবের কোলে শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত চারমাস শয়ন অবস্থায় থাকেন। এই চার মাস যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট নিয়ম, ব্রত বা জপ-তপ ব্যতীত দিন যাপন করে।, সেই মহামূর্খ জীবিত থাকলেও তাকে মৃত বলে জানতে হবে।
শ্রাবণ মাসে শাক, ভাদ্র মাসে দই, আশ্বিনে দুধ, কার্তিক মাসে মাসকলাই বর্জন করে এই চার মাস শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করতে হয়। প্রতিটি একাদশী ব্রত যথাযথ পালন করতে হয়। শায়িত ভগবান পার্শ্ব পরিবর্তন করেন বলে এই একাদশী মহাপুণ্য ও সকল অভিষ্ট প্রদাতা। এই একাদশী ব্রত পালনে এক সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়।

নিত্য নব্য রূপ কেলি কৃষ্ণভাব সম্পদা            কৃষ্ণ রাগবন্ধ গোপ যৌবতেষুকম্পদা।কৃষ্ণরূপ বেশ কেলি লগ্ন সৎসমাদিকা         ...
30/08/2025

নিত্য নব্য রূপ কেলি কৃষ্ণভাব সম্পদা
কৃষ্ণ রাগবন্ধ গোপ যৌবতেষুকম্পদা।
কৃষ্ণরূপ বেশ কেলি লগ্ন সৎসমাদিকা
মহ্যমাত্ম পাদপদ্ম দাস্যদাস্তু রাধিকা৷৷ 🙇
শুভ রাধাষ্টমী 🥰💝🙇🙌🙏

27/08/2025

Invitation 2025 Barishal,

18/08/2025

Sri Krishna Festival 2025
ISKCON Barishal

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ১৯-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র অন্নদাএকাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল(বাংল...
17/08/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ১৯-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র অন্নদাএকাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৩৫-০৯:৫৩
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:১৫-০৯:৩১
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
এই ভাদ্রবতী কৃষ্ণপক্ষীয়া অন্নদা একাদশীর মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে।
মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে কৃষ্ণ! ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি তা শুনতে আমি অত্যন্ত আগ্রহী।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! আমি সবিস্তারে এই একাদশীর কথা বর্ণনা করছি। আপনি একাগ্র চিত্তে শ্রবণ করুন।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম অন্নদা। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী। যিনি শ্রী হরির অর্চনে এই ব্রত পালন করেন তিনি সর্বপাপ মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবণেই রাশি রাশি পাপ বিদূরিত হয়ে যায়। এই ব্রত প্রসঙ্গে একটি পৌরাণিক ইতিহাস আছে।
প্রাচীন কালে হরিশচন্দ্র নামে এক নিষ্ঠাপরায়ন সত্যবাদী, চক্রবর্তী রাজা ছিলেন। পূর্ব কর্মফল ও প্রতিজ্ঞার সত্যতা রক্ষায় তিনি রাজ্য ভ্রষ্ট হন। অবস্থা এমন হল যে, তিনি নিজের স্ত্রী পুত্র ও অবশেষে নিজেকেও পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হলেন।
হে রাজেন্দ্র! এই পুণ্যবান রাজা চন্ডালের দাসত্ব স্বীকার করেও সত্য রক্ষার্থে দৃঢ়নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি শ্মশানে মৃত ব্যক্তির বস্ত্রও কর রূপে গ্রহণ করতেন। এই ভাবে বহু বছর কেটে গেল।
দুঃখসাগরে নিমজ্জিত হয়ে 'কি করি, কোথায় যাই, কিভাবে এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার পাই'---এই চিন্তায় দিন রাত্রি তিনি বিভোর হলেন। এমন সময় দৈবক্রমে পরদুঃখদুঃখী গৌতম ঋষি রাজার কাছে এলেন।রাজা মুনিকে দর্শন করে ভক্তি সহকারে প্রণাম করলেন। করজোড়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে একে একে নিজের সমস্ত কথা জানালেন। রাজার দুঃখের কথা শুনে মুনিবর বিস্ময়াপন্ন হলেন।
অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে তিনি বললেন--হে রাজন! ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী অন্নদা নামে জগতে প্রসিদ্ধ। আপনি এই ব্রত পালন করুন। এই ব্রত প্রভাবে আপনার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে। আপনার ভাগ্যবশত আগামী সাত দিন পর এই তিথির আবির্ভাব হবে। ঐ দিন উপবাস থেকে রাত্রি জাগরণ করবেন। এই ব্রত পালনে আপনার সমস্ত পাপ ক্ষয় হবে। হে রাজন! আপনার পুণ্য প্রভাবে আমি এখানে এসেছি জানবেন। এই কথা বলে গৌতম ঋষি অন্তর্হিত হলেন। ঋষিবরের উপদেশ মতো তিনি শ্রদ্ধা সহকারে সেই ব্রত পালন করলেন। তার ফলে তার সমস্ত পাপ দূর হল। হে মহারাজ! এই ব্রতের প্রভাব শ্রবণ করুন। যথাবিধি এই ব্রত পালনে বহু বছরের দুঃখ ভোগের অবসান হয়। ব্রতের প্রভাবে রাজা হরিশচন্দ্রের সকল দুঃখ সমাপ্ত হল। পুনরায় তিনি স্ত্রীকে ফিরে পেলেন এবং তার মৃত পুত্রও জীবিত হল। আকাশ থেকে দেবগণ দুন্দুভিবাদ্য ও পুষ্পবর্ষণ করতে লাগলেন। নিষ্কন্টক রাজ্য সুখ ভোগ করে অবশেষে আত্মীয় স্বজন ও নগরবাসী সহ স্বর্গে গমন করলেন।
যে মানুষ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করেন, তিনি শ্রী হরি চরণে ভক্তি লাভ করে অবশেষে দিব্য ধামে গমন করেন। এই ব্রতের মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

15/08/2025

Sri Krishna Janmastami Adhivas 2025
ISKCON Barishal

Address

Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GaurNitai TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to GaurNitai TV:

Share

Category