GaurNitai TV

GaurNitai TV Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from GaurNitai TV, Video Creator, Bangladesh, Barisal.

হরিবোল 🙌🙏
"GaurNitaiTV" - তে সবাইকে সু-স্বাগতম, কৃষ্ণপ্রীতি ও শুভেচ্ছা 🙏 কৃপা করে কলিযুগ পাবন অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বানী প্রচারে ভক্তিমূলক কন্টেন্ট পেতে পেজটি লাইক, ফলো ও শেয়ার করে এবং ইনভাইট দিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
হরেকৃষ্ণ 🙏

পরম মঙ্গলময় ভাদ্র পূর্ণিমা!"আমরা ভাদ্র পূর্ণিমার দ্বারপ্রান্তে। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাদ্র পূর্ণিমার মহিমা বিশেষভাবে বর্ণিত ...
07/09/2025

পরম মঙ্গলময় ভাদ্র পূর্ণিমা!

"আমরা ভাদ্র পূর্ণিমার দ্বারপ্রান্তে। শ্রীমদ্ভাগবতে এই ভাদ্র পূর্ণিমার মহিমা বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে- স্বর্ণসিংহাসনে স্থাপন করে শ্রীমদ্ভাগবতের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং ভাগবত প্রচারের মহিমান্বিত দিন রূপে। আমি আমার সন্ন্যাসের এই অর্ধশত বার্ষিকীতে এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত- কেননা অনেক ভক্তই শ্রীমদ্ভাগবত সেট দান করছে। তাই মায়াপুরের প্রত্যেক গৌড়ীয় মঠে, যেখানে গ্রন্থাগার রয়েছে, সেখানে আমরা ভাগবত সেট প্রদান করতে পারি, তাঁরা শ্রদ্ধার সাথে সেই শ্রীমদ্ভাগবত সেট রাখতে পারেন, এবং এর মাধ্যমে তাঁরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন যে, শ্রীল প্রভুপাদ এই পৃথিবীকে কী অমূল্য সম্পদ প্রদান করেছেন! শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তিনটি মূল নির্দেশনা প্রদান করেছেন- “বল কৃষ্ণ, ভজ কৃষ্ণ, কর কৃষ্ণ শিক্ষা।“ শ্রীল প্রভুপাদ বিশ্লেষণ করেছেন যে, শিক্ষা মূলত দুটি - শ্রীমদ্ভগবদগীতা, যা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা, এবং শ্রীমদ্ভাগবত - যা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে কথা। আমরা জানি যে এই শ্রীমদ্ভাগবত সমগ্র বৈদিক সাহিত্যের সুপক্ক ফল। বলা হয়ে থাকে যে, অন্যান্য সকল পুরাণ এবং শাস্ত্রসমূহ ততক্ষণ পর্যন্তই মহিমান্বিত যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রীমদ্ভাগবত প্রকাশিত হননি, এবং যখন শ্রীমদ্ভাগবত অবতীর্ণ হলেন তখন উপলব্ধ হল যে, অন্যান্য সকল শাস্ত্রের গুরুত্ব এখন আগের মত নেই, এবং শ্রীমদ্ভাগবত অনন্যসাধারণ। তাই এটি আমাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ- শ্রীমদ্ভাগবত দান করার জন্য। অবশ্যই শ্রীল প্রভুপাদ চেয়েছেন যে, আমরা যেন শ্রীমদ্ভাগবত অধ্যয়ন করি।
.. এই শ্রীমদ্ভাগবত বৈদিক বৃক্ষের সুপক্ক ফল। আমাদের তাই এই ভাগবত অধ্যায়ন করা উচিত এবং অবশ্যই এ ভাগবতের সর্বত্র প্রচার করা উচিত। এবং এই ভাদ্র পূর্ণিমা শ্রীমদ্ভাগবত প্রচার করার জন্য আমাদের এক মহান সুযোগ প্রদান করছে। এবং সকলেই এই তিথিতে শ্রীমদ্ভাগবত প্রদান করার মাধ্যমে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হতে পারে এবং তারা জীবনের পরম গতি লাভ করতে সমর্থ হবে।

আমাদের জন্য এটি এক দুর্লভ সুযোগ। এবং আমরা জানতে পেরেছি যে কীভাবে ভক্তেরা শ্রীমদ্ভাগবত সেট দান করছে- তাঁদের অন্তর্ধান প্রাপ্ত পূর্বপুরুষদের নামে, পিতা-মাতা, পিতা-মাতামহ, পিতা-মাতামহীর কল্যাণার্থে। পুত্রপুত্রী- 'পুত' অর্থ হল নরক এবং 'র' অর্থ হল রক্ষা করা, তাই পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ পিতা-মাতাকে নরক থেকে রক্ষা করাই হচ্ছে পুত্র বা পুত্রীর কর্তব্য। তাই এটি হলো আপনার পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করার একটি পন্থা।

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সবাইকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এই বলে যে, সকলেরই শ্রীমদ্ভাগবত অধ্যয়ন করা উচিত এবং প্রচার করা উচিত। আমি শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য শ্রবণ করছিলাম। যেহেতু শ্রীমদ্ভাগবত হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী অবতার, তাই যে ঘরে শ্রীমদ্ভাগবত রাখা হয় দেবতারা সেখানে আসেন এবং সেখানে প্রণতি নিবেদন করেন, কেননা এই শ্রীমদ্ভাগবত কৃষ্ণ থেকে অভিন্ন। আমরা জানি যে, কৃষ্ণ এবং তাঁর নাম অভিন্ন। কৃষ্ণ এবং তার লীলার মধ্যে কোনো প্রভেদ নেই। তাই কৃষ্ণ এবং শ্রীমদ্ভাগবতের মাঝে কোন পার্থক্য নেই- যা কৃষ্ণ, তাঁর বিভিন্ন অবতার এবং ভক্তের লীলার এক পূর্ণ সংকলন। প্রকৃতপক্ষে কেবলমাত্র শ্রীমদ্ভাগবত স্পর্শ করার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি সুমহান আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। কোন ব্যক্তি শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক পাঠ করার মাধ্যমে পরম সত্যের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। তাই আমাদের এই কৃপার সুযোগ যতটা সম্ভব সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।

~ শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
২৮শে আগস্ট ২০২০
শ্রীধাম মায়াপুর

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ০৪-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র পার্শ্ব একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল...
02/09/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ০৪-০৯-২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র পার্শ্ব একাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৪১-০৯:৫১
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:২০-০৯:৩০
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে শুক্লপক্ষের পার্শ্ব একাদশী মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই রকম বলা হয়েছে।
যুধিষ্ঠির মহারাজ জিজ্ঞাসা করলেন--হে কৃষ্ণ! ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং এই ব্রত পালনের বিধি কি, ব্রত পালনেই বা কি পুণ্য লাভ হয়?
উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে ধর্মরাজ! মহাপুণ্যপ্রদা, সমস্ত পাপহারিনী, এবং মুক্তিদায়িনী এই একাদশী বাজপেয় যজ্ঞ থেকেও বেশি ফল প্রদান করে। যে ব্যক্তি এই তিথিতে ভক্তি সহকারে ভগবান শ্রী বামনদেবের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজিত হন। পদ্মফুলে পদ্মলোচন শ্রী বিষ্ণুর অর্চনকারী বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন। শায়িত ভগবান এই তিথিতে পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। তাই এর নাম পার্শ্ব একাদশী বা পরিবর্তিনী একাদশী।
যুধিষ্ঠির মহারাজ বললেন--হে জনার্দন! আপনার এসকল কথা শুনেও আমার সন্দেহ পূর্ণরূপে দূর হয়নি। হে দেব! আপনি কিভাবে শয়ন করেন, কিভাবেই বা পার্শ্ব পরিবর্তন করেন, আর চাতুর্মাস্য ব্রত পালনকারীর কি কর্তব্য এবং আপনার শয়নকালে লোকের কি করণীয়? এসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আমাকে বলুন। আর কেনই বা দৈত্যরাজ বলিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, তা বর্ণনা করে আমার সকল সন্দেহ দূর করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! দৈত্য কুলে আবির্ভূত প্রহ্লাদ মহারাজের পৌত্র 'বলি' আমার অতি প্রিয় ভক্ত ছিল। সে আমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গো-ব্রাহ্মণ পূজা ও যজ্ঞাদি ব্রত সম্পাদন করত। কিন্তু ইন্দ্রের প্রতি বিদ্বেষবশত সকল দেবলোক সে জয় করে নেয়। তখন দেবতাগণসহ ইন্দ্র আমার শরণাপন্ন হয়েছিল। তাদের প্রার্থনায় আমি ব্রাহ্মণ বালক বেশে বামনরূপে বলি মহারাজের যজ্ঞস্থলে উপস্থিত হলাম। তার কাছে আমি ত্রিপাদভূমিমাত্র প্রার্থনা করেছিলাম। সেই তুচ্ছ বস্তু থেকে আরও শ্রেষ্ঠ কিছু সে আমাকে দিতে চাইলেও আমি কেবল ত্রিপাদ ভূমি গ্রহণেই স্থির থাকলাম। দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য আমাকে ভগবান রূপে জানতে পেরে বলি মহারাজকে ঐ দান দিতে নিষেধ করল। কিন্তু সত্যাশ্রয়ী বলি গুরুর নির্দেশ অমান্য করে আমাকে দান দিতে সংকল্প করল। তখন আমি এক পদে নীচের সপ্তলোক, আরেক পদে উপরের সপ্তভুবন অধিকার করে নিলাম। পুনরায় তৃতীয় পদের স্থান চাইলে সে তার মাথা পেতে দিল। আমি তার মস্তকে তৃতীয় পদ স্থাপন করলাম। তার আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে আমি সর্বদা তার কাছে বাস করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।
ভাদ্র শুক্লপক্ষীয়া একাদশীতে ভগবান শ্রী বামনদেবের এক মূর্তি বলি মহারাজের আশ্রমে স্থাপিত হয়। দ্বিতীয় মূর্তি ক্ষীর সাগরে অনন্তদেবের কোলে শয়ন একাদশী থেকে উত্থান একাদশী পর্যন্ত চারমাস শয়ন অবস্থায় থাকেন। এই চার মাস যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট নিয়ম, ব্রত বা জপ-তপ ব্যতীত দিন যাপন করে।, সেই মহামূর্খ জীবিত থাকলেও তাকে মৃত বলে জানতে হবে।
শ্রাবণ মাসে শাক, ভাদ্র মাসে দই, আশ্বিনে দুধ, কার্তিক মাসে মাসকলাই বর্জন করে এই চার মাস শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করতে হয়। প্রতিটি একাদশী ব্রত যথাযথ পালন করতে হয়। শায়িত ভগবান পার্শ্ব পরিবর্তন করেন বলে এই একাদশী মহাপুণ্য ও সকল অভিষ্ট প্রদাতা। এই একাদশী ব্রত পালনে এক সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করা যায়।

নিত্য নব্য রূপ কেলি কৃষ্ণভাব সম্পদা            কৃষ্ণ রাগবন্ধ গোপ যৌবতেষুকম্পদা।কৃষ্ণরূপ বেশ কেলি লগ্ন সৎসমাদিকা         ...
30/08/2025

নিত্য নব্য রূপ কেলি কৃষ্ণভাব সম্পদা
কৃষ্ণ রাগবন্ধ গোপ যৌবতেষুকম্পদা।
কৃষ্ণরূপ বেশ কেলি লগ্ন সৎসমাদিকা
মহ্যমাত্ম পাদপদ্ম দাস্যদাস্তু রাধিকা৷৷ 🙇
শুভ রাধাষ্টমী 🥰💝🙇🙌🙏

27/08/2025

Invitation 2025 Barishal,

18/08/2025

Sri Krishna Festival 2025
ISKCON Barishal

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ১৯-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র অন্নদাএকাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল(বাংল...
17/08/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ১৯-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র অন্নদাএকাদশীর উপবাস ব্রত। পারন পরেরদিন সকাল
(বাংলাদেশ) ০৫:৩৫-০৯:৫৩
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:১৫-০৯:৩১
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
এই ভাদ্রবতী কৃষ্ণপক্ষীয়া অন্নদা একাদশীর মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে।
মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন--হে কৃষ্ণ! ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি তা শুনতে আমি অত্যন্ত আগ্রহী।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে রাজন! আমি সবিস্তারে এই একাদশীর কথা বর্ণনা করছি। আপনি একাগ্র চিত্তে শ্রবণ করুন।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম অন্নদা। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী। যিনি শ্রী হরির অর্চনে এই ব্রত পালন করেন তিনি সর্বপাপ মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবণেই রাশি রাশি পাপ বিদূরিত হয়ে যায়। এই ব্রত প্রসঙ্গে একটি পৌরাণিক ইতিহাস আছে।
প্রাচীন কালে হরিশচন্দ্র নামে এক নিষ্ঠাপরায়ন সত্যবাদী, চক্রবর্তী রাজা ছিলেন। পূর্ব কর্মফল ও প্রতিজ্ঞার সত্যতা রক্ষায় তিনি রাজ্য ভ্রষ্ট হন। অবস্থা এমন হল যে, তিনি নিজের স্ত্রী পুত্র ও অবশেষে নিজেকেও পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হলেন।
হে রাজেন্দ্র! এই পুণ্যবান রাজা চন্ডালের দাসত্ব স্বীকার করেও সত্য রক্ষার্থে দৃঢ়নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি শ্মশানে মৃত ব্যক্তির বস্ত্রও কর রূপে গ্রহণ করতেন। এই ভাবে বহু বছর কেটে গেল।
দুঃখসাগরে নিমজ্জিত হয়ে 'কি করি, কোথায় যাই, কিভাবে এই দুর্দশা থেকে উদ্ধার পাই'---এই চিন্তায় দিন রাত্রি তিনি বিভোর হলেন। এমন সময় দৈবক্রমে পরদুঃখদুঃখী গৌতম ঋষি রাজার কাছে এলেন।রাজা মুনিকে দর্শন করে ভক্তি সহকারে প্রণাম করলেন। করজোড়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে একে একে নিজের সমস্ত কথা জানালেন। রাজার দুঃখের কথা শুনে মুনিবর বিস্ময়াপন্ন হলেন।
অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে তিনি বললেন--হে রাজন! ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী অন্নদা নামে জগতে প্রসিদ্ধ। আপনি এই ব্রত পালন করুন। এই ব্রত প্রভাবে আপনার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে। আপনার ভাগ্যবশত আগামী সাত দিন পর এই তিথির আবির্ভাব হবে। ঐ দিন উপবাস থেকে রাত্রি জাগরণ করবেন। এই ব্রত পালনে আপনার সমস্ত পাপ ক্ষয় হবে। হে রাজন! আপনার পুণ্য প্রভাবে আমি এখানে এসেছি জানবেন। এই কথা বলে গৌতম ঋষি অন্তর্হিত হলেন। ঋষিবরের উপদেশ মতো তিনি শ্রদ্ধা সহকারে সেই ব্রত পালন করলেন। তার ফলে তার সমস্ত পাপ দূর হল। হে মহারাজ! এই ব্রতের প্রভাব শ্রবণ করুন। যথাবিধি এই ব্রত পালনে বহু বছরের দুঃখ ভোগের অবসান হয়। ব্রতের প্রভাবে রাজা হরিশচন্দ্রের সকল দুঃখ সমাপ্ত হল। পুনরায় তিনি স্ত্রীকে ফিরে পেলেন এবং তার মৃত পুত্রও জীবিত হল। আকাশ থেকে দেবগণ দুন্দুভিবাদ্য ও পুষ্পবর্ষণ করতে লাগলেন। নিষ্কন্টক রাজ্য সুখ ভোগ করে অবশেষে আত্মীয় স্বজন ও নগরবাসী সহ স্বর্গে গমন করলেন।
যে মানুষ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করেন, তিনি শ্রী হরি চরণে ভক্তি লাভ করে অবশেষে দিব্য ধামে গমন করেন। এই ব্রতের মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

15/08/2025

Sri Krishna Janmastami Adhivas 2025
ISKCON Barishal

13/08/2025

Janmashtami 2025 Invitation GaurNitaiTV, ISKCON Barishal

হরিবোল 🙌 ❤❤ শ্রী বলরাম পূর্নিমা ❤️❤️বৈষ্ণব চরনে মোর এই মনস্কাম।         ভজি যেন জন্মে জন্মে প্রভু বলরাম।।               ...
08/08/2025

হরিবোল 🙌
❤❤ শ্রী বলরাম পূর্নিমা ❤️❤️
বৈষ্ণব চরনে মোর এই মনস্কাম।
ভজি যেন জন্মে জন্মে প্রভু বলরাম।।
---- চৈতন্য ভাগবত
আগামী ০৯ অগাস্ট,২০২৫ ইং, রোজ শনিবার শ্রী বলরাম পূর্নিমা, অর্থাৎ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অষ্টম অবতার বলরামের আবির্ভাব তিথি বা শুভ বলরাম জয়ন্তী। কৃপা করে সবাই অর্ধবেলা উপবাস পালনের মাধ্যমে আদি গুরু বলরামে কৃপায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভের আশির্বাদ লাভ করে মনুষ্য জীবন সার্থক করুন।
ভগবান কৃষ্ণের স্বয়ং প্রকাশ বিগ্রহ হলেন বলরাম।
তিনি সখা, ভাই, বস্ত্র, গৃহ, ব্যজন, শয্যা, আসন, ছত্র ও ভুষন হয়ে কৃষ্ণকে সেবা করেন।
চৈতন্যচন্দ্রের প্রিয় বিগ্রহ বলাই।
তান স্থানে অপরাধে মরে সর্ব ঠাই।।..

শ্রীবলরাম প্রণাম মন্ত্রঃ
নমস্তে তু হলগ্রাম! নমস্তে মুষলায়ুধ!
নমস্তে রেবতীকান্ত! নমস্তে ভক্ত-বৎসল!
নমস্তে বলিনাং শ্রেষ্ঠ! নমস্তে ধরণীধর!
প্রলম্বারে! নমস্তে তু ত্রাহি মাং কৃষ্ণ-পূর্বজ॥

ভগবান বলরামের পরিচয়:
ভগবান বলরাম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভাবের শুধুমাত্র আটদিন পূর্বে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চান্দ্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এবং ঐ মাসের আটদিন পূর্বে চন্দ্রগ্রহণের সময় বলরাম আবির্ভূত হয়েছিলেন। বলরামের আবির্ভাব অত্যান্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ, কেননা বলরাম আবির্ভূত হন কৃষ্ণ অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। বলরামের কাজই হচ্ছে কৃষ্ণকে প্রসন্নতা প্রদান করা। যা কিছু কৃষ্ণের সেবার জন্য ব্যবহার করা হয়, তা প্রকৃতপক্ষে বলরামের প্রকাশ। যখন কৃষ্ণের গর্ভ সমুদ্রে শয়ন করার প্রয়োজনীয়তা হয়, তখন বলরাম সর্পরূপে তাঁর শয্যায় পরিণত হন,অনন্তশায়ী। এইভাবে বলরাম কৃষ্ণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন।কৃষ্ণ আবির্ভাবের পূর্বে বলরাম দেবকীর গর্ভে আবির্ভূত হন এবং সেখানে তিনি সাতমাস অবস্থান করেন। বলরাম কৃষ্ণ অবতরণের জন্য সবকিছুর ব্যবস্থা করেন তারপর তাকে রোহিণীর গর্ভে স্থানান্তর করা হয়। এজন্য বলরাম সঙ্কর্ষণ নামেও পরিচিত। যোগমায়ার ব্যবস্থাপনায় রোহিণীর গর্ভে কর্ষিত হন। বলরাম কৃষ্ণের প্রথম বিস্তার। বৃন্দাবনে কৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান এবং তাঁর প্রথম বিস্তার হচ্ছেন বলরাম। তারপর তিনি দ্বারকায় বাসুদেব,সঙ্কর্ষণ,প্রদ্রুম্ন এবং অনিরুদ্ধ রূপে বিস্তারিত করেছেন। এভাবে আমরা দেখতে পাই কৃষ্ণ লীলাতে বলরামের ভূমিকা ছিল। বৃন্দাবনে তিনি কৃষ্ণের বড় ভাই,তিনি কৃষ্ণের দেখাশোনা করতেন। বলরামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেবা হচ্ছে,তিনি জীবদের কৃষ্ণের দিকে আকর্ষিত করেন। এই জন্য বলরাম হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারক। বলরাম হচ্ছেন আদি গুরু,তিনি সবাইকে কৃষ্ণের দিকে আকর্ষণ করান। যেমন একজন কৃষক জমি চাষ করার পর তাঁর জমির সকল ফসল সংগ্রহ করেন, ঠিক তেমন বলরাম সমস্ত জীবের ফসল সংগ্রহ করার পর তা কৃষ্ণের কাছে পৌঁছে দেন। এজন্য বলরাম হচ্ছেন আদি গুরু এবং সকল গুরুরা তাঁর বিস্তার বলে বিবেচিত হন। সে জন্য বলরাম জয়ন্তী আমাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র বলরামের কৃপার ফলে আমরা কৃষ্ণের কাছে ফিরে যেতে পারব। এই জন্য চৈতন্য মহাপ্রভুর লীলাতে নিত্যানন্দ প্রভুর ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বলা হয় যে নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপা ছাড়া কেউ কৃষ্ণকে লাভ করতে পারবে না, কেউ চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভ করতে পারবে না,হেন নিতাই বিনে ভাই রাধা-কৃষ্ণ পাইতে নাই। নিতাই, নিত্যানন্দ প্রভুই প্রকৃতপক্ষে হচ্ছেন স্বয়ং বলরাম।
সঙ্কর্ষণ কারণতোয়শায়ী গর্ভোদশায়ী চ পয়োব্ধিশায়ী (চৈ: চ আদি ১,৭)।
সে জন্য নিত্যানন্দ প্রভু বলরামের অবতার এবং চৈতন্য লীলায় তিনি সমস্ত জীবদের কৃষ্ণের দিকে আকৃষ্ট করেছেন। এইভাবে নিত্যানন্দ প্রভুর কৃপা ছাড়া আমরা চৈতন্য মহাপ্রভুর সান্নিধ্য লাভ করতে পারব না,বলরামের কৃপা ছাড়া আমরা কৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করতে পারব না। এজন্য বলরাম কৃষ্ণের আগে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং আমরা যদি কৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করতে চাই, তাহলে আমাদের বলরামের কাছে যেতে হবে। আমাদের তাঁর কৃপার জন্য ভিক্ষা ছাইতে হবে, আমাদের বলরামের প্রতিনিধির কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে, যে গুরু সারা পৃথিবী জুড়ে কৃষ্ণভাবনামৃত বিতরণ করছেন। এটার জন্যই বলরাম জয়ন্তী আমাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গর্দভের মতোই, বুদ্ধিমত্তা থেকে অনেক দূরে,গাধার মতো মূর্খ। বলরাম ধেনুকাসুর নাম গাধার সংহার কর্তা। তিনি আমাদের গাধা তুল্য ব্যক্তিত্বকে নাশ করেন।তিনি আমাদের কৃষ্ণের সেবাতে যুক্ত নয় এমন অবাঞ্ছিত বস্তু সংগ্রহ করার মানসিকতার নাশ করেন।আমরা হলাম জড় প্রকৃতির বোঝা বহন করা পশু। ধেনুকাসুর তাল ফল সংগ্রহ করত,সে কাউকে এটা নিতে দিত না। সে এমনকি কৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধুদের তাল ফল দেয় নি। তারপর বলরাম আসলেন এবং ঐ অসুরকে বধ করলেন। একইভাবে আমদের জীবনেও বলরাম আসুন এবং এই ধেনুকাসুরের বধ করুন, যে কৃষ্ণ সেবায় যুক্ত নয় এমন অবাঞ্ছিত বস্তু সংগ্রহের চেষ্টা করছে। বলরাম আসুন এবং ঐ ধেনুকাসুরকে বধ করুন এবং আমাদের কৃষ্ণের প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত করুন। বলরাম জয়ন্তীর এই দিনে ভগবান বলরামের কাছে এটাই হোক আমাদের প্রার্থনা।
নিতাই গৌর প্রেমানন্দে । হরি হরি বোল।

06/08/2025

Jhulan Yatra Festival 2025, ISKCON Barishal
Day1, GaurNitaiTV Presents

05/08/2025

কুসুম দোলায় দোলে শ্যাম-রাই,
তমাল শাখে দোলা ঝোলে ঝুলনে 🥰❤
Jhulan Yatra Festival 2025 ISKCON Barishal Day1 GaurNitaiTV

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏 একাদশী সংবাদ🌹আগামী ০৫-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র পবিত্রারোপনী একাদশীর উপবাস ব্রত ও শ্রী শ্রী রাধা...
03/08/2025

🙏 হরেকৃষ্ণ 🙏
একাদশী সংবাদ🌹
আগামী ০৫-০৮-২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পবিত্র পবিত্রারোপনী একাদশীর উপবাস ব্রত ও শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর -এর ঝুলনযাত্রা আরম্ভ। একাদশীর পারন পরেরদিন সকালঃ
(বাংলাদেশ) ০৫:৩০-০৯:৫২
(পশ্চিমবঙ্গ) ০৫:০৯-০৯:৩১
তাই আসুন আমরা সবাই ভগবান প্রদত্ত একাদশী ব্রত পালন করি এবং মানব জীবন সার্থক করি।
🙏কৃপাকরে আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে একাদশী ব্রত পালনের জন্য উৎসাহিত করুন ।।
🙏❤️❤️ ঝুলনযাত্রা মহোৎসব '২৫ইং ❤️❤️🙏
আগামী ০৫ আগষ্ট - ০৯ আগষ্ট ২০২৫ইং পর্যন্ত শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর -এর ঝুলনযাত্রা মহোৎসব। শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর মন্দির (ইসকন) বরিশাল -এ প্রতিদিন বিকাল ৪:০০ ঘটিকা থেকে রাত্র ০৮:০০ পর্যন্ত। আপনারা সকলে আমন্ত্রিত 🙏

"দোলে চ দোল গোবিন্দ চাপে চ মধুসূদন।
রথে চ বামনং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে ।।

অর্থাৎ: "ঝুলনকালে দোলনায় শ্রীগোবিন্দকে, নৌবিহারকালে শ্রীমধুসূদনকে এবং রথযাত্রায় রথোপরি বামনাকৃতির শ্রীজগন্নাথদেবকে কেউ দর্শন করলে, তার আর পুনর্জন্ম হয় না। "
রাধাকৃষ্ণ প্রান মোর যুগল কিশোর
জীবনে মরনে গতি আর নাহি মোর❣️🙇🏻‍♂️🙏

🙏❤️❤️একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য❤️❤️🙏
একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ কে জিজ্ঞাসা করলেন-- হে প্রভু! শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন-- হে মহারাজ! এখন আমি সেই পবিত্র ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি, মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবন করুন। যা শোনামাত্রই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
প্রাচীন কালে দ্বাপর যুগের শুরুতে মহিজীৎ নামে এক বিখ্যাত রাজা ছিলেন। তিনি মাহিস্মতি নগরে রাজত্ব করতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তার মনে বিন্দুমাত্র শান্তি ছিলনা। কেননা তিনি ছিলেন অপুত্রক। 'পুত্রহীনের ইহলোক পরলোকে কোথাও সুখ হয় না'-- এই রূপ চিন্তা করতে করতে বহুদিন কেটে গেল। কিন্তু তবুও পুত্র মুখ দর্শনে রাজা বঞ্চিতই রইলেন। নিজেকে অত্যন্ত দুর্ভাগা মনে করে রাজা চিন্তাগ্রস্ত হলেন। প্রজাদের সামনে গিয়ে বলতে লাগলেন---হে প্রজাবৃন্দ! তোমরা শোন। আমি এই জন্মে তো কোন পাপকাজ করিনি, অন্যায় ভাবে আমার রাজকোষ বৃদ্ধি করিনি, ব্রাহ্মণ বা দেবতাদের সম্পদ কখনও গ্রহণ করিনি উপরন্তু প্রজাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেছি, ধর্ম অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করেছি। দুষ্টদের যথানুরূপ দন্ড দিয়েছি, সজ্জন ব্যক্তিদের যথাযোগ্য সম্মান করতেও কখনও অবহেলা করিনি। তাই হে ব্রাহ্মণগণ, এই প্রকার ধর্ম পথ অবলম্বন করা সত্ত্বেও কেন আমার পুত্র লাভ হল না, তা আপনারা কৃপা করে অনুসন্ধান করুন| রাজার এই প্রকার কাতর উক্তি শ্রবণে ব্যথিত রাজভক্ত পুরোহিত ব্রাহ্মণগণ রাজার মঙ্গলের জন্য গভীর বনে ত্রিকালজ্ঞ মুনি ঋষির কাছে যেতে মনস্থ করলেন। বনের মধ্যে ঋষিদের আশ্রমসকল দেখতে দেখতে তারা এক মুনির সন্ধান পেলেন। তিনি দীর্ঘায়ু, নীরোগ, নিরাহারে ঘোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। সর্বশাস্ত্র বিশারদ ধর্মতত্ত্বজ্ঞ ও ত্রিকালজ্ঞ সেই মহামুনি লোমশ নামে পরিচিত। ব্রহ্মার এক কল্প অতিবাহিত হলে মুনিবরের গায়ের একটি লোম পরিত্যক্ত হত। এই কারণে এই মহামুনির নাম লোমশ। তাকে দেখে সকলেই ধন্য হলেন। তারা পরস্পর বলতে লাগলেন যে, আমাদের বহু জন্মের সৌভাগ্যের ফলে আজ আমরা এই মহামুনির সাক্ষাৎ লাভ করলাম। তারপর ঋষিবর তাদের সম্বোধন করে বললেন---কি কারণে আপনারা এখানে এসেছেন এবং কেনই বা আমার এত প্রশংসা করছেন, তা স্পষ্ট করে বলুন। আপনাদের যাতে মঙ্গল হয়, আমি নিশ্চয়ই তার চেষ্টা করব।
ব্রাহ্মণেরা বললেন---হে ঋষিবর! আমরা যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি আপনি তা কৃপা করে শুনুন। এ পৃথিবীতে আপনার মতো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আর কোথাও নেই। মহীজিৎ নামে এক রাজা নিঃসন্তান হওয়ায় অতি দুঃখে দিন যাপন করছে। আমরা তার প্রজা, তিনি আমাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেন। কিন্তু তিনি পুত্রহীন বলে আমরাও সবাই মর্মাহত। তার দুঃখ দূর করতে আমরা এই বনে প্রবেশ করেছি। হে ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠ! রাজা যাতে পুত্রের মুখ দর্শন করতে পারেন, কৃপা করে তার কোনো উপায় আমাদের বলুন। তাদের কথা শুনে মুনি ধ্যান মগ্ন হলেন। কিছু সময় পরে রাজার পূর্বজন্মবৃত্তান্ত বলতে লাগলেন। এই রাজা পূর্বজন্মে এক দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন। একবার তিনি এক অন্যায় কার্য করে ফেলেন। ব্যাবসা করার জন্য তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করতেন। একসময় জৈষ্ঠ্য মাসে শুক্লপক্ষের দশমীর দিনে কোথাও যাওয়ার পথে তিনি অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন। গ্রাম প্রান্তে এক জলাশয় তিনি দেখতে পেলেন। সেখানে জলপানের জন্য যান। এক গাভী ও তার বাছুর সেখানে জলপান করছিল। তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তিনি নিজেই জলপান করতে লাগলেন। এই পাপকর্মের ফলে তিনি পুত্র সুখে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পূর্বজন্মের কোনো পূণ্যের ফলে তিনি এরকম নিষ্কন্টক রাজ্য লাভ করেছেন। হে মুনিবর! শাস্ত্রে আছে যে পূণ্য দ্বারা পাপক্ষয় হয়।
তাই আপনি এমন একটি পূণ্য ব্রতের উপদেশ করুন যাতে তার পারব্ধ পাপ দূর হয় এবং আপনার অনুগ্রহে তিনি পুত্র সন্তান লাভ করতে পারেন। লোমশ মুনি বললেন---শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পবিত্রারোপণী একাদশী ব্রত অভিষ্ট ফল প্রদান করে। আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন। লোমশ মুনির উপদেশ শুনে আনন্দ চিত্তে গৃহে প্রত্যাবর্তন করে তারা রাজাকে সকল কথা জানালেন। তারপর সকলে মিলে মুনির নির্দেশ অনুযায়ী ব্রত পালন করলেন। তাদের সকলের পূণ্যফল রাজাকে প্রদান করলেন। সেই পূণ্য প্রভাবে রাজমহিষী গর্ভবতী হলেন। উপযুক্ত সময়ে বলিষ্ঠ, সর্বাঙ্গসুন্দর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দান করলেন। ভবিষোত্তরপুরানে এই ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। এই ব্রত যিনি পাঠ বা শ্রবণ করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং পুত্র সুখ ভোগ করে অবশেষে দিব্যধাম প্রাপ্ত হবেন।

Address

Bangladesh
Barisal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GaurNitai TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to GaurNitai TV:

Share

Category