Janun-জানুন

Janun-জানুন এক মিনিটে ইতিহাসের গল্প

11/06/2025
09/06/2025

গৌরনদী

হারনাই রেলওয়ে ব্রিজ: ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষীএই ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই ভ্যালিতে অবস্থি...
24/05/2025

হারনাই রেলওয়ে ব্রিজ: ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই ভ্যালিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক রেলওয়ে ব্রিজের অতীত ও বর্তমান।

ছবির ইতিহাস:
উপরের ছবি (১৮৯০):
এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনামলে, যখন ব্রিটিশরা বেলুচিস্তানে রেলওয়ে লাইন নির্মাণ করছিল। ছবিতে দেখা ব্রিজটি হলো হারনাই রেলওয়ে ব্রিজ বা চাপকো ব্রিজ, যা কুয়েটা ও জোব শহরের মধ্যে সংযোগকারী রেলপথের অংশ ছিল। এটি ছিল উপমহাদেশের অন্যতম উঁচু ও দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে সেতু ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার এক অনন্য নিদর্শন।

নিচের ছবি (২০২৫):
সময়ের ব্যবধানে ব্রিজটি আর ব্যবহৃত হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায়। এখন কেবল এর পাথরের পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে একটি হারিয়ে যাওয়া যুগের নীরব সাক্ষী হয়ে।

ব্রিজের গুরুত্ব:
এটি ছিল ব্রিটিশ রেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মাধ্যমে বেলুচিস্তান অঞ্চলে সামরিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ সহজতর করা হয়।

ভৌগোলিক দিক থেকে এটি ছিল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আফগানিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি এই রুট দিয়ে দ্রুত যাতায়াত সম্ভব ছিল।

স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলীর দিক থেকেও এটি ছিল বিস্ময়কর একটি প্রাকৃতিক উপত্যকার বুক চিরে নির্মিত বিশাল রেলসেতু, যা তখনকার প্রযুক্তির উৎকর্ষ প্রকাশ করত।

আজ এই ধ্বংসাবশেষ দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসপ্রেমী ও পর্যটকদের জন্য এক অনন্য আকর্ষণ হিসেবে। হারনাই ভ্যালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এই পুরনো পিলারগুলো যেন স্মরণ করিয়ে দেয়, একসময় এখান দিয়ে ছুটে যেত ইতিহাসের গতি।

৩,৩০০ বছর আগের সেতু, আজও সচল!খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০০-১১৯০ সালের মধ্যে গ্রিসের আর্জোলিস অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল এক আশ্চর্য সেতু আ...
22/05/2025

৩,৩০০ বছর আগের সেতু, আজও সচল!

খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০০-১১৯০ সালের মধ্যে গ্রিসের আর্জোলিস অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল এক আশ্চর্য সেতু আর্কাডিকো ব্রিজ। তিরিনস ও এপিদাউরোস শহরের মাঝামাঝি সেনাবাহিনীর চলাচলের জন্য তৈরি এই প্রাচীন সেতুটি আজও টিকে আছে কালের কড়াল গ্রাস উপেক্ষা করে। শুধু টিকে নয়, এখনো সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে!

এই সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল সাইক্লোপিয়ান নির্মাণ কৌশল যেখানে গাঁথুনি হয়েছে বিশাল বিশাল চুনাপাথরের বোল্ডার দিয়ে, একে অপরের ওপর নিখুঁতভাবে বসিয়ে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এতে কোনো ধরনের মর্টার বা আধুনিক উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি!

সেতুটির প্রস্থ প্রায় ২.৫ মিটার, যা সে সময় রথ চলাচলের জন্য যথেষ্ট ছিল। আজও স্থানীয় মানুষ ও হালকা যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করেন প্রতিদিন যেন তারা পা রাখছেন এক জীবন্ত ইতিহাসের উপর।

৩,৩০০ বছরের পুরনো হয়েও, এ সেতু আজও আমাদের শেখায় প্রকৌশল আর স্থায়িত্ব কাকে বলে!

আধুনিক স্কুবা ডাইভিংয়ের যুগে দাঁড়িয়ে আমরা ভাবি, পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়া বুঝি আধুনিক কোনো আবিষ্কার। অথচ প্রায় ৩,০০০ বছর...
18/05/2025

আধুনিক স্কুবা ডাইভিংয়ের যুগে দাঁড়িয়ে আমরা ভাবি, পানির নিচে নিঃশ্বাস নেওয়া বুঝি আধুনিক কোনো আবিষ্কার। অথচ প্রায় ৩,০০০ বছর আগে প্রাচীন অ্যাসিরীয় সভ্যতার সৈন্যরা এটি করত যুদ্ধকৌশলের অংশ হিসেবে!

একটি প্রাচীন ফলকে দেখা যায়, একজন অ্যাসিরীয় সৈন্য পানির নিচে ডুবসাঁতার দিচ্ছেন, সাথে রয়েছে ছাগলের চামড়ার তৈরি এক ফোলানো থলে। এটি ব্যবহার করে তিনি পানির নিচে ভেসে থাকতে পারতেন এবং নিঃশ্বাস নিতে পারতেন! এই অভিনব ব্যবস্থা তাদেরকে শত্রুর চোখ এড়িয়ে নদী পার হওয়ার সুযোগ করে দিত।

এই ফলকটি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতকের, বর্তমানে সংরক্ষিত আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। তৎকালীন অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য ছিল এক অসাধারণ সামরিক শক্তি—শুধু অস্ত্র বা সেনাবাহিনীর জন্য নয়, চাতুর্য আর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্যও ইতিহাসে তারা স্মরণীয়।

প্রায় ২০০০ বছর পুরনো, তিউনিসিয়ার জাঘোয়ানে অবস্থিত রোমান জলনালী প্রাচীন প্রকৌশলের এক অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আ...
17/05/2025

প্রায় ২০০০ বছর পুরনো, তিউনিসিয়ার জাঘোয়ানে অবস্থিত রোমান জলনালী প্রাচীন প্রকৌশলের এক অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ১৩২ কিলোমিটার (৮২ মাইল) বিস্তৃত এই জলনালী ঐতিহাসিকভাবে কার্থেজে জল সরবরাহ করত।

অপরাধ জগতের এক অদ্ভুত গল্প!১৯২০ ও ৩০-এর দশক — যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তখন মাদক চোরাচালানের রমরমা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চোরাকা...
17/05/2025

অপরাধ জগতের এক অদ্ভুত গল্প!
১৯২০ ও ৩০-এর দশক — যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তখন মাদক চোরাচালানের রমরমা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে চোরাকারবারিরা নিল এক আশ্চর্য কৌশল।

তারা ব্যবহার করত এমন বিশেষ ধরনের জুতা, যার তলদেশে মানুষের পায়ের ছাপ নয় — বরং প্রাণীর পায়ের ছাপ!
মেঠো পথ, জঙ্গল বা পাহাড়ি পথ দিয়ে যখন তারা পণ্যের চালান নিয়ে যেত, তখন পুলিশের চোখে যেন ধোঁকা পড়ে — মানুষ নয়, কোনো পশু হেঁটে গেছে!

এই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে তারা দিনের পর দিন চালিয়ে গেছে চোরাচালান — আর পেছনে ফেলেছে বিভ্রান্ত গোয়েন্দা দলকে।

শিক্ষা?
চোর যেমন চালাক, ধরা পড়ার ভয় ততটাই বড়!
আর ইতিহাসের পাতায় লুকিয়ে আছে এমন কত শত কৌশলের গল্প — যা সত্যিই চমকে দেয়!

একটি চশমা, একটুকরো পেন্সিল, আর অটুট বিশ্বাসদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে একটি যুদ্ধবিমান। পাইলট প্র...
06/05/2025

একটি চশমা, একটুকরো পেন্সিল, আর অটুট বিশ্বাস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে একটি যুদ্ধবিমান। পাইলট প্রাণে বাঁচলেও চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর প্রখর সূর্যরশ্মি। খাবার নেই, পানি নেই কেবল একটি পানির বোতল আর কিছু শুকনো বিস্কুট।

তিন দিন পর পানিটুকুও শেষ হয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, তৃষ্ণা, আর নিঃসঙ্গতা ধীরে ধীরে পাইলটকে নিঃশেষ করে দিতে থাকে। মৃত্যুর ছায়া নেমে আসে চোখের সামনে। এমন সময় হঠাৎ মনে পড়ে পাইলট হওয়ার আগেও তার একটা পরিচয় ছিল, সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে তখনো একটি ভাঙা চশমা আর একটুকরো পেন্সিল।

সে শুরু করে বালুর ওপর আঁকা তার পরিবার, প্রিয় শহর, পরিচিত রাস্তা, আর স্বপ্নের জলধারা। প্রতিটি রেখায় মিশে যায় তার মনের আবেগ, স্মৃতি আর বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। আশ্চর্যভাবে, ছবি আঁকতে আঁকতে তৃষ্ণা কিছুটা কমে আসে, মন শান্ত হয়। সে ভাবে, “আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে, আমি এখনো হার মানিনি।”

অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত দু’চোখ কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালির ওপর ছবি আঁকছে, যেন কোনো নিঃশব্দ মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!

উদ্ধারের পর পাইলট বলেছিল,
“আমি বেঁচে ছিলাম কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর একটুকরো পেন্সিলও মরুভূমিতে আমাকে বাঁচার শক্তি দিয়েছে।”

শিক্ষা:
জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ নরওয়ের দুর্গম পাহাড়ে এক বল্গাহরিণ শিকারির চোখে পড়ে একটি অবিশ্বাস্য আবিষ্কার প্রায় ১২০০ ব...
05/05/2025

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ নরওয়ের দুর্গম পাহাড়ে এক বল্গাহরিণ শিকারির চোখে পড়ে একটি অবিশ্বাস্য আবিষ্কার প্রায় ১২০০ বছর পুরনো একটি ভাইকিং তলোয়ার!
দুইটি পাথরের মাঝে আটকে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায় এই প্রাচীন তলোয়ারটি, যা তৈরি হয়েছিল আনুমানিক ৮৫০ থেকে ৯৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। আজও এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে!

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনো সাহসী ভাইকিং যোদ্ধা হয়তো তার অভিযানে ওই দুর্গম স্থানে প্রাণ হারান, আর তার সঙ্গে রয়ে যায় তলোয়ারটিও শত শত বছর বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকা এক ইতিহাস!

**দানবীয় এক শার্ক – মেগালোডন!**আনুমানিক ৩৬ লক্ষ থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে, সমুদ্রের গভীরে রাজত্ব করত এক বিশালাকায় শিকার...
30/04/2025

**দানবীয় এক শার্ক – মেগালোডন!**

আনুমানিক ৩৬ লক্ষ থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ বছর আগে, সমুদ্রের গভীরে রাজত্ব করত এক বিশালাকায় শিকারি—মেগালোডন শার্ক। এই প্রাগৈতিহাসিক দানবটির চোয়ালের প্রস্থ ছিল প্রায় **৬.৫ ফুট**! চিন্তা করুন, শুধু চোয়ালটাই এত বড়!

আজকের দিনে যাকে আমরা ভয়ংকর গ্রেট হোয়াইট শার্ক বলে জানি, সেইটাও মেগালোডনের তুলনায় যেন একটা ছোট মাছের মতো!

মেগালোডনের মুখে ছিল **২৭৬টি বিশাল দাঁত**, প্রতিটিই খাঁজকাটা ও তীক্ষ্ণ। কিছু দাঁতের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় **৭ ইঞ্চি** পর্যন্ত—এত বড় দাঁত যে এক কামড়েই বিশাল শিকার ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে পারত।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বিশালাকার শার্কটি ছিল তার সময়ের অন্যতম শক্তিশালী ও ভয়ংকর শিকারি!


#মেগালোডন #সমুদ্রদানব #বিজ্ঞান #প্রাচীনপ্রাণী

29/02/2024

❤️❤️

Address

Gournadi
Barishal
8231

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Janun-জানুন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category