Story of Neel Maloti Lota

Story of Neel Maloti Lota Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Story of Neel Maloti Lota, Barishal.

লিখতে ভালো লাগে তাই,,,,টুকিটাকি লিখে যাই,,,,,, কারো ভালো লাগে,,, আবার কারো হয়তো বিরক্ত লাগে,, তবুও আমার কলম এগিয়ে যেতে চায়। কল্পনা বিলাসী আমি, কল্পনায় হাজারো ছবি আঁকি,,,

দুর্ঘটনার  তিনদিন শেষ হয়ে গেল। দূরের কিংবা আশেপাশের মানুষ অনেকেই হয়তোবা ভুলতে বসেছে খানিকটা।  কিন্তু যাদের সঙ্গে এমনটা...
24/07/2025

দুর্ঘটনার তিনদিন শেষ হয়ে গেল। দূরের কিংবা আশেপাশের মানুষ অনেকেই হয়তোবা ভুলতে বসেছে খানিকটা। কিন্তু যাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছে তারা কি কোনদিন ভুলতে পারবে?? আর যাদের সঙ্গে এমনটা হয়নি সেই সাধারণ মানুষগুলো কি আর তাদের কথা ভাববে? বেশি হলে হয়তো একটু খানি দুঃখ প্রকাশ করবে অথবা তাদের উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানাবে 😭😢😢

 #দুঃখের_পরে_সুখ #পর্ব : ১৭           #লেখা:  #নীল_মালতীলতা কপি করা নিষেধ 🚫🚫মা,, আমি কে মা???তখন মাহনুররা সবাই  চলে যাওয...
23/07/2025

#দুঃখের_পরে_সুখ
#পর্ব : ১৭
#লেখা: #নীল_মালতীলতা

কপি করা নিষেধ 🚫🚫

মা,, আমি কে মা???

তখন মাহনুররা সবাই চলে যাওয়ার পর সবাই যে যার ঘরে নীরব ভাবে চলে গিয়েছিল। জয়া সেখানে কিছুক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ তার কিছু একটা মনে আসতে সে দৌড়ে তার মায়ের ঘরে যায়। আর ওপরের প্রশ্নটা করে বসে।

বলোনা মা আমি তোমার মেয়ে,, প্লিজ মা আমি তো তোমার মেয়ে,,

হ্যাঁ তুমি আমার মেয়ে, কিন্তু আমি তোমাকে আমার শিক্ষায় বড় করতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা।

তাহলে তখন ওই কথা কেন বললে মা,, অসিকও বলেছিল আমি তোমাদের কেউ না।

জয়ার মুখে এমন কথা শুনে মায়া বেগম ভ্রু কুঁচকে জয়ার দিকে তাকায়,, আর মনে মনে ভাবছেন এ কথা তো বাইরে কারো জানার কথা নয়,, তাহলে???

মানে?? কি বলেছে ঐ ছেলে??

মা প্লিজ বলো না আমি কে? আমি শুধু তোমার মেয়ে হয়ে থাকতে চাই মা, মা বলো না ও মিথ্যে বলেছে তোমরাও তখন মিথ্যে বলেছ,,,

কেউ মিথ্যে বলে নি তোমাকে,,

আহ জাবেরের বাবা আপনি এসব কি বলছেন চুপ করুন।

আমাকে চুপ করাচ্ছো অথচ তখন তুমি নিজেই তো বলে ফেলেছিলে। এই বলে জাহিদ হোসেন ঘরের কোণে রাখার সোফায় গিয়ে বসলেন,,, মেয়ে কেউ কাছে ডাকলেন,, জয়া মা এসো আমার পাশে বসো,, তোমার সাথে একটু গল্প করি।

এমন আদুরে কথা শুনে জয়ার দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল নোনা পানি,, আস্তে আস্তে এক পা দু পা করে এগিয়ে গিয়ে বসল বাবার পাশে,,

মামনি তুমি যেটা করেছে সেটা ভারী অন্যায় করেছ আমরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছি,, চলো তোমাকে একটা গল্প শোনাই,,,,,

একটা ছোট্ট রাজপ্রাসাদ,, সেখানে বাস করত রাজা রানী আর তাদের একমাত্র রাজপুত্র।। কিন্তু এতটুকু সুখে রানীর মন ভরলো না তার প্রয়োজন ছিল একটি রাজকন্যার। রাজপুত্রের যখন 9 বছর বয়স কখনো রানী একটি রাজকন্যা পেলেন না। আল্লাহর দরবারে অনেক কান্নাকাটি করেও যখন কোনো উপায় মিলল না,, রানীর সে কি ভীষন মন খারাপ।। রাজা একমাত্র রানীর মন খারাপ দেখে সইতে পারলেন না সিদ্ধান্ত নিলেন কোথাও থেকে একটু রানীকে ঘুরিয়ে আনবেন। ওদিকে রাজপুত্রেরও মন খারাপ তারও নাকি একটি বোনের প্রয়োজন। অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো রানীর মন খারাপ গোছাতে সমুদ্র ভ্রমণ করতে যাবে এই রাজ পরিবার। অবশেষে তারা ভ্রমণের চলেও গেল। তিন দিনের ভ্রমণে তাদের দুদিন কেটে যাওয়ার পর। শেষের দিন রাজ পরিবার গেল শেষবারের মতো সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে, সমুদ্রের পানিতে পা ভেজাতে। হাঁটতে হাঁটতে তারা যখন অনেকটা দূরে এসে পৌঁছল, হঠাৎ রানের পারে গেল কান্নার আওয়াজ, যেন কোনো সদ্য জন্ম নেয়া শিশু কাঁদছে। কান্নার উৎস খুঁজতে গিয়ে ওই দূরের ঝোপচারের কাছে পৌঁছে তারা দেখতে পায়,, পুরানো একটা তোয়ালেতে মোড়ানো এক টুকরো চাঁদের আলো। তাদের সবার বুকের ভেতর একটা অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হলো সেই কান্নায়,, সে কি করুম কান্না।। এমনও কেউ হয় যে এত সুন্দর চাঁদের আলো এভাবে ফেলে যেতে পারে?? আশপাশ খুঁজেও যখন অন্য কোন কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া গেল না তখন যা বুঝার তারা সবাই বুঝে গেল। তারা চুপি চুপি সেই চাঁদের আলো নিয়ে তাদের রাজপ্রাসাদ আরো আলোকিত করল।

ততক্ষণে মায়া বেগম ও জয়ার পাশে গিয়ে বসলেন।

জয়ার আর কিছুই বুঝতে বাকি রইল না, মায়া বেগমের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। মায়া বেগম এবং জাহিদ হোসেন দুজনেই জয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।

এত কান্নার আওয়াজ শুনে জাবেরও তাৎক্ষণিক মায়ের ঘরে দৌড়ে এলো। শুনতে পেলো জয়া বলছে,,

মা,, ওই লোকটা ঠিকই বলেছে আমি আসলেই একটা নেমকহারাম না, আমার কোন ক্ষমা নেই কোন ক্ষমা না।

জাবের যা বোঝার তা বুঝে গেল। চুপ করেই দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে বোনের উপরের অভিমানে তাকে কাছে টেনে নিতে বাধা দিচ্ছে।

জাহিদ হোসেন মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,, তুমি কি আমাদেরকে এখন পর ভাবতে শুরু করেছো মামনি। তুমি কিন্তু এই প্রাসাদের আলো হুম, আমাদের মেয়ে তুমি। ভুল তো মানুষই করে তুমিও ভুল করেছো অনুতপ্ত হয়েছো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আজ তোমাকে গল্পটা বলার একটাই কারণ তুমি যাতে আর বাইরে থেকে এগুলো শুনে কষ্ট না পাও। আমার রাজকন্যাকে বাইরের কেউ কষ্ট দেবে সেটা আমি কিছুতেই মেনে নিব না।

জয়া মায়া বেগমকে ছেড়ে জাবের হোসেনের পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল আমার জন্য আমার ভাইয়া অনেক কষ্ট পেয়েছে তোমরা এতটা কষ্ট পেয়েছো আমি কিভাবে নিজেকে ক্ষমা করব। আমি তো নিজেকেই ক্ষমা করতে পারছি না তাহলে তোমরা কিভাবে আমাকে ক্ষমা করবে বাবা। জয়ার চোখ যখন জাবেরের দিকে পরল, দৌরে গিয়ে জাবেরের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো আর ক্ষমা চাইতে লাগলো ।

জাবের জয়ার দুই কাধ ধরে দাঁড় করিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে নিশ্চুপে সেখান থেকে চলে গেল। একটু শব্দ করল না। যা জয়াকে আরো ভেঙে দিল। আজ সে জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর সত্যটা জানতে পারল আর তার আগেই সে কত বড় একটা ভুল করল এই অপরাধবোধ থেকে সে ভিতর থেকে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

-------------------------------

এর মধ্যে ঘটে গেছে একটা দারুন ঘটনা,,,

আর সেটা হচ্ছে অশিক ধরা পরেছে।

হঠাৎ জাবেরের ফোনে একটা কল আসে, রিসিভ করার পরই কেউ একজন বলে,,

হ্যালো মিস্টার জাবের বলছেন??

হ্যাঁ কিন্তু আপনি কে?

আমি আপনার অনেক বড় শুভাকাঙ্ক্ষী। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য আপনাকে আজ দিব যেটা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এরপর আপনি যা সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি নিতে পারেন।

এমন কথা শুনে জাবেরের কপালে ভাঁজ পড়ে তখন আবার শুনতে পায়,,,

আপনার এবং আপনার পরিবারের চরম শত্রু অশিক আবার বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখছে শুধুমাত্র আপনাকে ধ্বংস করার জন্য। তাকে ঠিক রাত দশটায় এয়ারপোর্ট রোডে পেয়ে যাবেন। এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যা আপনার কি করা উচিত,, বলে ফোনটা কেটে দেয়।

ব্যাপারটা নিয়ে জাবের ভিষণ চিন্তায় ছিল যে কথাটা কি সত্যি নাকি তাকে ধরার কোন কৌশল । অনেক ভেবেচিন্তে জাবের পুলিশ নিয়ে সেই স্থানে যথা সময় পৌঁছায় আর অশিক ধরা পরে যায়। তারপর সেই নাম্বারটায় অনেকবার ট্রাই করার চেষ্টা করেছিল নাম্বারটা একটা বিদেশি নাম্বার। কিন্তু কোনভাবেই আর সংযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন,,, অশিককে জাবের বেশ কঠিন কয়েকটা মামলা দিয়ে দিয়েছে। সেখানে জয়াররো জবানবন্দি ছিল। যেটা আরো বেশ জোরালো হয়েছিল। পুলিশও তদন্ত করে সত্যটা খুঁজে পেয়েছে যে সে একজন নারী পাচারকারী অবৈধ ব্যবসায়ী।

অবশেষে অশিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কোভিদ কেউ জেলে নেয়া হয়েছিল। তবে তাকে জাবের আর জাবের এর বাবা মিলে ছাড়িয়ে এনেছে। তার একটাই কারণ জয়ার অনুরোধ।

জয়া অনেক আকুতি মিনতি করে বলেছিল সে তার কাছে অনেক বেশি ঋণী। তাই তাকে ছাড়িয়ে একটু হলেও ঋণের বোঝা কমাতে চাই।

কারণ জিজ্ঞেস করলে বলেছিল সেটা আমি তোমাদের জানাবো সময় হলেই।

চূড়ান্ত রায়ের পর যখন আশিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তার সামনে এসে জয়া দাঁড়ায় । বলে,,,

কেমন আছো অ শি ক

জয়া এমন ভাবে করে কথা বলায় অশিক রাগি দৃষ্টিতে জয়ার দিকে তাকায়,,

ওহহহহহোহো অ সি ক,,, দৃষ্টির নামিয়ে,, আচ্ছা অসিত তোমার জানতে ইচ্ছে করে না যে তোমার আস্তানা থেকে আমি কিভাবে বেরিয়ে এলাম??

এমন কথা শুনে অশিক খুব ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে,, বলে তুই শুধু নামটা বল বেইমানটার,, আমি নিশ্চিত সে এখানেই আছে আমি তাকে শেষ করে তবেই জেলে যাব,,

বেশ তাহলে তাকে তুমি চিনে নাও,, এই কথা বলে জয়ার সামনের দিকে ফিরে তার আঙুল তাক করে,, অশিক জয়ার আঙ্গুল অনুসরণ করে দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়,, গর্জন করে বলে ওঠে,,,,

চলবে,,,,,,

একটা ছোট বাচ্চা, একদম ফুলের মত দেখতে বাচ্চা, পু'ড়ে, আ'গু'ন নিয়ে বের হয়েছে ক্লাসরুম থেকে। কোনোরকম জা'ন নিয়ে। কিন্তু তাকে ...
23/07/2025

একটা ছোট বাচ্চা, একদম ফুলের মত দেখতে বাচ্চা, পু'ড়ে, আ'গু'ন নিয়ে বের হয়েছে ক্লাসরুম থেকে। কোনোরকম জা'ন নিয়ে। কিন্তু তাকে বাঁচানোর মত, ধরার মত কেউ নেই৷ 😭

ছিল অনেকেই, বিবেকহীন, মনুষ্যত্বহীন। মনে কতটা জো'র থাকলে😢 বাচ্চা ছেলেটা পুরো শরীর পু'ড়ে গিয়েও হেঁটে হেঁটে কাউকে খুঁজছিল ভাবুনতো একটু? 😭😭😭 তার মনের জো'র থাকলেও, 😢😢
মনের টা'ন ছিল না, আশেপাশে থাকা মানুষগুলোর।

বাচ্চাটাকে না ধরে, ভিডিও করছে, পিক তুলছে, লাইভ করছে। তারপর? ছোট্ট ফুলটা ঝরে গেল। বাঁচতে পারলো না। গতকাল থেকে ওই একটা ভিডিও, আমার ক'লি'জা কাঁ'পি'য়ে দিচ্ছে। বার বার সামনে আসলে ইগনোর করছি। কান্না পাচ্ছে, নিজেকে কন্ট্রোল করছি। আর শুধু ভাবছি, যারা ভিডিও করছে, লাইভ করছে, ছবি তুলছে, তাদের সন্তান যদি ওই ছোট্ট বাচ্চাটার জায়গায় থাকতো তখন কি এই আচরণই করতো? সময় ন'ষ্ট না করে সাথে সাথে বাচ্চাটাকে হসপিটালে নিয়ে গেলে হয়তো ছোট্ট একটা আশা থাকতো। শেষ একটা চেষ্টা করা যেতো। মা- বাবা নিশ্চয়ই ওই ভি'ডি'ও দেখে ভুবন কা'পাঁ'নো কান্না কাঁদছে। আমরা মানুষ হলাম কোথায়? আর কখন মানুষ হব? বিবেক এত অভাবী একটা শব্দ? যে ওইখানে উপস্থিত কারো মাঝেই ইচ্ছে হলো না ছেলেটাকে ধরতে? ওইখানে উপস্থিত মানুষগুলো হয়তো, পৃথিবীতে জীবন-যাপন করবে। কিন্তু, সারাজীবন বিবেকহীনতা তাদের ভো'গা'বে। অবশ্য মনুষ্যত্বহীন মানুষের আবার বিবেক থাকে না।

© collect

২১ জুলাই ২০২৫ এর কালো অধ্যায় 😢😢

“আম্মু আমি আজ স্কুলে যাব না।”৭ বছরের বয়সী জুনায়েদের কথা শুনে মা ধ'ম'কে বললেন,“একদম না যাওয়ার বায়না ধরবে না জুনায়েদ। যেতে...
23/07/2025

“আম্মু আমি আজ স্কুলে যাব না।”

৭ বছরের বয়সী জুনায়েদের কথা শুনে মা ধ'ম'কে বললেন,

“একদম না যাওয়ার বায়না ধরবে না জুনায়েদ। যেতে হবে, চলো রেডি হও।”

“মা, ভালো লাগছে না আমার। কাল থেকে যাই?”

“না, বাবা এখনি যেতে হবে। স্কুল থেকে আসার পর, তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব। কেমন?”

জুনায়েদের চোখ চকচক করে উঠল। বলল,

“সত্যি!”

“হ্যাঁ, সত্যি।”

জুনায়েদকে স্কুলের জন্য রেডি করে মা, আর ছেলে বেরিয়ে পড়লো। স্কুল গেইটে জুনায়েদকে নামিয়ে মা হেসে বললেন,

“আম্মু, বাসায় গিয়ে চিকেন রান্না করব, তোমার জন্য। ঠিক আছে?”

“ওকে, আম্মু।”

জুনায়েদের মা, রান্না করছিল। হঠাৎ নিউজ পেল, জুনায়েদের স্কুলে বিমান ক্র্যাশ করেছে। হাত থেকে চিকেনের পাতিলটা পড়ে গেল। কাঁ'পা কাঁ'পা হাতে জুনায়েদের বাবাকে কল দিলো। তারপর, ছুটে বেরুলো ছেলেকে খুঁজতে। “জুনায়েদ, ঠিক আছেতো?”
তারপর? তারপর, ২ ঘন্টা খোঁজার পর, হঠাৎ দেখতে পেলো, “পো/ড়া দে'হ নিয়ে জুনায়েদ তার আম্মুর দিকেই এগিয়ে আসছে। মুহুর্তেই পড়ে গেল মা'টিতে। শেষ নি’শ্বা’স ত্যাগ করলো জুনায়েদ। কলিজা কাঁ/পি/য়ে দেওয়ার মত চিৎ’কা’র করে উঠল জুনায়েদের বাবা-মা। মা কান্না করতে করতে বললেন,

“আমার বাজান, আমার বাজানে, না করছিল আম্মু আজ আমি স্কুলে যাব না। আমি জো'র করে পাঠিয়েছি। আমার বাজানে আজকে বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল আমার সাথে। ওহ বাজান, চিকেন খাইবা না তুমি? আব্বা, আমারে নিঃস্ব করে তুমি কই চইলা গেলা আব্বা?”

জুনায়েদের আর বাসায় ফেরা হলো না, চিকেন খাওয়া হলো না, তার আম্মুর সাথে ঘুরা হলো না, আর, হোমওয়ার্কও করা হলো না।

©

মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা উত্তরা।
২১ জুলাই ২০২৫ ( ইতিহাসের কালো অধ্যায়)

শরীরের কোন অংশে একটুখানি গরম পানি লাগলে একটু গরম চা লাগলে জ্বলে যায়, যে আমরা সহ্য করতে পারি না 😢 তাহলে এই সোনা মানিকগুল...
22/07/2025

শরীরের কোন অংশে একটুখানি গরম পানি লাগলে একটু গরম চা লাগলে জ্বলে যায়, যে আমরা সহ্য করতে পারি না 😢 তাহলে এই সোনা মানিকগুলো কিভাবে এতকষ্ট সহ্য করছে মনে আসলেই কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে 😭😭 উহ তাদের বাবা মা কেমন করছে😢 আল্লাহ তাদের সহায় হোন 🤲🤲
যারা চলে গেছে তারা তো চলে গেছে অনেক কষ্ট সহ্য করে 😢 কিন্তু যারা বেঁচে আছে তাদের কি অবস্থা কি যন্ত্রনা আল্লাহ 😭

পরিকল্পিত সবকিছু কখন যে এলোমেলো হয়ে যাবে আমরা কেউই তা জানি না,,,,কখন যে হাসতে থাকা আকাশ হাহাকারে পরিণত হয় তাও আমরা জান...
22/07/2025

পরিকল্পিত সবকিছু কখন যে এলোমেলো হয়ে যাবে আমরা কেউই তা জানি না,,,,
কখন যে হাসতে থাকা আকাশ হাহাকারে পরিণত হয় তাও আমরা জানিনা,,,,,
মাঝে মাঝে কান্নারা এসে বুঝিয়ে দিয়ে যায় তাও আমরা বুঝতে চাই না,,,,,
আমাদের সৃষ্টিকর্তা যা জানেন তা আমরা জানি না,,
😢😢😢😢
এই নির্ঘুম রাত এই হাহাকার কারো কারো জীবন থেকে কখনোই যাবে না,,, কখনোই তারা তা ভুলতে পারবে না ,, কি এক কঠিন যন্ত্রণা 😭😢💔

#নীল_মালতীলতা

Story of Neel Maloti Lota

😭😭হে আল্লাহ সবাইকে আপনি হেফাজত করুন। এক একটা দগ্ধ শরীর দেখে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে  😭😭
21/07/2025

😭😭
হে আল্লাহ সবাইকে আপনি হেফাজত করুন। এক একটা দগ্ধ শরীর দেখে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে
😭😭

20/07/2025

যখন প্লেটে আসে সুগন্ধী বিরিয়ানি, তখন মনের মধ্যে কি যে আনন্দ,,,,

 #দুঃখের_পরে_সুখ #পর্ব : ১৫ #লেখা:  #নীল_মালতীলতা কপি করা নিষেধ ❌❌জয়া এবং মাহনূর একই ব্যাচের তবে তাদের প্রতিষ্ঠান আলাদা...
19/07/2025

#দুঃখের_পরে_সুখ
#পর্ব : ১৫
#লেখা: #নীল_মালতীলতা

কপি করা নিষেধ ❌❌

জয়া এবং মাহনূর একই ব্যাচের তবে তাদের প্রতিষ্ঠান আলাদা।

জাবের এবং অশিক দুজনে বন্ধু হওয়ার সুবাধে অশিক এবং জাবের দুজনেই তাদের বাড়িতে মোটামুটি আসা-যাওয়া করতো। তখন জয়া অনেকটা ছোট ছিল। তবুও আশিক তাদের বাড়িতে আসলে তার অনেক ভালো লাগতো। এরকমই দিন চলতে ছিল।

বেশ কয়েকদিন ধরেই জয়া খেয়াল করল যে অশিক এখন আর তাদের বাড়িতে আসে না। আর তার ভাই ও অশিকের নাম মুখেও নেয় না।
একদিন কথায় কথায় জয়া তার ভাইকে জিজ্ঞেস করেই ফেলল, ভাইয়া তোমার ওই বন্ধুটা এখন আর আমাদের বাড়িতে আসে না কেন??

এখন সেখানে তার মা বাবাও উপস্থিত ছিল।

মায়া বেগম জিজ্ঞেস করলেন,, হ্যারে জাবের অসিক তো অনেকদিন ধরে আমাদের বাড়িতে আসে না কোথায় গেল রে ছেলেটা।

ওই রাসকেল টার কথা আর কখনো আমার সামনে উচ্চারণ করবে না মা।

এই কথা শুনে সবাই ভ্রু কুচকে তাকানো জাবের দিকে,,

মায়া বেগম বললেন কেন রে,, কি এমন হয়েছে তোদের মধ্যে,,

ও এখন জেলে মা,, আশা করছি তোমরা আর কিছু জিজ্ঞেস করবে না।

এরপর থেকে ওই বাড়িতে অশিককে নিয়ে আর কোন কথা ওঠেনি।

এদিকে, অশিকের ছিল কালো ব্যবসার জগৎ। সেখান থেকেই কেউ একজন আশিককে জেল থেকে ছাড়িয়ে নেয়। আর পুলিশকে টাকা দিয়ে এই বিষয়টা সেখানেই ধামাচাপার দিয়ে দেয়। যা যাবে ঈদ ছিল সম্পূর্ণ অজানা। পুলিশ টাকা পেয়ে বিষয়টা সেখানেই শেষ করে দেয়। তাকে টাকা দিয়ে বলা হয়েছিল অশিক জেল থেকে বেরিয়েছে এটা যেন কোনভাবেই জাবের এর কানে না যায়। তাই জাবেরও এত বছর কিছুই জানতে পারেনি।

জেল থেকে এসে অশিক নিজের কাজে ব্যস্ত হয় এবং সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে জাবেরের থেকে প্রতিশোধ নেয়া যায়। হঠাৎ একদিন জাবেরের বোন জয়া আশিকের নজরে আসে। জয়া যে জাবেরের নিজের বোন নয় সেটা সে একদিন আড়াল থেকে শুনে ফেলেছিল । অসিক যে কথাটা জানে সেটা জাবের কেও আর পরবর্তীতে বলেনি। আশিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চেয়েছে। ও জানতো জয়া ওর নিজের বোন না হলেও ও বোনকে অনেক ভালোবাসে। জয়া কে কষ্ট দিতে পারলে হয়তো ও অনেক কষ্ট পাবে সেই ভেবে জয়াকে নিজের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। জয়ার যেহেতু অসিকের প্রতি খানিক দুর্বলতা ছিল,, তাই তাকে নিজের প্রেমে ফেলতে অতোটা বেক পেতে হয়নি। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অশিক জয়ার ব্রেন ওয়াশ করতে শুরু করলো। জয়াকে বোঝাতে লাগলো,, তার ভাইয়ের জন্য তাকে জেল খাটতে হয়েছে। তার ভাই যদি অসিকের পক্ষ নিয়ে একটুখানি কথা বলতেও তাহলে তাকে এতগুলো দিন জেলে কাঁটাতে হতো না। অশিক খুব সুন্দর করে বোকা জয়াকে বোঝালো তার তেমন কোন দোষই ছিল না। প্রেমে অন্ধ জয়াও সেটাই বিশ্বাস করতে থাকলো। আশিকও সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে জয়াকে জাবেরের প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে দিল। জয়াক বুঝালো তার ভাই কোনদিনও তাদের মেনে নেবে না। জয়ার মনেও জাবের এর প্রতি একটা বিদ্বেষ তৈরি হলো। তার প্রিয় মানুষকে কষ্ট দেয়ায় সেও তার ভাইকে খানিক কষ্ট দিতে চাইল। এর মধ্যেই জাবেরের জীবনে মাহনুরের আগমন ঘটলো। মাহনূরের প্রতি জাবেরর পাগলামো ভালোবাসা জয়ার মনে আরও বিষের মত লাগলো। সে দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী,, আর মাহনুর তার ধারে কাছেও নয়। অথচ তার ভাইয়ের সেই মেয়েকে নিয়ে এত পাগলামি এত ভালোবাসা,, অসিককে সে এমনিতেও পছন্দ করে না মানে তার ভালোবাসা জাবের কখনো পেতে দিবে না। তাই জয়া পন করলো সেও জাবের কে তার ভালোবাসা পেতে দিবে না। জয়ার কাছে জাবের আর মাহনুরের গল্প শুনে অশিক অচিরেই বুঝে গেল জাবেরের আসল দুর্বলতা হচ্ছে মাহনূর। জাবের কে কষ্ট দিতে অবশ্যই তার হাতিয়ার হবে মাহনূর। আর জয়ায়া যেহেতু আছে তাকেও সে কাজে লাগাতে পারবে ভেবে মনে মনে কুটিল হাসলো। বোকা জয়া কিছুই আঁচ করতে না পেরে বেইমানি করতে লাগলো।

জাবের কিংবা মাহনুরের মেডিকেল রিপোর্টে এমন কোন কিছুই আসেনি যা নিয়ে তাদের মধ্যে এত ঝামেলা হল। তাদের রিপোর্ট ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং নরমাল। শুধু তাদেরকে আলাদা করার জন্য,, কষ্ট দেওয়ার জন্যই এত কিছু করা।

এতোটুকু বলেই জয়া হেঁচকি তুলে কাঁদতে লাগলো,, কান্নার তোপে সামনে আর কথা আগাতে পারছিল না।

আর এতোটুকু শুনে ঘরের সবাই স্তব্ধ হয়ে বসে থাকলো।

হঠাৎ একটা শব্দ শুনে সবাই সেদিকে ফিরে চাইল,,

জাবের এখানে বসা ছিল তার পাশেই একটা ফুলদানি রাখা ছিল সেটাই সে ছুড়ে মেরেছে। রাগে অনুতাপে তার চোখ জোরার ভেতরে অসংখ্য লাল রেখার তৈরি হলো । সবাই তার দিকে চাইলেও মাহনূর ভুল করেও তার দিকে চাইলো না। তবে সে ভাঙ্গা ফুলদানির টার দিকে ঠিকই ফিরে চাইলো।

ব্যাপারটা জাবের লক্ষণ করে আরো অনুতাপে পুড়তে লাগলো।

ততক্ষণে জয়া নিজেকে খানিক ঠিক করে আবারো বলতে শুরু করলো,,

সেদিন জয়া অসিককে কিছু না জানিয়ে তার বাড়িতে গিয়েছিল, তার ঘরে প্রবেশ করার পূর্বেই সবকিছু সে শুনতে পায় আঁড়াল থেকে। জয়াকে পাচার করবে, আর মাহনূরকে নিজের র*ক্ষি*তা করে রেখে তার প্রতিশোধ পূরণ হলে মাহনুরকেও পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নিজের দিকে আঙুল ওঠায় জয়ার চোখ খুলল,, কিন্তু সে পালাতে গিয়েও ব্যর্থ হল। বন্দী হয়ে রইল আশিকের আস্তানায়। হাজার খুঁজেও পালানোর পর যখন পেল না একমাত্র আল্লাহকে ডাকতে থাকলো জয়া। আল্লাহকে ডেকে জয়া একটুও নিরাশ হয়নি। উপরওয়ালা জয়াকে একটা পথ বের করে দিয়েছে। আর তার সাহায্যে জয়া সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। জয়া রাতের আধারে এতিমখানায় মাহনূর যেখানে থাকে সেখানে পৌঁছালো। এরপর মাহনূরের পায়ে পড়ে অনেক কাঁদলো আর ক্ষমা চাইলো। মাহনুর তাকে আর শান্ত হতে বলল,, বলল,,

সবকিছু এত সহজ নয় জয়া,, তুমি যা করেছ তা ক্ষমার অযোগ্য। তবে তুমি অনুতপ্ত! তাই তোমার একটা সুযোগ অবশ্যই দরকার। তুমি নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করো আমিও চেষ্টা করব তোমাকে ক্ষমা করে দেয়ার। তার জন্য তোমাকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তোমার কাজগুলোই এমন যে তোমাকে চাইলেই ক্ষমা করা যায় না। তোমাকে চেষ্টা করতে হবে সবার কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার।

এরপর রুনা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলল,, আম্মা আমাদের উচিত জয়াকে অন্য কোথাও লুকিয়ে রাখা।

হ্যাঁ শুধু জয়া কে না তোমাকেও।।

না না তা কি করে হয় তাহলে তোমাদের ওপরে ঝড় আসতে পারে আম্মা, তা আমি কিছুই হতে দিতে পারি না।

আমরা সবাই লুকিয়ে পড়লে ওরা বুঝতে পেরে যাবে যে জয়া আমাদের সাথে আছে আর আমরা সবাই একসাথেই আছি। তখন যদি এখানকার বাচ্চাদের উপরে কোন ঝড় আসে তখন আমরা কি করব?

এক মিনিট আম্মা,, তুমি কি ওই লোকটাকে বিয়ের জন্য হ্যা বলে দিয়েছিলে ??

না না আমি তো এখনো সেরকম কিছু বলিনি।

তাহলে কাউকে কোথাও লুকাতে হবে না।

মানে??

এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ওরা খোঁজ নিয়েও বুঝতে না পারে যে জয়া এখানে আছে। আর তুমি ওদেরকে বলে দেবে যে আমাকে এখনও রাজি করাতে পারোনি। এমনভাবে সবকিছু করবে যাতে ওরা কিছুই বুঝতে না পারে,, ঠিক সেরকম ব্যবহার করব।

হ্যাঁ এটা তুমি ঠিক বলেছ মাহনূর।

জয়া মাহনূরের দিকে কৃতজ্ঞার চোখে চেয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো,,, এত এত ভালোবাসা সে শুধু পায়ে ঠেলে দিয়েছে। তবুও তারা আবার তাকে ঠাই দিচ্ছে। এই মেয়েটার সাথে সে কত খারাপ ব্যবহারটাই না করল।

এত ঝামেলার মধ্যে মাহনুর, রিমি কিংবা রুনা বেগম কেউ একবারও জাবেরের কথা জানতে চায়নি জয়ার কাছে। মাহনুর জাবের কে কতটা ভালোবাসে সেটা জয়া জানে আর তাই সেই মুহূর্তে সেও কিছু বলতে পারেনি। অসিক এখানে এসে জয়ার খোঁজ করে যখন পেল না তখন ঝামেলা খানিক কম ভেবে,, জয়া তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলো। একটা সময় জয়া তাদের তিনজনকে জাবেরের এক্সিডেন্টের কথা বলল। যা শুনে মাহনুর এতটাই পাগলামি করলো যে,, অনেক দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ল।
তাকে আটকে রাখতে সবাইকে অনেক বেগ পোহাতে হল। এরপর যখন জাবের এর অবস্থা উন্নতির দিকে এলো মাহনুর ও আস্তে আস্তে নিজেকে ঠিক করতে লাগলো। তবে সে ভেবে নিল জাবের কে এত সহজে সে কখনোই ক্ষমা করবে না। জাবের ভুল করেছে,,শুধু ভুল নয় চরম ভুল করেছে। এর শাস্তি জাবেরকে পেতেই হবে।

মাহনূর কে চুপচাপ দেখে হয়তো জয়া খানিকটা আন্দাজ করলো,, সে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও ভাইয়ার কোন দোষ নেই সেও অনেক কষ্ট পেয়েছে। তবুও জয়া তার ভাবনা কাউকে বুঝতে দিল না।

-------------------------

ড্রয়িং রুমেটা এতটাই নীরব যে শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দই কারো কানে আসছে না। সবাই একেবারে স্তব্ধ হয়ে রইল। কারো মুখে কোন কথা নেই, কিইবা বলবে সবাই। কোথাকার কাহিনী কোথায় এসে গড়ালো!!!

অসিকের সাথে জাবেরের বেশ গভীর বন্ধুত্ব ছিল একসময়। কিন্তু আশিকের কৃতকর্মের জন্য আস্তে আস্তে তাদের বন্ধুত্বের ভাটা পড়তে থাকে। আর যখন মাত্রা ছাড়িয়ে গেল তখন আর জাবের মোটেও মুখ বুজে রইল না। অশিককে তার কৃতকর্মের শাস্তি দিতে চাইল। কিন্তু তাদের সে ব্যর্থ হল। আর তার ভালোবাসা কষ্ট পেলো।

হঠাৎ নীরবতা ভেঙ্গে জাবের বলল,,, জয়া তুমি কি জানো অশিককে কেন জেলে দেওয়া হয়েছিল??

জয়া বেশ অবাক চোখে তার ভাইয়ের মুখপানে চাইল তার ভাই সব সময় তাকে বোন বলেই ডাকে, কিন্তু এখন সে নাম ধরে ডেকেছে,, কিছুই করার নেই এটা তার কৃতকর্মের ফল। তবুও নিজেকে সামনে নিয়ে বলল,, না ভাইয়া

প্রেমে তুমি এতটাই অন্ধ হয়ে গেলে যে যাদের কাছে বড় হয়েছো সেই পরিবারকে একটা রেপিস্টের জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছিলে??

জয়ার মাথায় যেন বাজ পড়,, রেপিস্ট!

হ্যাঁ,, আর তারই সাক্ষী আমি দিয়েছিলাম,, হাহ ভাবতেও অবাক লাগছে,, আরে আমরা তো তোমাকে খুব ভালোবাসতাম, কোথায় কম দিয়েছিলাম বলো। তুমি মাহনুরকে হিংসা করে,, আমার ভালবাসাকে হিংসা করে এই কাজ করতে তোমার একটুও বাধলো না???

জয়া দৌড়ে গিয়ে তার ভাইয়ের পা দুটো চেপে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ল,, বলল ভাইয়া আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে আমায় ক্ষমা করো প্লিজ ভাইয়া, আর কোনদিন তোমাদের কখনো কষ্ট দিব না।

মাহনূর খুবই শান্তভাবে ভাঙ্গা ফুলদানিটার দিকেই তাকিয়ে রইল সেই তখন থেকে। তার মনটাও তো এই ফুলদানিতার মতোই ভেঙে ফেলেছে দিয়েছে জাবের। ওটা তো আর জোড়া লাগানো যাবে না একদম ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে গিয়েছে। তাহলে মাহনূরের মনটা কিভাবে জোড়া লাগবে।

জাবের জয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজেকে জয়ার থেকে ছাড়িয়ে একবার মাহনুরের মুখের দিকে চেয়ে চলে যেতে উদ্দত হলো নিজের ঘরের উদ্দেশ্যে,,

দু পা এগোনোর পরেই শুনতে পেলেও তার কাঙ্ক্ষিত গলার স্বর,,,,,,

চলবে,,,,,,

 #দুঃখের_পরে_সুখ #নীল_মালতীলতা সবকিছু এত সহজ নয় জয়া,, তুমি যা করেছ তা ক্ষমার অযোগ্য। তবে তুমি অনুতপ্ত! তাই তোমার একটা ...
19/07/2025

#দুঃখের_পরে_সুখ
#নীল_মালতীলতা
সবকিছু এত সহজ নয় জয়া,, তুমি যা করেছ তা ক্ষমার অযোগ্য। তবে তুমি অনুতপ্ত! তাই তোমার একটা সুযোগ অবশ্যই দরকার। তুমি নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করো আমিও চেষ্টা করব তোমাকে ক্ষমা করে দেয়ার। তার জন্য তোমাকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তোমার কাজগুলোই এমন যে তোমাকে চাইলেই ক্ষমা করা যায় না। তোমাকে চেষ্টা করতে হবে সবার কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার।

 #দুঃখের_পরে_সুখ #পর্ব : ১৪ #লেখা:  #নীল_মালতীলতা 🚫কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ 🚫 নিঃস্বার্থভাবে মনের গহীন থেকে কাউকে ভালবাসলে...
18/07/2025

#দুঃখের_পরে_সুখ
#পর্ব : ১৪
#লেখা: #নীল_মালতীলতা

🚫কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ 🚫

নিঃস্বার্থভাবে মনের গহীন থেকে কাউকে ভালবাসলে কারো মায়ায় আটকে গেলে সেই মায়া কাটানো কোনভাবেই সম্ভব হয় না। হয়তো দিন কেটে যায় রাত কেটে যায় মাস কেটে যায় বছর কেটে যায় তবুও সেই মানুষটার হৃদয়ে খুব বেশি কষ্ট অনুভব করে।

মাহনূরের হৃদয়টাও সেরকম কষ্টে জর্জরিত। সে ভাবছে,, কেন ভালবাসতে গেল। ভালো না বাসলে তো আর এত কষ্ট পেতে হতো না। কই ছোটবেলা থেকে তো অবহেলায় বড় হয়েছে তখন তো এত কষ্ট হয়নি। তাহলে এখন কেন এত কষ্ট হয়। আচ্ছা সেই মানুষটাও কি আমার জন্য কষ্ট পায়?? পায় হয়তো। জয়াতো বলেছিলো,, ওর কাছে আসার পথেই নাকি মানুষটা এক্সিডেন্ট করেছে। সেই এক্সিডেন্টের তার ফোন ভেঙে গিয়েছিল । তার জন্যই তো সেদিন ফোন করেও পায়নি। কি প্রয়োজন ছিল এত কিছু করার। আমার তো শুধু তাকেই প্রয়োজন ছিল। তাহলে তো আমি সবকিছু ত্যাগ করতে পারি। তারতো প্রয়োজন ছিল আমাকে জিজ্ঞেস করার, সত্যটা বলার।

মাহনূর মা কি করছিস??

আম্মা এসো ভেতরে, এইতো কিছু না,

এই নে তোর ফোনটা বাজছিল আমার ঘরে তখন রেখে এসেছিস।

আমাকে আবার কে ফোন করতে যাবে বলোতো।

জাবেরের মা,

হুম, কি বলো উনি আবার কেন আমায় ফোন করতে গেলেন।

দেখ তোর মনোমালিন্যতা জাবেরের সাথে উনার সাথে তো আর না। তাছাড়া তাকে তুই মা বলেও ডেকেছিস, সে তোকে খুব ভালবাসে সেটা তুইও জানিস, যথেষ্ট স্নেহ করে, এতদিন পরে দেশে ফিরেছে, তোর কাছে নিজে থেকে ফোন দিয়েছে, তুই কথা বলবি না?

আচ্ছা দাও কথা বলছি,

আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন? বাড়িতে সবাই ভালো আছে?

ফোনের অপর পাশের দুই ব্যক্তি হা করে তাকিয়ে রইল মাহনুরের কথা শুনে,

জাবেরের মনটাও একেবারে খারাপ হয়ে গেল।

মায়া বেগম বললেন,,, এই মেয়ে কি বললি তুই, আমাকে কি বলে ডাকলি।

কেন?? আন্টি বলেছি,

তোর অভিমান তো জাবের এর উপরে তাহলে আমাকে কেন আন্টি বলে ডাকতে যাবি, তুই আমাকে মা বলেই ডাকবি।

আপনাকে মা বলে ডাকার কারণটাই তো ছিল সে, এখন আমি কোন মুখে আপনাকে মা বলে ডাকবো ।

সামনে পেলে ঠাটিয়ে দুটো চড় বসাতাম আমি বে*য়া*দ*ব মেয়ে , ওই ছেলে কারণ ছিল মানে কি, তুই আমার মেয়ে, আর মেয়েরা কি মাকে আন্টি বলে ডাকে?

আসলে,,

কোন আসলে নয়,, ও তো আমার ছেলে, যদি ওর জন্য আমাকে মা বলে ডাকতিস তাহলে তো তুই আমার ছেলের বউ হতিস, তাহলে কি আমি তোর সাথে এত ভালো করে কথা বলতাম,, কিন্তু তুই তো আমার মেয়ে, আর তুই কালকেই আমার বাড়িতে চলে আসবি, কতদিন আমার মেয়েটাকে দেখিনা।

আচ্ছা আমি তোমাকে মা বলেই ডাকবো তবু এমন আবদার করো না, আমি ওই বাড়িতে যেতে পারবো না, প্লিজ মা।

না তোকে আসতেই হবে। এটা কিন্তু আমার অনুরোধ।

মা প্লিজ এমন কেন করো আমি তো তোমার মেয়ে, তাহলে এমন করে কথা বলছ কেন??

কাল তুই আসছিস এবং তোর আম্মা আর বান্ধবীকে নিয়ে আসছিস এটাই আমার শেষ কথা। এখন রাখছি কাল দেখা হবে ভালো থাকিস, আল্লাহ হাফেজ। এসব বলে ফোন রেখে দিলেন মায়া বেগম মাহনূরকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই।

,
,
,
,

আমি ওই বাড়িতে যেতে চাই না আম্মা, কেন বুঝতে চাইছে না মা,

আমাদের ঐ বাড়িতে যাওয়াটা খুব জরুরী, এখানে অনেক অনেক কথা লুকিয়ে রয়েছে জয়া বলেছিল আমাদের, মনে নেই তোর।

হুম মনে আছে, কিন্তু,,

আমি জানি জাবের তোকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল তাই তুই যেতে চাইছিস না।

শুধু বের করে দেয়নি আম্মা, ওই বাড়ির তৃ সীমানায় যেতেও নিষেধ করে দিয়েছে।

আমি বুঝতে পারছি,, তবুও শেষবারের মতো অনুরোধ করছি প্লিজ চল মা,,

ঠিক আছে যাচ্ছি আমি,

মাহনূরের কথা শুনে রুনা বেগম ও রিমা দুজনই খুশি হয়।

,
,
,
,

সকাল ৮ টা,,,,,,

রুনা বেগম মাহনুরকে নিয়ে খুব সকালেই চলে এসেছেন জাবেরের বাড়িতে।

সেই যে গেটের ভির পা দিয়েছিল মাহনুর তখন থেকেই জাবের তার দুচোখের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে প্রেয়সির দিকে তাকিয়ে থেকে। কতদিন পর দেখছ তাকে। এতকিছুর মধ্যে মাহনুর একবারও ফিরেও তাকায়নি জাবেরের দিকে। শুধু জাবেরের বাবা-মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে নিচের দিকে যে তাকিয়ে আছে আর ওপরে চোখ তোলেনি।

জয়া খেয়াল করেছে তার ভাইকে। ভাইয়ের সাথে এখন মিষ্টি মধুর সম্পর্ক থাকলে কাছে গিয়ে মজা নিতে পারত, বলতো,, ভাইয়া দেখার জন্য সারা জীবন পড়ে আছে এখন চোখ দুটো সরা, কিন্তু আফসোস সেটা বলার মতন না আছে সম্পর্ক না আছে মুখ কোন মুখে ভাইয়ের কাছে গিয়ে দাঁড়াবে ভাই তো তার সাথে কথাই বলে না।

সবাই উপস্থিত রয়েছে ড্রয়িং রুমে, যে যার মত বসে পড়েছে এবার, মায়া বেগম একটু জোরে গলা খাকারি দিলেন। এতে জাবেরের হুস ফিরলো । সে মায়ের চোখে দিকে তাকিয়ে খানিকটা লজ্জাও পেল।

জাহিদ হোসেন বললেন,, মাহনুর মা, সবকিছুই আমি শুনেছি, তোমার সাথে যা হয়েছে তা খুব অন্যায় হয়েছে, তার জন্য নাকি তুমি তোমার মাকে আংটি বলে ডেকেছে, আর আমাকে তো তুমি কিছু ডাকোইনি। আমাদের ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের তোমার মা বাবার জায়গাটা দিতে পারবে না মা?

মাহনুর জলভরা চোখে জাহিদ হোসেনের দিকে তাকালো। ভাবলো এই মানুষগুলো এত ভালো কেন, এতো ভালো মানুষ আছে এই পৃথিবীতে এখনো। বলল,,, এ আপনি কি বলছেন বাবা,

এইতো মেয়ে আমাকে বাবা বলে ডেকেছে, এখন থেকে ওই হতচ্ছাড়ার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই তুমি শুধু আমাদের মেয়ে,

এ কথা শুনে উপস্থিত সবাই খানিক হাসলো,, মাহনূর নিজেও মলিন হাসলো, কিন্তু জাবেরের দিকে ফিরল না।

তো যাই হোক, জয়া তুমি আমাদেরকে কিছু বলবে বলেছিলে,, আমরা সব শুনতে চাই আর এও শুনতে চাই তুমি কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে? আর ফিরলে কি করে আর কোথায় ছিলে তুমি সবকিছু আমাদের খুলে বল । তোমার কোন ক্ষতি হয়নি তো?

না বাবা আমি ঠিক আছি,,

হুম, এবার তুমি শুরু করো আমাদের কি বলতে চাও।

আমি একদম শুরু থেকেই তোমাদের বলছি,,

হুম,, অবশ্যই শুরু থেকে বলবে, আমরা তোমার সব কথা শুনবো।

,
,
,

ভাইয়ার বন্ধু অশিক,,

অশিকের নাম শুনে জাবের ভ্রু কুচকে তাকালো জয়ার দিকে। বলল,, অসিক,, তুমি কোন অসিকের কথা বলছো? ঐ রা*স্কে*ল টার কথা,
কিন্তু ওরতো এখন জেলে থাকার কথা???

ও অনেকদিন আগেই জেল থেকে পালিয়েছে ভাইয়া। আর এসব কিছুর পিছনে ওরই হাত আছে। আর ওকে আমি সাহায্য করতাম।

শেষের কথাটা ঘরে যেন বজ্রপাতের মত ঠেকলো সবার কাছে। সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। মায়া বেগম মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে যেন ভুলে গেলেন।

অনেকটা সময় সবাই স্তব্ধ হয়ে থাকার পর হঠাৎ একটা শব্দে সবার হুঁশ ফিরল,,,

মায়া বেগম মেয়ের গালে চড় মেরেই যাচ্ছেন,,

আর কাঁদতে কাঁদতে বলছেন এইজন্য তোকে আমি মানুষ করেছিলাম??

রুনা বেগম তাকে গিয়ে থামালেন,,,, কি করছেন আপা বাচ্চা মেয়েটাকে এভাবে মারবেন না, আগে ওর সব কথা শুনুন।

কি শুনবো আর আপনি বলুন,, এই সবকিছুর পেছনে ও আছে সেটা ও নিজের মুখে বলার পর আমি নিজেকে কিভাবে ঠিক রাখতে পারি। পরের মেয়ের জন্য আজ আমার নিজের পেটের ছেলেটা কষ্ট পেল।

মায়া বেগমের এই কথাটা জয়ার কানে যেন বিষের মতো ঠেকলো। তারমানে অশিক্ষিক বলেছে আমি এদের আপন কেউ না।

তাৎক্ষণিক জাহিদ হোসেন মায়া বেগম কি ধমকে উঠলেন,, আাহ জবেরের মা, কি বলছ তুমি? শান্ত কর নিজেকে।

তখনই মায়া বেগম নিজের হুশে ফিরে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন ভাবতে লাগলেন এ আমি কি করলাম এতদিনের লুকানো সত্যটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল। তিনি মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলেন মেয়েটা তার দিকে ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছে। তিনি আবারও ভাবলেন মেয়েটা তার নিজের পেটের না হলেও সে তো মানুষ করেছে। আর তার নিজের মেয়ে যদি এরকম করতো তাহলে তিনি তাকেও কোনোভাবেই ছাড় দিতেন না।

এতটা সময় মাহনুর ও জাবের ছিল নিরব দর্শক।

এবার জাবের গম্ভীর কণ্ঠে বললো ,, জয়া তুমি তোমার কথাগুলো কন্টিনিউ করো,, আশা করি তুমি আমাদেরকে আপন ভেবে সব কিছু সত্য কথা বলবে,,

ভাইয়া তোমরাই তো আমার আপন তোমরা ছাড়া যে আমার আর কেউ নেই।

কে বলেছে তোমার কেউ নেই আছে তো অসিক, নিশ্চয়ই আমাদের চেয়েও সে তোমার অনেক বেশি কাছের এবং আপন।

জাহিদ হোসেন আবারো ধমকে উঠলেন,, জাবের কি শুরু করলে তোমরা মেয়েটাকে সব কথা শেষ করতে দাও,, মা জয়া তুমি বল কি হয়েছিল?

জয়া এবার শব্দ করেই কেঁদে দিলো,, এতক্ষণে সে বুঝে গেছে তার এই বাড়ির সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক নেই, তবুও এই বাবা ডাকা মানুষটা তাকে মা বলে সম্বোধন করছে। আর সে কি করছিল।

জাহিদ হোসেন এবার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, কান্না করো না মা, যা সত্যি তা তুমি আমাদের খুলে বল।

জয়া এবার নিজেকে শান্ত করে বলতে শুরু করলো,,,

চলবে,,,,,

ডিসকোনের যুগে ভ্যানিলা খাচ্ছি 🥹🥹🥹 জানিনা এই সমাজের জাতি আমাকে মেনে নিবে কিনা 🥲🥲
18/07/2025

ডিসকোনের যুগে ভ্যানিলা খাচ্ছি 🥹🥹🥹
জানিনা এই সমাজের জাতি আমাকে মেনে নিবে কিনা 🥲🥲

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Story of Neel Maloti Lota posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Story of Neel Maloti Lota:

Share