The Voice of People 21 দি ভয়েস অফ পিপল ২১

The Voice of People 21 দি ভয়েস অফ পিপল ২১ আকর্ষনীয় বানী পেতে আমাদের সাথেই থাকু?

সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন-আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে!দেশের চলমান সংকটজনক রা...
12/11/2023

সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন-
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে!

দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন

নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মাবাদ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আহুত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রামরত সকলের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। একই সাথে উপস্থিত সকল সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
খুবই দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। দেশের পরিস্থিতি আপনারা জানেন। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরে এসে এ ধরণের পরিস্থিতি আমাদের কারোই কাম্য ছিলো না। একজন নেতা এবং একটি দলের গোয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবীও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনরুপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নিয়ে আপনাদের অবহিত করতেই আজকের এই আয়োজন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাকে গভীরভাবে দেখলে এর কিছু ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখতে পাইঃ-

১. রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারী দল আওয়ামী লীগের সীমাহীন গোয়ার্তুমি।
নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষি হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরী। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এই প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কর্যকর করা যায় নাই। যারফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাড়ায়। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চুড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২. স্বাধীনতা আক্ষরিক অর্থেই পরাহত।
আধুনিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতার অর্থ হলো, রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে তা নির্ভর করে জনগণের রায়ের উপর। এখানে সংবিধান পর্যন্ত বৈধতা পায় “জনগনের পরম অভিপ্রায়” থাকার কারণে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের পরিস্থিতিকে এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, জনগণের সেই ক্ষমতা আর নাই। এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে সেই প্রশ্নে বিদেশি শক্তির অবস্থানই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে যে, আমেরিকা-ভারতের মতো দু’টি দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনা রাজনীতিতে গুরুত্ববহণ করে। স্বাধীনতার জন্য এরচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না। এদেশকে পরাধিনতার কালো মেঘে আচ্ছন্ন করার এ দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।

৩. সমঝোতার সকল পথ রুদ্ধ
রাজনীতিকে বলা হয় “আর্ট অফ কম্প্রোমাইজ”। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে সেই কম্প্রোমাইজেশন ও বোঝাপড়া, সমঝোতার জায়গা রুদ্ধ হয়ে গেছে। এর দায়ও বর্তমান সরকারের। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, জানোয়ারদের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা নাই, যখন দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়, যখন প্রতিবাদ-সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় তখন রাজনীতির প্রধান উপাদান আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া ও সমঝোতার পথ আর খোলা থাকে না। তাদের ক্ষমতার স্বার্থে বিরোধী দলসমূহকে তাদের সব একগুঁয়েমী মেনে নিতে হবে। কোন বিষয়ে আলোচনা করা যাবে না। ইতিহাস সাক্ষি! আলোচনার পথ রুদ্ধ হলেই “পঁচিশের কালো রাত” তৈরি হয়।

৪. আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে।
বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়ে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিচ্ছে এবং সেইসব কর্মসূচির নামের সাথে “শান্তি” থাকলেও কার্যত তা সন্ত্রাসের কর্মসূচিতে পরিনত হয়েছে। লাঠি নিয়ে মহড়া, যাকে তাকে তল্লাশি করা, আতংক তৈরি করার যে কাজ আওয়ামী লীগ করছে তা ৭১ এর শান্তিবাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

৫. কলংকের নিন্মস্তরে পৌছে গেছে নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশ অতীতেও বিভিন্ন সময়ে লজ্জা ও বিবেক বর্জিত নির্বাচন কমিশন দেখেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন লজ্জা, বিবেক ও মেরুদণ্ডহীণতার সাপেক্ষে অতীতের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের এহেন পরিস্থিতিতেও তারা তফসিল নিয়ে এগুচ্ছে। তারা ক্ষমতাসীনদের মনোরঞ্জনে কাজ করছে।

৬. স্বকীয়তা ও আদর্শ হারানো জনপ্রশাসন
জনপ্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী কোন দলের হয় না, এমনকি কোন সরকারেরও হয় না। তারা হয় রাষ্ট্রের। তারা সরকারের অধিনে কাজ কবে বটে তবে নিজেদের সততা, নীতি ও আদর্শ দিয়ে সর্বদা জনতার স্বার্থেই তারা কাজ করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা এক হতাশাজনক চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তারা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের অন্যায় নির্দেশ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

৭. দেশের অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য ও সুশাসনের চুড়ান্ত অবনতি
এ বিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না। রিজার্ভ পরিস্থিতি, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্য, টাকা পাচার, অদক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমরাও বারংবার এসব নিয়ে আন্দোলন করেছি। এখন নতুন করে এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। এক কথায় বলতে গেলে সুশাসনের অভাবে দেশের অর্থনীতি আজ চরম বিপর্যস্ত।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়েছে। আমরা দেশের আইন-শৃংখলা মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছি। নানাভাবে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি, চাপপ্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আপনারা এক গণবিস্ফোরণ দেখেছেন। সেখানে আমরা সরকারকে সতর্ক করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করার আহবান করেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা ত্যাগের কথা বলেছিলাম। আপনারা জানেন, ইসলামের রীতি হলো, কোন শক্ত অবস্থান নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সতর্ক করতে হয়, সময় দিতে হয়। আমরাও তা দিয়েছিলাম।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
গাজীপুর, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টস শ্রমিকগণ ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবীতে আন্দোলন করছেন। সরকার শ্রমিকদের রুটি-রুজির ন্যায্য আন্দোলন দমনেও র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি দিয়ে গুলি চালাচ্ছে। কাদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করছে। মামলা-হামলা ও গ্রেফতার করছে। এমনকি দলীয় ক্যাডার দিয়েও শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত ৩জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং বহু শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের এহেন নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সরকার বলছে তারা শ্রমিকদের ৫৬% বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির নিরিখে হিসাব করলে দেখা যায় শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি বরং আরো কমেছে।
৫বছর পূর্বে ২০১৮ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী সমন্বয় করে সর্বনিম্ন মজুরী করা হয়েছিল ৮৫০০/- টাকা। তখন প্রতি মার্কিন ডলারের মূল ছিল ৮৩ টাকা। ডলারের হিসাবে শ্রমিকরা তখন বেতন পেত প্রায় ১০৩ ডলার। এখন সর্বনিম্নমজুরী ঘোষণা করা হয়েছে ১২,৫০০/- টাকা। বর্তমান বাজারে (গত কালকের প্রত্রিকায় প্রকাশিত) মার্কিন জলার ১২৭ টাকা। অতএব ডলারের হিসাবে শ্রমিকরা এখন পাবেন মাত্র ৯৮ ডলার। তার মানে ৫ বছর আগে শ্রমিকরা যে বেতন পেতেন সার্বিক বিবেচনায় এখন পাবেন তার চেয়ে প্রায় ৫ ডলার কম। অতএব এটা কিছুতেই ইনসাফ হতে পারে না। আমরা শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধ করে সরকার এবং মালিক পক্ষের প্রতি ইনসাফপূর্ণ মজুরী ঘোষণার আহবান করছি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা আগেও বারংবার বলেছি যে, বর্তমান সরকারের অধিনে কোন জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। কারণ নির্বাচনকালীণ সরকার হিসেবে যে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকার দরকার তা এই সরকারের নাই। এবং এটা বারংবার প্রমানিত হয়েছে। আমরা বিগত সময়গুলোতে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে তাদের শঠতা, প্রতারণা ও সহিংসতা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের চরিত্র যে পরির্বতন হবে না সর্বশেষ লক্ষীপুর ও বি-বাড়িয়ায় হয়ে যাওয়া দু’টি উপ-নির্বাচনও এর প্রমান।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সরকার জনমত উপেক্ষা করে বারংবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি, সংবিধানের গ্রহণ ও মান্যতা তৈরিই হয় “জনগনের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি” এর কারণে। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে যা বলা হয়েছে তাতে এই সংবিধানের যে অংশে যাই থাকুক না কেন, কোন অবস্থাতেই জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করার ইখতেয়ার এই সংবিধান কাউকে দেয় না। তারপরেও সংবিধানের দোহাই দেয়া নির্লজ্জ মতলববাজি ছাড়া আর কিছু না।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরনের জন্য নির্বাচনকালীন “জাতীয় সরকার” এর ধারণা পেশ করেছে। জাতীয় সরকারের ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যমান সংবিধানের মান্যতাও রক্ষা করা যাবে একই সাথে চলতি সংকট থেকেও উত্তরণ হওয়া যাবে। আর জনগনের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে যদি সংবিধানের কোন সংশোধনীও প্রয়োজন হয়, সে সুযোগও রয়েছে। অতীতে কারণে অকারণে ১৭ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশন কোন দলীয় বা সরকারী প্রতিষ্ঠান নয়। এগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সরকার সংবিধানের জপ করে, অথচ এই দুই প্রতিষ্ঠানকে সংবিধান যে ক্ষমতা দিয়েছে তারও যদি অনুসরণ করা হয় তাহলেও জাতি সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে। অথচ আমরা কি দেখলাম? সিইসি রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো করেই কথা বলছেন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দলা›দ্ধ নির্বাচন কমিশন ক্ষমাতাসীনদের চাহিদামত তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একটি নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার পায়তারা করছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে পরিস্কার করে বলেতে চাই, আপনারা জাতীয় নির্বাচনের কোন তফসিল ঘোষণা করবেন না। আপনাদের প্রতি দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের কোন আস্থা নেই। আপনারা দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আর বাড়াবেন না। তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদকগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিজেই বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার মতো কাঙ্খিত পরিবেশ তৈরী হয়নি,
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাঙ্খিত পরিবেশ কখনোই হবে না। অতএব আপনারা পদত্যাগ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি করুন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা আমাদের ৩ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে দাবী করেছিলাম, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসুন। তিনি সেই দাবীর প্রতি কর্ণপাত করেননি। বর্তমান রাষ্ট্রপতির নিয়োগের সময় তিনি যে ধরণের কথাবার্তা বলেছেন, তাতে তার আওয়ামী আনুগত্য প্রকাশিত হয়েছে। তারপরেও দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদের অধিকারী হয়ে তার এই দলান্ধতা অন্ধকারকে আরো নিকষ করেছে। আমরা জাতিকে অন্ধকারে পথ হারাতে দিতে পারি না।

সেজন্য আমরা আবারো দাবী করছি যে,

১. অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
২. রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
৩. দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে।
৪. রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোন অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

কর্মসূচী
১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল।
৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিগণকে নিয়ে আগামী ২০ শে নভেম্বর’২৩ সোমবার ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের ইন্তেকাল পরবর্তী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভ...
14/08/2023

আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের ইন্তেকাল পরবর্তী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি এই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে দলীয় প্রতিনিধি ও শোকার্ত পরিবারের সাথে কথা বলেছেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর পক্ষ থেকে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

10/08/2023

সাতকানিয়া চট্টগ্রামে পানি বন্দিদের সহোযোগিতায় করলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

#সাতকানিয়া
#ইসলামী_আন্দোলন_বাংলাদেশ

08/08/2023

চরমোনাই মাদ্রাসা শিক্ষক মাস্টার মনির ইন্তেকার করেছেন ।

গত মধ্য রাতে বরিশাল থেকে বেলতলা হয়ে সড়ক পথে চরমোনাই আসার পথে চাঁদের হাটের সন্নিকটে বহনকারী (মাহেন্দ্র) গাড়ীতে গাছ চাপা পড়ে তিনি তাৎক্ষণিক ইন্তেকাল করেন।

এ দুর্ঘটনায় সহযাত্রীরা (জামিয়ার ছাত্র) সবাই আহত হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা'কে দেখে বরিশাল থেকে স্বীয় কর্মস্থল চরমোনাইতে ফিরছিলেন।

মাদ্রাসা ছাত্র রেজাউল হত্যার দায় আওয়ামীলীগ কে নিতে হবে -ইসলামী  ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর। আজ বাদ জুম'আ ইসলাম...
04/08/2023

মাদ্রাসা ছাত্র রেজাউল হত্যার দায় আওয়ামীলীগ কে নিতে হবে -ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর।

আজ বাদ জুম'আ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর শাখার উদ্যোগে গত ২৮ জুলাই ছাত্রলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ ঘোষিত শান্তি সমাবেশে দুই পক্ষের অন্তঃকোন্দলে নিরিহ মাদ্রাসা ছাত্র রেজাউল এর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল অনুস্ঠিত হয়।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম বলেন,সরকার দলীয় শান্তি সমাবেশে অন্তঃকোন্দলে মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল হত্যার দায় আওয়ামীলীগকে নিতে হবে।খুনীরা সরকার দলীয় হওয়ায় এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি,যা খুবই নিন্দনীয়।

তিনি আরো বলেন রেজাউল হত্যাকারীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে বিচার এর আওতায় আনতে হবে।যদি তা না করা হয় তবে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আরো কঠিন আন্দোলনে অবতীর্ণ হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ রেদোয়ান এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর এর ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারি বিএম কলেজ শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন।


#ইসলামী_ছাত্র_আন্দোলন_বাংলাদেশ_বরিশাল_মহানগর

নিজে সচেতন হইঅন্যকে সচেতন করিনিরাপদ জীবন গড়ি
04/08/2023

নিজে সচেতন হই
অন্যকে সচেতন করি
নিরাপদ জীবন গড়ি



শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অসম্ভব। - পীর সাহেব চরমোনাই। স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও এদেশের মানুষ এখনও প...
03/08/2023

শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অসম্ভব।
- পীর সাহেব চরমোনাই।

স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও এদেশের মানুষ এখনও প্রকৃত মুক্তি পায়নি। বর্তমান আওয়ামী শাসন ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে যে নৈরাজ্য, জুলুম ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি আওয়ামীলীগ সৃষ্টি করেছে তা আমাদের দেশের জন্য লজ্জার। অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের মাধ্যমে জাতীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এর ন্যায্য দাবি মেনে নিন।

আজ ০৩ আগস্ট'২৩ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়া পল্টনস্থ বক্স কালভার্ট রোডে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে উপলক্ষ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমেদ মনসুর-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে সেটি নির্বাচন হবেনা, সে নির্বাচন হবে প্রহসন। শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হওয়া অসম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে জনতার দাবি মেনে নেয়া হবে শুভবুদ্ধির উদয় । অন্যথায় দেশ রক্ষায় সকল জুলুমের বিরুদ্ধে জনতাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বর্তমান শিক্ষা সিলেবাস এর সমালোচনা করে বলেন এই শিক্ষা সিলেবাস আদর্শ নাগরিক গড়ার পথে অন্তরায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। একই সাথে নিরীহ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রেজাউল হত্যার নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করছে। ছাত্রলীগকে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী ছেড়ে আদর্শের রাজনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন শিক্ষা সফর থেকে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার এদেশের ছাত্র জনতার মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নির্দিষ্ট কোন অপরাধের তথ্য না থাকা সত্ত্বেও এভাবে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা কোন সচেতন শিক্ষার্থী মেনে নিতে পারে না। ভবিষ্যতে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ছাত্র সমাজ মেনে নিবেনা।

কওমী শিক্ষার্থী রেজাউল হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবীতে ০৪ আগস্ট’২৩ শুক্রবার দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- এর সহ-সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, প্রকাশনা সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক হাবিবুর রহমান, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ আলী হায়দার, কওমি মাদরাসা সম্পাদক হোসাইন আহমাদ, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, স্কুল ও কলেজ সম্পাদক ইবরাহীম খলীল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির আহমাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য রায়হান চৌধুরী, জাবের হোসাইন, খাইরুল হাসান মারজান প্রমূখ।

#পীর_সাহেব_চরমোনাই
#ইসলামী_ছাত্র_আন্দোলন_বাংলাদেশ

19/06/2023

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন২৩
ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম
হরিনাপুলিয়া বোর্ড অফিস স্কুল মহিলা কেন্দ্র

#বিসিসি নির্বাচন ২৩
#হাতপাখ #নৌকা

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজই মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার পরিবার ১৮/০৬/২৩ #খ...
18/06/2023

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজই মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার পরিবার
১৮/০৬/২৩

#খোকন সেনিয়াবাদ
#প্রধানমন্ত্রী-শেখ হাসিনা
#বরিশাল সিটি কর্পোরেশন

16/06/2023

অন্যায় ও জুলুমের প্রতিবাদে যারা সমবেদনা জানিয়েছে সকলকে ধন্যবাদ জানালেন চরমোনাইর পীর
#পীরসাহেব চরমোনাই
#মুফতি-সৈয়দ ফয়জুল করীম
#বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন২৩

14/06/2023

নির্বাচন কমিশনকে দাফন

নির্বাচন কমিশনকে ইন্তেকাল কমিশন আখ্যায়িত করলেন চরমোনাই পীরের ছাত্র সংগঠন
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

#নির্বাচল কমিশন
#ইন্তেকাল কমিশন
#ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Voice of People 21 দি ভয়েস অফ পিপল ২১ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Voice of People 21 দি ভয়েস অফ পিপল ২১:

Share