
14/09/2025
✈️ বিমানবন্দরে সন্দেহ বসতো বেআইনি অফলোড – জানুন আপনার করণীয় !
অনেক বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকেট নিয়েও ইমিগ্রেশন থেকে অফলোডের শিকার হন। অথচ কোনো লিখিত কারণ বা সুনির্দিষ্ট আইনি ভিত্তি ছাড়া অফলোড করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন।
🛑 কেন এটি বেআইনি?
সংবিধান Article 36 → প্রত্যেক নাগরিকের বিদেশ ভ্রমণের অধিকার আছে।
Article 31 ও 32 → প্রত্যেকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা পাবে।
➡️ তাই বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও অফলোড করা হলে এটি সরাসরি Fundamental Rights Violation।
⚖️ আইন কী বলে?
দণ্ডবিধি ধারা 166 → সরকারি কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা।
দণ্ডবিধি ধারা 220 → বেআইনিভাবে আটকানো বা ভ্রমণ বাধা দিলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড + জরিমানা।
সংবিধান Article 102 → সরাসরি High Court Division-এ রিট মামলা করা যায়, বেআইনি অফলোডকে অবৈধ ঘোষণা ও ক্ষতিপূরণ দাবি সম্ভব।
🚨 নাগরিকের করণীয় (Step by Step)
1️⃣ প্রমাণ সংগ্রহ করুন → বোর্ডিং পাস, টিকেট, ভিসা, পাসপোর্ট কপি, দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের নাম, ডিউটি শিফট, সাক্ষীর তথ্য।
2️⃣ অভিযোগ করুন → ইমিগ্রেশন শিফট ইনচার্জ/ডিউটি অফিসার, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ সেলে লিখিত আবেদন।
3️⃣ ফৌজদারি মামলা করুন → ধারা 166 ও 220 অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা।
4️⃣ হাইকোর্টে রিট করুন → Article 102 অনুযায়ী Mandamus, Certiorari ও Compensation দাবি।
5️⃣ মানবাধিকার সংগঠন ও মিডিয়ার সহায়তা নিন → যেমন ASK, BLAST, HRPB ইত্যাদি।
🏛️ বাস্তবে কী দাবি করা যায়?
✔️ বেআইনি অফলোডকে অবৈধ ঘোষণা।
✔️ ভবিষ্যতে হয়রানি বন্ধে নীতিমালা ও জবাবদিহি।
✔️ ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের জন্য ক্ষতিপূরণ।
✊ আওয়াজ তোলা উচিত -
🔸 ইমিগ্রেশনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি
🔸 নাগরিক অধিকার রক্ষা
🔸 বেআইনি হয়রানির অবসান
কারণ, ইমিগ্রেশন আপনাদের নিরাপত্তার জায়গা, হয়রানির নয়।
#প্রিয়প্রবাসী
#অফলোড
#ইমিগ্রেশন
#বেআইনি_অফলোড
#নাগরিকঅধিকার
#প্রবাসীজীবন
#বাংলাদেশ