Priyo Probasi - প্রিয় প্রবাসী

Priyo Probasi - প্রিয় প্রবাসী আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক বাংলাদেশী প্রবাসী একজন খাঁটি দেশপ্রেমীক।

🟦 প্রিয় প্রবাসী নতুন পথে, নতুন স্বপ্নে📢 পেইজ হ্যাক হওয়ার পর আবার শুরু – আগের মতোই আপোষহীন কণ্ঠস্বর নিয়ে...একটি কঠিন স...
01/08/2025

🟦 প্রিয় প্রবাসী নতুন পথে, নতুন স্বপ্নে
📢 পেইজ হ্যাক হওয়ার পর আবার শুরু – আগের মতোই আপোষহীন কণ্ঠস্বর নিয়ে...

একটি কঠিন সময় পার করেছি আমরা। প্রায় তিন মাস আগে "প্রিয় প্রবাসী" ফেসবুক পেইজটি হ্যাক হয়ে যায়, যার ফলে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্বৈরাচারী পতনের পরে এ বিষিয়েবিভিন্ন রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণেই আমাদের পেজটি পরিকল্পিতভাবে হ্যাক করা হয়েছে।

এটি আমাদের মুখ বন্ধ করার একটি অপচেষ্টা, কিন্তু আমরা জানাতে চাই—এই ঘটনার পর আমরা আরও বেশি সতর্ক, আরও বেশি সাহসী।

👉 আমরা আপোষহীন ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।
সত্য খোঁজা এবং তা নির্ভয়ে প্রকাশ করাই আমাদের অঙ্গীকার। যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা আমাদের আদর্শ থেকে এক চুলও সরে আসবো না।

🔹 আমাদের নতুন যাত্রা

"প্রিয় প্রবাসী" শুরু থেকেই প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, খবর ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে, দেশের বাইরে থাকা লাখো বাংলাদেশির কণ্ঠস্বর হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

তবে এখন থেকে আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক বিষয়ে নিয়মিত মতামত, প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করব।
আমরা চাই সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেশকে দেখা হোক। পক্ষপাতদুষ্ট নয়, বরং সত্য–নির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আমাদের প্রত্যেকটি বক্তব্য, প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

🔹 আমরা এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে

বর্তমানে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করছি।
আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ধাপে ধাপে একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করার।
এখন পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলছে ফেসবুক পেইজ, ভিডিও রিলস ও নিউজ কনটেন্টের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে ও সতর্কভাবে আমরা এই কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করছি।

🔹 আপনাদের পাশে চাই

এই সত্য ও ন্যায়ের যাত্রায় আমরা আপনাদের পাশে চাই।
আপনাদের প্রতিটি শেয়ার, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি উৎসাহ আমাদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

📌 সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলব। "প্রিয় প্রবাসী" কখনো থামবে না।

🟨 প্রিয় প্রবাসী — ভয়হীন কণ্ঠ, আপোষহীন মনোভাব

🔴 সতর্কীকরণ বার্তা 🔴

"প্রিয় প্রবাসী" পেইজটির সমস্ত কার্যক্রম কেবলমাত্র আমি (মো: আশরাফুল আলম) ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করি।
বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল বা প্রবাসে আমাদের কোনো প্রতিনিধি, রিপোর্টার বা নিয়োজিত ব্যক্তি নেই।যেহেতু আমরা এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত কোন নিউজ পোর্টাল নই সুতরাং এগুলোর কোনোটিই করার আইনগত সুযোগ নেই। আমরা বরাবর বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

👉 আমাদের পেইজের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক স্বার্থে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালায়, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং প্রতারণার শামিল।

🔒 আমরা কাউকেই এই নামে কাজ করার অনুমতি দিইনি। কেউ এ ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত থাকলে, প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

📌 "প্রিয় প্রবাসী" একটি স্বাধীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত অনলাইন উদ্যোগ। সতর্ক থাকুন, বিভ্রান্ত হবেন না।

#প্রিয়প্রবাসী #ভয়হীনসাংবাদিকতা #সত্যেরপক্ষে #স্বৈরাচারেরবিরুদ্ধে #নতুনযাত্রা #নির্ভীকসংবাদ #বাংলাদেশ #অনলাইননিউজপোর্টাল #প্রবাসীদেরখবর #জনগণেরদৃষ্টিভঙ্গি

কুয়েতে প্রবাসীকর্মীদের নিয়োগে নতুন নিয়ম: প্রভাব পড়বে প্রবাসীদের উপর, বাড়বে কুয়েতিদের চাকরির সুযোগ।১২ই মে ২০২৫। প্র...
12/05/2025

কুয়েতে প্রবাসীকর্মীদের নিয়োগে নতুন নিয়ম: প্রভাব পড়বে প্রবাসীদের উপর, বাড়বে কুয়েতিদের চাকরির সুযোগ।
১২ই মে ২০২৫। প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক নিউজ।

কুয়েত সরকার প্রবাসীকর্মীদের নিয়োগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। নতুন এই নিয়মে প্রবাসীদের জন্য নিয়োগপ্রক্রিয়া কিছুটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠবে, যদিও মূল উদ্দেশ্য কুয়েতি নাগরিকদের কর্মসংস্থান বাড়ানো। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির স্থানীয় নাগরিকদের জন্য চাকরির বাজার আরও উন্মুক্ত হবে এবং বিদেশি শ্রমিকদের উপর নির্ভরতা কমবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পদের জন্য নিয়োগের আগে পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ার (PAM) থেকে প্রাক অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব পদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা যাচাই (Security Clearance) প্রয়োজন, সেগুলোর জন্য নিয়োগকারীদের সরকারি অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এতে করে প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ নিয়োগ বা ভিসা বাণিজ্য বন্ধ করাই মূল লক্ষ্য।

এছাড়া প্রবাসীকর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পেশাগত শিরোনাম পরিবর্তনের অনুরোধও আর গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি তা নিয়োগের মূল পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়। অর্থাৎ একবার যে পদের জন্য ভিসা ইস্যু হবে, পরে সেই পদের পরিবর্তন বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক বাধা থাকবে। কুয়েতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ আলী আল সাবাহ মন্ত্রিপরিষদীয় বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন।

এই পদক্ষেপগুলো কুয়েতিদের চাকরির বাজারকে অগ্রাধিকার দিতেই গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, প্রবাসী কর্মীদের জন্য নতুন নিয়োগ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এটি স্বল্পমেয়াদে প্রবাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দক্ষ কর্মীদের সুযোগ নিশ্চিত হবে।

এদিকে ওমানে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গালফ এক্সচেঞ্জ সেরা রেট অফার করছে। প্রিয়জনদের কাছে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পাঠাতে গালফ এক্সচেঞ্জের যেকোনো ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্ক্রিনে দেওয়া নাম্বারে কল করলেই বিস্তারিত জানা যাবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর।

#কুয়েত_নতুন_নিয়ম #প্রবাসী_চাকরি #কুয়েতি_কর্মসংস্থান #গালফ_এক্সচেঞ্জ #বাংলাদেশী_প্রবাসী #ভিসা_স্বচ্ছতা #মধ্যপ্রাচ্য_নিয়োগ #প্রবাসী_সংবাদ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের নামে একটি ভুয়া মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে পাকিস্তান-ভারত ইস্যুত...
12/05/2025

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের নামে একটি ভুয়া মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে পাকিস্তান-ভারত ইস্যুতে স্পর্শকাতর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই ভুয়া মন্তব্য প্রচারের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) লোগো ও ফরম্যাট ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়েছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমের নামে এমন গুজব ছড়ানোর পেছনে উদ্দেশ্যমূলক মহলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনালাইন ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট রিউমার স্ক্যানার এর ফ্যাক্ট চেকিং এ জান যায় বিটিভির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাপ্রধানের কোনো মন্তব্য তারা কখনো প্রচার করেনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো উক্ত ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং এটি বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে এসব ভুয়া তথ্যের উৎস শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার উদ্দেশ্যে এই ধরনের ভুয়া প্রচারণা চালানো হয়ে থাকতে পারে। এমন গুজব মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তথ্য যাচাই ছাড়া বিভ্রান্তিকর পোস্টে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিটিভি।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে, ভুয়া ফটোকার্ডে প্রচারিত বক্তব্যের সাথে বিটিভির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

#রিউমারস্ক্যানার
#ভুয়াসংবাদ
#বিটিভি
#গুজব_সতর্কতা
#তথ্যযাচাই
#সচেতনথাকুন
#বাংলাদেশসেনাবাহিনী


#গুজব_প্রতিরোধ

অবশেষে ট্রাম্প জাদুতে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত ভারত পাকিস্তান প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।ভারত ও পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ...
10/05/2025

অবশেষে ট্রাম্প জাদুতে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত ভারত পাকিস্তান
প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।

ভারত ও পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যা ২০২৫ সালের ১০ মে বিকেল ৫টা (ভারতীয় সময়) থেকে কার্যকর হয়েছে। এই সমঝোতা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ।

যুদ্ধবিরতির পটভূমি

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে। এর জবাবে ভারত "অপারেশন সিন্দুর" নামে ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে লক্ষ্যবস্তু করে। পাকিস্তান পাল্টা "অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস" চালায়, যার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বিনিময় হয় ।

যুদ্ধবিরতির মূল শর্তাবলি

উভয় পক্ষ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ১০ মে বিকেল ৫টা (ভারতীয় সময়) থেকে।

ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা সোমবার (১২ মে) পরবর্তী শান্তি আলোচনা শুরু করবেন।

পাকিস্তান তার আকাশসীমা পুনরায় খুলে দিয়েছে, তবে ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর এখনও বন্ধ রয়েছে ।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, তুরস্ক, চীন ও জি৭ দেশসমূহ স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তবে উভয় দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ও উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এটি টিকিয়ে রাখতে হলে উভয় পক্ষের সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সহায়তা প্রয়োজন।

#ভারতপাকিস্তান
#যুদ্ধবিরতি
#পাকিস্তান
#ভারত
#কাশ্মীর
#আন্তর্জাতিকশান্তি



করিমগঞ্জ: ইতিহাসের ষড়যন্ত্রে হারিয়ে যাওয়া এক বাংলাদেশী ভূখণ্ড।প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।সিলেট শহরের মডার্ন হোমিওর সামনে রাখ...
10/05/2025

করিমগঞ্জ: ইতিহাসের ষড়যন্ত্রে হারিয়ে যাওয়া এক বাংলাদেশী ভূখণ্ড।
প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।

সিলেট শহরের মডার্ন হোমিওর সামনে রাখা একটি পাথরের ওপর খোদাই করা "ST⌀NE" এবং নিচে লেখা "সিলেট"—এটা শুধুই একটি নামফলক নয়, বরং ইতিহাসের রক্তাক্ত চিহ্ন। এই পাথর সিলেটের একটি বিশেষ এলাকাকে নির্দেশ করে—এস ওয়াই, যা আজ করিমগঞ্জ নামে পরিচিত। এটি শুধু একটি সীমান্তবর্তী স্থান নয়, বরং এক গণভোটের বিশ্বাসঘাতকতা, এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং ইতিহাসের এক নির্মম মোড়ের নাম।

১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় করিমগঞ্জ ছিল সিলেট জেলারই অংশ। সিলেটের মতো করিমগঞ্জও ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নেন, গণভোটের মাধ্যমে সিলেটের ভাগ্য নির্ধারিত হবে—ভারত না পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)। সেই ভোট অনুষ্ঠিত হয় ৬ ও ৭ জুলাই ১৯৪৭। ভোটে ব্যালট চিহ্ন ছিল কুড়াল (পাকিস্তানের পক্ষে) ও কুড়েঘর (ভারতের পক্ষে)।

৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ভোট দেয় এবং ৫৬.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ে কুড়াল মার্কায়, অর্থাৎ পাকিস্তানের পক্ষে। করিমগঞ্জের মানুষও সেই ভোটে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পক্ষে রায় দিয়েছিল। গণভোটের রায় ছিল স্পষ্ট—করিমগঞ্জ হবে পাকিস্তানের অংশ।

কিন্তু এরপরই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সীমান্ত নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী সার সিল র‍্যাডক্লিফ, যিনি এই অঞ্চল সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। হঠাৎ করেই দেখা গেল, রেডক্লিফের চূড়ান্ত মানচিত্রে করিমগঞ্জ ভারতের অন্তর্ভুক্ত। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, ভারতের গোপন প্রভাবেই এই সীমান্তরেখা পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। কারণ করিমগঞ্জে ভারতের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত, যা তারা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায়নি।

মজার ব্যাপার হলো, এমএ হক নামের এক পাকিস্তানপন্থী কর্মকর্তা তখনও করিমগঞ্জে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে যাচ্ছিলেন। তিনি সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনো সাহায্য আসেনি। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের একদিন পর, ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয় এবং ভারতীয় সেনারা করিমগঞ্জে প্রবেশ করে। এমএ হক পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং করিমগঞ্জ ভারতের দখলে চলে যায়।

এই পুরো ঘটনাটি করিমগঞ্জবাসীর জন্য এক বিশাল ধাক্কা ছিল। তারা ঘুমাতে গিয়েছিল পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে, সকালে উঠে দেখে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। গণভোটের রায়ের এমনভাবে উপেক্ষা শুধু করিমগঞ্জ নয়, গণতন্ত্রের ওপরও এক কলঙ্ক। করিমগঞ্জের জনগণ তখন থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছে।

ভারত সরকার করিমগঞ্জের নাম বদলে রাখতে চায় "শ্রীভূমি"। এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’দের জায়গা হিসেবে উপস্থাপন করছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। অথচ করিমগঞ্জের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলেই বাস করে আসছে, তারা সিলেটি ভাষায় কথা বলে, তাদের সংস্কৃতি-রীতিনীতি সবই সিলেটেরই অংশ।

বর্তমানে করিমগঞ্জ ভারতের বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্রের আবাসস্থল হলেও এখানকার মানুষ সেই সম্পদের ন্যায্য সুবিধা পায় না। নাগরিক সুযোগ-সুবিধায় তারা পিছিয়ে, সরকারিভাবে তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হয়। ভারতীয় রাজনীতি এখন এই অঞ্চলকে মুসলিম পরিচয় থেকে মুক্ত করতে চায়, মুসলিম জনগণকে অবহেলিত করে রাখতে চায়।

করিমগঞ্জের মানুষ আজও প্রশ্ন করে, কেন সেই সময় সিলেটের জেলা প্রশাসন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি? কেন এমএ হকের বার্তায় সাড়া দেওয়া হয়নি? কেন করিমগঞ্জের জনগণের ইচ্ছাকে রেডক্লিফ এক মুহূর্তে উপেক্ষা করলেন? এই প্রশ্নগুলো আজও উত্তরহীন।

তবে করিমগঞ্জের তরুণ প্রজন্ম এখন নতুন করে জেগে উঠছে। তারা বলছে, “আমাদের আত্মপরিচয় পাল্টে দেওয়া হয়েছে, আমরা ভারতীয় নই, আমরা বাংলাদেশি।” করিমগঞ্জের আন্দোলন সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশ্ন একটাই—বাংলাদেশ সরকার কি এই গণচেতনার পাশে দাঁড়াবে? আন্তর্জাতিক মঞ্চে কি করিমগঞ্জের ন্যায্য দাবি তুলে ধরা হবে?

কারণ করিমগঞ্জ শুধু একটি স্থান নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অপূর্ণ অধ্যায়, যা আজও সমাপ্ত হয়নি।






"জীবন বাজি রেখে ২০০ বার সাপের কামড় খেয়েছেন, আজ তিনিই বিষের অ্যান্টিভেনমের উৎস!"০৯ মে ২০২৫।প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।বিশ্বজুড়ে...
09/05/2025

"জীবন বাজি রেখে ২০০ বার সাপের কামড় খেয়েছেন, আজ তিনিই বিষের অ্যান্টিভেনমের উৎস!"
০৯ মে ২০২৫।প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।

বিশ্বজুড়ে বিষধর সাপের কামড়ে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যান। এই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা বদলাতে এক অবিশ্বাস্য ঝুঁকি নিয়েছেন মার্কিন নাগরিক টিম ফ্রিড। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিজের শরীরে বিভিন্ন প্রাণঘাতী সাপের বিষ ইনজেকশন দিয়ে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন এক চলমান অ্যান্টিভেনমের উৎস।

উইসকনসিনের বাসিন্দা টিম কোনো প্রশিক্ষিত চিকিৎসক নন, বরং স্রেফ একজন বিজ্ঞানপ্রেমী। কিন্তু তাঁর সাহসিকতা ও অদম্য আগ্রহ তাঁকে নিয়ে গেছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি কোবরা, ব্ল্যাক মাম্বা ও টাইপানের মতো মারাত্মক সাপের বিষ শরীরে নিয়েছেন ৮৫০ বার, এমনকি ২০০ বার সাপের কামড়ও সহ্য করেছেন। তাঁর দাবি, ধীরে ধীরে তাঁর শরীরে ওইসব বিষের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা তাঁকে রক্ষা করেছে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে।

এই অ্যান্টিবডির গুরুত্ব উপলব্ধি করে, বায়োটেক কোম্পানি Centivax এর বিজ্ঞানীরা টিমের রক্ত পরীক্ষা করেন। তাঁরা এতে এমন দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি (LNX-D09 এবং SNX-B03) খুঁজে পান, যেগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর সাপগুলোর বিষ প্রতিরোধে সক্ষম। এসব অ্যান্টিবডি এবং একটি বিষ প্রতিরোধী যৌগ ভ্যারেসপ্লাডিব একত্র করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি সম্ভাব্য সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম, যা ১৯ ধরনের মারাত্মক সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর।

এই যুগান্তকারী গবেষণা ইতিমধ্যে বিজ্ঞান জার্নাল ‘Cell’-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রাণী পর্যায়ে এটি ইতিমধ্যেই সাফল্য পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই অ্যান্টিভেনম ভবিষ্যতে মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। সাপের কামড় যেখানে এখনও অনেক উন্নয়নশীল দেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের অন্যতম কারণ, সেখানে এই আবিষ্কার হয়ে উঠতে পারে একটি বৈপ্লবিক সমাধান।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, টিম ফ্রিডের মতো আত্ম-পরীক্ষা করা মোটেও নিরাপদ নয় এবং এটি অনুসরণ করার জন্য কাউকে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা বলেন, এখন আমরা গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অণু ও উপাদান পেয়ে গেছি, নতুন করে এমন ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই।

টিম ফ্রিডের এই দুঃসাহসিক যাত্রা ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করে, কখনো কখনো ব্যক্তিগত আগ্রহ ও পাগলামি থেকেও বিশ্ববাসীর জন্য আশার আলো জ্বলে উঠতে পারে।

#প্রিয়_প্রবাসী

সোফিয়া কুরেশি: ধর্ম নয়, দেশপ্রেমই একজন সৈনিকের আসল পরিচয়প্রতিবেদন: প্রিয় প্রবাসীযুদ্ধের ময়দানে পরিচয় একটাই—"আমি আমার দে...
09/05/2025

সোফিয়া কুরেশি: ধর্ম নয়, দেশপ্রেমই একজন সৈনিকের আসল পরিচয়

প্রতিবেদন: প্রিয় প্রবাসী

যুদ্ধের ময়দানে পরিচয় একটাই—"আমি আমার দেশের জন্য লড়ি"। সোফিয়া কুরেশি, একজন মুসলিম নারী সেনা কর্মকর্তা,তিনি প্রমাণ করেছেন—একজন দেশপ্রেমিকের সামনে ধর্ম নয়, সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তাঁর জন্মভূমি।

সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পসের একজন মেধাবী অফিসার। তিনি ২০১৬ সালে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন—যখন প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে তিনি বিদেশে 'Force 18' নামের বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল—এই নারী থেমে থাকার মানুষ নন।

২০২৫ সালের মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন সিন্ধুর' নামের এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পিওকে-তে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর শিবির ধ্বংস করা। এই অভিযানে সোফিয়া কুরেশির ভূমিকা ছিল কৌশলগত এবং নেতৃত্বপূর্ণ। তিনি অপারেশনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং অভিযানের পরে উইং কমান্ডার ভিওমিকা সিং-এর সঙ্গে যৌথভাবে জাতির সামনে বক্তব্য রাখেন।

এই অভিযান শুধু একটি সফলতা ছিল না, এটি ছিল একটি বার্তা—যেখানে ধর্মীয় পরিচয় নয়, ক্ষমতা, নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ধর্ম বনাম দেশপ্রেম: সোফিয়ার অবস্থান

একটি মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে সেনাবাহিনীতে প্রবেশ, ধর্ম পালন এবং একইসঙ্গে কড়া নিয়মতান্ত্রিক সেনাবাহিনীতে নিজের দক্ষতায় এগিয়ে যাওয়া—এই পথ ছিল সহজ নয়। কিন্তু সোফিয়া কখনো নিজের ধর্মকে বাঁধা ভাবেননি। বরং তা ছিল তাঁর আত্মশক্তির উৎস। তিনি বারবার বলেছেন—“আমার ধর্ম আমাকে সাহস, সহানুভূতি আর কর্তব্যের শিক্ষা দিয়েছে। আর দেশ আমাকে সুযোগ দিয়েছে এই মূল্যবোধগুলো কাজে লাগাতে।”

তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট—"যখন আমার দেশের প্রশ্ন আসে, আমি প্রথমে একজন ভারতীয়, তারপর একজন মুসলিম, তারপর একজন নারী"।

এই অবস্থান শুধু ভারতের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আজ যখন ধর্মের নামে বিভাজন বাড়ছে, তখন সোফিয়ার মতো মানুষ আমাদের শেখাচ্ছেন—একজন দেশপ্রেমিক শুধু নিজের পরিচয়ের জন্য লড়েন না, তিনি অন্যদেরও প্রেরণা দেন।

নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক -

সোফিয়া কুরেশি শুধু একজন সেনা কর্মকর্তা নন, তিনি এক প্রতীক—যে নারী জাতিকে জানিয়ে দিচ্ছেন, ক্ষমতা অর্জনের জন্য নারীকে ধর্ম বা লিঙ্গের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। তিনি এমন এক সময়ে উঠে এসেছেন, যখন বিশ্বজুড়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে, কিন্তু প্রতিকূলতাও রয়ে গেছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের জন্যও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা—যে কোথায় থাকো না কেন, নিজের স্বপ্ন, দক্ষতা আর দেশপ্রেম ধরে রাখলে সাফল্য সম্ভব।

বাংলাদেশের জন্য শিক্ষণীয় বার্তা -

বাংলাদেশ এক সময় যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই আমাদের জাতিগত স্মৃতিতে যুদ্ধ ও দেশপ্রেম অমলিন। আজকের এই বৈশ্বিক অস্থিরতায়—চাই তা গাজার হোক, ইউক্রেন হোক, অথবা পাকিস্তান সীমান্ত হোক—বাংলাদেশের উচিত যুদ্ধ নয়, মানবতা ও শান্তির পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া।

সোফিয়া কুরেশির ভূমিকা আমাদের এই শিক্ষা দেয়—ধর্ম বা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রের স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং জনগণের কল্যাণই সবার আগে।

সোফিয়া কুরেশি ইতিহাস গড়েছেন শুধু সেনা পোশাকে নয়, মানসিক দৃঢ়তা, দায়িত্ববোধ আর নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম দিয়ে। তিনি আমাদের শেখান—যখন আপনি নিজের দেশকে সত্যিই ভালোবাসেন, তখন সব ধর্মীয়, লিঙ্গভিত্তিক বা সামাজিক বাধা ধুলায় মিশে যায়। বেঁচে থাকে শুধু এক পরিচয়—"আমি আমার দেশের জন্য কিছু করেছি।"

#প্রিয়প্রবাসী
#সোফিয়াকুরেশি
#অপারেশন_সিন্ধুর
#দেশপ্রেম
#নারীরঅভিযান
#ধর্মনয়দেশপ্রেম




#শান্তিরপক্ষে
#নারীশক্তি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা এখন বাধ্যতামূলক৮ মে ২০২৫। প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন ...
08/05/2025

যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা এখন বাধ্যতামূলক
৮ মে ২০২৫। প্রিয় প্রবাসী ডেস্ক।

যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন সংস্কারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকার। সম্প্রতি ঘোষিত নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী অভিবাসীদের ইংরেজি ভাষায় উচ্চতর দক্ষতা অর্জন বাধ্যতামূলক হবে। বর্তমান নীতিতে যেখানে GCSE সমমানের ইংরেজি জ্ঞান যথেষ্ট ছিল, সেখানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী CEFR অনুযায়ী B2 স্তরের ইংরেজি দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা সাধারণত A-লেভেল সমমানের বিবেচিত হয়। এই পরিবর্তনের ফলে অভিবাসীদেরকে ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলা, পড়া, লেখা এবং শুনতে সক্ষম হতে হবে।

সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো অভিবাসীদের ব্রিটিশ সমাজে আরও কার্যকরভাবে একীভূত করা, শ্রমবাজারে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, অভিবাসীদেরকে শুধু ভাষায় নয়, ব্রিটিশ মূল্যবোধ যেমন গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং সহনশীলতা—এসবের সঙ্গেও মানিয়ে চলতে হবে। যদিও এসব মূল্যবোধের মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি।

২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসনের সংখ্যা রেকর্ড ৭ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্যই সরকার অভিবাসন নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে বলে জানিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব অভিবাসী ৫ বছরের মধ্যে নির্ধারিত ইংরেজি দক্ষতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের স্থায়ী বসবাসের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। সরকার মনে করছে, এর ফলে অভিবাসীরা আরও দ্রুত সমাজে একীভূত হবেন এবং কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন।








Address

Barishal

Telephone

+8801783755038

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priyo Probasi - প্রিয় প্রবাসী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Priyo Probasi - প্রিয় প্রবাসী:

Share