Silent Sound

Silent Sound This page is like a rainbow.In this page you can find various colour of life story & love.

30/11/2024

🤭@গল্প০০১

বিমর্ষ ঘুঘু🐦
30/11/2024

বিমর্ষ ঘুঘু🐦

26/11/2024
21/11/2024
21/11/2024

“Be careful of your words, you don't know
how it affects soft hearted people”🍃🌿

24/09/2024

💞🌿💞

21/09/2024

প্রত্যেক বিবাহিত নারীর এই লেখাটা পড়া উচিত।

একদিন মেয়ের বাবা রাতের ১১টায় বাসায় ফিরলেন হাতে করে দুটো বার্গার নিয়ে।
এসেই হাসিমুখে জানান দিলেন রাতে ভাত খাবেন না। তিনি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েই এসেছেন। আসার সময় বাচ্চাদের জন্য বার্গার নিয়ে এলেন।

আমি কোনো মতামত বা আনন্দ উচ্ছাস কিছুই ব্যক্ত না করে নির্বিকার ভঙ্গিতে প্যাকেট খুলে একটা বার্গার নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। যদিও বার্গার খাবারটা আমার বাচ্চাদের যতটা পছন্দ আমার ততটা নয়।

তারপরও আমি খাচ্ছিলাম। কারণ আমি চাইনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।

খুব ছোটবেলায় দেখতাম আমার আব্বা কোনো খাবার কোনো উপহার বা যে কোনো জিনিস আমাদের চার ভাই বোনদের জন্য কিনতেন। আমার মায়ের জন্য কিনতেন না।
যেমন তিনি দোকান থেকে চারটা আইসক্রিম, চার প্যাকেট চিপস আমাদের চার ভাই -বোনের জন্য কিনতেন। অথচ বাসায় আমরা পাঁচজন মানুষ থাকতাম।
আমার মা হাসি মুখে চিপসের প্যাকেট খুলে আমাদের হাতে দিতেন। আইসক্রিম হাত থেকে পড়ে নস্ট হয়ে যাবার ভয়ে আমাদের গাইড করতেন পিছন থেকে খাও, সামনে থেকে খাও!

জানি না আমার মায়ের খেতে ইচ্ছে করত কি-না! না করার তো কথা নয়। তিনি গৃহবধূ। সারাক্ষণ আমাদের সাথে ঘরেই থাকতেন। নিজের হাতে বানানো খাবারই খেতেন। কখনো তো একা একা বাইরে যাননি বা নিজের ইচ্ছের প্রতিফলন করেননি।

আপনি যখন চারটা কিনতে পেরেছেন, তখন পাঁচটাও কিনতে পারতেন। তার মানে স্বদিচ্ছার অভাব ছিল।

পুরুষ জাতি ধরেই নিয়েছে, মেয়েদের খেতে হয় না।

আমার সংসারে কিন্তু আমি এটা হতে দেইনি। মেয়ের বাবা দুইটা ওয়েফার আনলে তার সামনে একটা খুলে আমি খাওয়া শুরু করতাম। যদিও খেতাম না।
তাকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। বাসায় আমরা তিনজন থাকি যে কোনো খাবার তিনটাই আনবা। ঐ জিনিস আমি না খেলে বিকল্প আরেকটা আনবা যেটা আমি খাই।

কারণ আমিও মানুষ। আমারও পছন্দ আছে, ইচ্ছে আছে, অনুভুতি আছে। বছরের পর বছর তোমার সংসারে গাছের গুঁড়ি হয়ে পড়ে থাকব?

তুমি যদি আমাকে না বুঝ তাহলে তো কেউই বুঝবে না।
একটা মেয়ের বিয়ের আগের সকল আবদার থাকে বাবা মার কাছে। বিয়ের পরে থাকে স্বামীর কাছে। বাবা- মার কাছে যতটা প্রাণ খুলে আবেগ প্রকাশ করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বামীর কাছে যায় না। স্বামী নামক প্রিয়জনকেই সেটা বুঝে নিতে হয়।

আমার আব্বা কারো বাড়ি গিয়ে এককাপ চাও খেতেন না আমাদেরকে ছাড়া। তিনি ভীষণভাবে চাইতেন তিনি যেখানেই দাওয়াত খেতে যান যেন

03/09/2024

আমার খারাপ লাগাটা আমি কাউকে বোঝাতে পারিনি কখনো। এখন অবশ্য আর বুঝাতেও চেষ্টা করি না। নিজেই নিজের মতো করে একাকিত্বের একটা জগৎ তৈরি করে নিয়েছি। এই জগৎটাতে এখন আমি আমার মতো থাকি। এখানেই শান্তি খুঁজে পাই!

Time will say India 🤨
21/08/2024

Time will say India 🤨

15/07/2024

Married life এর অপ্রিয় সত্যি কথা!!
=====================
৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কথাগুলো সত্যি।
১. বিবাহিত জীবন কখনও খুব মধুর। আবার কখনও হতাশার। কখনও মনে হবে আহ্ কি চমৎকার একটা জীবন পেয়েছি, কখনও মনে হবে ঘানি টানতে জীবন শেষ!! এই দুই ধরনের অনুভূতি ঘুরে ফিরে আসে। ভাববেন না যে বিয়ে করে ভুল করেছেন; দাম্পত্য সম্পর্ক উপভোগ করুন। কষ্টের সময়টা ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করুন।

২. আপনি যদি পার্টনারকে প্যারা দেন, সেও আপনাকে প্যারা দিবে। বেশী প্যারায় মনে হবে আপনি ভুল মানুষকে বিয়ে করেছেন। আপনি যে তাকে প্যারা দিচ্ছেন সেটা ভুলে গিয়ে পার্টনারের প্যারা নিয়ে অস্থির হয়ে যাবেন। কখনও ভুল করে ভাবতে পারেন মানুষটা হয়ত gaslighting করছে। তাই ভুলতে ও ক্ষমা করতে শিখুন। সামনে এগিয়ে যান। জীবনে সুখের কিন্তু শেষ নেই!!

৩. আমরা মনে করি দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা হতে হবে সমান সমান। ঠিক আছে। কিন্তু এটা 50/50 না। এটা হবে 100/100। দুই পক্ষ থেকে শতভাগ না হলে কেউই জিতবে না। আপনি যদি একাই 100 দিয়ে বসে থাকেন, আপনি হেরে যাবেন। ভালবাসার অর্ধেক বলে কিছু নেই; পুরাটাই নয়ত কিছুই না। দাম্পত্য জীবনে এই ভালবাসাটাই সমান সমান হয় না। অসমান ভালবাসায় আমরা ঘর বাঁধি, হেরে গিয়ে সাথে থাকি।

৪. ঝগড়ার পরে অন্তরঙ্গতাকে (intimacy) না বলার ঘটনাই বেশী ঘটে। কখনও কখনও ঝগড়ার পরে আরেকটা ঝগড়ার আয়োজন চলে। এভাবে দূরত্ব বাড়ে, অভিমানের জায়গা হয় প্রশ্বস্ত। কোন ভাবে ঝগড়া মিটিয়ে অন্তরঙ্গ হোন। দেখবেন ভালবাসার আরেক অধ্যায় শুরু হয়েছে। আপনি হয়ত নতুন করে আপনার পার্টনারের প্রেমে পড়বেন।

৫. বিয়ে করার সময় ভাবতেও পারবেন না যে, এই প্রিয় মানুষটির সাথে আপনার ঝগড়া হবে, মন কষাকষি হবে, বাঁধবে স্বার্থের সংঘাত। কিন্তু এটা ঘটবে। সুতরাং ঝগড়ার সময় fair ও logical থাকুন, যেন ঝগড়া মিটিয়ে আবার সম্পর্ক ঠিক করে নিতে পারেন।

৬. দুজন এক সাথে দীর্ঘদিন কাটানো বেশ আনন্দ দায়ক। কিন্তু এক সাথে থাকতে থাকতে কখনও কখনও সংসারটা জেলখানার মত মনে হয়। কিছু সময়ের জন্য একা থাকুন, কোথাও ঘুরে আসুন। পরিবারের বাইরে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটান। আবার ফিরে আসুন পরিবারের প্রিয় মানুষটার কাছে। দেখবেন সংসারটা আর জেলখানা মনে হচ্ছে না।

৭. মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার মনে হবে, আহা কত ভালবাসি মানুষটাকে!! আবার কখনও মনে হবে দূর, একদম ভাল্লাগে না ওকে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং কিভাবে ভালবেসে সাথে থেকে যেতে হয় তা শিখুন। সংসারে অনেক প্যারা থাকে, কিছু মেনে নিতেও হয়।

৮. আপনার পার্টনার যতই আপনাকে ভালবাসুক, যতই টেক কেয়ার করুক বা হোক সুন্দরী/হ্যান্ডসাম, অন্য কাউকে আপনার ভাল লাগবে। নতুন কাউকে দেখে ভাল লাগার বিষয়টা এড়িয়ে চলাও কঠিন। দিবা স্বপ্ন দেখেন, ঠিক আছে। কিন্তু নতুন মানুষটার পিছে ছুটবেন না। আপনার পার্টনারের গুরুত্ব বুঝতে চেষ্টা করুন।

৯. শারীরিক সম্পর্ক আপনার পার্টনারের সাথেই সবচেয়ে বেশী উপভোগ্য হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার একই রকম সুখের অনুভূতি হবে না। সময় ও বয়সের সাথে সাথে অনুভূতিতে ভাটাও পড়তে পারে। নতুন কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ্য করে তোলার ভুল চিন্তা থেকে বের হোন। বরং পার্টনারের সাথে সম্পর্ক আনন্দময় করে রাখতে ক্রিয়েটিভ হয়ে নতুন কিছু যোগ করুন।

সবার জন্য শুভ কামনা। জীবনের বাঁকে বাঁকে চ্যালেঞ্জ। সংসার যখন করছেন এই চ্যালেঞ্জ গুলোকেও এক্সসেপ্ট করতে হবে। তবেই দাম্পত্য জীবন সুখের ও শান্তির হবে। সুন্দর ও সুখী পারিবারিক জীবন আমাদের সবার প্রাপ্য। এটা নিজেকেই তৈরী করে নিতে হয়। তবে এতে দুজনেরই সহযোগিতাপূর্ণ হতে হয়।
আফসোস! পোস্টটা হয়ত একেক জনের কাছে একেক রকম লাগবে। কিন্তু শিক্ষামূলক পোস্ট হিসেবে সবার পড়া এবং শেয়ার করার দরকার আছে।
Mohammad Juwel

15/07/2024

সম্ভবত পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর একটি হচ্ছে সবচেয়ে কাছের প্রিয় মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল মানুষটিকে দেখে ফেলার পর সেটা মানতে না পারা। সব জেনেও না জানার ভান করে থাকা।

প্রচণ্ড কষ্ট পাবার পর, আঘাত পাবার পর, বিশ্বাস ভাঙার পর সবাই চিৎকার করে রাগারাগি করতে পারে না, হাউমাউ করে কেঁদে চোখ লাল করতে পারে না, ক্ষমা করে দেওয়ার মত উদার বা ক্ষমা না করে প্রতিশোধ নেওয়ার মত আশ্চর্য ক্ষমতাও সবার থাকে না। কারো কারো থাকে অস্পষ্ট তীব্র অভিমান। ভাষাহীন, চিৎকারহীন, অপ্রকাশ্য খুব গোপন অভিমান। নিজের সঙ্গে নিজেরই কোনো রক্তপাতহীন এক শীতল যুদ্ধ।

এ যুদ্ধে সহ্য করতে হয় নিদ্রাহীন অসহ্য যন্ত্রণার অসংখ্য দীর্ঘ রাত। নিজের নিকটে নিজেই অসহ্য হয়ে উঠার মত বেদনা, নিজেকে নিজেই বোঝাতে বোঝতে ক্লান্ত হওয়ার মুহূর্ত। মনের মাঝে খচখচ করা বিশ্বাসের ভাঙা টুকরোগুলোর নিষ্ঠুরতম সব আঘাত। যখন এ যুদ্ধে তুমি জয়ি হতে বিশ্বাসের ভাঙা টুকরোগুলোর উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে আসতে চাইবে সম্পর্ক থেকে, ওরা তখন সমস্ত অপরাধের দ্বায়বার তোমায় দিবে। নুন্যতম অনুতপ্তবোধ তাদের চোখে থাকে না তখন। এমন আচরণ করববে ওরা যেন তুমি প্রতারক।

অথচ ওরা কখনো বুঝে না ভালোবেসে একদিন খোদার কাছে যার বুকে ঠাঁই চেয়েছি, সেই বুক থেকে সমস্ত মায়া, মমতা, স্নেহ, ভালোবাসা মুছে দিয়ে সরে আসতে কতগুলো দিন নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করতে হয়েছে। তারা বোঝে না সরে আসার পর মানুসিক যন্ত্রণার কথা, শক্তিহীন দিনগুলোর কথা, জেগে থাকা রাতগুলোর ব্যাথা, শুঁকিয়ে যাওয়া চোখের জলের আগুন, বুক চিঁড়ে বেড়ানো আর্তনাদের ভাষা, হাসি মুখ নিয়ে সবার জীবনে একটু হলেও খুশি নিয়ে আসা মানুষটার বদলে গিয়ে নিথর দেহে প্রাণ থাকতেও প্রাণহীন মানুষ হয়ে ওঠার কথা। কিচ্ছুই বোঝে না, বুঝেতে চায়ও না কখনো।

কারও বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হুঁহুঁ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে সবচেয়ে গোপন ক্ষতের কথা। একটু ভরসা পেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে কেউ সমুদ্র সমেত মমতায় আঙুলে গুঁজে মাথায় হাত বুলিয়ে দিক, হৃদয়ে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন ভালোবাসার কোমল মসৃণ ছোঁয়ায় নিভিয়ে দিক, অনেকদিন নির্ঘুম থাকা চোখের পাঁপড়িগুলোর মাঝে মেখে দিক নেশাতুর ঘুম।

অথচ,
বিচ্যুত নক্ষত্রের মতোন কিছুর সাথেই আমাদের আর দেখা হয় না। না গল্পের সাথে, না প্রেমের সাথে, না সম্পর্কের, না মানুষের। শুধু জীবনের পথে পথে তীব্র বেদনাতুর সুঘ্রাণ নিয়ে শিউলি ফুলের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস আর অপার শূন্যতা..

07/07/2024

রান্নার কাজে লেবুর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ-👇

🍋 ফ্রিজে মাছ, মাংস রাখায় গন্ধ ছাড়ছে? ফ্রিজে লেবুর স্লাইস রেখে দিন,দুর্গন্ধ কেটে যাবে।

🍋 আপেল বা অন্যান্য ফল কেটে রাখলে লালচে হয়ে যায়? সামান্য লেবুর রস মেখে রাখুন আর লালচে হবে না।

🍋 ভাত রান্নার শেষ দিকে অল্প পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে নিন। ধবধবে সাদা ভাত তো হবেই, সাথে ফ্লেভারও আসবে।

🍋 গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন, কাঁটা নরম হয়ে নেমে যায়।

🍋 সাদা কাপড়কে আরো ধবধবে সাদা করতে চান ? গরম পানিতে লেবুর টুকরা দিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেই হবে।

🍋 মুরগী বা গরুর মাংস সিদ্ধ হতে সমস্যা? রান্না করার আগে লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা।

🍋 বয়লার মুরগি রান্নার আগে লেবুর রস মাখিয়ে রাখলে বয়লারের উটক গন্ধটা অনেকটাই কমে যায়।

🍋 রান্না অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গিয়েছে? লেবুর রস মিশিয়ে দিন এক চামচ, এতে খাবারের অতিরিক্ত ঝাল কমে যায়।

🍋 আদা-রসুন কাটার পর বা পেস্ট বানানোর পর হাত থেকে গন্ধ বের হয়? হাতে লেবুর রস মেখে নিন, এতে হাতের দুর্গন্ধ কমে যায়।

🍋ছোট মাছের চচ্চড়ি রান্নায় পিল করে লেবুর খোসা মাছের ওপরে বিছিয়ে দিন, তারপর ঢাকনা দিয়ে চুলা নিভিয়ে দিন। খোসা গুলো ফেলে দিয়ে পরিবেশন করুন।ফ্লেভারটা অসাধারণ হয়।

🍋 ঘরে ভ্যানিলা এসেন্স নেই? লেবুর খোসা ভেজিটেবল পিলার দিয়ে ছিলে নিন অথবা লেবুর রস ব্যবহার করুন।

🍋 লেবুর সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে খুব সহজেই বেসিন পরিষ্কার করা যায়। এক-দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডার এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর সেই মিশ্রণটিকে বেসিনে ছিটিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ সেটিকে রেখে জল দিয়ে বেসিনটি ধুয়ে নিতে হবে।

সংগৃহীত

#

03/07/2024

নারী পুরুষের ভেতর কী খোঁজে
প্রশ্নটা পুরোনো। তবে আজও প্রাসঙ্গিক। নারী একজন পুরুষের ভেতর কী চান? এই প্রশ্নের উত্তরে কেউ মজা করেন, কেউবা আবার দাবি করেন মেয়েরা আসলে কী চান, তাঁরা নিজেরাই জানেন না। কিন্তু সত্যিটা হলো, এর কোনো একক উত্তর নেই। একেক নারীর ক্ষেত্রে একেক উত্তর প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, পুরুষের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুণ আছে, যেগুলো সাধারণত নারীরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কী সেই গুণ? চলুন জেনে আসি।

১. সততা, বিশ্বস্ততা

এটা কেবল নারী-পুরুষ হিসেবে নয়, যেকোনো মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ নিঃসন্দেহে সততা। আর কেউ-ই ভালোবাসার নামে প্রতারিত হতে চান না। কাজেই নারীর মনে ঠাঁই পেতে হলে আপনাকে প্রতিটি ব্যাপারে সৎ হতে হবে। বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

২. একটুখানি সেন্স অব হিউমার

জানি, কথাটা আপনি আগেও শুনেছেন। নারীকে যে পুরুষ হাসাতে পারেন, তাঁর সিঙ্গেল থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, এই গুণকে মেয়েরা সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশি পছন্দ করেন। না, এর মানে আপনাকে গোপাল ভাঁড় হতে হবে না। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে মজা করা, হাসানোর দক্ষতা একটা বড় গুণ।

৩. আত্মবিশ্বাস

সামাজিক, মানসিক—সব ধরনের আত্মবিশ্বাসই নারীর পছন্দের তালিকার শীর্ষে। আপনি স্পষ্টভাবে নিজের অবস্থান জানান দিতে পারেন, সুন্দর করে কথা বলতে পারেন বা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন, অনেক নারীর কাছে এর চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় আর কিছু নেই!

৪. বুদ্ধিমত্তা

না, না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নারীর মন পেতে হলে আপনার আইনস্টাইন হতে হবে না। শুধু পরিস্থিতি, ঘটনা বুঝে সেই অনুযায়ী আচরণ করতে পারলেই চলবে। শুধু নারীকে আকর্ষণের জন্য নয়, এই বুদ্ধিমত্তা আপনার নিজের জন্যও খুবই জরুরি।

৫. জীবনের লক্ষ্য থাকা

নারীরা ‘ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড’ পুরুষকে পছন্দ করে। ছোটবেলায় লেখা ‘এইম ইন লাইফ’ রচনার মতো মিথ্যা লক্ষ্য হলে হবে না। বরং আপনি সত্যি সত্যিই একটা কিছু হতে চান এবং সেই অনুসারে পরিশ্রম করতে পারেন, বিষয়টা অনেকের কাছেই অনেক প্রিয়। কাজেই, আজকেই খাতা–কলম নিয়ে ভাবতে বসে যান, আর ১০ বছর পর নিজেকে আপনি কোথায় দেখতে চান?

৬. অর্থনৈতিক নিরাপত্তা

অনেকেই মনে করেন, পুরুষের ভালো চাকরি, টাকাপয়সা—এগুলো নারীকে টানে। এগুলো কাকে টানে না বলেন? প্রত্যেক মানুষই জীবনে নিরাপত্তা চান। আর সেই নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। ধনী হতে কে না চান? এই পৃথিবীতে কেউ দরিদ্র থাকতে চান? ধনী হওয়ার অন্যতম সহজ উপায় ধনী কাউকে বিয়ে করে ফেলা। তবে বিশেষ করে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক নারী–ই সংসারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আর সব শ্রেণির ভেতরেই নারীর অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার হার বাড়ছে। অস্কারজয়ী হলিউড তারকা অ্যান হ্যাথওয়ের মতে, ধনী পুরুষ কেবল অলস নারীদের আকর্ষণ করে! পরিশ্রমী নারীর জন্য পুরুষ যদি ধনী হন, সেটা একটা ‘বোনাস’। পুরুষকে ধনী হতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই! তবে পুরুষকে অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

৭. সম্মান, দয়া, মায়া, সহানুভূতি, পোষা প্রাণীর প্রতি আবেগ

ছোট্ট পরিসরে চালানো একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ছেলের পোষা প্রাণী থাকে, মেয়েরা তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হন বেশি। দয়া, মায়া, সহানুভূতিসম্পন্ন পুরুষেরাই নারীকে বেশি আকর্ষণ করেন। অন্য নারীদের সম্মান করা, স্বেচ্ছাসেবামূলক যেকোনো কাজ—এই দুই বিষয় নারীদের অনেক পছন্দ। কাজেই আপনি যদি নারীদের সম্মান করেন, তাঁদের জন্য সহমর্মী হন আর মানবসেবায় নিজেকে কিছুটা হলেও উৎসর্গ করেন, তাহলে সম্ভাবনা আছে, নারীদের ভেতরেও আপনি অনেক জনপ্রিয়তা পাবেন। বলিউড তারকা শাহরুখ খান এর আদর্শ উদাহরণ।

এসবের বাইরেও মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকে। তবে ওপরের গুণগুলো শুধু মেয়েদের কাছেই পছন্দের, তা–ই নয়। বরং এসব গুণ মানুষ হিসেবে আপনাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করে। আর সঙ্গী হিসেবে একজন নারী তো একজন ভালো মানুষকেই সবার আগে চাইবেন, তাই না?

24/05/2024

ধ‍্যানের পর গৌতম বুদ্ধ বিশ্রাম নিতে যাবেন। এমন সময় এক দরিদ্র ব্যক্তি গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলো : আমি এতো দরিদ্র কেন?

জবাবে গৌতম বুদ্ধ বললেন : কারন তুমি দান কর না এবং করতেও জানো না।

দরিদ্র ব্যক্তি বলল : আমার তো দান করার মত কিছুই নেই।

অতঃপর গৌতম বুদ্ধ বললেনঃ দান করার মত অনেক জিনিস আছে তোমার কাছে, যা কারো কাছেই কম নেই অর্থাৎ তা ধনী-গরীব সবার কাছেই সমপরিমাণ থাকে। আর তা হল :

চেহারা : যা দ্বারা তুমি সুখ ও আনন্দের হাসি উপহার হিসেবে অন্যদের দিতে পারো।

মুখ : যা দ্বারা তুমি মাধুর্য্যপূর্ণ উৎকৃষ্ট কথা বলে মানুষকে আনন্দ ও উৎসাহ প্রদান করতে পারো।

হৃদয় : যা তুমি আন্তরিকতা ও উদারতা দ্বারা অন্যদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারো।

চোখ : যা দ্বারা তুমি দয়া ও ভালোবাসার সাথে অন্যদের দেখতে পারো।

দেহ : যা দ্বারা তুমি নিজের শ্রমের মাধ্যমে অন্যদের সাহায্য প্রদান করতে পারো।
আর তাই তো তুমি একেবারেই দরিদ্র নও। মূলত হৃদয়ের দারিদ্রতাই প্রকৃত দারিদ্রতা, আর্থিক দারিদ্রতা মূল দারিদ্রতা নয়।

23/05/2024

ফ্রান্ৎস কাফকা কখনো বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের একটা পার্কে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখলেন যে তার প্রিয় পুতুলটি হারিয়ে কাঁদছিল। সেই মেয়েটি এবং কাফকা, দু’জনে মিলে খুব খুঁজলেন হারিয়ে যাওয়া পুতুলটিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তা।
কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তাঁরা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে।
কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন কাফকা ছোট্ট মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, ‘এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’। সে চিঠিতে লেখা ছিল, ‘দয়া করে তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনী তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’
এভাবেই শুরু হয়েছিল একটি গল্পের, যা চলেছিল কাফকার মৃত্যু পর্যন্ত।
ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কাফকার নিয়মিত দেখা হতো। আর যখনই দেখা হতো তখনই কাফকা একটি চিঠি দিতেন মেয়েটিকে, বলতেন সেই একই কথা, ‘চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’, এবং পড়ে শোনাতেন তার প্রিয় পুতুলের বিশ্ব-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা খুব যত্নের সাথে, যে বর্ণনাগুলো মেয়েটিকে ভীষণ আনন্দ দিত।
এর কিছুদিন পর একদিন কাফকা একটি পুতুল কিনলেন এবং মেয়েটিকে দিলেন। বললেন, ‘এই নাও, তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল।’
মেয়েটি বললো, ‘এই পুতুলটি মোটেও আমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের মতো দেখতে নয়।’
কাফকা তখন মেয়েটিকে আরও একটা চিঠি দিলেন যেটাতে তার প্রিয় পুতুলটি তাকে লিখেছে, ‘ভ্রমণ করতে করতে আমি অনেক পাল্টে গিয়েছি।’
ছোট্ট মেয়েটি তখন নতুন পুতুলটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল এবং অপার আনন্দে ভাসল।
এর এক বছর বাদে কাফকা মারা যান।
বহু বছর বাদে, সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন অনেক বড় হয়ে গেছে, তখন সে সেই পুতুলটির ভিতরে একটি ছোট্ট চিঠি পায়। কাফকার সই করা ছোট্ট সে চিঠিটিতে লেখা ছিল, ‘Everything you love will probably be lost, but in the end, love will return in another way.
(সংগৃহীত)

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Silent Sound posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share