02/06/2024
গল্প_একজন মধ্যবিত্ত বলছি...
পর্ব_২
বাসার সামনে গিয়ে একটা গাড়ি নিয়ে লন্চঘাটের দিতে রওয়ানা হলাম।লন্চঘাট গিয়ে পৌছানোর কিছুক্ষন পরে লন্চ ঘাটে আসলো।লন্চে উঠে কোনো রকম একটা সিট করে নিয়েছি থাকার জন্য।পাশের সিটে চোখ পরতেই দেখি একটা আন্টি ও তার সাথে একটা মেয়ে।মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিল,তবে বোঝা যাচ্ছিল না যে মেয়েটা তার কি হয় কারন আন্টি বলতে তার বয়স একটু বেশি ছিল তাই আরকি😅যাই হোক ওদিকে আর তাকালাম না।আমি আবার বাড়ির কথা মনে করে ভিতরে ভিতরে কষ্ট চাপা দিতেছি।মন চাচ্ছে লন্চ থেকে লাফ দিয়ে পরে যাই।কিন্তু কি করার যেটা সম্ভব না সেটা নিয়ে না ভাবাই শ্রেয়।আমি ফোন বন্ধ করে রেখেছিলাম যাতে বাসার কেউ আমাকে ফোন দিতে না পারে।শুয়ে শুয়ে বাড়ি,মা,বাবা,বোনদের কথা ভাবতেই চোখের কোনে দু ফোটা পানি চলে আসলো।তখন ভাবতেছিলাম আবার যে বাড়ি থেকে এসে কি অনেক বড় ভুল করে ফেল্লাম না তো।ভাবতে ভাবতে একটু ঘুম চলে আসলো চোখে,হঠাৎ কানে ভেসে উঠলো কে যেন আমাকে ডাকতেছে।উঠে বসলাম দেখি পাশের সিটের আন্টি ডাকতেছে আমি জিজ্ঞেস করলাম আন্টি আমাকে ডেকেছেন?সে মাথা নেড়ে হ্যা সম্মতি দিল আর বলল যে তুমি কি প্লেট আনছো ভাত খাওয়ার জন্য?আমি বললাম না আন্টি আমি তোখাওয়ার জন্য কিছুই নিয়ে আসি নাই।সে বলল তাহলে তুমি এত বড় রাত না খেয়ে থাকবে?আমি বললাম না আন্টি হোটেল থেকে কিছু খেয়ে নিবো।এ কথা শুনে সে কিছু না বলে চেলে গেল আার সিটে।মেয়েটা রুটি খাইতেছে আর আমার দিকে তাকাইতেছে।আমি ওর মায়ায় পরে যাচ্ছি সেটা বুঝতে পারছি।আমি ওর দিকে তাকিয়েই আছে ও খাচ্ছে আমি দেখতেছি।আবার ভাইবেন না যে লোভ দিতাছি😆আমি ওর প্রেমে পড়ে গেছি কিন্তু ওরে এটা বলা যাবে না এখন।আন্টি দেখি রুটি গুনতেছে,কিছুক্ষন পর আমাকে ডাক দিল বলল এদিকে আসো।আমি ভয়ে ভয়ে গেলাম সে বলল বস এখানে,রুটি আছে ভাজি আছে খেয়ে নাও।পেটা তখন ক্ষুদাও লাগছে,কোনো কিছু না ভেবে ৪ টা রুটি সাভার করে দিয়েছি😃মেয়েটার দিকে তাকাইনি,কারন ওর মা যদি আন্দাজও করে যে তার মেয়েকে আমি ভালোবেসে ফেলছি তাহলে ঝামেলা হবে।তাই এমন কিছু করি না যে সে কিছু বুঝতে না পারে।খাওয়া শেষ করে আমি আমার সিটে চলে আসলাম।এসে শুয়ে শুয়ে এখন ওর কথাই ভাবতেছি কিভাবে আমার মনের কথা ওরে বলবো সেটা নিয়ে একটু প্যারা খাইতেছি।লন্চে বলতে না পারলে ও তো চলে যাবে,আর পাবো না।ভাবতে ভাবতে একটু চোখ লেগে গেল।কিছুক্ষন পরে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে ঘুমটা ভাংলো।শুনতেছি লন্চ নাকি ফেটে গেছে নিচ থেকে,এখন পানি উঠে ঢুবে যাচ্ছে লন্চ।এটা শুনে আকাশ ভেংগে পড়লো মাথায়,আল্লাহ এটা তুমি কোন পরিক্ষার মধ্যে ফেলছো।আমার সিট ছিল দুই তলায় মানুষ বলতেছে যে নিচের তলা নাকি ঢুবে গেছে।পাশের সিটের আন্টি ও তার মেয়েও ভয়ে কান্না করতেছে।তাদের কি বলবো আমার নিজেরই তো অনেক ভায় লাগতেছে।পরে নিজের মনকে শক্ত করে বলতেছি নিজে নিজে যে আমি ছেলে মানুষ আমার আবার ভায়ের কি আছে।আমি সাহস নিয়ে আন্টির কাছে গেলাম গিয়ে তাকে বলতেছি আন্টি ভয় পাবেন না কিছু হবে না,আল্লাহুর উপর ভরসা করুন কিছু হবে না।সে বলতেছে বাবা আমি প্রায় কবরের বাসিন্দা হয়ে গেছি,আমি আমার জন্য ভয় পাই না ভায় তো পাই আমার মেয়ে নিলার জন্য।
দ্বিতীয় পর্ব ভালো লেগে থাকলে লাইক করবেন..আর কমেন্টে Next বলে দেন সবাই।তৃতীয় পর্ব আরও মজা নিয়ে আসতেছে কালকে।