ইসলামের আলো

ইসলামের আলো Assalamualaikum Everyone.It's An Islamic Content Based Page.Stay Connected.

11/07/2025
হিজরি ১৪৪৭-এর পবিত্র আরবি নববর্ষের শুভেচ্ছা! ⭐🌙আলহামদুলিল্লাহ! আমরা প্রবেশ করলাম নতুন একটি হিজরি বছরে — ১লা মুহাররম ১৪৪৭...
27/06/2025

হিজরি ১৪৪৭-এর পবিত্র আরবি নববর্ষের শুভেচ্ছা!
⭐🌙

আলহামদুলিল্লাহ! আমরা প্রবেশ করলাম নতুন একটি হিজরি বছরে — ১লা মুহাররম ১৪৪৭।

🕋 মুহাররম ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস এবং তা আমাদের ইতিহাসে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। এই মাসেই রয়েছে আশুরার দিন, শহীদদের আত্মত্যাগ ও হক-বাস্তবতার এক গৌরবময় নিদর্শন।

🤲 আসুন, এই নতুন বছরটি শুরু করি তওবা, ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে। বিগত বছরের গুনাহ থেকে মুক্তি চাই, নতুন বছর হোক আল্লাহর রহমত, বরকত আর শান্তিতে পরিপূর্ণ।

✨ সকল মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই —
"হিজরি নববর্ষ মুবারক! আল্লাহ তাআলা এই বছরটিকে আমাদের জন্য হিদায়াত, মাগফিরাত ও শান্তির বছর করে দিন।"

#হিজরি১৪৪৭ #মুহাররম #নববর্ষ

সাদ্দাম হোসেনের ফাঁ/সির সময় পরিস্থিতি: তার শেষ মুহূর্তগুলো ছিলো অবিশ্বাস্যরকম শান্ত।সাদ্দামকে যখন ফাঁ/সির মঞ্চে নেওয়া হয়...
06/04/2025

সাদ্দাম হোসেনের ফাঁ/সির সময় পরিস্থিতি:

তার শেষ মুহূর্তগুলো ছিলো অবিশ্বাস্যরকম শান্ত।
সাদ্দামকে যখন ফাঁ/সির মঞ্চে নেওয়া হয়, তখনও তিনি ভয় না পেয়ে শান্ত ছিলেন।

তিনি বলছিলেন:

> "আল্লাহু আকবার",
"আমার জাতির বিজয় হবেই",
"ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ"

তিনি মৃত্যুর আগে কুরআনের আয়াতও পড়ছিলেন।
এই আচরণে অনেক মার্কিন সেনা স্তব্ধ হয়ে যায়, কারণ তাদের ধারণা ছিল—এই মানুষটি শেষ মুহূর্তে ভেঙে পড়বেন। কিন্তু সাদ্দাম ছিলেন দৃঢ়, মর্যাদাবান ও ঈমানদার।

২. পাহারাদারদের প্রতিক্রিয়া:

(ক) আবেগপ্রবণতা ও সম্মান:

সাদ্দামের মৃত্যুর সময় পাহারায় নিয়োজিত একজন মার্কিন সেনা বলেন:

> “আমি তাকে অপছন্দ করতাম, কিন্তু তার সাহসিকতা আমাকে কাঁদিয়ে দিয়েছিল।”
“আমরা তার মৃত্যুর পর কিছু সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেউ কেউ চোখ মুছছিল।”

(খ) ধর্মীয় প্রভাব:

একাধিক সেনা বলেন,

> "সাদ্দাম হোসেনের ইসলামিক জীবনচর্চা, ধৈর্য ও ঈমান আমাদের নাড়া দেয়।"

তারা দেখে, একজন মুসলিম কিভাবে মৃত্যুকে ভয় না করে গ্রহণ করে—এটাই অনেকের বিশ্বাসে দোল আনে।

৩. ইসলাম গ্রহণের সম্ভাব্য উদাহরণ

একজন মার্কিন সেনা (নাম গোপন), যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন:

তিনি পরবর্তীতে একটি ইউটিউব সাক্ষাৎকারে (যা অনেকবার সরানো হয়) বলেন:

> “আমি যাকে ভয় পেতাম, সে আমার চোখ খুলে দিল। আমি ইসলাম নিয়ে পড়া শুরু করি, এবং বুঝি—এই ধর্ম মানুষকে ভেতর থেকে শক্ত করে।”

তার বক্তব্য অনুযায়ী:

সাদ্দাম তাঁকে কুরআনের কিছু অনুবাদ পড়তে বলেন।

তিনি সেই পাঠে ‘সুরা মুলক’ পড়ে, যা মৃত্যু ও পরকালের বিষয় আলোচনা করে।

কিছু মাস পরে, সেই সৈনিক শাহাদত পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।

৪. এ বিষয়ে কিছু তথ্যসূত্র (যদিও সীমিত):

কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র ও বই যেমন:

"The Prisoner in His Palace" (by Will Bardenwerper)

"Saddam's Secrets"

সেখানে বলা হয়, সাদ্দামের ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় আচরণ মার্কিন সেনাদের মধ্যে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল।

৫. ইসলামের প্রভাব সাদ্দামের শেষ জীবনে স্পষ্ট ছিল:

তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ পড়তেন।

রমজান মাসে রোজা রাখতেন, এবং মার্কিন সেনাদেরও ধর্ম মানার উৎসাহ দিতেন।

একবার বলেন:

> “তোমরা যদি সত্য খুঁজো, আল্লাহর কাছে ফিরে যাও।”

উপসংহার:

হ্যাঁ, সাদ্দামের মৃত্যুর পর অন্তত একজন বা একাধিক মার্কিন সেনা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, যদিও এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো ব্যাপক প্রচার পায়নি।

কারণ এই ঘটনাগুলো মার্কিন সামরিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একেবারে যায় না, তাই সেনাবাহিনী সেগুলো চেপে রাখে।

সালাতে সিজদাহতে রাসুল (সা.) ছোট্ট একটি দোয়া পড়তেন, যা শব্দে সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থে অসীম। তিনি বলতেন —«اللَّهُمَّ اغْفِرْ ل...
26/03/2025

সালাতে সিজদাহতে রাসুল (সা.) ছোট্ট একটি দোয়া পড়তেন, যা শব্দে সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থে অসীম। তিনি বলতেন —

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ»

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।

"হে আল্লাহ! তুমি আমার ক্ষুদ্র ও বৃহৎ, পূর্বের ও পরের, প্রকাশিত ও গুপ্ত সকল প্রকার গুনাহকে মাফ করে দাও।" (মুসলিম, সহীহ ৪৮৩নং, আহমাদ, মুসনাদ)

এই দোয়াটি যেন এক বিশাল সমুদ্র, যার প্রতিটি ফোঁটায় রয়েছে অনন্ত রহমতের আবেদন। কয়েকটি বাক্যের মধ্যে মুমিন বান্দা নিজের সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি, জানা-অজানা পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে।

একটি শিশু যদি ভুল করে মায়ের কোলে ফিরে এসে ক্ষমা চায় তখন মা সমস্ত অভিমান ভুলে বুকের মাঝে জড়িয়ে নেয়। তেমনি এই দোয়ার মাধ্যমে বান্দা নিজের সমস্ত গুনাহ স্বীকার করে রবের করুণা প্রার্থনা করে। আর যদি মহান আল্লাহ এই দোয়া কবুল করে নেন, তবে অতীতের সমস্ত গুনাহর ভার মাফ করে তিনি বান্দাকে পরিশুদ্ধ করে দেবেন।

আল্লাহর দরবারে চাওয়াটা যত বিশালই হোক, তাঁর দয়া তার চেয়েও বহুগুণ বড়। তাই আসুন, আমরাও সালাতের সিজদাহতে এই দোয়া পড়ি, বিনম্র হৃদয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করি। হয়তো এই ছোট্ট দোয়াই আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মোচনের কারণ হয়ে যাবে।

ইনশাআল্লাহ।

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) - ইসলামের তলোয়ারখালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি। তিনি কুরাইশ...
26/03/2025

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) - ইসলামের তলোয়ার

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতি। তিনি কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রথম জীবনে ইসলামবিদ্বেষী ছিলেন। উহুদ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিপক্ষে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে হুদাইবিয়ার সন্ধির পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাকে সাদরে গ্রহণ করেন।

খালিদ বিন ওয়ালিদের সামরিক কৌশল ও যুদ্ধের ময়দানে অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য তিনি "সাইফুল্লাহ" বা আল্লাহর তলোয়ার উপাধি লাভ করেন। নবীজীর জীবদ্দশায় ও পরবর্তীতে তিনি মুতার যুদ্ধ, তাবুক যুদ্ধসহ অসংখ্য যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অসাধারণ বিজয় অর্জন করে তিনি ইসলামের পতাকা উড্ডীন করেন।

খালিদ বিন ওয়ালিদের যুদ্ধকৌশল ছিল কৌশলী ও গতিশীল। তিনি ছোট সেনাবাহিনী নিয়ে বৃহৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করতেন। তার অসাধারণ যুদ্ধ কৌশল আজও সামরিক ইতিহাসে গবেষণার বিষয়।

হযরত আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এর খিলাফতে তিনি সিরিয়া, ইরাক এবং পারস্যে ইসলামী বিজয় নিশ্চিত করেন। তার নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ইয়ারমুকের ঐতিহাসিক যুদ্ধে বিশাল রোমান বাহিনীকে পরাজিত করে।

৬৪২ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার হামাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "যোদ্ধার মৃত্যু যুদ্ধক্ষেত্রে হওয়া উচিত ছিল। অথচ আমি বিছানায় মৃত্যুবরণ করছি।"

খালিদ বিন ওয়ালিদের জীবন উৎসর্গ ছিল ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য। তার বীরত্ব, কৌশল এবং আত্মত্যাগের কাহিনি আজও অনুপ্রেরণার উৎস।

ফিলিস্তিনের আর্তনাদ: নীরব পৃথিবী সাক্ষীফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত বয়ে চলছে রক্তের স্রোত। নিষ্পাপ শিশুদের ছিন্ন/ভিন্ন দেহ পড়...
21/03/2025

ফিলিস্তিনের আর্তনাদ: নীরব পৃথিবী সাক্ষী

ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত বয়ে চলছে রক্তের স্রোত। নিষ্পাপ শিশুদের ছিন্ন/ভিন্ন দেহ পড়ে থাকে ধূলোমাটিতে। মায়েরা সন্তান হারিয়ে পাথর হয়ে যান, বাবারা অসহায় চোখে চেয়ে থাকেন ধ্বংসস্তূপের দিকে। রমজানের পবিত্র মাসেও তারা সেহরি-ইফতারের অনিশ্চয়তায় রোজা রাখছে। আসন্ন ঈদের আনন্দের স্বপ্ন ভুলে শুধুই বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত তারা। খাবার নেই, নেই নিরাপদ পানি। হাসপাতালে চিকিৎসা নেই, বরং সেসব হাসপাতালেই নেমে আসে বোমার ধ্বংস/যজ্ঞ।

একটি শিশুর চোখে বিস্ময় কেন এই মৃত্যু? কেন তার ছোট্ট ভাইয়ের নিথর দেহ কোলে তুলে নিতে হচ্ছে? চারপাশে শুধু কান্নার শব্দ, আহাজারির সুর। অথচ পুরো বিশ্ব নীরব। মানবতার দাবিদার রাষ্ট্রগুলো চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছে এই নিষ্ঠুর হত্যা/যজ্ঞ। কিছু দেশ ত্রাণ পাঠায়, তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ত্রাণ নিতে আসা অসহায় মানুষদের উপরেও আকাশ থেকে নামে বোমা। সবকিছু শেষ!

যুদ্ধবিরতির নামে দেওয়া আশ্বাসও মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ফের শুরু হয় গণ/হত্যা। তবুও ফিলিস্তিনের মানুষ বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়, ঈমানের শক্তিতে উজ্জীবিত হয়। তারা জানে, তাদের পক্ষে নেই কোনো আধুনিক অস্ত্র, নেই কোনো সেনাবাহিনী। আছে শুধু আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস।

মুসলিম দেশগুলো কি তবে চিরকাল এমন নীরব দর্শক হয়েই থাকবে? একজন ওমর ফারুক (রাঃ) কিংবা খালিদ বিন ওয়ালিদের অভাব যেন প্রতিনিয়ত অনুভূত হয়। যদি বিশ্বের মুসলিমরা এক হয়ে দাঁড়াত, তবে কি এই নির্যাতন চলত? না, তারা পারত না এমন নির্লজ্জভাবে মানবতা হত্যা করতে।

ফিলিস্তিনের ধ্বংসস্তূপের মাঝে আজও কেউ কেউ আকাশের দিকে চেয়ে বলে, "ইয়া আল্লাহ! আমাদের জন্য আবাবিল পাখি পাঠাও। আমাদের রক্ষা করো।" সৃষ্টিকর্তার রহমতের আশায় তারা বুক চেপে ধরে সহ্য করছে প্রতিটি নির্যাতন।
আর আমরা?
আমরা কি শুধু দর্শক হয়ে থাকব, নাকি মানবতার পক্ষে দাঁড়াব?

"শৈশবের নৈতিক শিক্ষা: জীবনের পথপ্রদর্শক"মুসলিম পরিবারের ছোট্ট একটি ছেলে, রিয়াদ, প্রতিদিন সকালে মক্তবে যায় কুরআন শিখতে। এ...
22/11/2024

"শৈশবের নৈতিক শিক্ষা: জীবনের পথপ্রদর্শক"

মুসলিম পরিবারের ছোট্ট একটি ছেলে, রিয়াদ, প্রতিদিন সকালে মক্তবে যায় কুরআন শিখতে। একদিন মক্তব থেকে ফেরার পথে সে রাস্তায় ১০০ টাকার একটি নোট কুড়িয়ে পায়। প্রথমে সে খুব খুশি হয় এবং নোটটি হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।

বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে পুরো ঘটনাটি জানায়। তখন তার মা, যিনি রান্নাঘরে রুটি বানাচ্ছিলেন, তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক শিক্ষা দেন। মা বলেন, "অন্যের জিনিস বা টাকা কুড়িয়ে নিলে তা হারামের মতো হয়। আমাদের উচিত, এটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া বা যেখানে পেয়েছি সেখানে রেখে আসা।" মায়ের কথা শুনে রিয়াদ বুঝতে পারে যে এটি সঠিক কাজ নয়। সে সঙ্গে সঙ্গেই মায়ের নির্দেশ মেনে টাকাটি যেখানে পেয়েছিলো সেখানে গিয়ে রেখে আসে।

এই ছোট ঘটনাটি রিয়াদের কচি মনে গভীর প্রভাব ফেলে। সেই দিনের শিক্ষাটি সে কখনও ভুলে যায়নি। আজ রিয়াদ বড় হয়েছে এবং তার জীবনে সেদিনের নৈতিক শিক্ষা দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করছে। সে কখনও অন্যের কোনো জিনিসের প্রতি লোভ দেখায় না এবং অন্যায়ভাবে কারও সম্পদ নেওয়ার বিপক্ষে থাকে। যদি কোনো হারিয়ে যাওয়া জিনিস পায়, সে সবসময় চেষ্টা করে প্রকৃত মালিককে তা ফিরিয়ে দিতে।

এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে ছোটবেলায় পরিবার থেকে পাওয়া নৈতিক শিক্ষা একজন শিশুর পুরো জীবনকে প্রভাবিত করে। পরিবারই হলো একটি শিশুর প্রথম বিদ্যালয়, আর মা-বাবা হলো তার প্রথম শিক্ষক। শিশুরা তাদের আশেপাশের মানুষদের থেকে যা দেখে ও শিখে, তা তাদের জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে।

তাই প্রত্যেক মা-বাবার উচিত ছোট থেকেই তাদের সন্তানদের সৎ ও নৈতিক জীবনের দীক্ষা দেওয়া। কারণ, ছোটবেলার এই মূল্যবোধ শিশুর জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। নৈতিক শিক্ষায় গড়া শিশুরাই ভবিষ্যতে সৎ, দায়িত্বশীল এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়তে পারে।

যেই বয়সে তার পুতুল নিয়ে বাসার এই রুম থেকে ওই রুমে ছোটাছুটি করার কথা, সেই বয়সে সে তার ছোট্ট আহত/অসুস্থ ভাইকে কাধে নিয়ে এই...
25/10/2024

যেই বয়সে তার পুতুল নিয়ে বাসার এই রুম থেকে ওই রুমে ছোটাছুটি করার কথা, সেই বয়সে সে তার ছোট্ট আহত/অসুস্থ ভাইকে কাধে নিয়ে এই এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছুটছে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। যেই বয়সে তার পরিবার, বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠার কথা, সেই বয়সে সে তার ছোট্ট ভাইয়ের দেখাশুনা করছে। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস।

তবুও তারা মনোবল হারায়না, তাদের মানসিক শক্তি কতটা অসীম সেটা তার ছোট একটা উক্তি থেকে উপলব্ধি করা যায়। "এটা আমার ভাই, আমার কাছে ভারী নয়"। আল্লাহ তাদের মানসিক শক্তি এবং ঈমানি শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দিক।

নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন এবং ন্যায়বিচার করেন।

'আল্লাহ কি বিচারকদের শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?'
(সূরা : আত ত্বীন - আয়াত ৮)

‘অচিরেই জালিমরা জানতে পারবে, তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল কোথায় হবে।’
(সূরা : শুআরা, আয়াত : ২২৭)



❌কি অবস্থা ?❌কেমন চলছে দিনকাল ?❌হেই ব্রো !❌হেলো ব্রাদার !☑️ আসসালামু আলাইকুম ।কথোপকথন শুরু হোক সালাম দিয়ে।
18/10/2024

❌কি অবস্থা ?
❌কেমন চলছে দিনকাল ?
❌হেই ব্রো !
❌হেলো ব্রাদার !
☑️ আসসালামু আলাইকুম ।

কথোপকথন শুরু হোক সালাম দিয়ে।

কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো নিয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই। এ ব্যাপারে একটি ব্যাপার লক্ষ্য করবেন যে, একই ঘটনা বিভিন্ন সূরাতে বার ...
06/03/2024

কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো নিয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই। এ ব্যাপারে একটি ব্যাপার লক্ষ্য করবেন যে, একই ঘটনা বিভিন্ন সূরাতে বার বার এসেছে। শুধু ইউসুফ (আ) এর ঘটনা ব্যতীত কোনো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা এক স্থানে উপস্থাপন করা হয়নি।

অর্থাৎ, ইউসুফ (আ) এর সম্পূর্ণ ঘটনা একটি সূরাতে একত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। কোন সূরাতে? সূরা ইউসুফে। কিন্তু, মূসা (আ) এর ঘটনা এভাবে এক সূরায় একত্রে বর্ণনা করা হয়নি। তাঁর ঘটনা বিভিন্ন সূরাতে বিভিন্নভাবে এসেছে। বনী ইসরাইলের সকল ঘটনাও এক সূরাতে একত্রে তুলে ধরা হয়নি। ইব্রাহিম (আ) এর ঘটনাও এক স্থানে আসেনি। আদম (আ) এর ঘটনাও সমগ্র কুরআন জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এসেছে এবং পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।

তাহলে এখানে দুইটি ইস্যু। ঘটনাগুলো কুরআনের বেশ কয়েক জায়গাতে এসেছে। এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বা ঘটনার কিছু অংশ কয়েকবার তুলে ধরা হয়েছে।

এখন, কেউ প্রথম প্রথম কুরআন পড়তে এলে তার মনে প্রশ্ন জাগ্রত হয়, এই রিপিটিশনের কারণ কী? ঘটনাগুলো এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বর্ণনা করার কারণ কী? কেন মূসা (আ) এর সকল ঘটনা এক সূরাতে একত্রে বর্ণনা করা হয়নি? সূরাটির নাম দেওয়া যেত সূরা মূসা। এভাবে আসেনি। কেন?

কুরআনের প্রায় সত্তর জায়গায় মূসা (আ) এর ঘটনা এসেছে। কুরআন পড়তে গেলে বার বার মূসা (আ) এর ঘটনা সামনে এসে পড়ে।

এখন প্রশ্ন হলো কুরআনের সূরাগুলোকে কিভাবে সাজানো হয়েছে? এটা নিয়েই আমি মূলত কথা বলতে চাই।

এভাবে চিন্তা করুন। কুরআনের প্রতিটি সূরা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাঠের সমষ্টি। আর সবগুলো পাঠ একটি আরেকটির সাথে এক ধরণের বন্ধনে আবদ্ধ। তো, একটি সূরা একটি থিসিসের মত। ভার্সিটির একটি কোর্সের মতো।

অনেক সময় আমরা একটি আয়াত এক সূরা থেকে পড়ি, অন্য আরেকটি আয়াত অন্য আরেকটি সূরা থেকে পড়ি। কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলোকেও বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে পড়ি। অন্য কথায়, সূরার সীমানা থেকে বেরিয়ে আমরা বিষয়গুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে অধ্যয়ন করি।

কিন্তু একটি সূরা আসলে একটি সমন্বিত সমগ্র। এর সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য আছে। এর হয়তো অনেকগুলো শিক্ষা আছে। কিন্তু শিক্ষাগুলো একটি বৃহৎ ধারণার দিকে নির্দেশ করে।

কখনো সাপোর্টিং এভিডেন্সের কথা শুনেছেন? সমর্থনকারী প্রমাণের কথা? কুরআনের ঘটনাগুলো শুধু ঘটনা বলার জন্য উল্লেখ করা হয়নি। কোনো সূরাতে যে শিক্ষাগুলো বর্ণনা করা হয়েছে ঐ শিক্ষাগুলোর সমর্থনেই কেবল ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি সূরার সুনির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা রয়েছে। ঐ শিক্ষাগুলোর সমর্থনেই কেবল কোনো ঘটনা বা ঘটনার অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হয়। ঘটনার অন্য কোনো অংশ সূরাটিতে উল্লেখ করা হয় না।

তাই, কুরআনের সন তারিখ নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই। ঘটনাগুলো কোথায় সংঘটিত হয়েছে সেসব স্থানের বিস্তারিত বর্ণনাও কুরআনে পাওয়া যায় না।

কুরআনে বর্ণিত সবচেয়ে বিস্তারিত ঘটনা হলো ইউসুফ (আ) এর ঘটনা। কিন্তু, এখানে কি ইউসুফ (আ) এর ভাইদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে? বা মন্ত্রীর নাম? ইউসুফ (আ) এর মায়ের নাম কি উল্লেখ করা হয়েছে? মন্ত্রীর স্ত্রীর নামও কি এসেছে? সমগ্র সূরাতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট মাত্র দুইটি নাম এসেছে। কার কার নাম? ইউসুফ এবং ইয়াকুব (আ) এর নাম।

কেন উল্লেখ করা হয়নি? কারণ, এসব বিস্তারিত জানানো ঘটনাটির উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্যটা আরও বড় কিছু। তাই, যা কিছু বড় উদ্দেশ্য শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

আপনারা হয়তো ভাবছেন সুরা ইউসুফের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে ঘটনাটা শিক্ষা দেওয়া। কিন্তু, আসলে ঘটনাটা মূল উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হলো রাসূলুল্লাহ (স) এর সিরাত। জানতেন এটা?

সমগ্র সূরাটি রাসূলুল্লাহ (স) এর জীবনী নিয়ে। সূরা ইউসুফ এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর জীবনীর মাঝে অসাধারণ সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

সূরাটি নাজিল হয় রাসূলের দুঃখের বছর। আর সূরাটি হলো ইউসুফ (আ) এবং তাঁর পিতার দুঃখ নিয়ে।

ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা তাঁকে নির্যাতন করেছিলো। আর রাসূলের স্বগোত্রের লোকজন তাঁকে নির্যাতন করেছিলো। ইউসুফ (আ) কে একটি কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর রাসূলুল্লাহ (স) কেও শিয়াবে আবু তালিব নামক গিরি সংকটে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

ইউসুফ (আ) পরিশেষে তাঁর বাবা ইয়াকুবের ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করেন। রাসূলুল্লাহ (স)ও পরিশেষে তাঁর পিতা ইব্রাহীমের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনেন।

ইউসুফ (আ) তাঁর ভাইদের বললেন- لَا تَثۡرِیۡبَ عَلَیۡکُمُ الۡیَوۡمَ - আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নেই। রাসূলুল্লাহ (স)ও মক্কা বিজয়ের পর কুরাইশদের একই কথা বললেন।

উভয় রাসূলের ঘটনার মাঝে খুবই অসাধারণ সাদৃশ্য পাওয়া যায়!!

- নোমান আলী খানের আলোচনা অবলম্বনে
- YM Intensive: Lessons from the Story of Musa (as)
by Nouman Ali Khan Collection In Bangla

জায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ) যখন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিতে দিতে বদর যুদ্ধের বিজয়ের খবর নিয়ে মদিনায় প্রবেশ করছিলে...
05/03/2024

জায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ) যখন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিতে দিতে বদর যুদ্ধের বিজয়ের খবর নিয়ে মদিনায় প্রবেশ করছিলেন, তখন একজন বিশেষ ব্যক্তিও এই তাকবীরের আওয়াজ শুনতে পেলেন। আর তিনি ছিলেন ওসমান ইবনে আফফান (রা।) তিনি মাত্র রুকাইয়া (রা) কে কবর দেয়া শেষ করলেন। যেদিন জায়েদ (রা) যুদ্ধ জয়ের খবর নিয়ে এসেছিলেন, সেই দিন, ঠিক সেই সময় হজরত ওসমান মাত্র রাসূলুল্লাহ (স) এর কন্যার দাফন সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি তখন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আওয়াজ শুনতে পেলেন। "কী হয়েছে? কেন এই তাকবীর?" তখন তাকে বদর যুদ্ধের বিজয়ের খবর জানানো হল।

ব্যাপারটা নিয়ে যদি একবার ভেবে দেখেন...বদরের যুদ্ধে বিজয়ের দিন ছিল মুসলমানের জন্য, ইসলামের জন্য অন্যতম খুশির একটি দিন। এখন পর্যন্ত এর চেয়ে খুশির কোন কিছু ঘটেনি। এর চেয়ে আনন্দদায়ক কিছু ঘটেনি।

কিন্তু আল্লাহ ইচ্ছা করলেন, সেই দিন একটি ট্রাজেডিও আঘাত হানবে, ঠিক সেই ঘরে যেই ঘর সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হওয়ার কথা ছিল। আর তা ছিল রাসূলুল্লাহ (স) এর ঘর। রাসূল (স) এর কন্যা রুকাইয়া (রা) সেদিন মৃত্যুবরণ করেন।

এর মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন আমাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছেন, তুমি যত খুশিই হও না কেন এই পৃথিবী একটি পরীক্ষা এবং কষ্ট ক্লেশের স্থান। এমনকি বদরের দিনেও....আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন কিছুদিন পিছিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু, একেবারে বদরের দিন, যেদিন মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হওয়ার কথা ছিল সেইদিন এমন একটি দুঃখজনক ঘটনাও ঘটল।

এর মাধ্যমে আমাদের সবাইকে এই মেসেজ দেয়া হচ্ছে - উপলব্ধি করার চেষ্টা করো, এই দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। জীবন মৃত্যু কারো জন্য বন্ধ থাকে না। এর আগমন এমন সময় ঘটে যখন কেউ এটা নিয়ে ভাবে না। এটাই দুনিয়ার জীবনের বাস্তবতা। আমাদের রাসূল (স) যেমন একবার একটি রেখা টেনে বুঝিয়েছিলেন - আমাদের সবারই অমুক অমুক কাজের বিশাল এক লিস্ট থাকে। আর এ লিস্টের শেষে পৌঁছানোর পূর্বেই মৃত্যুর রেখা এসে তা কেটে ফেলে। তিনি এই উপমা দিয়েছেন।

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, এটা হল মানুষ, (এটা তার আশা-আকাঙ্ক্ষা) আর এটা হল তার মৃত্যু, সে এ অবস্থার মধ্যেই থাকে; হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (অর্থাৎ, মৃত্যু) এসে পড়ে। (বুখারী ৬৪১৮)

আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমাদের সবারই যখন শেষ সময় এসে যাবে, তখন আমাদেরও বিভিন্নরকম কাজের বিশাল এক লিস্ট থাকবে। ''আমাকে এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে।'' কিন্তু মৃত্যুর সাথে সাথে এই লিস্টের আর কোনো মূল্য থাকবে না। মৃত্যুর সাথে সাথে এর সমাপ্তি ঘটবে। এটাই জীবনের বাস্তবতা।

আমাদের রাসূল (স) কে এই ব্যাপারটা দেখিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আমাদের সবাইকে দেখানো হচ্ছে। কারণ, তিনি হলেন আমাদের রোল মডেল। এমনকি এমন একটা খুশির দিনেও আমাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই দুনিয়া আনন্দ উৎযাপনের জায়গা নয়। আনন্দ উৎযাপনের আসল জায়গা হলো জান্নাত।

-- শায়েখ ইয়াসির কাদি
-- Seerah of Prophet Muhammed ﷺ - part 41 এর অংশবিশেষ।

সময় টাকার চেয়েও মূল্যবান -------------------------------একজন মুমিন কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে সক্রিয়তার সাথে সময় নষ্ট করে না। ভা...
07/07/2023

সময় টাকার চেয়েও মূল্যবান
-------------------------------

একজন মুমিন কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে সক্রিয়তার সাথে সময় নষ্ট করে না। ভাবতে পারেন? কেউ টাকার কতগুলো বান্ডিল নিয়ে একটার পর একটা আগুনে জ্বালাতে থাকলো! কাউকে এমন করতে দেখলে মনে মনে বলবেন, হায়রে! মানুষ কি কোনোদিন এমন বোকা হতে পারে!

আল্লাহর শপথ! যখন আমরা সময় নষ্ট করি, আমরা আমাদের মূল্যবান সময়গুলোকে জ্বালিয়ে দিচ্ছি। এর চেয়েও খারাপ। টাকা হয়তো আবার উপার্জন করা যাবে। কিন্তু, সময় আমরা আর ফিরে পাবো না।

পরেরবার যখন সময় নষ্ট করবেন, তখন কল্পনায় একটি চিত্র অঙ্কন করুন- এটিএম থেকে টাকা তুলে সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছেন। নিজেকে তখন জিজ্ঞেস করুন- আমি কি কোনোদিন এমন কাজ করব? আমি কি আমার এটিএম থেকে টাকা তুলে ডাস্টবিনে ফেলে দিবো? আমি কখনো এমন কাজ করবো না। তাহলে কেন আমি টাকার চেয়েও মূল্যবান, উত্তম একটি জিনিস এভাবে অপচয় করে ফেলছি!

উপলব্ধি করুন। কুরআনের বহু আয়াত আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। দুনিয়াতে সময় নষ্ট করার কারণে রোজ হাশরের দিন তাদের আফসুসের আর অন্ত থাকবে না। আল্লাহ স্বয়ং আমাদের কুরআনে বলেছেন- اَوَ لَمۡ نُعَمِّرۡکُمۡ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیۡهِ مَنۡ تَذَکَّرَ - "আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি (সময় দেইনি) যে, তখন কেউ নসীহত গ্রহণ করতে চাইলে নসীহত গ্রহণ করতে পারতে?" (৩৫:৩৭) এটি বিস্ময়কর একটি আয়াত।

খেয়াল করুন তিনি কী বলছেন। আমি কি তোমাদের যথেষ্ট সময় প্রদান করিনি যে, যদি তোমরা সুযোগ গ্রহণ করতে চাইতে সুযোগ গ্রহণ করতে পারতে? ভালো ভালো আমল করতে পারতে। পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করতে পারতে।

এ কারণে যারা এ সুযোগ কাজে লাগায়নি তাদের নিকট সমগ্র জীবনটি একটি মিলি সেকেন্ডের মত মনে হবে। এ নিয়ে কুরআনে কত যে আয়াত আছে। সূরা আন-নাজিয়াতে আল্লাহ বলেন- کَاَنَّهُمۡ یَوۡمَ یَرَوۡنَهَا لَمۡ یَلۡبَثُوۡۤا اِلَّا عَشِیَّۃً اَوۡ ضُحٰهَا - "যেদিন তারা তা দেখবে (শেষ বিচার) সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশি অবস্থান করেনি।" ৭৯:৪৬

ফেরেশতারা অনেক মানুষের আমলনামার দিকে তাকাবে। দেখবে যে তারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি। তাদের নেক আমলের অংশ একেবারেই শূন্য। তখন তারা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করবে- তোমরা কত বছর পৃথিবীতে অবস্থান করেছিলে? তারা তখন বলবে- قَالُوۡا لَبِثۡنَا یَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ یَوۡمٍ - "আমরা একদিন বা এক দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি।" এরপর তারা নিজেদের দাবিতে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে বলবে-"(যদি বিশ্বাস না হয়) যান যারা হিসাব রাখতো তাদের জিজ্ঞেস করুন।" আমরা নিশ্চিত আল্লাহ আমাদের শুধু একদিন বাঁচতে দিয়েছেন। কারণ, আমার ভালো আমল বলে কিছু নেই। আমি কিছুই অর্জন করিনি। কিভাবে আমি হিসাবের দিনের কথা, বেহেশত দোজখের কথা জানা সত্ত্বেও কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করিনি? এটা অসম্ভব। তাই, আমি নিশ্চিত আমি পৃথিবীতে একদিন বা এক দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি মাত্র। আমি সময় পাইনি।

সময় অপচয় রোধ করার জন্য সক্রিয়তার সাথে, ক্ষিপ্রতার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

সুরাতুজ যুমারে আল্লাহ আমাদের বলেন। সাবধান হও। اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰهِ - “যাতে কাউকে বলতে না হয়- হায় আফসোস! আমি আল্লাহর প্রতি (আমার কর্তব্যে) অবহেলা করেছিলাম, আর আমি তো ঠাট্টা বিদ্রূপকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।” (৩৯:৫৬) তার মত হবে না যে বলবে...এক ব্যক্তি এভাবে বলবে, আসলে অনেক ব্যক্তি এভাবে বলবে। তাদের মত হবে না।

সে বলবে- আমার নিজের প্রতি কি যে দুঃখ হয়!! আমি কত যে সময় নষ্ট করেছি। 'ফাররাততু' মানে আমি মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করে ফেলেছি অর্থহীন কাজে। আমি সবগুলো নষ্ট করে ফেলেছি; আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যগুলো পালন না করে।

আমরা তাদের মত হতে চাই না। আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না।

আল্লাহ সূরা আহকাফে বলেন- یَوۡمَ یَرَوۡنَ مَا یُوۡعَدُوۡنَ ۙ لَمۡ یَلۡبَثُوۡۤا اِلَّا سَاعَۃً مِّنۡ نَّهَارٍ ؕ - তাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল (অর্থাৎ দোজখের আগুন) যখন তারা তা দেখতে পাবে তারা তখন নিশ্চিত হয়ে যাবে তারা পৃথিবীতে এক ঘণ্টার বেশি জীবন পায়নি। (৪৬:৩৫) আক্ষরিক অর্থেই তারা এটা বলবে।

এরপর আল্লাহ বলেন 'বালাগ'। তোমাদের প্রতি এটি একটি সতর্কতা। এখানে বালাগ মানে মনোযোগ দিয়ে শোনো। সময়ের কথা উল্লেখ করার পর আল্লাহ বলেন এটার প্রতি মনোযোগ দাও। মানুষ শপথ করে বলবে তারা শুধু এক ঘণ্টার জীবন পেয়েছিল। 'বালাগ' আমি এখনি তোমাদের বলছি। সতর্ক হও। তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, আমাদের পূর্বের ধার্মিক মানুষেরা এটা ভালোভাবে বুঝেছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন- "ঐ দিনের চেয়ে আর কোনোদিনই আমার কাছে বেশি অনুতাপের নয়; যেদিনের সূর্যাস্ত হয়ে গেলো, আমার জীবনকালও কমে গেলো কিন্তু আমার আখিরাতের জন্য উপকারী কিছু করলাম না।" হাসান আল বসরী মন্তব্য করেন- যে প্রজন্মের সাথে আমি বড় হয়েছি (অর্থাৎ সাহাবা এবং তাবেয়িরা) তারা তাদের সময়কে তার চেয়েও বেশি আগ্রহের সাথে কদর করতো যেভাবে তোমরা তোমাদের স্বর্ণ রৌপ্যের কদর করে থাকো।

তাই, সময় অপচয় রোধ করার জন্য সক্রিয়তার সাথে, ক্ষিপ্রতার সাথে উদ্যম গ্রহণ করুন। তখন প্রত্যক্ষ করবেন আপনার হাতে প্রচুর সময় আছে। 'আমার হাতে সময় নেই' বলা বন্ধ করুন। সত্য কথা হলো- আপনি আমাকে যা যা করতে বলেন আমি তার চাইতে অন্য কিছুতে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি। এটাই আসল কথা। আমি টিভি দেখাকে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি, আমি ইন্টারনেটে ঘুরাঘুরি করাকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি, আমি ফোনে সময় নষ্ট করাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি; পারিবারিক কাজ-কর্ম করার চেয়েও, অফিসের কাজ করার চেয়েও, বাড়ির কাজ করার চেয়েও, আল্লাহ আমাকে যা যা করতে বলেন তা করার চেয়েও।

নিজের প্রতি সৎ হোন। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনার হাতে সময় নেই। আসল ব্যাপার হলো আপনার প্রায়োরিটির লিস্টটা ভিন্ন।

—শায়েখ ইয়াসির কাদি

সময় অপচয় কিভাবে রোধ করবেনঃ প্ল্যান প্ল্যান এবং প্ল্যান। আপনার সারাদিন কিভাবে কাটবে তার একটি প্ল্যান আপনার মাথায় থাকতে হবে। সকালে ঘুম থেকে জাগার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সমগ্র দিনের জন্য একটি সুপরিকল্পিত প্ল্যান থাকতে হবে এবং সে প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

এই পরিকল্পনায় নামাজ অগ্রাধিকার পাবে। নামাজ যদি ঠিক থাকে তাহলে সমগ্র দিন ঠিক আছে। আর যদি নামাজ ঠিক না থাকে তাহলে সবকিছুই ব্যর্থ হয়ে গেল।

© NAKInBangla Sponsored

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share