স্বাধীনতা 2024

স্বাধীনতা 2024 Everything is Alhamdulillah ♥️

10/05/2025

“ভালো পুরুষদের খুঁজে পাওয়া কঠিন নয় - তাদের প্রলুব্ধ করা কঠিন”

একটি সাধারণ ভুল ধারণা রয়েছে যে ভালো পুরুষরা খুব বিরল এবং যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিন্তু সত্যটা হলো – ভালো পুরুষদের খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। তারা কেবল এমন জিনিসে প্রভাবিত হয় না যা কেবল বাইরের মোহ তৈরি করে।

একজন গভীর চিন্তার মানুষ তার পছন্দ নির্ধারণ করেন সাময়িক আকর্ষণের উপর নয়। তিনি গভীরতা, চরিত্র এবং তার মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মানানসই কাউকে খুঁজে নেন। যদি একজন সত্যিকারের ভালো পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আপনি সংগ্রাম করেন, তবে হয়তো আপনার পদ্ধতি বদলানোর সময় এসেছে।

যা কাজ করে না:
• আকর্ষণীয় ও উন্মুক্ত পোশাক: এগুলো হয়তো অনেকের নজর কাড়ে, কিন্তু ভালো পুরুষ কেবল বাইরের চেহারা নয়, বরং গভীর সংযোগ খোঁজেন।
• সোশ্যাল মিডিয়ার নাটক: অতিরঞ্জিত পোস্ট বা বেছে নেওয়া সেলফি হয়তো লাইক পায়, কিন্তু সত্যিকারের সম্মান বা আগ্রহ জাগাতে ব্যর্থ।
• উপকরণবাদিতা বনাম অর্থ: বিলাসবহুল জিনিস বা ব্র্যান্ড পছন্দ প্রদর্শন একজন মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষকে মুগ্ধ করে না।

যা কাজ করে:
1. চরিত্র বনাম চেহারা: একজন ভালো পুরুষ খেয়াল করেন আপনি অন্যদের সাথে কেমন আচরণ করেন, আপনার বিনয় এবং সহানুভূতি। একটি সহানুভূতিশীল মন দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে।
2. মেধা বনাম সৌন্দর্য: মেধা মানে কেবল ডিগ্রি বা শব্দভাণ্ডার নয়; এটি কৌতূহল, প্রজ্ঞা এবং অর্থবহ কথোপকথন করার ক্ষমতা। তার মনকে প্রভাবিত করুন, তার প্রশংসা পাবেন।
3. মূল্যবোধ বনাম ভোগবাদ: গভীর মানসিকতার একজন পুরুষ এমন নারীকেই পছন্দ করেন যার স্পষ্ট মূল্যবোধ ও লক্ষ্য আছে। তাকে আপনার বিকাশের প্রতি ভালোবাসা, আপনার বিশ্বাসের প্রতি অঙ্গীকার, বা আপনার জীবনের কোনো মহৎ উদ্দেশ্য দেখান।
4. স্থিতিশীলতা বনাম বিশৃঙ্খলা: নাটক ছাড়া স্থিতিশীলতা ভালো পুরুষদের কাছে আকর্ষণীয়। তারা এমন কাউকে খোঁজেন যে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে শান্তভাবে মোকাবিলা করতে পারে, না যে অপ্রয়োজনীয় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।
5. আত্মবিশ্বাস বনাম সাদৃশ্য: নিজেকে নির্দ্বিধায় উপস্থাপন করুন। একজন ভালো পুরুষ এমন নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল যে নিজের মূল্য জানে এবং প্রয়োজনে একা থাকার সাহস রাখে।

ভালো পুরুষকে আকৃষ্ট করার গোপন রহস্য:

একজন ভালো পুরুষ চান না আপনি নিজেকে পাল্টান; তিনি চান আপনি আপনার আসল রূপে থাকুন – সৎ, সাহসী এবং স্বকীয়তায় পরিপূর্ণ।

তিনি পরিপূর্ণতা খুঁজছেন না; বরং এমন কাউকে খুঁজছেন যিনি তার যাত্রাকে পরিপূরক করবেন, যার মূল্যবোধ ও লক্ষ্য তার সাথে মিলে যায়। তিনি লক্ষ্য করবেন আপনার নীরব শক্তি, অন্যদের সাথে আপনার আচরণ এবং জীবনের উত্থান-পতন কিভাবে আপনি সামাল দেন।

তাই, যদি আপনি একটি অর্থপূর্ণ সম্পর্কের জন্য আগ্রহী হন, তাহলে ক্ষণস্থায়ী বাহ্যিক গুণাবলীর চেয়ে আপনার অন্তর্নিহিত গুণাবলী গড়ে তোলার উপর বেশি মনোযোগ দিন। আপনার কাজ, মেধা এবং মূল্যবোধ পোশাক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে জোরালোভাবে কথা বলুক।

সৌন্দর্যের চেয়ে কৌশলী হন। কারণ যখন একজন ভালো পুরুষ আপনাকে একবার লক্ষ্য করবে, তখন তিনি আপনার প্রতিটি দিক – ভিতর এবং বাইরের – গভীরভাবে মূল্যায়ন করবেন।
সংগৃহীত।

01/05/2025

জাপানে এক বাস ড্রাইভারের মাত্র ৭ ডলার কারচুপি করার অভিযোগে তার ৯০ লক্ষ টাকার পেনশন বাতিল করে দিয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত। কি শুনে অবাক হচ্ছেন?

হেডলাইনটি পড়ে আমিও প্রথমে অবাক হয়েছিলাম, যে মাত্র ৭ ডলার চুরি করার দায়ে কেন তার সারা জীবনের পেনশনের টাকা বন্ধ করে দিবে? উক্ত বাস ড্রাইভার জাপানের আদালতে মামলাও করেছিল, পরবর্তীতে দেশটির উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধেই বিচার করেছে, অর্থাৎ তারা বলছে তারা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং তাঁরা দেশের নীতির প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভাঙবে না কোন অবস্থাতেই। তারা যদি এ ধরনের অনিয়মকে একবার ছাড় দেয় হয়তো সামনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

পুরো রিপোর্টটা পড়ে বুঝলাম কেন জাপান আমাদের চেয়ে এত এগিয়ে। আমাদের দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লক্ষ- লক্ষ - কোটি - কোটি টাকা দুর্নীতি করছে, জনগণের ট্যাক্সের টাকা- সম্পদ লুটপাট করছে, সেগুলো প্রমাণিত ও হচ্ছে, অথচ দৃশ্যমান কোন শাস্তি দেখতে পাচ্ছি না। যার ফলাফল আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি।

29/04/2025

বাইরের পৃথিবী যে আমাদের তেমন ভ্যালু করে না এটার মূল কারণ স্কিল ইস্যু না। কিংবা অশিক্ষিত মানুষের হার বেশি, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দরিদ্র এগুলোও মূল বিষয় না আসলে। কারণ পৃথিবীতে এরকম অনেক জাতি আছে যারা দরিদ্র, শিক্ষার হারে পিছিয়ে তবুও অন্যরা তাদের অনেক ভ্যালু করে৷ আইপিএল বিগব্যাশে আফগানরা যেই ভ্যালু পায়, আমরা সেটাও পাই না। আইপিএলে আমাদের চেয়ে বিলো স্ট্যান্ডার্ডের প্লেয়ার নেয় যেমন - করিম জান্নাত, কিন্তু আমাদের নেয় না। এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ড আমাদেরকে পাত্তাও দেয় না কোনো আলোচনায়। জেসন গিলেস্পি, জনাথন ট্রট রা পাকিস্থান-আফগানিস্থানের কোচ হয়, কিন্তু আমরা আমাদের জন্য কোনো কোচ ই খুঁজে পাই না এখন। আমাদের যে সবাই একটু ছোট করে দেখে এইটা স্বয়ং সাকিব আল হাসান অবধি ফিল করেছে নানা সময়।

আমাদের কোথাও নিতে চায় না - এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমরা অনেক Uncultured। এটা শিক্ষিত, অশিক্ষিতের ব্যাপার না। আমরা এভারেজেই প্রচন্ড uncultured। অনেক সময় টিম করতে গেলে আমরা কম মেম্বার নেই তবুও বিশেষ কোনো মানুষকে টিমে ইনক্লুড করা থেকে বিরত থাকি না? কারণ তাকে দলে নিলে Diseconomies of Scale তৈরি হয়। কাজের এফিসিয়েন্সি কমে যায়৷ এভারেজ বাঙ্গালি হচ্ছে ঠিক ওইরকমের একজন মেম্বার, যাকে দলে নিলে দলের কালচার নষ্ট হয়। আর এটা আমাদের সবার মধ্যে। সবার মধ্যেই।

দেখবেন লোকাল বাসে উঠলে কেউ ভেতরের দিকে যেতে চায় না। কেন চায় না তার কোনো লজিক নাই। পেছনে ফাঁকা। সে সামনেই নেমে যাবে এমনটাও না। কিন্তু সে ভেতরে যাবে না। বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটের দোকানদার, হকার বা রিক্সাওয়ালা আর দারোয়ানরা যে লেভেলের খারাপ ব্যবহার করে, সেক্সিস্ট মন্তব্য করে সেগুলো কখনো কেউ বলে না। বাসে কারো সাথে পা লাগছে বা ধাক্কা লাগছে, আপনি যদি বলেন সরি, দেখবেন উল্টো আপনার ওপর দিয়েই সব যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের লোকাল বাসে এরকম হওয়াটা যে স্বাভাবিক এবং সরি বলাটা যে কোনো ক্ষতিপূরণ না বরং কার্টেসি - এই স্বাভাবিক জ্ঞানটুকু আমাদের নাই। আমরা বুঝিই না আসলে। এই ব্যাপার গুলো কিন্তু বইপত্র পড়ায়ে শেখানো যায় না কখনো। এগুলো একটা জাতির গড় কালচার। সে কিভাবে বড় হয়, কি কি শেখে, কিভাবে ভাবে - এগুলার উপর তার আচরণ গড়ে ওঠে। আমি সেদিন ড.মুহম্মদ ইউনূসের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা দেখছিলাম, সে প্রতিটা গ্রিটিংসের এন্সার দিচ্ছিলো, নিজে গ্রিট করছিল। একবার এক লেখায় পড়েছিলাম, খুব ছোটবেলায় ঐ লেখক/লেখিকার সাথে অমর্ত্য সেনের দেখা হয়েছিলো, অমর্ত্য সেন নিজে জিজ্ঞেস করেছিলেন - কেমন আছো?

আমাদের শিক্ষিত যারা তারাও কম যায় না। আমরা যত শিক্ষককে সালাম দেই, সালামের উত্তর পাই? আমি পাই না। ১% এর কাছে পাই বড়জোর। সালামের উত্তর দিতে কত সেকেন্ড টাইম লাগে বলেন তো! উনারা কতই বা বিজি থাকেন যে সালামের উত্তরটুকুও দিতে পারেন না? আসলে পারেন, কিন্তু দেন না। কারণ ঐটাই আমাদের কালচার। আমরা এরকমই। শিক্ষিত অশিক্ষিত ইস্যু না। একটু উপরের কারো সাথে কথা বলার সময় দেখবেন সে কখনো থেমে দাঁড়িয়ে কথা বলে না। সে যদি ব্যস্ত থাকে তাহলে নো অবজেকশন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা কেউ অত ব্যস্ত থাকি না। হাটতে হাটতে কথা বললে আমাদের নিজেদেরকে সুপিরিয়র ফিল হয়, আমরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করি। অথচ কারো সাথে থেমে অল্প হলেও কথা বলা যে একটা ম্যানার এই সেন্সটাই আমাদের নাই। আমরা ভাবতেই পারি না, মানুষকে ভ্যালু দেয়াটাও শিষ্টাচারের একটা অংশ হতে পারে।

ফুড রেঞ্জার্সের বাংলাদেশের ভিডিও গুলো যদি দেখেন, দেখবেন বিদেশি পেয়ে কেমন করতেছে। হালিম খাইতে চাইছে এক প্লেট! এরপর ৫০০ টাকার হালিম ধরায় দিছে, ৫০ টাকার জিনিস ২০০ টাকা রাখতেছে, পারলে চেয়ে আরো রেখে দেয় - ঐ যে আমারে দিতে কইছে - এর মতো। উপমহাদেশের দোষ দেবেন? আচ্ছা, এবার পাকিস্তানের গুলো দেখেন। কেউ টাকাই নিতে চায় না। বলতেছে মেহমান, টাকা নিবো কেন। একজন দুইজন না। প্রায় সবাই। টাকা নিতে চায় না। খুবই ছোট স্যাম্পলিং যদিও, কিন্তু এতেও দুই দেশের গড় মানুষের ভেতরের কালচার বোঝা যায় আসলে।

আপনি Shehwar & Maria ইউটিউব চ্যানেলের শেহওয়ারকে ভালোভাবে খেয়াল করতে পারেন। সে যখন বাইরের মানুষের সাথে কথা বলে, অপরিচিত কারো সাথে কথা বলে, বাসায় কথা বলে - বুঝবেন সে আমাদের চেয়ে কতটা আলাদা। He knows lots of courtesies। আমার বন্ধুকে দেখতাম, চা যখন খাইতো সে Compliments দিতো, রিক্সাওয়ালারে সরি বলতো, Courtesy মেইনটেইন করতো সুন্দর করে। এমন না ও অনেক বিনয়ী, কিন্তু Cultured। আমরা এভারেজে Uncultured জন্যই ঐ যে রাস্তায় কাউরে দেখে তার পোশাক নিয়ে কথা বলি, মোরাল পুলিশিং করতে যাই - এমন না এই জিনিস টেক্সটবুকে পড়লেই কেউ বুঝে যাবে সবকিছু। আমাদের বড় বড় স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে এরকম Uncultured মানুষ যে কত্ত আছে তার ইয়ত্তা নাই। ওদেরই বা দোষ কি! আমরা সবাই এমন। কালচার ব্যাপারটা ভেতরে লালন করতে হয় আসলে। আমাদের মধ্যে নাই জন্যই আমরা যেখানে যাই স্ট্রাগল করি।

তাই কেউ আমাদের সহজে পিক করতে চায় না। স্কলারশিপ দিতে চায় না, চাকরি দিতে চায় না, দলে নিতে চায় না - কারণ আমরা পরিবেশ নষ্ট করে ফেলি।

একটা মজার গল্প পড়ছিলাম। সত্য মিথ্যা জানি না। এখনো এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ পাইনাই। ইংল্যান্ডের যেখানে অনেক বাঙ্গালি থাকে, অই জায়গাটার নাম হয়ে গেছে বাংলা টাউন। বেশ ভালো। ব্রিটিশ দেশে বাংলা টাউন। আবার ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি খাদ্যে ভেজালও নাকি পাওয়া যায় ঐ বাংলা টাউনেই! নাহ অবাক হবার মতো কিছু না। কেননা ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধানই ভানে!

26/12/2024

কিভাবে সম্ভব আমার একপাশে 1.5 ছেলে আর একপাশে 8 বছরের মেয়ে ঘুমায় 🥲
স্বামী কে সময় কখন দিবো 🤔
যে মেয়ে নিজের হাতে খায় না, টয়লেট যায় না তাকে আলাদা রুমে ঘুমানোর কথা মনে পড়লে বুক কেঁপে উঠে 💔💔

সন্তান জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে। ২ জন বা ৩ জন বাচ্চা হলে তো কথাই নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পের্ক তিক্ততা চলে আসে । বাচ্চার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে, সংসারের কাজ করে করে স্বামীর সাথে রোমান্টিক সম্পর্কের মুড আর থাকেনা। সম্পর্কে শুরু হয় তিক্ততা।

এদিকে দেশীয় কালচারে বাচ্চা নিয়ে ঘুমানো প্রায় সব পরিবারেই দেখা যায়। বাচ্চার বয়স ৫/৬/৭, কিন্তু মা বাবার সাথে শোয়। যেখানে আড়াই বা তিন হলেই বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া উচিত। কারন এরপর বাচ্চারা বুঝতে পারে অনেককিছুই। রাতে ঘুম ভেংগে সে মা-বাবাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখলে তার মনে যেমন প্রশ্নের উদ্রেক হবে, তেমনি উল্টোদিকে বাচ্চার সাথে একসাথে শোবার কারনে দাম্পত্যে বিঘ্ন তৈরি হয়।

বাচ্চার বয়স আড়াই বা তিন হলেই তাকে আলাদা করে দিন। বাচ্চা কিন্তু কষ্ট পাবেনা, কষ্ট পাবেন আপনি, বাচ্চা দূরে সরে যাবে মনে হবে। কিন্তু না, আসলে বাচ্চা দূরে সরে যায়না। এটা বাচ্চার ভালোর জন্য, আপনাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা রেডি করুন। ওর রুমটাকে ওর পছন্দ মতো সাজিয়ে দিন। রাতে গল্প শুনিয়ে বা বই পড়িয়ে ওকে ঘুম পাড়ান।

ঘুমিয়ে গেলে চলে আসুন আপনার রুমে। ও আপনার অনুপস্থিতি টেরও পাবেনা। রাতে ও উঠতে পারে এই ভয় থাকলে একটা বেবি মনিটর কিনে নিন, দাম বেশি নয়। ওর মাথার কাছে মনিটর রেখে রিসিভার আপনার নিজের বালিশের কাছে রাখুন। রাতে উঠলে আপনি সাথে সাথে টের পাবেন, যেমনটা পেতেন আপনার সাথে ঘুমালে। আপনি তো জানেনই সকালে কখন উঠে। তার একটু আগে গিয়ে ওর সাথে শোবেন। ও ঘুম হতে উঠেও আপনাকে পাবে। রাতে যে আপনি ছিলেন না, তা ও বুঝবেইনা।

দ্বিতীয় সন্তান হলে বেশীরভাগ মায়েরা প্রথম সন্তানকে অবহেলা শুরু করে। সব আদর যেন ছোটজনের জন্য, অথচ সে আদরের কিছুই বোঝেনা। আর যে বোঝে সেই বড়জনকে কথায় কথায় ডাক দেয়া, বকা দেয়া চলতে থাকে। মা/ রে*র কথা তো বাদই দিলাম।

স্বাভাবিকভাবেই তার মনে ছোট বাচ্চাটার প্রতি বি- দ্বেষ সৃষ্টি হয়। ভাবে, ও না থাকলেই ভালো হতো, মা আদর করতো। অথচ মায়ের উচিত এই সময়ে বড়জনকে বেশি করে সময় দেয়া, আদর করা। বড়জনকে বোঝানো তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। আপনি আর আপনার স্বামী দুজনেরই দায়িত্ব এটা।

দু বাচ্চার মাঝে তুলনা করবেন না। কারন তারা দুজনই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। দুই বাচ্চার জন্য আলাদা নিয়ম বানাবেন না। একজনকে মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াবেন, আরেকজনকে বলবেন খাওয়ার সময় নো ডিভাইস, তাহলে তো হবেনা। দুজনের বেডটাইম যেন এক হয়। কোনো জিনিস কিনলে একজনের জন্য নয়, দুজনের জন্যই কিনবেন।

ছোটটির বয়স যখন আড়াই হবে তখন ওকেও আলাদা করে দিন, বড়জনের সাথে। দুজন একসাথে ঘুমুবে বা একই রুমে দুটো বিছানায়।

দিনে এক হতে দেড়ঘন্টা আলাদা করে রাখুন যখন পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটাবেন। হাসি আনন্দ করবেন। বাচ্চাদের সাথে স্বামী স্ত্রী একসাথে খেলবেন। নিজের পার্টনারের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাবেন। মেজাজ যদি বেশি খারাপ থাকে অকারণে, সরে যান প্রিয় মানুষগুলোর কাছ হতে তাদের আ*ঘাত করার আগেই। আলাদা রুমে বা বারান্দা বা ছাদে গিয়ে মেডিটেশন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে কারনে আপনার মেজাজ খারাপ তা কতটা যুক্তিযুক্ত। গভীর নিঃস্বাস নিন। মন খারাপকে ছড়িয়ে দিন বাতাসে।

সংসার তৈরি হয় স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। সংসারের কাজ করতে করতে এই মানুষগুলোই যেন অবহেলিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। ভালোবাসার সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক।

(কালেক্টেড পোস্ট)

25/12/2024

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার কথা আমি সর্বদাই মেনে চলি।

রোকেয়া বলেছেন - "যে নারী নিজে জাগ্রত হয়, সে-ই অন্যকে জাগ্রত করতে পারে।"

• তাই সর্বদা আমার বৌকে সবার আগে ঘুম থেকে জাগতে বলি। এরপর বাড়ির মানুষকে জাগানোর দায়িত্ব দিয়েছি। কারন আগে জাগ্রত না হলে অন্যকে কিভাবে জাগ্রত করবে। আর জাগ্রত করলে সৌজন্য হিসেবে ঘরের মানুষের জন্য চা বিস্কুট সেটা তো আবশ্যক।

রোকেয়া বলেছেন - "যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। আর নারীদের শিক্ষিত না করলে জাতি কখনো উন্নত হতে পারে না।"

• তাই আমার বৌ, বোন কেউ‌ই ভুল কাজ করলেই উচিত শিক্ষা দেই। কারন উচিত শিক্ষা না দিলে জাতির উন্নতি হবে না।

রোকেয়া বলেছেন - নারীদের যদি তাদের যথাযথ অধিকার দেওয়া হয়, তবে তারা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।"

• সেজন্যই তো তাদের যথাযথ অধিকার সন্তান পালন, রান্না করা, স্বামীর সেবা, ঘর গোছানোর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। সংসারে কোন অশান্তি নেই। আমার ঘরে শুধু উন্নতি হচ্ছে।

বেগম রোকেয়া বলেছেন - পর্দা শুধু দেহের নয়, মনেরও হওয়া উচিত। তবে এটি এমনভাবে হতে হবে যাতে শিক্ষা ও উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি না করে।"

• আগে বৌ শুধু বাইরের পর্দা করতো। রোকেয়ার এই কথা শোনার পর বৌয়ের টাচ ফোন নিষিদ্ধ করেছি। কারন মনের পর্দা জরুরী। বাইরের দুনিয়ার খবর তার মনকে যেন বিচলিত না করে। এটা এজন্য‌ই করেছি যেন ঘরের উন্নতি আর তাকে শিক্ষার পথে বাঁধা না হয়।

বেগম রোকেয়া বলেছেন - "নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়।"

• সেজন্যই তো আমরা কখনো প্রতিযোগীতা করি না। বৌকে বাইরে গিয়ে পুরুষের মতো লড়াই করতে হবে না। সে ঘর সামলাবে আমি বাইরে সামলাবো। একে অপরের পরিপূরক। কোন প্রতিযোগিতার দরকার নেই।

অবশেষে বলতে চাই বেগম রোকেয়ার পরিপূর্ণ অনুসরণ করে আমি ধন্য। আপনার‌ও উচিৎ এই পাচটি কথার অনুসরণ করা।

 #ভয়ানক_একটি_গবেষনা'ইউনিভার্স ২৫' বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক একটি গবেষনা, যেখানে ইদুঁরের কলোনির উপর পরীক্ষানিরীক্ষার...
31/10/2024

#ভয়ানক_একটি_গবেষনা
'ইউনিভার্স ২৫' বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক একটি গবেষনা, যেখানে ইদুঁরের কলোনির উপর পরীক্ষানিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে মানব সভ্যতাকে বোঝার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।
এই 'ইউনিভার্স ২৫' এর চিন্তাটি আসে মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্যালহোনের কাছ থেকে। তিনি একটি 'আদর্শ দুনিয়া' নির্মাণ করেন যেখানে ইঁদুরেরা থাকবে এবং বংশবৃদ্ধি করবে। আরও ভালোভাবে বলতে, ক্যালহোন ইদুরের স্বর্গ নামের একটা বিশেষ পরিবেশ তৈরি করেন, যেখানে অঢেল খাবার, পানি ও থাকার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা ছিলো। শুরুতে সেখানে তিনি চার জোড়া ইঁদুর রাখেন, যেগুলা উপযুক্ত পরিবেশে অল্প সময়ের মধ্যে বংশবৃদ্ধি শুরু করে এবং সেটাও বেশ দ্রুত গতিতে।
অবাক করা ব্যাপার হল, ইঁদুরদের সেই স্বর্গে রাখার মাত্র ৩১৫ দিন পরেই বংশবৃদ্ধির হার কমে যায়। যখন ইঁদুরের সংখ্যা ৬০০ তে পৌছালো তখন সেখানে দুটি জাত তৈরি হয় ভালো ও 'বিকৃত' ইঁদুরের। এর পর থেকে দূর্বল ইঁদুর গুলো আক্রমণের শিকার হয় এবং অনেক পুরুষ ইঁদুর 'মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে'।
ইঁদুরের স্বর্গে থাকার ফল নারীদের ভেতরে পড়েছিল অন্যভাবে। নারীরা নিজেদের আত্মরক্ষা থেকে সরে আসে এবং তাদের সন্তানদের প্রতি আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। নারী ইদুরদের মাঝে এই আক্রমনাত্মক মনোভাব ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শিশু জন্মহার ক্রমেই কমতে শুরু করে এবং বিপরীতে শিশু মৃত্যুহার বেড়ে যায়।
পুরুষদের মাঝে একটি নতুন জাতের ইঁদুরের উৎপত্তি হয় যারা কিনা 'সুন্দরী ইঁদুর'। তারা নারীদের সাথে বংশবৃদ্ধি ও জায়গার জন্য 'লড়াই' কর‍তে অস্বীকৃতি জানায়। তারা স্রেফ খাদ্য ও ঘুম নিয়ে চিন্তিত হয়। একসময় যেয়ে সুন্দরী পুরুষ ও আক্রমণাত্মক নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
ক্যালহোনের মতে, মৃত্যুর দুটি ধাপ ছিলো। 'প্রথম মৃত্যু' ও 'দ্বিতীয় মৃত্যু'। শেষটি হচ্ছে জীবনের অর্থহীন হয়ে পড়া! অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির ইচ্ছার অভাব তৈরি, সন্তান জন্মদান ও সন্তান প্রতিপালনের প্রতি অনিহা এবং সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে এগিয়ে না যাওয়া। সময়ের সাথে সাথে শিশু ইঁদুরদের মাঝে মৃত্যুর হার ১০০% ছুয়ে যায় এবং বংশবৃদ্ধি শূণ্যতে গিয়ে ঠেকে।
ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ইঁদুর গুলোর মাঝে সমকামী তৈরি হয়, এবং তারা নিজেরাই নিজেদের খেতে শুরু করে (Homosexuality, Cannibalism)। এই বিকৃত মস্তিষ্কদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে, যদিও সেখানে খাবারের কোনো অভাব ছিলো না, ছিল না বিপরীত লিঙ্গের প্রাণীদের অভাব।
এই গবেষণা শুরুর দুই বছর পর শেষ ইঁদুরটি জন্ম নেয়৷ ১৯৭৩ সালের মধ্যে 'ইউনিভার্স ২৫' প্রজেক্টের শেষ ইঁদুরটি মারা যায়।
জন ক্যালহোন এই পরীক্ষাটি আরো পঁচিশবার করেন, এবং সবগুলো পরীক্ষাতেই একই ফলাফল আসে৷ ক্যালহোনের এই বৈজ্ঞানিক কাজের মাধ্যমে নাগরিক সমাজ ও সভ্যতার অবক্ষয় টের পাওয়া যায় এবং শহুরে জীবন সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়।
আমরা আজকের দুনিয়ায় এই একই জিনিসটা দেখছি...।
❝একদিকে দূর্বল, মেয়েলী পুরুষের ছড়াছড়ি– যাদের কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত দক্ষতা কিংবা আত্মরক্ষার সামর্থ্য নেই; আর অন্যদিকে আক্রমনাত্মক পুরুষালী নারী– যারা অতিরিক্ত বদ মেজাজি এবং প্রাকৃতিক মাতৃত্ব-নারীত্ব থেকে দূরে।❞ ❝একদিকে বিশ্বব্যাপী এলজিবিটি, ফ্রি-সেক্স মুভমেন্ট, ভোগবাদের তীব্র উত্থান; অন্যদিকে বিয়ে-পরিবারগঠন, জন্মদান ও সন্তান প্রতিপালনে অনাগ্রহী মানুষের বৃদ্ধি।❞
অর্থাৎ, পৃথিবীব্যাপী Antinatalism, LGBTQ Movement, Free S*x Movement, Feminism, Liberalism, Gender Fluidity Concept ইত্যাদি ওয়েস্টার্ন আইডিওলজি বা পশ্চিমা দর্শনের উত্থান যে বর্তমান ভগ্নপ্রায় বিশ্বব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক— সেটা বুঝতে আর সুস্থ মস্তিস্কের কারো বেগ পাওয়ার কথা নয়।
~•~
Reference : Universe 25: The Mouse "Utopia" Experiment That Turned Into An Apocalypse.

Address

Barishal
BARISAL

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বাধীনতা 2024 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share