
22/07/2025
এখন থেকে সকালবেলা আর কাউকে ডাকতে হবেনা...
‘ওঠো, স্কুলে দেরি হয়ে যাচ্ছে’, এই চিরচেনা ডাকটা হারিয়ে যাবে বাতাসে।
হোমওয়ার্ক নিয়ে আর কারো বায়না থাকবেনা,
মিসের কাছে ছুটে আসবে না আর কেউ টিফিন বক্স নিয়ে
মা বানানো প্রিয় খাবারের জন্য সে ছোট্ট মুখে আর কোনো উচ্ছ্বাস থাকবে না।
বাবা আর অফিস যাবার পথে মিষ্টি গল্পে ভুলিয়ে ভালিয়ে
স্কুলে নিয়ে যাবে না তার হৃদয়ের টুকরো ছেলেমেয়েকে...
মা, যিনি ভোরে উঠে স্নেহে-ভালোবাসায় টিফিন গুছিয়ে দেন,
বিদায়বেলায় কপালে ভালোবাসার চুমু আঁকেন
সেই মা আজ নিথর... বুক ফেটে কান্না আসলেও
চোখ শুকিয়ে গেছে হাহাকারে...
আজ আর কেউ স্কুল শেষে কখন ফিরবে,
সেই আশায় দরজায় বসে থাকবেনা কারো মা, কারো বাবা
ঘরগুলো আজ এক একটা কবরের মতো নিঃশব্দ, নিস্তব্ধ।
স্কুল থেকে ফিরে কেউ আর বলবেনা
"মা, আমি খেলতে যাব",
"একটু কার্টুন দেখবো",
"আজ একটু বেশি রুটি দাও"
সব শেষ, সব স্তব্ধ...
সকল আদর, আবদারের আজ চির অবসান ঘটেছে।
একেকটা ঘর যেন হাহাকার চাপা কান্নায় ভার হয়ে উঠেছে...
জানি না, কতগুলো ঘর আজ নিঃস্ব হয়ে গেলো,
জানি না, কতগুলো বুক আজ চিরকালের মতো ফাঁকা হয়ে গেলো...
২১.০৭.২৫
উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই বিভীষিকাময় বিমান দুর্ঘটনায়
শেষ হয়ে গেলো কতগুলো নির্মল শৈশব...
শেষ হয়ে গেলো মা-বাবার প্রাণভরে বাঁচার স্বপ্ন...
শেষ হয়ে গেলো অনেকটা পৃথিবী।
এই লেখাটি শোক জানাতে নয়,
এই লেখা এক স্তব্ধ পৃথিবীর হাহাকার…
যা চোখে জল এনে দেয়, আর মনে গভীর ক্ষরণ...