R. Jarif

06/06/2025

#ট্রাজেডি
#ছোটগল্প

#ছায়ার_ঘর

১.
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। এক চিলতে জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়ছে হালকা সোনালী আলো। ঘরের কোণে বসে থাকা ছেলেটা—অভিষেক, অপলক তাকিয়ে আছে ঐ আলোর রেখার দিকে। জানালার ওপাশে কোন জীবন আছে কি নেই, সে খেয়াল নেই তার। মাথার মধ্যে কেবল ঘুরপাক খাচ্ছে শব্দ আর স্মৃতি—যেন এক অদৃশ্য কোলাহল।

অভিষেকের বয়স ছাব্বিশ। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির খোঁজে ছুটে চলেছে প্রায় দুই বছর ধরে। মধ্যবিত্ত পরিবার, বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেছে সে আর তার মা সীমা দেবী। সংসার বলতে শুধু দু’জন মানুষ আর অগোছালো কিছু স্মৃতি।

অভিষেক পড়াশোনায় খারাপ ছিল না, তবে প্রতিযোগিতার বাজারে ভালো থাকা যথেষ্ট নয়। একটার পর একটা ব্যর্থতা তাকে করে তুলেছে আত্মগ্লানিতে ভরা। তার আত্মবিশ্বাস চুপিসারে খসে পড়েছে গায়ে লেগে থাকা ছালচামড়ার মতো।

২.
মা, সীমা দেবী, সারাদিন খুঁটিনাটি কথা বলে রাগ ঝাড়েন।
— “তোর কিছু হবে না। এতগুলো বছর কি শুধু এইরকম বসে বসে ফর্ম পূরণ করবি?”
— “বাড়ি ভাড়া বাকি, বাজারের খাতা লাল হয়ে গেছে, আর তুই দিব্যি কবি কবি ভাব নিয়ে জানালায় তাকিয়ে থাকিস?”

অভিষেক কথা বলে না। কথা বলতে গেলেই কান্না এসে যায়। সে জানে, মা রেগে থাকলেও ভিতরে ভিতরে খুব কষ্ট পান। রাত্রে মা একা একা বিছানায় মুখ ঢেকে কাঁদেন—সে জানে, সে শোনে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না। মা ছেলের মধ্যে জমে থাকা অভিমান যেন পাথরের দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

৩.
অভিষেকের জীবনে একমাত্র রঙ ছিল নন্দিনী। কলেজে পড়ার সময় পরিচয়। নন্দিনীর হাসি, চোখের ভাষা—সবকিছুই ছিল অভিষেকের জগতের আলো। ওদের ভালোবাসা ছিল নিঃশব্দে গড়ে ওঠা। খুব বেশি কথা না বললেও, চোখের চাহনি, ছোট্ট ছুঁয়ে যাওয়ায় বুঝে নিত ওরা—কে কোথায় আঘাত পেল, কে কোথায় আনন্দে।

কিন্তু বাস্তবতা ভালোবাসার গল্পকে মেনে নেয় না সব সময়। নন্দিনীর পরিবার ধনী, উচ্চবিত্ত। তার বাবা শুনেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল অভিষেকের নাম শুনে—“একটা বেকার ছেলে, যার মা বাজারের বাকির কথা ভেবে রাতে ঘুমাতে পারে না, সে কি করে আমার মেয়েকে সুখ দেবে?”

নন্দিনী লড়েছিল, কিন্তু পরিবার চাপ দিয়েছে, আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। শেষে একদিন অভিষেকের মোবাইলে আসে একটা ছোট্ট মেসেজ—
"আমার ক্ষমা কোরো। হয়তো অন্য কোনো জন্মে আমরা একসাথে হব। এই জন্মে নয়।"

এরপর থেকে আর কোন খোঁজ পায়নি অভিষেক। তার পৃথিবীটা সেদিন চুপসে গিয়েছিল।

৪.
জীবন একটা ভার। প্রতিদিন বেঁচে থাকা, প্রতিদিন আশাভঙ্গ, প্রতিদিন মায়ের রাগ, অভাব—সব মিলিয়ে সে ধীরে ধীরে একটা কূপের গভীরে নামছিল। তার বন্ধু বলতে কেউ নেই, আত্মীয়দের সবাই কেমন করে কেটে গেছে। চাকরি নেই, কাজ নেই, সম্মান নেই। কী আছে তার?—একটা জীবন, যা সে আর নিতে পারছে না।

একদিন সন্ধ্যায় মা রান্নাঘরে, অভিষেক নিজের ঘরে বিছানায় বসে একটা চিঠি লিখল।
"মা, আমি ক্লান্ত। খুব বেশি চেয়েছি কিছু করতে, কিন্তু পারলাম না। তুমি বলেছিলে, ‘পুরুষ মানুষ কাঁদে না।’ কিন্তু মা, আমি রোজ কাঁদি। এই জীবনের কাছে আমি হেরে গেছি। আমি যদি না থাকি, তোমার এক মুখ কম দেখতে হবে। হয়তো একদিন তুমি শান্তি পাবে। ভালো থেকো মা। আমি খুব ভালোবাসি তোমাকে।"

চিঠিটা তোষকের নিচে রেখে, আলনায় ঝুলে থাকা গামছা নিয়ে সে দরজা বন্ধ করল।

৫.
ঘরের মধ্যে দীর্ঘ নিস্তব্ধতা। সীমা দেবী বারবার ডাকছেন—“অভি, খেতে আয়… অভি!” কিন্তু কোন সাড়া নেই। অবশেষে দরজা ঠেলেই ঢুকে পড়লেন।

এক মুহূর্ত... দু'মুহূর্ত... তারপর তার গলার ভিতর থেকে বেরিয়ে এল বিকট এক চিৎকার—
“অভি...! ও মা... অভি...!”

সামনের দৃশ্যটা মানুষের চোখ সহ্য করার নয়। তার প্রিয় ছেলেটা... ছেলেটা ঝুলছে... নিথর, নিশ্চুপ। তার চোখ খোলা, যেন কারও অপেক্ষায়।

৬.
পুলিশ এল, প্রতিবেশীরা জড় হল। সবাই বলছে—
“চুপচাপ ছেলে ছিল।”
“ভালো পড়াশোনা করত, চাকরি পেল না বোধহয়।”
“মা-ছেলের মধ্যে একটু একটু ঝামেলা হতো, কিন্তু কে ভেবেছিল…”

চিঠিটা পড়ল পুলিশ। সীমা দেবী পড়লেন না। তিনি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন অভিষেকের ছোট্ট ঘরটার দিকে। জানালাটা খোলা ছিল, ঠিক যেমন অভিষেক চেয়েছিল—একটু আলো আসুক, একটু হাওয়া।

৭.
আজ এক বছর কেটে গেছে।

সীমা দেবী আজও প্রতিদিন বিকেলে এক কাপ চা বানান অভিষেকের জন্য। ছোট টেবিলের উপরে রেখে বলেন—“চা খেয়ে নিস… বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে তো আবার খাস না।”

তারপর জানালার পাশে বসে থাকেন চুপচাপ। ছেলেটার অপেক্ষায়, যেটা কখনও ফুরোবে না।

নন্দিনী শুনেছে অভিষেক আর নেই। একদিন কলেজের সামনে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। তার চোখের কোণে জল, হাতে অভিষেকের দেওয়া শেষ উপহার—একটা পুরোনো বই। বইটার ভাঁজে লেখা—
"ভালোবাসা মানেই থাকা নয়, ভালোবাসা মানে অনুভব।"

শেষ কথা
ছেলেটা বেঁচে থাকতে কেউ তাকে জানতে চায়নি। তার কষ্ট বোঝেনি কেউ। একটা ছেলেকে সমাজ কেবল তখনই মানুষ ভাবে, যখন সে চাকরি করে, টাকা রোজগার করে, পরিবারের গর্ব হয়। কিন্তু তার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো, তার ক্লান্তিরা, তার ছোট ছোট হেরে যাওয়াগুলো—ওগুলো কেউ দেখে না।

অভিষেক আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করেছে সমাজ, আমাদের মানসিকতা, আর সেই সমস্ত চাপ, যা একজন যুবককে ধ্বংস করে দেয় নিঃশব্দে।

30/05/2025

#ছোটগল্প

#নীল_শহরে_লাল_ছাতা

শহরটা নীল। আক্ষরিক অর্থে নয়, অনুভবে। যেন আকাশ, দেয়াল, মানুষ – সবটাই হালকা নীল বিষণ্নতায় মোড়ানো। প্রতি বিকেলেই হঠাৎ করে বৃষ্টি নামে। কেউ যেন জানিয়ে দেয় না, কিন্তু সবাই প্রস্তুত থাকে। ছাতা ছাড়া এই শহরে কেউ বের হয় না। কিন্তু রুদ্র?

রুদ্র আলাদা। ছাতা ছাড়া বের হয়, বৃষ্টির ফোঁটার নিচে দাঁড়িয়ে হেসে ফেলে, ঘাড় উঁচু করে আকাশের দিকে তাকায়। তার বয়স ছাব্বিশ পেরিয়ে সাতাশ ছুই ছুই। পেশায় একজন আর্টিস্ট, দেয়ালে দেয়ালে অদ্ভুত ছবি আঁকে – কখনো রঙিন, কখনো সাদাকালো, কখনো স্বপ্নের মতো। তার এক ছবিতে দেখা যায়: একটা ভাঙা ঘড়ির ভিতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে পাখি।

একদিন, শহরের এক কোণার পুরনো কাঠের কাফেতে রুদ্র নিজের স্কেচবুক নিয়ে বসেছিল। ঠিক তখনই তার সঙ্গে দেখা – অনন্যার।

অনন্যা একজন লেখিকা। চিন্তায় গম্ভীর, হিসেবি, কিন্তু চুপচাপ স্নিগ্ধ। তার হাতে সবসময় একটা লাল ছাতা থাকে। সে বৃষ্টিকে পছন্দ করে না – ভাবে, বৃষ্টি তার রুটিন এলোমেলো করে দেয়।

তাদের প্রথম কথোপকথন ছিল এমন:

– ছাতা নিয়ে বের হও কেন?
– বৃষ্টি এলোমেলো করে দেয়।
– তাহলে তো জীবনটাও অপছন্দ হওয়া উচিত!

অনন্যা প্রথমে অবাক হয়েছিল, তারপর কেমন এক হাসি এসে পড়েছিল তার ঠোঁটে। এরপর প্রায়ই দেখা হতে লাগল তাদের। রুদ্রের রঙিন দৃষ্টিভঙ্গি, অনিয়মপ্রবণ চিন্তা, বৃষ্টিকে ভালোবাসা – ধীরে ধীরে অনন্যার গল্পে ঢুকতে লাগল।

রুদ্র টের পেল, অনন্যা তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না। বরং সেই নীরবতায় একটা আশ্রয় আছে। একদিন রুদ্র বলল:

– আমি হিমালয়ে যাব, একা। তিন মাস। ছবি আঁকতে।

অনন্যা একটু থেমে বলল:

– যাও। শুধু ফিরে এসো। কারণ আমার গল্পটা এখনো অসম্পূর্ণ। শেষটা তোমার brush-stroke দিয়েই হবে।

রুদ্র গেল। পাহাড়, তুষার, পাথর আর নিঃশব্দতার মধ্যে ছবি আঁকল, নিজের ভেতরের ঝড়ের রং খুঁজল।

তিন মাস পর ফিরে এলো শহরে। শহরটা এখনো নীল। কিন্তু সেই নীলতায় যেন একরাশ নতুন আলো মেশা। কাফের পাশের দেয়ালে সে এক ছবি দেখতে পেল – একটি লাল ছাতা, যার নিচে একটি বই। বইয়ের নাম: "তুমি যেমন ছিলে"। লেখক: অনন্যা।

রুদ্র হালকা হেসে ফেলল। শহরটা এখন আর কাঁদে না – কারণ কেউ একজন তাকে রঙ করতে শিখিয়েছে।

26/01/2025

হেরে গেলে ছেড়ে দিতে নেই,
আর ছেড়ে দিলে ফিরে যেতে নেই...
#জারিফ

06/11/2024

😇❌😈 ভীষণ ফাডাফাডি হইব...

28/08/2024

কবে না শুনি আবার ELON MUSK এর আসল নাম ইমামুল লোকমান অহিদ নজরুল মুহাম্মাদ সিরাজুল করিম😅

09/08/2024

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। কেউ যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, লুটতরাজ, ভাঙচুর, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ নৌবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান হতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো (আইএসপিআর)।

নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্টের সহায়তা প্রাপ্তির জন্যে নিম্নলিখিত নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুন—

ঢাকা বিভাগঃ

• ঢাকা নৌ কমান্ড ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭০২৮৬৫
• ঢাকা নৌ কমান্ড অপসরুম: ০১৭৬৯৭০২৫১৯
• ঢাকা নৌ কমান্ড স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স): ০১৭৬৯৭০২৫০৭
• ঢাকা নৌ কমান্ড চিফ স্টাফ অফিসার: ০১৭৬৯৭০২৫০৪
• ঢাকা সেনানিবাস নৌবাহিনী ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭০২৬০৩
• শাহীনবাগ, ইস্কাটন ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭০২৬৯০
• খিলক্ষেত ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭১৪৩০৩
• পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭১৪৩৩১, ০১৭৬৯৭২৬৪১০

চট্টগ্রাম বিভাগঃ

• টাইগারপাস: ০১৭৬৯৭২৬৩১৬,
• চট্টগ্রাম বন্দর: ০১৭৬৯৭২৬৬০১
• কর্ণফুলি টানেল: ০১৭৬৯৭২৬৭৩১,
• বোট ক্লাব: ০১৭৬৯৭২৬৪৮০
• লাভ লেইন: ০১৭৬৯৭২৬২৬৭
• হাতিয়া: ০১৭৬৯৭৬২০৭৯
• সন্দ্বীপ: ০১৭৬৯৭২২৪৬০
• মহেশখালি: ০১৭৬৯৭২৬২৮১
• সেন্টমার্টিন: ০১৭৬৯৭২৪০২০

খুলনা ও বরিশাল বিভাগঃ

• খুলনা নৌবাহিনী অপসরুম: ০১৭৬৯৭৮৪১৪০
• খুলনা নৌবাহিনী ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭৮১১১১
• বরগুনা নৌবাহিনী অপসরুম: ০১৭৬৯৭৮১০১৯
• বরগুনা নৌবাহিনী ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭৮১০১৮
• ভোলা নৌবাহিনী অপসরুম: ০১৭৬৯৮৪৪০০০
• ভোলা নৌবাহিনী ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭৯৬২২৭
• মোংলা নৌবাহিনী অপসরুম: ০১৭৮৩৪০১৫৪৯
• মোংলা নৌবাহিনী ডিউটি অফিসার: ০১৭৬৯৭৮৪৫৫৩

এমএসি/এমএ

09/08/2024

টাইমলাইনে রেখে দিলাম❤️

09/08/2024

🚨 প্রতিরোধ: আপনার রিয়েল-টাইম কমিউনিটি সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম 🚨

আমরা তৈরি করেছি “প্রতিরোধ,” একটি প্ল্যাটফর্ম যা কমিউনিটির সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য রিয়েল-টাইমে ঘটনা রিপোর্টিং এবং পর্যবেক্ষণ করে।

“প্রতিরোধ” এ যা পাচ্ছেন:

১. সহজ এবং সঠিক রিপোর্টিং: কয়েকটি ক্লিকেই রিপোর্ট করতে পারবেন আপনার এলাকার ঘটনা। আপনার অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যাপ করা হবে এবং স্বেচ্ছাসেবী এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্ক করা হবে। তাই অবশ্যই ওয়েবসাইটটিকে আপনার অবস্থান অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিন!

২. ঘটনার লাইভ/রিয়েল টাইম পর্যবেক্ষণ: আপনার এলাকার সমস্ত রিপোর্টকৃত ঘটনা দেখতে পারবেন আমাদের লাইভ ম্যাপের মাধ্যমে । আপনার চারপাশে কী ঘটছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানুন এবং সচেতন থাকুন।

৩. একসাথে এক জায়গায়: প্রতিরোধ সকল স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীকে একই প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করে, যা তাদেরকে কম সময়ে দ্রুত এবং আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। এই প্ল্যাটফর্ম কোনো লোকেশনে একই ধরনের ঘটনা রিপোর্ট হলে সেটা যেমন বুঝতে পারে, তেমনি বিচ্ছিন্ন রিপোর্ট পেলে সেটাকে ভুল রিপোর্ট হিসেবে চিহ্নিত করে।

তাই এই প্ল্যাটফর্মে যত বেশি মানুষ থাকবে, আমাদের কমিউনিটির একত্রিত হওয়া তত কার্যকর হবে।

ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ে হাইপার হ্যাকাথনের মাধ্যমে তৈরি, যাতে দ্রুততম সময়ে আপনাদের হাতে তুলে দেয়া যায়। আজ রাতের মধ্যেই আরো ফিচার যুক্ত করার জন্য নিরলস কাজ চলছে।

প্ল্যাটফর্মটি আপনার এলাকায় এবং বন্ধু-স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করুন এবং আপনার এলাকা রক্ষা করতে আজই যোগ দিন 👉

আপনার রিয়েল-টাইম কমিউনিটি সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম

05/08/2024

স্বাধীনতা পাইছেন এর মানে এই না যে যা ইচ্ছা তাই করবেন...

আপনি মুসলিম বলে নিজেকে দাবি করেন। নিজেকে প্রশ্ন করেন আপনি কতটা মুসলিম।

আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে সংখ্যালঘু ভাইবোনদের উপর অত্যাচার কেন? ইসলাম কি তা আপনাদের সমর্থন দেয়। আজ যে স্বাধীনতা পাইছেন তা কাদের অর্জন। দেখেন তো একটু পিছে ঘুরে।

আজকের অর্জন আমাদের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল ভাই-বোনদের। আপনারা আমাদের আন্দোলনকে দয়া করে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।

আর সম্মানিত ইমাম মুয়াজ্জিন সাহেবগন আপনাদের দায়িত্ব সংখ্যা লঘু ভাই-বোনদের জান-মালের রক্ষা করা। তাই আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, মাইকে ঘোষনা দিয়ে সন্ত্রাস সম্মিলিতভাবে আটকানোর চেষ্টা করার।

05/08/2024

সবাইকে স্বাধীনতার শুভেচ্ছা।❤️

05/08/2024

এখন আমাদের কি কি করা উচিৎ...

১. দেশ আপাদত কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে। এবং সে হবে ছাত্র জনতার নির্বাচিত।
২. সংবিধান/ আইন সংশোধন করে বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. গনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন দিতে হবে।
৪. ধ্বংসাত্মক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
৫. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৬. সংবিধান সংশোধন করে জনবিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে তুরস্কের নির্বাচন ব্যবস্থা লক্ষ করা যেতে পারে।