Farzana Rahman

Farzana Rahman আমার দেশ আমার ভূমি স্বাধীনতায় উজ্জীবিত বাক স্বাধীন এ জাতি।

তুমি এলে হঠাৎ, যেন রাতের আকাশে পূর্ণিমার আলো,আমার নিঃসঙ্গ হৃদয় পেলো বেঁচে থাকার ভালোবাসার পথচলা।তোমার চোখের নীলে আমি ডুব...
01/09/2025

তুমি এলে হঠাৎ, যেন রাতের আকাশে পূর্ণিমার আলো,
আমার নিঃসঙ্গ হৃদয় পেলো বেঁচে থাকার ভালোবাসার পথচলা।
তোমার চোখের নীলে আমি ডুবে যাই নিরব সমুদ্রে,
যেখানে শব্দ নেই, শুধু অনুভব কথা বলে নীরবে।
প্রেম যদি আগুন হয়, তবে তুমি তার মধুর শিখা,
যে জ্বালায়ও না, পোড়ায়ও না—শুধু অশেষ আলোয় ভরে রাখে হৃদয়টা।

আলহামদুলিল্লাহ ♥♥♥♥
01/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ ♥♥♥♥

ভাললাগে তাই ভালবেসে যাই.....কারন তুমিই যে আমার ভালবাসা♥♥♥♥♥♥
01/09/2025

ভাললাগে তাই ভালবেসে যাই.....
কারন তুমিই যে আমার ভালবাসা♥♥♥♥♥♥

31/08/2025

চলনা হারিয়ে যাই দূর অজানায়......

18/08/2025

"এক টান দে, কিচ্ছু হবে না"

ঐ দিনের পর থেকে আজও টানছি!🙂

" দুই বিঘা জমি " ---  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।বাবু বলিলেন, ‘বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব ক...
18/08/2025

" দুই বিঘা জমি "
--- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, ‘বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।’
কহিলাম আমি, ‘তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই –
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়জোর মরিবার মতো ঠাঁই।
শুনি রাজা কহে, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা,
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা –
ওটা দিতে হবে।’ কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে, ‘করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি।
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!’
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,
কহিলেন শেষে ক্রুর হাসি হেসে, ‘আচ্ছা, সে দেখা যাবে।’

পরে মাস-দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে –
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম, মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য –
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য।
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এইমত কাটে বছর পনেরো-ষোলো,
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হল।।

নমোনমো নম, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধুলি –
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন, রাখালের খেলাগেহ –
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল নিশীথশীতলস্নেহ।
বুক-ভরা-মধু বঙ্গের বধু জল লয়ে যায় ঘরে
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে –
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি, রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।।

ধিক্ ধিক্ ওরে, শত ধিক্ তোরে নিলাজ কুলটা ভূমি,
যখনি যাহার তখনি তাহার – এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফলফুল শাক-পাতা!
আজ কোন্ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ –
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন,
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন –
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সে দিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ী, ক্ষুধাহরা সুধারাশি।
যত হাসো আজ, যত করো সাজ, ছিলে দেবী – হলে দাসী।।

বিদীর্ণহিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি –
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে সেই আমগাছ একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালককালের কথা।
সেই মনে পড়ে, জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন –
ভাবিলাম হায়, আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন।
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে, বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা।
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।।

হেনকালে হায় যমদূতপ্রায় কোথা হতে এল মালী।
ঝুঁটিবাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
কহিলাম তবে, ‘আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব –
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব।’
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ;
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ –
শুনে বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, ‘মারিয়া করিব খুন।’
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, ‘শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!’
বাবু কহে হেসে, ‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়!’
আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোরে ঘটে –
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।।

“রাখাল ছেলে"–জসীম উদ্‌দীন - রাখালি কাব্যগ্রন্থরাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও,বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে...
18/08/2025

“রাখাল ছেলে"
–জসীম উদ্‌দীন - রাখালি কাব্যগ্রন্থ

রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও,
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?
ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ
কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা;
সেথায় আছে ছোট্ট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া,
সাঁঝ আকাশে ছরিয়ে পরা আবির রঙের নাওয়া,
সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা
সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না!

রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! আবার কোথায় ধাও,
পূব আকাশে ছাড়ল সবে রঙিন মেঘের নাও।
ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে,
সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।
চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দু-খান পা,
বলছে ডেকে, গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা!
সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই!
সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই!

রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! সারাটা দিন খেলা,
এ যে বড় বাড়াবাড়ি, কাজ আছে যে মেলা!
কাজের কথা জানিনে ভাই, লাঙল দিয়ে খেলি
নিড়িয়ে দেই ধানের ক্ষেতের সবিজ রঙের চেলি
সরষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হওয়ার সুখে
মটর বোনে ঘোমটা খুলে চুম দিয়ে যায় মুখে!
ঝাউয়ের ঝাড়ে বাজায় বাঁশি পঊষ-পাগল বুড়ি,
আমরা সেথা চষতে লাঙল মুর্শিদা-গান জুড়ি।
খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা লাঙল-চষা
সারাটা দিন খেলতে জানি, জানিইনেকো বসা।

একটা কাক ভালোবেসেছিল এক ময়ূরকে।সে প্রায়ই ময়ূরের পিছে পিছে ঘুরে বেড়াত। ময়ূর সেটা বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে কাককে এ...
16/08/2025

একটা কাক ভালোবেসেছিল এক ময়ূরকে।

সে প্রায়ই ময়ূরের পিছে পিছে ঘুরে বেড়াত। ময়ূর সেটা বুঝতে পারলেও না বোঝার ভান করে কাককে এড়িয়ে চলত। এভাবে দীর্ঘদিন কেটে যায়।

একদিন ময়ূর তার বাসার সামনে একটি হলুদ খাম দেখতে পেল। সেই খামের ভিতরে ছিল একটি ছোট্ট কালো রঙের ফুল। ময়ূর বুঝতে পারল-এ ফুল কাকই পাঠিয়েছে।

কয়েকদিন পর কাকের সাথে ময়ূরের দেখা হলো। ময়ূর

বলল-

"তোমার শরীর যেমন কালো, তেমনি তোমার রুচিও কালো। তাই তো এত সুন্দর সুন্দর রঙের ফুল থাকতে তুমি কালো ফুল পাঠিয়েছ!"

কাক ময়ূরের কথা শুনে কষ্ট পেয়ে চলে গেল।

তারপর বেশ কিছুদিন ময়ূরের আর কাকের দেখা হলো না। সপ্তাহ কেটে মাস, মাস কেটে বছর-কিন্তু কাকের কোনো খোঁজ পেল না ময়ূর। তবে ময়ূরও কাককে খুঁজতে যায়নি।

বছরের পর বছর পর হঠাৎ কাকের সাথে ময়ূরের দেখা হয়ে গেল। ময়ূর বলল-

"আমার রূপ দেখে সবাই আমাকে ভালোবাসতে চায়। তুমিও তো চেয়েছিলে। তবে আমাকে জয় করার চেষ্টা আর করলে না কেন?"

কাক জবাব দিল-

"তোমার সাথে জীবনে একদিনই আমার কথা হয়েছিল। তুমি যতদিন আমার সাথে কথা বলোনি, ততদিন ভেবেছিলাম-তোমার সুন্দর রূপের আড়ালে একটি সুন্দর মনও লুকিয়ে আছে। কিন্তু যখন দেখলাম, ফুলের মতো জিনিসকেও তুমি রঙ দেখে বিচার করো-তখনই বুঝেছিলাম, আমি মরীচিকার পিছে ছুটছি। তাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।"

ময়ূর বলল-

"এখন যদি তোমাকে পেতে চাই, তবে কি তুমি আমাকে ভালোবাসবে?"

কাক বলল-

"চোখের নেশা কেটে গেছে। চোখের নেশা কেটে গেলে ময়ূরের সৌন্দর্যও আর চোখে ধরা পড়ে না। তখন ময়ূরকেও কাকের মতো লাবণ্যহীন মনে হয়। জীবনের আসল বাস্তবতা তখন চোখের সামনে দীপ্ত হয়ে ওঠে। সেই বাস্তবতাই সঠিক পথের দিশা দেয়। বাস্তবতাকে ভুলে আবার আবেগে গা ভাসালে, দিশাহীন নাবিকের মতো অথই সাগরে ঘুরপাক খাব।"

তারপর কাক ও ময়ূর বিপরীত দিকে হাঁটা শুরু করল।

ধীরে ধীরে দু'জনার দূরত্ব বাড়তে লাগল। আর এ দূরত্ব যত বাড়ল, "জীবন" নামক সমুদ্র থেকে তারা তত বেশি মুক্তা সংগ্রহ করতে পারল।

16/08/2025

শরতের প্রথম দিন।

22/05/2025

"তুমি জান ক্ষুদ্র যাহা ক্ষুদ্র তাহা নয়,
সত্য যেথা কিছু আছে বিশ্ব সেথায় রয়।"
🏵️রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর🏵️

শিক্ষণীয় গল্প(শুধু পিঁপড়ে নয় আমাদের জীবন),,,,একটি পিঁপড়ার কলোনিতে থাকতো একটি ছোট পিঁপড়ে। না ছিলো সে  সবচেয়ে শক্তিশালী, ন...
22/05/2025

শিক্ষণীয় গল্প(শুধু পিঁপড়ে নয় আমাদের জীবন),,,,

একটি পিঁপড়ার কলোনিতে থাকতো একটি ছোট পিঁপড়ে। না ছিলো সে সবচেয়ে শক্তিশালী, না সবচেয়ে দ্রুতগামী, না সবচেয়ে বুদ্ধিমান, কিন্তু তার একটি গুণ ছিল যা তাকে
অন্যদের থেকে আলাদা করতো,,,, আর তা হলো - সে কখনোই অন্যের কষ্ট উপেক্ষা করতে পারতো না।

যদি কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং শস্যের দানা বাসায় নিয়ে যেতে না পারে, সে সাহায্য করতো। যদি কেউ হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতো, সে তাকে তুলে দিতো। যদি বৃষ্টিতে সুড়ঙ্গ ধসে যেতো, সে-ই সবার আগে তা মেরামত শুরু করতো।

পিঁপড়ারা তার সবসময় পাশে থাকার অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলো। তারা জানতো, যদি তারা কোনো বোঝা ফেলে দেয়, সে তা তুলে নেবে। যদি তারা কোনো পথ শেষ না করে, সে তা শেষ করবে। যদি তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, সে তাদের কাঁধ দেবে ভর দিয়ে চলার জন্য।

কিন্তু কেউ কখনও জিজ্ঞেস করেনি,,,, সে নিজে কি ক্লান্ত,,,,?

দিনের পর দিন, সে শুধু নিজের কাজই করত না, সবার কাজও করে যেতো। তার কখনও বিশ্রামের সময় ছিল না, কিন্তু সে নিজেকে বোঝাতো,,,, “আর একটু, তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে।” তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—অন্যদের যেন কষ্ট কম হয়।

একদিন, পিঁপড়েটি লক্ষ্য করলো তার পা কাঁপছে ক্লান্তিতে। সে আর আগের মতো দ্রুত শস্য বয়ে নিতে পারছিলো না। তার পিঠ ব্যথা করছিলো আর চোখে ক্লান্তি জমে ছিলো সেই অন্তহীন কাজের চাপ দেখে। কিন্তু সে তো পিঁপড়ার ঢিপিকে নিরাশ করতে পারতো না।

যখন এক পিঁপড়ে তাকে একটি বোঝা বয়ে নিতে সাহায্য চাইলো, সে তার শেষ শক্তিটুকু জড়ো করে রাজি হলো।

যখন দ্বিতীয় পিঁপড়ে তাকে নিজের কাজ শেষ করতে বললো, সে দাঁত কামড়ে হ্যাঁ বললো।

যখন তৃতীয় পিঁপড়ে বললো, “তোমার তো সবসময় সময় থাকে, আমাকেও সাহায্য করো,” তখনও সে না বলতে পারলো না।

আর তখনই ঘটলো এমন কিছু, যা সে নিজেও আশা করেনি। সব দায়িত্বের ভারে তার পা ভেঙে পড়ল। সে মাটিতে পড়ে গেলো। অথচ পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া পিঁপড়ারা খেয়ালই করলো না যে সে আর নড়ছে না।

প্রথমে কেউ তার অনুপস্থিতি লক্ষ্যই করলো না। তারপর “ও নিশ্চয়ই শিগগিরই ফিরে আসবে,” তারা বললো।

কিন্তু দিন কেটে গেলো, আর কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠলো। আর কেউ পড়া শস্য তুলে নেয় না। আর কেউ কাঁধ দেয় না। আর কেউ সুড়ঙ্গ মেরামত করে না।
পিঁপড়ার ঢিপিতে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলো।

সব পিঁপড়ারাই এক এক করে বুঝতে শুরু করলো,,,,সে তাদের ধারণার চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতো। তারা তাকে খুঁজলো, কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া গেল না।

আর তখনই, পিঁপড়ার ঢিপির এক কোণে থাকা এক বৃদ্ধ পিঁপড়ে একদিন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,,,, “সে চলে গেছে।”
তার কাজের মূল্য তখনই বোঝা গেলো যখন সে আর ছিল না।

“কিন্তু সে আমাদের বলল না কেন,,,,?পিঁপড়ারা ক্ষুব্ধ হলো।
বৃদ্ধ পিঁপড়া বললো,,,,“তোমরা কি কখনো তাকে জিজ্ঞেস করেছিলে, সে কেমন আছে?” পিঁপড়ারা চুপ করে রইলো।

তারা বুঝতে পারলো,,,, তারা তার সাহায্যকে স্বাভাবিক মনে করেছিলো। সে সবসময় পাশে থাকতো, সাহায্য করত, সবাইকে কঠিন সময় থেকে রক্ষা করতো। আর যখন সে নিজেই কষ্টে ছিলো, তখন কেউ তা টেরও পায়নি।

☄️ নৈতিক শিক্ষা
প্রতিটি সমাজে কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়।তারা সাহায্য করে, পাশে থাকে, সবার চেয়ে বেশি পরিশ্রম করে। তারা তখনও “হ্যাঁ” বলে যখন তারা খুব ক্লান্তও থাকে। তারা অন্যদের জীবন সহজ করে তোলে কিন্তু কেউ তাদের জিজ্ঞেস করে না,,,,তারা কেমন আছে।
একদিন যখন তাদের শক্তি শেষ হয়ে যায় আর তারা চলে যায়, তখনই সবাই বোঝে তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
-কপি-পেস্ট

22/05/2025

Address

Dhaka
Barishal
8082

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Farzana Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Farzana Rahman:

Share