26/07/2025
🚨আপনি আমি মুসলিম দাবিদার? তবে এখানে আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির রেড সংকেত!
—
🔻 "বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের" এই বাক্যটি কি শুধুই একটি শিরোনাম!
•সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খোলার জন্য তড়িঘড়ি হচ্ছে এবং তা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র! কর্তৃপক্ষ অলরেডি অনুমোদন দিয়ে গর্বিত অনুভব করেছেন। আমরা সভা সমাবেশ, সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করতেছি। কতোটা ফলপ্রসূ হবে? একটুও না! লিখে রাখুন তারা অফিস খুলবেই সেটা যেভাবেই হোক! এর প্রতিবাদ করতে যখন হুজুররা যাবে তখন তারা বিশ্ব মিডিয়ার মাধ্যমে বৈধতা আদায়ে সফল হবে। তারা প্রমাণ করতে সফল হবে যে, বাংলাদেশে আসলেই জাতিসংঘের আসা প্রয়োজন! এদেশে টুপি পাগড়ীওয়ালাদের দ্বারা মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে!
এখানেই কি শেষ! জ্বি না, কেবল শুরু মাত্র তাদের মিশন! তাদের মিশন হল "ইসলাম ও মুসলিম"....
—
জাতিসংঘ নামক জাতিবিধ্বংসী (দারুণ নাদওয়া) প্রতিষ্ঠার পর হতে পৃথিবীতে তারা যেখানে অবস্থান নিয়েছে কোথাও কি শান্তিরক্ষা করতে পেরেছে বা করেছে? উত্তর আসবে— 'না'! শান্তিরক্ষার নামে তাদের মূল লক্ষ-উদ্দেশ্যই হলো "ইসলাম ও মুসলিম" নিধন! এর বাইরে অন্য কিছু কল্পনাও বাস্তবসম্মত নয়! কিন্তু আমরা কি বুঝতে পারছি বিষয়টি বা বুঝতে চেষ্টা করছি, নাকি শুধুই ক্রমান্বয়ে মুনাফেকি করতেই মরিয়া!
—
জাতিসংঘ কি সমস্ত রাষ্ট্রেই তাদের অফিস খুলেছে? জ্বি না, গুটিকয়েক রাষ্ট্রে তাদের অবস্থান। যেমন- ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরাক,... এরকম বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের রয়েছে ১৮টি আঞ্চলিক দপ্তর বা কান্ট্রি মিশন। বাংলাদেশেও সে পথের পথিক হতে চলেছে এবং হবে। তবে এসব দপ্তর যেসব দেশে পরিচালিত হচ্ছে, তার সিংহভাগই অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর, রাজনৈতিকভাবে অস্থির এবং গৃহযুদ্ধপ্রবণ। জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এসব অঞ্চলে তৎপর হলেও প্রশ্ন উঠছে— সত্যিই কি এসব দেশে মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে তারা? বরং জাতিসংঘের কার্যক্রম নিয়ে বারবার অভিযোগ এসেছে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা, নিষ্ক্রিয়তা এবং দায় এড়ানোর প্রবণতা নিয়ে।
-
ফিলিস্তিন, একটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি দখলদারিত্বে থাকা জনপদ। এখানে বহু বছর ধরেই চলে আসছে হত্যা, ঘুম ও দখলের প্রতিদিনকার বাস্তবতা। কিন্তু জাতিসংঘের ভূমিকা? কেবল নিন্দা আর সতর্কবার্তা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করার নজিরই বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বেআইনী অভিযানের বিপরীতেও জাতিসংঘ নেয়নি কোনো শক্ত অবস্থান।
-
একই চিত্র সিরিয়াতেও। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলছে গৃহযুদ্ধ। জাতিসংঘের আঞ্চলিক দপ্তর থাকলেও মানবাধিকার পরিস্থিতির বাস্তব উন্নয়ন খুব একটা দেখা যায়নি। ইসরাইলের বিমান হামলায় সম্প্রতি দেশটির রাজধানী দামেস্ক, সুয়েদা ও দেরা শহর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জাতিসংঘ আবারও শুধু “নিন্দা জানিয়ে” দায় সারে।
-
কম্বোডিয়া, নাইজার— এসব বিশৃঙ্খল রাষ্ট্রেও জাতিসংঘ পরিচালনা করছে মানবাধিকার দপ্তর। অথচ এখানেও রয়েছে মানবাধিকার রক্ষার নামে পক্ষপাতদুষ্ট কার্যক্রমের অভিযোগ। অনেকক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কিংবা জনগণের কাছেও জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বারংবার!
—
⁉️ ধর্মীয় স্বাধীনতা কি বাংলাদেশের থেকে ভারতে, কাশ্মীরে, ফিলিস্তিনে, আমেরিকায়, রাশিয়ায়, চীনের উইঘুরে বেশি সুরক্ষিত? জ্বি না, তাহলে সেখানে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ মিশন জরুরী নয় কেন! এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন প্রতিবাদ তারা করেছে কি যে সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত! করেনি কারণ সংখ্যালঘুরা 'মুসলিম' ধর্ম তাদের ইসলাম! এখানেই মানবতার বুলি থমকে যায় দাঙ্গাবাজদের!
—
❓তারা কি চায়!
তারা যে রাষ্ট্রে যায় সেখানে হয় বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে অথবা বিশৃঙ্খলা খুব সন্নিকটেই! তারা যেখানে যায় সেখানে সুদূরপ্রসারী কুট পরিকল্পনা নিয়েই যায়! আবারও বলছি 'সুদূরপ্রসারী কুট পরিকল্পনা'! (একটু অপেক্ষা করুন আপনার নসীবেও জুটবে)!
—
❗সর্বোপরি, দেশ ও জাতির অদূর আগামী দিনগুলোর জন্য মহান রবের নিকট সাহায্য চাইছি! তিনি একমাত্র রক্ষাকারী দেশ ও বিশ্ব গাদ্দারদের গাদ্দারী থেকে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জনগোষ্ঠীকে! গাদ্দাররা সফল হয়না, হয়নি কখনই কিন্তু অপূরনীয় ক্ষতি করে যায়! যার ভার বহন করা অতি কষ্টসাধ্য! আল্লাহ হেফাজতকারী!
—
(এখন সময় ভাববার, ঘুমিয়ে গেলে সুবহে সাদিক আসবে না হয়তো প্রতিক্ষিত ইমাম অবধি!)
(লেখা সংগৃহীত)