স্বাস্থ্য কথা । Health Talk

স্বাস্থ্য কথা । Health Talk সব ধরনের স্বাস্থ্য সেবার টিপস পেতে সা?

30/03/2025

EID MUBARAK

28/11/2024

𝐏-𝐒𝐡𝐨𝐭 𝐓𝐫𝐞𝐚𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 - সুখের হোক দাম্পত্য জীবন!

👉𝐏-𝐒𝐡𝐨𝐭 এর কার্যকারিতা:
📎 সার্জারি বিহীন ব্যাথামুক্ত প্রক্রিয়া
📎 লি*ঙ্গে রক্ত সঞ্জালন ও প্রবাহ বাড়ায়
📎 যৌ*ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পেরোনিজ ডিজিজ দূর করে
📎 শুক্রাণু উৎপাদন বৃদ্ধি করে
📎 লি*ঙ্গ লম্বা ও চওড়া করে
📎 সল্পসময়ে কার্যকরী সমাধান
📎 কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
📎 দাম্পত্য জীবনের আত্নবিশ্বাস ও পূর্ণ প্রশান্তির নিশ্চয়তা

স্কিন,হেয়ার,নেইল এবং যৌ*ন সমস্যায় যোগাযোগ করুন।

03/07/2024

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হারও।

চিকিৎসকেরা বলছেন, স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়।

সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার।

কেমন লক্ষণ নিয়ে আসেন রোগীরা?
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা যেখানে প্রকাশ্যে স্তন শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, সেখানে শরীরে প্রাথমিক কোন লক্ষণ দেখা গেলেও তারা গোপন রাখেন সেসব, যে কারণে বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাজনীন নাহার বলেন, স্তন ক্যান্সারে শুধু নারীরা নন, পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।

অধিকাংশ সময় তারা স্তনে একটি চাকা নিয়ে আসেন। অনেকে স্তনের বোঁটায় ঘা বা ক্ষত বা বোঁটার চারপাশে কালো অংশে চুলকানির লক্ষণ নিয়ে আসেন।”
̶কারো স্তনের বোঁটা দিয়ে দুধের মত সাদা রস নিঃসৃত হতে থাকে। ব্যথা বা স্তন লাল রং হয়ে গেছে এমন লক্ষণ নিয়ে খুব কমই আসেন।”
স্তন ক্যানসার কেন হয়?
অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলছেন, বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তবে সেই সঙ্গে কিছুটা সচেতনতা বাড়ার কারণে এখন মানুষ চিকিৎসকের কাছেও আগের তুলনায় বেশি যায় এবং সেজন্য আমরা জানতেও পারি বেশি আগের চেয়ে।

তিনি বলছে, নানা কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে।

̶আমাদের জীবনাচরণে এবং খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন এসেছে, সেটি একটি কারণ। এছাড়া কারো পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে হতে পারে। কারো যদি বারো বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে। সেই সঙ্গে তেজস্ক্রিয় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।”

অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলেন, দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই, বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে, এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

একই সঙ্গে বয়স বাড়ার সাথে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না।

তিনি বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার ১০০ ভাগ নিরাময়যোগ্য।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
Presentational grey line
• স্তনে চাকা বা পিণ্ড দেখা দিলে

• স্তনের বোঁটার কোন ধরনের পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে গেলে, অসমান বা বাঁকা হয়ে গেলে

• স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে

• স্তনের চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন হলে

• বাহুমূলে পিণ্ড বা চাকা দেখা গেলে

Presentational grey line
ম্যামোগ্রাম এক বিশেষ ধরনের এক্স রে যন্ত্র যাতে স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ধরা পড়ে।

তবে অধ্যাপক নাজনীন নাহার বলছেন, বয়স ৩০ বা ৩৫ হবার পর সব নারীর উচিত নিয়মিত নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা। এজন্য মূলত তিনটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে।

• ম্যামোগ্রাম বা বিশেষ ধরনের এক্স রে, যার সাহায্যে স্তনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ধরা পড়ে।

• সুনির্দিষ্ট নিয়মে চাকা বা পিণ্ড আছে কিনা, চিকিৎসকের মাধ্যমে সে পরীক্ষা করানো।

• নিজে নিজে নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী স্তন পরীক্ষা করা।

বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা
বাংলাদেশে ক্যান্সার বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল আছে চারটি।

বাংলাদেশ ক্যান্সার ইন্সটিটিউটসহ সরকারি বেসরকারি অনেক হাসপাতালে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা

03/07/2024

** শিশু জলবসন্ত ** ভীষণ ছোঁয়াচে ভাইরাসজনিত অসুখ জলবসন্ত বা চিকেন পক্স। বসন্তের আগমনের সময় এ রোগ হতে পারে। দায়ী জীবাণু হলো হারপেস জাতের ভেরিসেলা ঝোসটার ডিএনএ ভাইরাস।
রোগের লক্ষণ
চিকেন পক্স সাধারণভাবে শিশু বয়সের অসুখ। বিশেষত ২ থেকে ৮ বছর বয়সে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে সরাসরিভাবে এলে বা হাঁচি-কাশির সাহায্যে বাতাসে ভর করে এ রোগ ছড়ায়। কখনোবা রোগীর ব্যবহৃত সামগ্রী থেকেও ছড়িয়ে পড়ে চিকেন পক্স। ঘরে কারও এ অসুখ দেখা দিলে অন্য সদস্যদের মধ্যে তা ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় ৯০ শতাংশ। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দ্রুত ছড়ায়। রোগজীবাণু দেহে প্রবেশের ১৪ থেকে ২১ দিনের মাথায় অসুখের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রথম কয়েক দিন শারীরিক ক্লান্তি, ম্যাজম্যাজে ভাব, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা-এসব উপসর্গ থাকে। তারপর শরীরে দেখা দেয় দানাদার ফুসকুড়ি বা র​্যাশ। এক থেকে দেড় হাজার সংখ্যক পর্যন্ত র​্যাশ দেখা দিতে পারে। ছোট শিশুদের বেলায় অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে উপসর্গ থাকে না বা বোঝা যায় না। সরাসরি র​্যাশ দিয়ে রোগের প্রকাশ ঘটে। এই র​্যাশ বেশ চুলকানো প্রকৃতির। ম্যাকিউল, পেপিউল ও ভেসিকুলার বিভিন্ন প্রকারের র​্যাশ রোগীর শরীরে একই সময় মেলে। র​্যাশের এই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত চেহারা, বুকে, পিঠে নজর কাড়ে বেশি। তবে তা হতে পারে মুখগহ্বরের ভেতরে, চোখে, হাতে-পায়ের তালুতে।

জটিলতা

স্বাভাবিক শিশুর ক্ষেত্রে চিকেন পক্স তেমন গুরুতর সংকট সৃষ্টি করে না। কিশোর, যুবক বা বয়স্কজনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বসন্ত রোগের জটিলতা বেশি। বিশেষত শিশু যদি অন্য কোনো অসুখে ভোগা রোগ প্রতিরোধক ঘাটতিজনিত অবস্থায় থাকে। চিকেন পক্সজনিত তীব্র জটিলতাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সেপসিস, এনকেফালাইটিস, নিউমোনিয়া।

চিকিৎসা

● বাচ্চার স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যাওয়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ভীষণ চুলকানো বা ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করানো।

● চিকেন পক্সে কখনোই শিশুকে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এতে করে ‘রি-ই সিনড্রোম’ নামক জটিল অসুখে পড়তে পারে শিশু।

● সেপসিস, নিউমোনিয়া বা এনকেফালাইটিসের যথাযথ ব্যবস্থাপনা।

● অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার চিকিৎসকের পরামর্শমতো হওয়া উচিত।

● এসাইক্লোডির ওষুধ বা ইম্যুনোগ্লোবিন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে দিতে হবে।

রোগ প্রতিরোধক টিকা

চিকেন পক্স প্রতিরোধের কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যায়। দামি হলেও এটি নিরাপদ। বেশ কিছু দেশে রুটিন মেনে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে চিকেন পক্স ভ্যাকসিন শিশুকে দেওয়া হয়। সংস্পর্শ ঘটার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সুফল মেলে।

02/07/2024

) শসা শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

২) দই দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

৩) পেঁপে পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

৪) কলা ও কমলা কলা ও কমলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে।

৫) আদা আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

19/02/2024

কিছুদিন আগে কৌতুহলবশতঃ "হেলিকপ্টারের দাম কত?" লিখে Google এ Search করেছিলাম। এরপর থেকে আমার জীবন এলোমেলো হওয়ার দশা। YouTube, Facebook, Instagram- যেখানেই যাই শুধু বড়লোকী বিজ্ঞাপন!

এই ছুটিতে ঘুরে আসুন বুর্জ খলিফা... প্রিয় মানুষকে দিন ডায়মন্ড উপহার... আপনার অপেক্ষায় মিশরের পিরামিড... অগ্রীম বুকিং দিন IPhone 16... কানাডায় কিনুন স্বপ্নের বাড়ি...

কত আর সহ্য করা যায়?

বিপদ থেকে উদ্ধারের উপায় তাই বের করতেই হলো। গতকাল রাতে সার্চ করেছি- "ছিড়া জুতা সেলাই করার উপায় কি?"'

আলহামদুলিল্লাহ্...
সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। বিজ্ঞাপনের লেভেল এখন আমার লেভেলে নেমে এসেছে। আজ সকাল থেকে YouTube আমাকে দেখাচ্ছে মাত্র ১২০ টাকায় কিনুন দুইটা স্যান্ডেল, সাথে ১০ টাকা ক্যাশব্যাক!

26/01/2024

বর্তমানে নবদম্পতিরা চান সংসার ও পেশাগত জীবন গুছিয়ে দু-এক বছর পর সন্তান নিতে। আবার প্রথম সন্তানের পর আরেকটা সন্তান নেওয়ার মধ্যে কেউ কেউ বেশ বিরতি চান। কোন সময় কী ধরনের জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালো হয়, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকে। এর মধ্যে অন্যতম দুশ্চিন্তা হলো জন্মবিরতিকরণ বড়ি নিয়ে। এটা সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য হলেও নানা প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন অনেকে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রজননক্ষম যেকোনো নারীই জন্মবিরতিকরণ বড়ি খেতে পারেন।

কাদের গ্রহণ করা উচিত নয়

• বয়স ৪০ বছরের ওপর।

• নতুন মা যাঁরা স্তন্যপান করাচ্ছেন।

• উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি বা ধমনিতে চর্বির আস্তর পড়েছে।

• ধমনি বা শিরায় রক্ত জমাট হওয়ার রোগ আছে যাদের।

• মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক ও হৃদ্‌রোগের ইতিহাস।

• জন্ডিসের রোগী ও যকৃৎরোগ বা যকৃতের টিউমার আছে এমন রোগী।

• স্তন ক্যানসারের রোগী, মাইগ্রেনের রোগী।

সুবিধা

• এটি প্রায় ৯৯ শতাংশ কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি।

• অনিয়মিত মাসিকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে।

• মাসিকের সময়কার ব্যথা ও অন্যান্য মাসিক-পূর্ববর্তী উপসর্গ কমায়।

• মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের প্রবণতা কমায়।

• জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণের ঝুঁকি কমায়।

• ডিম্বাশয়ের সিস্ট ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

• এটি একটি অস্থায়ী পদ্ধতি, তাই সন্তান নিতে চাইলে পিল বন্ধ করার তিন-চার মাসের মধ্যেই সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।

অসুবিধা

• নিয়মিত প্রতিদিন খেতে হয় তাই ভুলে যাওয়ার বা ডোজ মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• স্তন্যদানকারী মায়েরা খেলে বুকের দুধ কমে যেতে পারে।

• কনডম বা নিরোধকের ব্যবহারে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি কমে, এই সুবিধা পিলে নেই।

• জন্মবিরতিকরণ পিল গ্রহণের কিছু মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন: বিষণ্নতা, মাইগ্রেনের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, মাসিকচক্রের মাঝামাঝি রক্তক্ষরণ, স্তনে ব্যথা করা ইত্যাদি।

• বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের স্বল্পমাত্রার পিলে ওজন বাড়া, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি বাড়ার ঝুঁকি আগের পিলগুলোর তুলনায় কম।

কীভাবে খাবেন
মাসিক শুরু হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে শুরু করা যায়, তবে প্রথম দিন থেকে শুরু করাই ভালো। প্রতি রাতে খাবার খাওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় খাবেন। বেশির ভাগ পিলের পাতায় দিন উল্লেখ করা থাকে, সেভাবেই খেতে হবে। টানা ২১ দিন খাওয়ার পর সাতটা আয়রন ট্যাবলেট থাকে। তারপর আবার আরেকটি নতুন পাতা খাওয়া শুরু করতে হবে।

26/01/2024

সন্তান জন্মদানের পর মায়েদের মধ্যে এক ধরনের মনমরা অবস্থা বা বিষণ্নতা দেখা দেয়। এটি পরবর্তী কয়েকদিন বা সপ্তাহ খানেকেরও বেশি সময় স্থায়ী থাকে।

শিশু জন্মদানের পর হরমোন পরিবর্তনই এই অবস্থা সৃষ্টির কারণ। চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী সন্তান প্রসবের পর এস্ট্রোজেন এবং প্রজেসটারোনের মাত্রা হ্রাস পায়। এতে মায়েরা পিএমএস (প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম)-এর সময় এক ধরনের পরিবর্তন অনুভব করেন।

সন্তান পেটে ধারণের দীর্ঘ সময় কঠোর পরিশ্রমের ক্লান্তি, ঘুমের বিভ্রাট, সিজারের ফলে সেলাইয়ের স্থানে যন্ত্রণা, স্তনবৃন্তে ব্যথা ইত্যাদি অবস্থার ফলে মায়েদের মধ্যে এই ধারণা জন্ম হয় যে, তাঁরা হয়তো নতুন মাতৃত্বকালীন অবস্থা ও দায়িত্বগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন না।

মায়েদের উচিত সন্তান জন্মের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে এই অবস্থা মেনে নেওয়া। এই সময় তাঁদের উচিত নিজেদের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া। তাঁদেরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং সংযম অনুশীলন করতে হবে। সেইসঙ্গে আশপাশের মানুষের উচিত তাঁদেরকে সামাজিক সহায়তা প্রদান করা।

নবজাতক ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথে মায়েরও উচিত ঘুমানোর চেষ্টা করা। কেননা, মা তাঁর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম থেকে বঞ্চিত হলে সন্তানের শারীরিক ও আবেগীয় যত্ন নেওয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অন্যদের কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণও অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সবকিছু নিজেকেই সচেতনভাবে করতে হবে।

সন্তান জন্মের পর পুষ্টিতে যে ঘাটতি পড়ে তা পূরণ করতে হবে। দিনে তিনবার উদরপূর্তি না করে মায়েদের উচিত সারাদিনই ঘন ঘন পরিমিত খাবার গ্রহণ করা। এই সময় ফল ও সবজিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সিজারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হলে সেলাইয়ের স্থানে ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি দূর হওয়ার পর হালকা ব্যায়াম করতে হবে। ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে যাতে হার্টরেট কিছুটা বাড়ে। নবজাতকের সঙ্গে কথা বলা এবং খেলা করতে হবে। এতে শারীরিক ও মানসিক দুই দিকেই উন্নতি হবে।

গর্ভাবস্থার পর থেকে সন্তান প্রসব এবং তার পরবর্তী সময়েও দৃঢ় সামাজিক সমর্থন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী- সবার সঙ্গে যাতে সন্তানের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতে হবে। এমন সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে যা শিশুর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক তৈরি করে। এসব ক্ষেত্রে শিশুর বাবাকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

পরিবারের সমস্ত কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। বিশেষ করে এ সম্পর্কিত পূর্বের দায়িত্বগুলো পালনের চেষ্টা করতে হবে। যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

মেডিক্যাল সহায়তা এবং নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কোনো সমস্যা ও এর ধরন সম্পর্কে চিকিৎসককে সঠিকভাবে অবহিত করতে হবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

হেলথ টিপস"শিশুর দাঁত উঠছে না?"বিস্তারিত জানতে নিচের লিংঙ্কে ক্লিক করুনঃ http://www.patientaid.net/?p=2930আরো হেলথ টিপস প...
26/01/2024

হেলথ টিপস
"শিশুর দাঁত উঠছে না?"
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংঙ্কে ক্লিক করুনঃ http://www.patientaid.net/?p=2930

আরো হেলথ টিপস পেতে পেশেন্ট এইড অ্যাপটি ডাউনলোড করুন: https://goo.gl/nbVswh

শিশুদের দন্ত কুসুম বিকশিত হওয়ার চক্রের তিনটি পর্ব আছে। প্রথমে দাঁত গঠনের জন্য খনিজ পদার্থের সমাগম ঘটে, দাঁত গজায়, ...

26/01/2024

শিশুর শীতকালীন রোগঃ সর্দি কাশি জ্বর
Daily Prothom Alo
কেস স্টাডি
শিশুর বয়স ১১ মাস| সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, সঙ্গে সামান্য জ্বর| শহরের বাইরে থেকে এসেছে| স্থানীয় চিকিৎসক তিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়েছেন| কোনো উন্নতি হয়নি| এর আগেও একই সমস্যার জন্য চিকিৎসক ইনজেকশন দিয়েছেন দুবার| মা-বাবা উদ্বিগ্ন-শিশুর বারবার কেন নিউমোনিয়া হচ্ছে!
শীতের শুরুতে বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদেরও সর্দি, কাশি, জ্বর হয়ে থাকে| শিশুর ঠান্ডা লাগলেই নিউমোনিয়া হয়েছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই| যেকোনো শিশু বছরে পাঁচ-ছয়বার ঠান্ডায় আক্রান্ত হতে পারে, বিশেষ করে শহরের শিশুরা গ্রামের শিশুদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়| ঘনবসতি ও বায়ুদূষণ এর প্রধান কারণ|
শিশুর সর্দি-কাশি হলে যদি সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে শিশু শ্বাস দ্রুত নিচ্ছে কি না এবং বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে যাচ্ছে কি না খেয়াল করুন| যদি থাকে, তাহলে বুঝতে হবে শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত| সাধারণত সর্দি, কাশি ও জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতেই করা সম্ভব| জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ দিন| নাক বন্ধ থাকলে নরম কাপড় বা কটন বাড কিংবা লবণপানির ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন| লেবু-চা, আদা-চা বা গরমপানির মধ্যে লেবু, তুলসীপাতা ও মধুর মিশ্রণ কাশি কমানোর জন্য যথেষ্ট|
যদি কাশি বেশি হয় বা কাশির সঙ্গে শব্দ হয়, তাহলে সালবিউটামল সিরাপ (এক বছর বয়সের নিচে আধা চামচ করে, দিনে তিনবার এবং এক বছরের ওপরে হলে এক চামচ করে, তিনবার) দিতে হতে পারে| আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া| আর নিউমোনিয়া চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়| কিন্তু অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনেক জটিলতা হতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে| সুতরাং অকারণে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো|
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন-
* শিশু দ্রুত শ্বাস নিলে|
* বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে গেলে|
* শ্বাসকষ্ট হলে|
* শ্বাসকষ্টের জন্য খেতে না পারলে|

***********************************
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· তাহমীনা বেগম
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিভাগ, বারডেম
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২১ নভেম্বর ২০০৭

গর্ভবতী মায়েদের যা জানা দরকারDaily Ittefaqআপনার গর্ভের শিশুটিও আপনার জরায়ুর ভেতর থেকেই সবকিছু শুনতে পায় তাকি আপনি জানেন?...
16/01/2024

গর্ভবতী মায়েদের যা জানা দরকার
Daily Ittefaq
আপনার গর্ভের শিশুটিও আপনার জরায়ুর ভেতর থেকেই সবকিছু শুনতে পায় তাকি আপনি জানেন? কথাটা আশ্চর্য মনে হলেও কিন্তু সত্যি। Elliot and Elliots ১৯৬৪ সালেই এই বিষয়টি বাস্তবে প্রমাণ করেছেন। তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, ভ্রূণের বয়স যখন মাত্র ৫ মাস তখনই তার (শিশুর) কানে শোনার যন্ত্র পূর্ণ বয়স্ক মানুষের যন্ত্রের ন্যায় কাজ করে। মায়ের পেটের উপর এক উন্নত বিশেষ ধরনের মাইক্রোফোন স্থাপন করে শব্দের সাথে শিশুর হৃদস্পন্দনের গতি বৃদ্ধির হার নির্ণয় করা হয়। আর এক পদ্ধতিতে গর্ভের শিশুর কানের সোজাসুজি মায়ের পেটের উপরে ভাইব্রোঅকাশটিক(Vibroaucustic) ষ্টিমুলাই প্রয়োগ করে ভ্রূণের চোখের পাতার, চোখের ন্নাচড়া (Eye clenching) আলট্রাসোনিক ইমেজিং এর মাধ্যমে লক্ষ্য করা হয়। ১৯৮৩ সালে ২৩৬ মানব ভ্রূণের উপর এইভাবে জরিপ চালিয়ে এই সত্য প্রমাণ করেন।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো এই বয়সেই গর্ভের শিশুটি বিভিন্ন ধরনের শব্দের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং ভাল বা মন্দ শব্দ সে বুঝতে পারে। ৫ মাসের গর্ভের সন্তানটি তার মা-বাবার গলার আওয়াজও শনাক্ত করতে পারে। তাই ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই মা-বাবার কণ্ঠ শুনে তাদেরকে চিনতে একটু ভুল করে না।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিম্নের কয়েকটি উপদেশঃ
১· অতিরিক্ত তীব্রতর শব্দের হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
২· গর্ভাবস্থায় মিষ্টি-মধুর মিউজিক বা ধর্মীয় গ্রন্থির পাঠ বেশী করে শুনুন।
৩· অহেতুক উচ্চস্বরে কথা বলবেন না এবং শুনবেন না।
৪· গাড়ীর হাইড্রলিক হর্ণ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। সময়ে কান আঙ্গুল দিয়ে বন্ধ করুণ।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কি পরিবেশে কি কি ধরনের মাত্রাতিরিক্ত শব্দ থেকে আপনার গর্ভের শিশুটির কানে শোনার যন্ত্রগুলির যত্ন নেবেন বা সতর্ক থাকবেন তা কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ থেকে জেনে নিবেন।

***********************************
লেখকঃ ডাঃ মুহঃ আজহারম্নল ইসলাম,
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ,
মেডিনেট স্কিন কেয়ার,
৪৭৬/বি-২ ডি· আই·টি রোড, মালিবাগ।
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১১ নভেম্বর ২০০

Address

Barishal

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বাস্থ্য কথা । Health Talk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share