02/12/2025
ইতিহাস গড়ে আরেক ইতিহাসের সামনে মেসির মায়ামি
স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচে দু’টি শিরোপা অপেক্ষা করছিল ইন্টার মায়ামির জন্য। কনফারেন্স ফাইনাল জিতে তার মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে একটি। গতকাল সকালের ম্যাচে মেজর লীগ সকারের (এমএলএস) ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে নিউ ইয়র্ক সিটিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় লিওনেল মেসিরা। ফলে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপ ফাইনালে খেলবে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এমএলএস শিরোপার মূল লড়াই এটি। ফাইনালে আগামী ৭ই ডিসেম্বর মেসিদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালজয়ী ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। মায়ামির জন্য শেষ দু’টি জয়ই ছিল ঐতিহাসিক। কনফারেন্স সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও এবারই প্রথমবার খেলে মায়ামি। স্বাভাবিকভাবেই এমএলএস কাপের ফাইনালেও ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নামবে হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। ঐতিহাসিক জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসি লেখেন, ‘আমাদের আর এক ধাপ যেতে হবে... ইস্টার্ন কনফারেন্স চ্যাম্পিয়ন, তবে আমাদের সামনে এখন এমএলএস কাপ ফাইনাল।’ ম্যাচের পর দলের একতা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেন কোচ মাসচেরানো। তিনি বলেন, (জয়ের)‘কৃতিত্ব তাদেরই (খেলোয়াড়দের)।’ মায়ামি বস আরও বলেন, ‘আমি শেষ দুই মাসের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, এটি অবিশ্বাস্য ছিল। তবে মূল সাফল্য খেলোয়াড়দের, যারা নিজেদেরকে বিশ্বাস করিয়েছে যে আমরা কোথায় যেতে চাই। আমরা মৌসুমের শেষ পর্যন্ত দলের ভেতরে এমন এক ভাতৃত্ববোধের সঙ্গে পৌঁছেছি, যেখানে সবাই একই দিকে টানছে। আমরা সেই খেলার (কাপ ফাইনাল) দোরগোড়ায়, যা আমরা স্বপ্নে দেখেছি, আমাদের ঘরে, আমাদের মানুষের সঙ্গে।’ ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মেসি গোল না পেলেও, হ্যাটট্রিক করেন তারই স্বদেশী তাদেও আইয়েন্দে। সেমিতেও জোড়া গোল করেছিলেন এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কাপ ফাইনালে নিজে গোল না পেলেও, একটি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ঘরের মাঠে গোলের দিকে ১২টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখে মায়ামি। নিউইয়র্কের ৫টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৪টি শট। ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন আইয়েন্দে। ২৩তম মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন এ ২৬ বছর বয়সী তারকা। ৩৭তম মিনিটে সফরকারীদের জাস্টিন হাক এক গোল শোধ দিলে ২-১ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দু’দল। মাঠে ফিরে ৬৭তম মিনিটে মেসি তার রোজারিওর ছেলে মাতেও সিলভেত্তিকে দিয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করান। ৮৩তম মিনিটে মায়ামির জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় তেলাসকো সেগোভিয়ার গোলে। ৮৯তম মিনিটে নিজের তৃতীয় ও দলের শেষ গোলটি করেন হ্যাটট্রিকম্যান আইয়েন্দে। এই গোলে একটি রেকর্ডও স্পর্শ করেন তিনি। মোট ৮ গোল করে আইয়েন্দে বসেন প্লে-অফের রেকর্ড গোলদাতা লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির কার্লোস রুইসের পাশে।