26/07/2025
লাইভ বেকারির মালিক ও কর্তৃপক্ষ বরাবর খোলা চিঠি
স্থান: বেনাপোল বাজার, শার্শা, যশোর।
তারিখ: ২৬ই জুলাই ২৫ইং
বিষয়: লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ।
‘লাইভ বেকারি’ কর্তৃপক্ষ,
আসসালামু আলাইকুম।
সদ্য গড়ে ওঠা আপনার প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে বেনাপোল বাজারে একটি ভিন্নধর্মী ও আকর্ষণীয় উদ্যোগ হিসেবে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছিল। উন্নত ডিজাইন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ভিন্ন স্বাদের খাবার পণ্য আপনাদের প্রতি আস্থা তৈরি করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ সেই আস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। পণ্যের মানে প্রথম দিকের তুলনায় বর্তমানে পার্থক্য বিদ্যমান।
সম্প্রতি স্থানীয় ক্রেতাদের কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে—প্রতিষ্ঠানটিতে পণ্যের সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ নেই, কর্মচারীরা যার যার ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে, পণ্যের গায়ে মূল্য লেখা নেই, এবং পেটিস বা সমুচার মতো সাধারণ আইটেমেও হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সচসহ বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের তুলনায় বিস্কুট ও কেকজাতীয় সামগ্রী ১৫০-২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, যা সাধারণ ভোক্তার জন্য একপ্রকার শোষণের সমান।
আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী, পণ্যের গায়ে মূল্য না লেখা এবং অতিরিক্ত বা ইচ্ছেমতো মূল্য আদায় করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ।
অতএব, আমাদের পক্ষ থেকে নিচে কিছু দাবি জানানো হচ্ছে:
১. সব পণ্যের গায়ে সুনির্দিষ্ট মূল্য ট্যাগ যুক্ত করুন।
২. দামের স্বচ্ছতা বজায় রাখুন ও মূল্য তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে দিন।
৩. ক্রেতাদের অভিযোগ জানাতে একটি হেল্পলাইন নম্বর পণ্যের প্যাকেটে চালু করুন।
৪. ভোক্তাদের সঙ্গে শালীন ও পেশাদার আচরণ নিশ্চিত করন।
৫. পণ্যের মান ঠিক রাখতে, তদারকি জোরদার করুন।
৬. প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
আপনাদের ব্যবসা লাভবান হোক—সেটাই আমরা চাই, কিন্তু সেটা যেন নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে, সম্মানজনকভাবে এবং ভোক্তাদের কষ্ট না বাড়িয়ে হয়। কারণ, বাজার শুধু পণ্য কেনাবেচার জায়গা নয়, এটা বিশ্বাস ও মানবিকতারও জায়গা।
আপনাদের সদয় বিবেচনা ও দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। অন্যথায়, স্থানীয় ভোক্তারা প্রশাসনিক সহায়তা নিতে বাধ্য হবেন।
শুভকামনায়,
একজন সচেতন ক্রেতা
জাহিদ হাসান
বেনাপোল বাজার, যশোর।