
13/06/2025
ভাগ্য নয়, সংযমই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি – একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখাটা পড়ে কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো।
আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন, যারা জীবনের প্রতিটা ব্যর্থতার পেছনে ভাগ্যকে দায়ী করেন। “ভাগ্যে না ছিল”, “আমার কপালে সাফল্য নেই”—এই কথাগুলো যেন আমাদের জীবনের অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সত্যিটা হল, ভাগ্য নয়, সংযম আর অধ্যবসায়ই হলো সেই গোপন চাবিকাঠি, যা দরজা খুলে দেয় সাফল্যের রাজপথে।
সংযম মানে কি শুধু ত্যাগ?
অনেকেই ভাবেন, সংযম মানেই জীবন থেকে সবকিছু বাদ দিয়ে কঠিন পথে হাঁটা। না, সংযম মানে হল—নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, যখন দরকার তখন নিজেকে থামিয়ে দেওয়া, যাতে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। ছোট ছোট লোভ, তাত্ক্ষণিক আনন্দ—এইসব বাদ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়াই সংযমের প্রকৃত মানে।
উদাহরণ দিয়ে বলি...
ধরো, তুমি একজন স্টুডেন্ট। তোমার সামনে দুইটা অপশন—একটা সিরিজ দেখা, আর একটা হলো পড়াশোনা করে পরের দিনের টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়া। তোমার মাথা বলছে, “আজ একটু রেস্ট নিই”, কিন্তু হৃদয় জানে—এই একদিনের প্রস্তুতিই হয়তো তোমার রেজাল্ট বদলে দিতে পারে। যদি তুমি সেই মুহূর্তে সংযম দেখাতে পারো, তাহলে তুমি নিজের ভবিষ্যতের প্রতি সম্মান দেখালে। এটাই সাফল্যের শুরু।
বড় মানুষেরা কি ভাগ্যে ভরসা করতেন?
স্টিভ জবস, এপিজে আবদুল কালাম, স্বামী বিবেকানন্দ—এদের কারো সাফল্য ভাগ্যের দয়া ছিল না। ওরা নিজেদের চাওয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। ওদের জীবনে একটা জিনিস ছিল—discipline এবং self-control।
সংযম আসলে কীভাবে সাফল্য এনে দেয়?
ফোকাস বাড়ায় – যখন তুমি নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো, তখন তোমার মন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলে।
সময় নষ্ট হওয়া কমে – তোমার কাছে প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সাহস আর আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় – নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, তুমি বুঝতে পারো—তুমি সবকিছু পারো।
শেষ কথা
ভাগ্য কেবল একটা গল্প, যেটা আমরা বলি নিজের ব্যর্থতাকে লুকাতে। কিন্তু সংযম হল সেই বাস্তব শক্তি, যেটা দিয়ে মানুষ পাহাড়ও সরিয়ে ফেলে। তাই আজ থেকে অজুহাত নয়, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনো। রোজ একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তোলো। দেখবে, সাফল্য দরজায় কড়া নাড়বেই।
তোমার হাতে আছে সেই চাবিকাঠি। শুধু দরজাটা খোলার সাহস দেখাও।
- সংগৃহীত
#জীবন_চক্র