Mohammad Ahmod

Mohammad Ahmod Alhamdulillah

ভাগ্য নয়, সংযমই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি – একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখাটা পড়ে কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো। আমাদের আশেপাশে অন...
13/06/2025

ভাগ্য নয়, সংযমই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি – একটি অনুপ্রেরণামূলক লেখাটা পড়ে কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো।

আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন, যারা জীবনের প্রতিটা ব্যর্থতার পেছনে ভাগ্যকে দায়ী করেন। “ভাগ্যে না ছিল”, “আমার কপালে সাফল্য নেই”—এই কথাগুলো যেন আমাদের জীবনের অজুহাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সত্যিটা হল, ভাগ্য নয়, সংযম আর অধ্যবসায়ই হলো সেই গোপন চাবিকাঠি, যা দরজা খুলে দেয় সাফল্যের রাজপথে।

সংযম মানে কি শুধু ত্যাগ?
অনেকেই ভাবেন, সংযম মানেই জীবন থেকে সবকিছু বাদ দিয়ে কঠিন পথে হাঁটা। না, সংযম মানে হল—নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, যখন দরকার তখন নিজেকে থামিয়ে দেওয়া, যাতে বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। ছোট ছোট লোভ, তাত্ক্ষণিক আনন্দ—এইসব বাদ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়াই সংযমের প্রকৃত মানে।

উদাহরণ দিয়ে বলি...
ধরো, তুমি একজন স্টুডেন্ট। তোমার সামনে দুইটা অপশন—একটা সিরিজ দেখা, আর একটা হলো পড়াশোনা করে পরের দিনের টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়া। তোমার মাথা বলছে, “আজ একটু রেস্ট নিই”, কিন্তু হৃদয় জানে—এই একদিনের প্রস্তুতিই হয়তো তোমার রেজাল্ট বদলে দিতে পারে। যদি তুমি সেই মুহূর্তে সংযম দেখাতে পারো, তাহলে তুমি নিজের ভবিষ্যতের প্রতি সম্মান দেখালে। এটাই সাফল্যের শুরু।

বড় মানুষেরা কি ভাগ্যে ভরসা করতেন?
স্টিভ জবস, এপিজে আবদুল কালাম, স্বামী বিবেকানন্দ—এদের কারো সাফল্য ভাগ্যের দয়া ছিল না। ওরা নিজেদের চাওয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। ওদের জীবনে একটা জিনিস ছিল—discipline এবং self-control।

সংযম আসলে কীভাবে সাফল্য এনে দেয়?
ফোকাস বাড়ায় – যখন তুমি নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো, তখন তোমার মন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলে।
সময় নষ্ট হওয়া কমে – তোমার কাছে প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সাহস আর আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় – নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, তুমি বুঝতে পারো—তুমি সবকিছু পারো।
শেষ কথা
ভাগ্য কেবল একটা গল্প, যেটা আমরা বলি নিজের ব্যর্থতাকে লুকাতে। কিন্তু সংযম হল সেই বাস্তব শক্তি, যেটা দিয়ে মানুষ পাহাড়ও সরিয়ে ফেলে। তাই আজ থেকে অজুহাত নয়, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনো। রোজ একটু একটু করে নিজেকে গড়ে তোলো। দেখবে, সাফল্য দরজায় কড়া নাড়বেই।

তোমার হাতে আছে সেই চাবিকাঠি। শুধু দরজাটা খোলার সাহস দেখাও।
- সংগৃহীত
#জীবন_চক্র

11/06/2025

একজন নারী যখন মা হন, তখন তাঁর শরীরের প্রতিটি শিরায় গাঁথা থাকে সন্তানের অস্তিত্ব। একটা ছোট্ট প্রাণ, না দেখা, না চেনা—তবু সে তাঁর সমস্ত অনুভবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। আরেকজন নারী, যিনি হন স্ত্রী, তিনিও সেই একটাই ছেলেকে আপন করে নেন—তবে হৃদয়ের নাড়ি দিয়ে। তিনি সেই অচেনা মানুষটাকেই নিজের সবকিছু দিয়ে ভালোবাসতে শেখেন।

মা দশ মাস পেটে সন্তানকে ধারণ করেন, বুকের দুধে তাকে বড় করে তোলেন। আর স্ত্রী? তিনি সারাজীবন বুকের ভালোবাসা দিয়ে তাঁর স্বামীকে গড়ে তোলেন—মানুষ হিসেবে, সঙ্গী হিসেবে, আশ্রয় হিসেবে।

মা শেখান প্রথম পা ফেলা, প্রথম শব্দ বলা। আর স্ত্রী শেখান জীবনের সব চড়াই-উৎরাইয়ে পাশে দাঁড়ানোটা, শেখান নিঃশব্দে ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকা।
মা সন্তানের মুখে প্রথম শব্দ শুনে হাসেন, আর স্ত্রী সারাজীবন তাঁর স্বামীর না বলা কথাগুলো বুঝে যান চোখের ইশারায়।

মা তাঁর সন্তানকে বড় করতে গিয়ে নিজেকে বিসর্জন দেন, নিজের ইচ্ছেগুলো চাপা দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যতের পথ তৈরি করেন। আবার স্ত্রী নিজের সংসার, নিজের পরিবার, নিজের পৃথিবী ছেড়ে এসে একজন পুরুষের জীবনে নতুন সূচনা করেন—তাঁকে কেন্দ্র করে নিজের একটা নতুন জীবন গড়ে তোলেন।

কখনো সন্তানের না খাওয়া খাবার মা খেয়ে নেন। স্ত্রীও একইরকম করেন স্বামীর অশান্তি বা কষ্টের সময়। উপবাস থাকেন দুজনই—ভিন্ন উদ্দেশ্যে হলেও, ভালোবাসা একটাই।

সময়ের পরিক্রমায় অনেক মা-ই সন্তানের কাছ থেকে অবহেলা পান, আর অনেক স্ত্রী-ই সংসার নামক টানাটানিতে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি, নিঃশব্দ কষ্টের ভাগীদার হয়ে ওঠেন।

মায়ের যাত্রা শুরু হয় সন্তানের জন্মলগ্নে, আর স্ত্রীর যাত্রা শুরু হয় তাঁর জীবনসঙ্গীর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার মুহূর্ত থেকে। একজনের হাতে শুরু, অন্যজনের হাতে শেষ।

মায়ের কোল সন্তানের প্রথম আশ্রয়, স্ত্রীর কোল হয় শেষ আশ্রয়—যেখানে সমস্ত ক্লান্তি এসে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে।

তবু সমাজ আজও তুলনা টানে—মা না স্ত্রী, কে বেশি আপন, কে বড়? অথচ একবারও ভেবে দেখা হয় না—তাঁরা কেউই প্রতিযোগিতায় নামেননি। দুজনের ভূমিকা আলাদা, ভালোবাসার গভীরতা আলাদা, তবু সম্মানের জায়গা এক হওয়া উচিত।

যদি কেউ বলে, “মা আপনাকে জন্ম দিয়েছেন”— তবে এটাও মনে রাখা দরকার, “স্ত্রী আপনার সন্তানের জন্ম দেবেন”।

একজন আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, আর একজন আপনাকে পূর্ণ করে তুলবেন।

একজন আপনাকে দুনিয়ায় এনেছেন, আর একজন আপনাকে জীবন বানিয়ে তুলবেন।

একজন আপনাকে গড়ে তুলেছেন, আর একজন আপনাকে ধরে রাখবেন।

তাই তুলনার দেওয়াল না তুলে, কৃতজ্ঞতার ছায়া দিন দুজনেরই হৃদয়ে।





ক্যারিয়ার তৈরি, আয়ের সুযোগ আর ঈদের আনন্দ – সব একসাথে ProgoIT-এর সাথে!থাকছে ঈদ স্পেশাল অফার – ভর্তি ফি-তে ৩০% ছাড়! এই অফ...
06/06/2025

ক্যারিয়ার তৈরি, আয়ের সুযোগ আর ঈদের আনন্দ – সব একসাথে ProgoIT-এর সাথে!

থাকছে ঈদ স্পেশাল অফার – ভর্তি ফি-তে ৩০% ছাড়! এই অফার চলবে ঈদ পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত! ⏰

🚀 কি পাচ্ছেন?
✅ ২৪/৭ প্রফেশনাল গাইডলাইন
✅ হ্যান্ডস-অন প্র্যাকটিস
✅ লাইফটাইম ক্যারিয়ার সাপোর্ট
✅ প্রাইভেট কমিউনিটি-তে লাইফটাইম এক্সেস

🚀 কেন ProgoIT?
👉 শিখুন – আয় করুন – নিজের দক্ষতা দিয়ে ক্যারিয়ার গড়ুন!
👉 লাইফ-চেঞ্জিং স্কিলস ও ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড প্রজেক্ট এক্সপেরিয়েন্স!

আয় করে ফি পরিশোধ করার সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করছেন না তো?

- বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন আমাদের পেইজে!
🔗 fb.com/progoit

30/05/2025
22/05/2025
শৈশবের দিন গুলি! মাঝে মাঝে ঝিনুকের মতো খুলে যায় স্মৃতির ঝুলি। একাকিত্ব বিষন্নতার মাঝে করি আত্মসমর্পন, সময়ের ভাঁজে ভাঁজে ...
09/05/2025

শৈশবের দিন গুলি!

মাঝে মাঝে ঝিনুকের মতো খুলে যায় স্মৃতির ঝুলি।
একাকিত্ব বিষন্নতার মাঝে করি আত্মসমর্পন,
সময়ের ভাঁজে ভাঁজে সজ্জিত সুপ্ত সোনালি প্রীতি
হাতড়ে বেড়াই নিজের অজান্তে, নিষ্পাপ কোমল স্মৃতি...!

সুবহানাল্লাহ💓
18/04/2025

সুবহানাল্লাহ💓

Address

Bhairabpur. Natalmor
Bhairab Bazar
2350

Opening Hours

Monday 06:00 - 10:00
Tuesday 04:00 - 09:00
Wednesday 03:00 - 06:00
Thursday 04:00 - 11:00
Friday 08:00 - 10:00
Saturday 05:30 - 08:00
Sunday 06:00 - 10:00

Telephone

+8801876999716

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Ahmod posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammad Ahmod:

Share