সেতু হোমিও হল. অধ্যাপক মো: মাইন উদ্দিন প্রধান

09/07/2025

24/06/2025

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কি?

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া (Burning urination) অনেক কারণে হতে পারে, যেমন: ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), প্রস্রাবে এসিড বাড়া, কিডনির সমস্যা, সেক্সুয়াল ইনফেকশন ইত্যাদি। হোমিওপ্যাথিতে রোগীর উপসর্গ, স্বভাব, রোগের কারণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করা হয়।

কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:

1. Cantharis

প্রস্রাবের আগে, সময় এবং পরে তীব্র জ্বালা।

ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ কিন্তু সামান্য প্রস্রাব হয়।

প্রস্রাবের সময় ছ্যাঁকা লাগার মতো জ্বালা।

2. Apis Mellifica

প্রস্রাবে জ্বালার সঙ্গে ফোলা ভাব।

ঠান্ডা জিনিসে উপশম হয়।

বাচ্চাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায় কার্যকর।

3. Sarsaparilla

প্রস্রাবের শেষ অংশে জ্বালা বা ব্যথা বেশি হয়।

প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, বিশেষ করে শিশুদের।

4. Equisetum

প্রস্রাবের পরও অস্বস্তি বা জ্বালা থেকে যায়।

প্রস্রাবের পরেও মনে হয় যেন আবার বেগ আছে।

5. Nux Vomica

গ্যাস্ট্রিক বা মলত্যাগের সমস্যা থাকলে সাথে প্রস্রাবে জ্বালা।

অতিরিক্ত চা, মসলা, ধূমপান ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকলে কার্যকর।

অতিরিক্ত পরামর্শ:

পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

টক জাতীয় ফল (যেমন লেবু) পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

ডাঃ মোঃ মাইন উদ্দিন প্রধান
সেতু হোমিও হল
০১৯১২২০৫৯৫৯।

#চা

22/06/2025

শিমুলকান্দি ডিগ্রি কলেজের ২০২৫ সালের এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের কিছু স্থির চিত্র।

21/06/2025

ট্রেনে উঠানামা যুদ্ধ!
প্রতি বগিতে প্লাটফর্ম সাইডে ২টি দরজা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ১টি দরজা দিয়েই যাত্রী উঠানামা করার ফলে ছেলেমেয়ে, বৃদ্ধ ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
২টি একসাথে খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

20/06/2025

বিপদজনক!
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবেননা।

18/06/2025

মেজাজ (mood) খারাপ/দুঃশ্চিন্তা!
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কি?

আপনার যদি অতিরিক্ত রাগ, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা বা ডিপ্রেশন থাকে -- তাহলে হোমিওপ্যাথিতে এর জন্য কিছু কার্যকর ওষুধ রয়েছে। তবে মনে রাখবেন, হোমিও চিকিৎসা একজন রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ অনুযায়ী দেওয়া হয়।

সাধারণ কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ (মেজাজ বা মানসিক সমস্যা অনুযায়ী):

1. Nux Vomica

রাগী, খিটখিটে, সহজেই বিরক্ত হয়, টেনশনে থাকে, কাজের চাপে ভোগে।

2. Ignatia Amara

দুঃখ, কষ্ট, মানসিক আঘাত, হঠাৎ কান্না আসে, বিষণ্নতা।

3. Natrum Muriaticum

একা থাকতে চায়, পুরোনো দুঃখ মনে রাখে, মানসিকভাবে অভিমানী।

4. Pulsatilla

আবেগপ্রবণ, কান্না চায়, সঙ্গ পছন্দ করে, সহজেই মত পরিবর্তন করে।

5. Lycopodium

আত্মবিশ্বাসের অভাব, ভয়, সন্দেহপ্রবণ, আত্মসম্মান নিয়ে সচেতন।

6. Aurum Metallicum

গভীর বিষণ্নতা, আত্মহত্যার ভাবনা থাকতে পারে, ব্যর্থতা থেকে মানসিক চাপ।

7. Sepia

গৃহবধূদের মধ্যে দেখা যায়, একঘেয়ে জীবনে বিরক্ত, ভালোবাসার অভাব অনুভব করে।

করণীয়:সব সময় হাসিখুশি থাকবেন।পজিটিভ চিন্তা করবেন।প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম, মেডিটেশন করুন।

উপরের যেকোনো ওষুধ নেওয়ার আগে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ সঠিক ওষুধ নির্ধারণে আপনার ব্যক্তিত্ব, অভ্যাস, শরীরের অন্যান্য লক্ষণ জানা জরুরি।
ডাঃ মোঃ মাইন উদ্দিন প্রধান
সেতু হোমিও হল।
০১৯১২২০৫৯৫৯।

11/06/2025

মাথার চুল পড়া সমস্যা?

মাথার চুল উঠা (চুল পড়া বা টাক পড়া) একটি সাধারণ সমস্যা, যার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। নিচে চুল পড়ার কারণ এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।

# মাথার চুল উঠার সাধারণ কারণ:

1. জিনগত কারণ (Genetic or Hereditary)
যেমন অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া (পুরুষ বা মহিলা প্যাটার্ন টাক)।

2. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
যেমন থাইরয়েড সমস্যায় বা গর্ভাবস্থা/মেনোপজের সময়।

3. দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ
অতিরিক্ত স্ট্রেসে চুল পড়তে শুরু করে।

4. পুষ্টির অভাব
আয়রন, জিঙ্ক, বায়োটিন, ভিটামিন B12 ইত্যাদির অভাবে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে।

5. চর্মরোগ বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন
যেমন ছত্রাক (fungal infection), ড্যান্ড্রাফ, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস ইত্যাদি।

6. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যেমন কেমোথেরাপি, হাই ব্লাড প্রেসার বা ডিপ্রেশনের ওষুধ।

**হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (Hair Fall এর জন্য জনপ্রিয় হোমিওপ্যাথিক ওষুধসমূহ):

# ওষুধ বেছে নেওয়ার আগে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ চিকিৎসা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

1. Lycopodium Clavatum
– চুল সামনের দিক থেকে পড়ে যাচ্ছে
– ডায়জেস্টিভ সমস্যা ও গ্যাসের প্রবণতা থাকলে কার্যকর।

2. Phosphorus
– চুল গোড়া থেকে পড়ছে, খুশকি ও স্ক্যাল্পের দুর্বলতা থাকলে
– স্নায়বিক দুর্বলতায় উপকারী।

3. Silicea (Silica)
– চুল পাতলা ও দুর্বল হয়ে গেলে
– শরীর দুর্বল, ঠান্ডায় প্রবণতা বেশি থাকলে।

4. Natrum Muriaticum
– মানসিক চাপ বা দুঃখজনিত কারণে চুল পড়লে
– মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে কার্যকর।

5. Thuja Occidentalis
– চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ড্যান্ড্রাফ বা স্ক্যাল্পে গঠনগত সমস্যা থাকলে।

6. Calcarea Carbonica
– অতিরিক্ত ঘাম, ওজন বেড়ে যাওয়া, ঠান্ডা সহ্য করতে না পারলে
– বাচ্চাদের মাথার চুল পড়ার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

# বাড়িতে করণীয় (চুল পড়া রোধে):

পুষ্টিকর খাবার খান (ডিম, বাদাম, দুধ, শাকসবজি)

পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন

কেমিকেলযুক্ত প্রোডাক্ট কম ব্যবহার করুন

কালকেশী নারকেল তেল ব্যবহারে আশ্চর্য ফল পাবেন।
ডাঃ মোঃ মাইন উদ্দিন প্রধান
সেতু হোমিও হল
০১৯১২২০৫৯৫৯

22/04/2025

বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগেই থাকে,শ্বাসকষ্ট হয়।স্থায়ী চিকিৎসা কি আছে?

হ্যাঁ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যা স্থায়ীভাবে রোগ সারাতে সক্ষম। বাচ্চাদের ঘন ঘন ঠান্ডা, কাশি-সর্দি,শ্বাসকষ্ট এর প্রধান কারণ হচ্ছে-ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব। এলোপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ বারবার খেতে খেতে এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।ফলে সাময়িক উপকার হলেও স্থায়ী সমাধান মিলেনা।

হাঁচি-কাশি, সর্দির জন্য কিছু পরিচিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ (ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে):

Aconite – ঠান্ডা লাগার শুরুতেই, হঠাৎ করে জ্বর বা সর্দি শুরু হলে।

Arsenicum Album – বারবার হাঁচি, গলা জ্বালা, দুর্বলতা থাকলে।

Allium Cepa – চোখ থেকে পানি পড়া, জ্বালা, এবং নাক দিয়ে পানি পড়া হলে।

Bryonia – শুকনো কাশি, নাক বন্ধ, কথা বললে কাশি বেড়ে গেলে।

Pulsatilla – মৃদু, কোমল স্বভাবের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যারা কোলের জন্য কাঁদে, ঠান্ডা ও নাক দিয়ে ঘন সর্দি হলে।

গুরুত্বপূর্ণ:
নিজে নিজে না দিয়ে, একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারকে দেখিয়ে সঠিক ওষুধ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া সবচেয়ে ভালো। কারণ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

07/04/2025

03/04/2025

গেজ, রক্ত পরা,ব্যথা,ফোলা সহ যাবতীয় পায়ুপথের রোগ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ভালো হয়।

01/04/2025

নাক দিয়ে রক্ত আসে কেন?

নাক দিয়ে রক্ত পড়া (নাকফোঁড়া বা Epistaxis) সাধারণত নাকের ভেতরের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঘটে। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

সাধারণ কারণসমূহ:

1. শুষ্ক ও শীতল আবহাওয়া: শুষ্ক আবহাওয়ায় নাকের ভেতরের ঝিল্লি ফেটে যেতে পারে।

2. নাক খোঁচানো বা আঘাত: নাক বেশি খোঁচানো বা আঘাত লাগলে রক্তপাত হতে পারে।

3. অতিরিক্ত হাঁচি বা কাশি: ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির কারণে নাকের রক্তনালী ফেটে যেতে পারে।

4. সর্দি বা ইনফেকশন: নাকের ভেতরের টিস্যু ফুলে গেলে রক্তপাত হতে পারে।

5. শুষ্কতা বা অতিরিক্ত গরমের সংস্পর্শে আসা: অনেক সময় হিটার বা রোদে বেশি সময় থাকার কারণে নাকের ভেতর শুকিয়ে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে।

চিকিৎসাগত কারণসমূহ:

1. উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension): রক্তচাপ বেশি থাকলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

2. রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ: অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিনের মতো ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধা কমিয়ে দেয়, ফলে সহজেই রক্তপাত হতে পারে।

3. হিমোফিলিয়া বা অন্য রক্তজনিত সমস্যা: কিছু রোগে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না, এতে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।

4. টিউমার বা নাকের পলিপ: দীর্ঘদিন ধরে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে নাকের টিউমার বা পলিপ থাকতে পারে।

কি করবেন? (প্রাথমিক চিকিৎসা)

মাথা সামান্য সামনে ঝুঁকিয়ে বসুন (পিছনে হেলবেন না, কারণ এতে রক্ত গলায় গিয়ে গলা বন্ধ করতে পারে)।

নাকের নরম অংশ ৫-১০ মিনিট চেপে ধরে রাখুন।

ঠান্ডা কাপড় বা বরফ নাকের উপর ও গলার পাশে লাগান।

মুখ দিয়ে শ্বাস নিন এবং কথা বলা বা কাশি এড়িয়ে চলুন।

রক্ত বন্ধ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

যদি ১০-১৫ মিনিট পরেও রক্তপাত বন্ধ না হয়।

যদি প্রচুর পরিমাণ রক্তপাত হয় বা বারবার নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।

যদি চোট বা আঘাতের কারণে রক্তপাত শুরু হয়।

যদি উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা বা অন্য শারীরিক জটিলতা থাকে।

আপনার যদি নিয়মিত এই সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডা: মো:মাইন উদ্দিন প্রধান
ডি,এইচ,এম,এস।
০১৯১২২০৫৯৫৯।