13/06/2025
ঝোপঝাড় পরিস্কারে ফিরছে জননিরাপত্তা সড়কে ছিনতাই ডাকাতি রোধে ভৈরব পৌর শহরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আশরাফুল আলম রুজেন এর নেতৃত্বে মনু ব্যাপারী বাড়ির যুব সমাজের উদ্যোগ
রিপোর্ট, শামীম আহমেদ :
কিশোরগঞ্জ জেলার বন্দরনগরী ভৈরব পৌর শহরের রেলওয়ে বস্তি সংলগ্ন ভৈরবপুর উত্তর পাড়ার হাজী মনু বেপারী বাড়ির কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক গরীবের বন্ধু আশরাফুল আলম রুজেন এর নেতৃত্বে মনু বেপারী বাড়ির যুব সংঘের উদ্যোগে ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর নিউ টাউন মোড় হইতে মনু বেপারী বাড়ির সামনে দিয়ে ভৈরব বাজার ও ফেরীঘাট এবং বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশন যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে এক ভীতিকর নাম হয়ে উঠেছিল স্থানীয় মানুষ,পথচারী ও অটোরিকশা ও পরিবহন চালক ও যাত্রীদের কাছে। বিশেষ করে রাতের বেলা সড়কের নির্জন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন ঝোপঝাড়ে উৎপেতে থাকত ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা। চলন্ত গাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে কিংবা কৌশলে চাকা পাংচার হয়েছে মনে করিয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য করে, মুহূর্তেই চালক ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেওয়া হতো। এই চিত্র পাল্টাতে এবার সক্রিয় হয়েছে ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়ার হাজী মনু বেপারী বাড়ির যুব সমাজ।
আশরাফুল আলম রুজেন এর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে সড়কের পাশে ঝোপঝাড় পরিস্কারের বিশেষ অভিযান। এই সড়কে যাতায়াতকারী পথচারী ও চালকরা জানান, রাতের বেলা অন্ধকারে হঠাৎ ঝোপ থেকে ঢিল পড়ে গাড়ির ছাদে বা জানালায়। তখন মনে হয় চাকা পাংচার হয়েছে। গাড়ি থামাতেই ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসে সশস্ত্র ছিনতাইকারী বা ডাকাত দল। চোখের পলকে চালক ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। গত কিছুদিন আগে ভৈরব বাজারের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন ও তার স্ত্রী ও একই দিনে মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিউ টাউন থেকে ভৈরব বাজার যাওয়ার পথে, ছুরি ঠেকিয়ে মোবাইল, মানিব্যাগ, এমনকি গাড়ির যন্ত্রাংশ পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। এমনও হয়েছে যে যাত্রীদের মারধর করা হয়েছে প্রতিরোধ করতে গিয়ে। এই সড়কের পাশেই বসবাস করেন অনেক সাধারণ মানুষ।
তাঁরা জানান, প্রতিনিয়ত রাতে কেউ না কেউ ছিনতাইকারী ও ডাকাতের কবলে পড়ে তাঁদের বাড়িতে ছুটে আসে। রাস্তার পাশে বাড়ি থাকায়
স্থানীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা নিজেরাও আতঙ্কে থাকি। তবে এই ঝোপঝাড় পরিষ্কারের উদ্যোগ ভালো, এতে অন্তত নিরাপত্তা কিছুটা ফিরবে। ঝোপঝাড় পরিষ্কারে নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানান, তারা অভিযানের সময় বেশ কিছু মোটা রড, লোহার লাঠি, টর্চলাইট পেয়েছেন, যা স্পষ্টতই ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম। এসব দেখে বোঝা যায় যে এই এলাকাগুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত অপরাধের ঘাঁটি। স্থানীয় মানুষ ও চালকদের মতে, মনু বেপারী বাড়ির যুব সমাজের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাঁরা বলছেন, শুধু ঝোপঝাড় পরিষ্কার নয়, নিয়মিত টহল, আলোকসজ্জা ও সিসিটিভি স্থাপন করলে সড়কটি আরও নিরাপদ হবে। এখন দেখা যাক, যুব সমাজের এই অঙ্গীকার কতটা স্থায়ী হয়।
মনু বেপারী বাড়ির মুরব্বি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, ডাকাতি,ছিনতাই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে পরিস্কার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এব্যাপারে, কমলপুর আমলাপাড়া নিউ টাউন মদিনাতুল উলুম জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ মহর আলী জানান, এলাকায় চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসা প্রতিরোধে গরীবের বন্ধু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানবতার ফেরিওয়ালা আশরাফুল আলম রুজেন এর সাহসী ভূমিকা প্রশংসনীয় আমরা তার সাথে আছি এবং থাকবো।
ভৈরব পৌর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন বলেন, সমাজের মাদক ব্যবসা আগে বন্ধ করতে হবে। মাদকের টাকা জোগার করতেই মাদকাসক্তরা চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি করে বেড়ায়। ভৈরবপুর উত্তর পাড়ার হাজী মনু বেপারী বাড়ির সামনে রেলওয়ে বস্তির পাশে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে আশরাফুল আলম রুজেন এর অর্থায়নে পরিস্কার অভিযান চলছে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এব্যাপারে ভৈরবপুর উত্তর পাড়ার হাজী মনু বেপারী বাড়ির কৃতি সন্তান যুব সমাজের আইকন চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি এবং মাদক নির্মুলে যার সাহসী ভূমিকা চলমান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক গরীবের বন্ধু আশরাফুল আলম রুজেন বলেন, আমাদের বাড়ির সামনে রেলওয়ে বস্তির পাশে এবং নিউ টাউন রেলওয়ে বস্তির পাশে সিঁড়ি থেকে নামতেই একটি ছিনতাইকারী চক্র অসহায় সাধারণ পথচারীদের কাছ থেকে সুইচ গিয়ার দিয়ে প্রথমে শরীরে আঘাত করে পথচারীদের সাথে থাকা মোবাইল, স্বর্নলংকার নগদ টাকা হাতিয়ে সর্বশান্ত করে পালিয়ে যায়। আহত ব্যাক্তিদের প্রায়ই ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকি। তাই এই উদ্যোগ নিয়েছি যেন সাধারণ মানুষ তার জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে এই এলাকা দিয়ে চলাচল করতে পারে। তিনি আরো বলেন, মনু বেপারী বাড়ির সামনের রেলওয়ে বস্তির পাশে এবং নিউ টাউন রেলওয়ে বস্তির সিঁড়ির নিচে এবং উপরে রেলওয়ে পুলিশ ও ভৈরব থানা পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরো সদস্যরা এবং উপজেলা প্রশাসনের জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবো। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে,লাইটিং বাড়াতে হবে, পরিস্কার অভিযান ভৈরব পৌরসভার কর্তৃপক্ষ যেন অব্যাহত রাখে আমি পরিস্কার অভিযানেও পৌরসভার কতৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করে যাবো।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন,
মনু বেপারী বাড়ির আশরাফুল আলম রুজেন এর নেতৃত্বে যুব সমাজের ভূমিকা প্রশংসনীয় এটি শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান নয়, এটি জননিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষ একসাথে কাজ করে এই সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে চায়। আমরা ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযানে ধারাবাহিকতা রাখবো।
এই সড়কে সন্ত্রাসীদের দমন করতে হলে আগে তাদের লুকিয়ে থাকার জায়গা ধ্বংস করতে হবে। ঝোপঝাড় পরিস্কার করে প্রথম ধাপ নিয়েছেন। এছাড়া আমরা রাতে টহলও বাড়াচ্ছি। সড়কজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও পৌরসভার মাসিক মিটিংয়ে বলেছি অচিরেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।