26/02/2025
আহ্- হা~!
চারদিকে শুধু ধর্ষণ- ধর্ষণ আওয়াজে বাতাস ভারি। এরা কারা? কোথা থেকে এলো এরা? এ প্রশ্নের সম্মুখীন করেছি কখনো নিজেকে? ধর্ষণ রুখতে কতো কি আয়োজন, আদৌও যথেষ্ট কি এ প্রকৃয়া? এ সুশীল সমাজ কি পারবে ধর্ষণ বিলুপ্ত করতে? কস্মিনকালেও না। যে সমাজে ১৪ ফেব্রুয়ারীর এতো ফজিলত, সে সমাজে ধর্ষণ তো ডালভাত। এ সুশীল সমাজ ধর্ষণ তৈরির কারিগর। মেয়ে তুমিই তোমার ধর্ষিত হওয়ার পেছনে বড়ো হাত। ধর্ষণ রুখতে ধর্ষক নির্মুল করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় শিক্ষা, অবশ্যই ইসলামি শিক্ষা। ধর্ষক কারো ভাই হতে পারে না,কারো ছেলে হতে পারে না, কারো স্বামী হতে পারে না। ধর্ষক মানুষ রুপি চতুষ্পদ প্রাণী। ধর্ষক হয়ে জন্ম নেয় না, ধর্ষক জাগ্রত হয় অন্তরে সু- শিক্ষার অভাবে। যে সমাজে পাপকে আশ্রয় দেয়, মেয়েদের নির্লজ্জ ভাবে উলঙ্গ হতে সহায়তা করে,যেখানে পণ্যের মান বিচারে মেয়েদের প্রদর্শন করা হয়, সেখানে অন্তরে ধর্ষক জাগ্রত হবেই। ধর্ষক সমাজের ব্যাধি। ব্যাধি কখনো পুষে রাখতে নেই, যতদ্রুত নির্মুল, ততই মঙ্গল। আইন দিয়ে ধর্ষণের সংখ্যা কমানো গেলেও, নির্মুল অসম্ভব। সমান অধিকার, মিছিল মিটিং,ব্যানার,ফেসটন,দিয়ে ধর্ষণ কমলেও ধর্ষক কমবে না, বরং তোমার মিছিল সঙ্গী ছেলেটা তোমার বাঘিনী রুপ দেখে ধর্ষণে আরো উৎসাহী হচ্ছে। তোমার অবর্তমানে তোমাকেই মা*ল বলে আখ্যায়িত করছে। ওয়েস্টার্ন পোশাক, অবাধ চলাফেরা, ছেলেদের আচরণ, রাজপথে হুংকার কখনো ধর্ষণ রুখতে পারে না। যদি বলো ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান জার্মান এর কথা, তাহলে বলবো ওরা আরও বেশি ধর্ষিত, ওরা বৈদ ধর্ষক। উচ্চ শিক্ষিত আধুনিক সুশীল সমাজ ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিবে না,যা নিবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে। তাও ধীরস্থির আইনি প্রকৃয়া। ওরা ধর্ষক নিয়ে লিখবে না, ওরা ধর্ষণ নিয়ে লিখে লিখে ধর্ষণের মোহনীয়তা ছড়াবে, ওরা তোমাকে উৎসাহ দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল নামে রাস্তায় নামাবে, সেই সুযোগে তোমায় নির্বাচন করে রাখবে। কারণ, ওরা সম্মানিত নির্জনে আড়ালে ধর্ষক। প্রকাশ পেলে ধর্ষণ,প্রকাশ না পেলে মজামাস্তি, ফুর্তি। ওরা সমান অধিকারের নামে মেয়েদের ভোগের উৎসব শুরু করছে। তুমি মেয়ে বেহায়াপনা দিয়ে সে উৎসব সফল করে যাচ্ছো। লজ্জা নারীর ভুষণ, লজ্জা ঈমান একথা যখন তুমি ভুলে যাবে, সমাজে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাই আমি, আমার ভাই, আমার ছেলে, আমার স্বামী কাউকে ধর্ষক তৈরি হতে দেয়া যাবে না,এর নির্মম পরিনতি বুঝাতে হবে। যাকে ধর্ষণ করা হবে সেও আমার মতো কারো মা,বোন,স্ত্রী। বাবা,তুমি তোমার ধর্ষক ছেলেটাকে ক্ষমতা দিয়ে বিচার থেকে আড়াল করে নিলে,তুমিই সমাজে ধর্ষণের বিজ বপন করলে। তোমার স্ত্রী, মেয়ে, বোন,নাতিন যেকেউ ধর্ষিত হবে সংবাদ এর অপেক্ষায় থাকো। ধর্ষণ একটা পরিবারের বাঁচা মরার প্রশ্ন। শুধু উচ্চশিক্ষা নয়,সাথে ধর্মীয় শিক্ষাও দাও। মেয়ে বাহির হওয়ার আগে তাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করো। মেয়েটা ধর্ষিত হবে না। ছেলেকে খরচ দেয়ার আগে তাকে জবাবদিহি করো,ছেলেটা ধর্ষক হবে না। পর্দা, লজ্জা, ইসলাম বিহীন আইনে ধর্ষণ রুখতে পারবে না, যা পারবে তা হলো ধর্ষণ বৈদ করতে, কারণ উভয়ই সম্মতিতে যা হয় তাকে সুশীল সমাজ ধর্ষণের আওতায় রাখে না।
এখন নিজেকে প্রশ্ন করো, ধর্ষণ রুখতে মিছিল করবে? নাকি ধর্ষক তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে? (ছেলেমেয়ে উভয়ই?)
ইসলাম বিহীন ধর্ষণ প্রতিরোধ অসম্ভব, কারণ ইসলাম নারীকে যে অধিকার দিয়েছে তা অন্য কোনো ধর্ম, জাতি, সমাজ পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করেও দিতে পারবে না।
"একাকিনী রমনী নির্জন পথে যাবে, কোনোজন কটুকথা কবে না ,,কোনোদিন পথেঘাটে সম্পদের মোহে খুন আর রাহাজানি হবে না। কোনো একদিন এদেশের আকাশে কালিমার পতাকা দুলবে, সেদিন খোদাই বিধান পেয়ে দুঃখ বেদনা ভুলবে।"
~জাহিদ হাসান মুনান~