16/05/2025
গল্প: সান্ডা চাচার কেরামতি
পিরোজপুরের এক ছোট্ট গ্রামে থাকত রহিম চাচা। বয়স পঁচাত্তর, কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা — আর একটাই শখ: ভিন্নধর্মী ওষুধ বানানো। গ্রামের লোকজন বলত, "রহিম চাচা যা বানান, তাতে খটাশ শরীর জোড়া!"
একদিন চাচা গম্ভীর মুখে হাট থেকে ফিরে এলেন, একটা বড়সড় সান্ডা (গুইসাপ) হাতে করে!
গ্রামের সবাই হাঁ করে তাকিয়ে, কেউ বলল "চাচা, এইটা তো সাপ না?"
চাচা গম্ভীর গলায় বললেন, "সাপ না, সান্ডা! এইডা খাওয়া যায়! তেল বানালে তো কথাই নেই!"
সেই রাতেই রহিম চাচা সান্ডা রান্না করলেন। সাথে ছিলো কচি ধনে পাতা, রসুন, আর একটুখানি ঘি।
পরদিন সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ল —
"রহিম চাচা নাকি সান্ডা খেয়ে ২০ বছরের তরুণ হইয়া গেছেন!"
গ্রামের বুড়োরা লাইন দিলো তার বাড়িতে, সবাই বলছে:
— "চাচা, আমাদেরও একটু দেন!"
— "চাচা, আমার হাঁটুর ব্যথা যাব কই?"
— "চাচা, আমার বউ এখনো বিশ্বাস করে না আমি আগের মত তরুণ হইছি!"
রহিম চাচার নাম হলো "সান্ডা চাচা"।
তিনি এখন শুধু একজন মানুষ নন, একটা জীবন্ত ব্র্যান্ড!
একদিন এক টিভি চ্যানেল এল ইন্টারভিউ নিতে। সাংবাদিক প্রশ্ন করলো,
— “চাচা, সান্ডা খেলে কী হয়?”
চাচা চোখ টিপে বললেন,
— “যা হয়, তা বলা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়!”
---
গল্পের শিক্ষাঃ
সান্ডা খাওয়া আপনার তরুণত্ব ফিরিয়ে আনবে কিনা জানি না,
কিন্তু সান্ডা চাচার কাহিনি শুনে হাসি ঠিকই ফিরে আসবে!
---
পছন্দ হলে বলো, এর দ্বিতীয় পর্বও লিখে দিবো!