31/08/2025
✅ দো‘আ কবুল হওয়ার শর্ত / আদব
১. আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান ও তাওহীদ
শিরক, কুফর থাকলে দো‘আ কবুল হয় না।
২. হালাল উপার্জন ও হালাল খাবার
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“এক ব্যক্তি দীর্ঘ সফর করে, ধুলোমলিন, আকাশের দিকে হাত তুলে বলে: হে আমার রব, হে আমার রব! অথচ তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারামে লালিত। তার দো‘আ কিভাবে কবুল হবে?”
(সহীহ মুসলিম: ১০১৫)
৩. মনোযোগ ও খুশু সহকারে দো‘আ
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“তোমরা জেনে রেখো, আল্লাহ এমন দো‘আ কবুল করেন না, যা অমনোযোগী ও গাফেল হৃদয় থেকে বের হয়।”
(তিরমিযী: ৩৪৭৯)
৪. ধৈর্য ও তাড়াহুড়া না করা
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের কারো দো‘আ কবুল হয়, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে এবং বলে: ‘আমি দো‘আ করলাম, কিন্তু কবুল হলো না।’”
(বুখারী: ৬৩৪০, মুসলিম: ২৭৩৫)
৫. আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ দিয়ে দো‘আ করা
কুরআনে:
“আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, সেগুলো দ্বারা তোমরা তাঁকে ডাকো।”
(সূরা আল-আ’রাফ ৭:১৮০)
৬. সৎকর্ম ও তাওবা সহকারে দো‘আ
নিজের গুনাহ মাফ চাইতে হবে এবং সৎকর্মের মাধ্যমে দো‘আ কবুলের আশা করতে হবে।
🚫 দো‘আ কবুলে বাধার কারণ
১. হারাম উপার্জন, হারাম খাওয়া-পরা।
২. শিরক ও কুফরি।
৩. অন্যায় ও জুলুম করা।
৪. বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া।
৫. গাফেল হৃদয় ও তাড়াহুড়ার সাথে দো‘আ করা।
🌟 দো‘আ কবুল হওয়ার বিশেষ সময়
১. তাহাজ্জুদের শেষ তৃতীয়াংশে।
২. আযানের সময় ও আযান ও ইকামতের মাঝে।
৩. সিজদার মধ্যে।
4. জুমার দিনে আসরের পর শেষ মুহূর্তে।
5. রোযাদারের ইফতারের সময়।
🔑 সারাংশ:
👉 দো‘আ কবুল হয় যদি বান্দা হালাল উপার্জনকারী হয়, মনোযোগ দিয়ে আন্তরিকভাবে করে, ধৈর্য রাখে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।
👉 হারাম, গাফেলতা, তাড়াহুড়া, অহংকার ও শিরক দো‘আ কবুলে বড় বাধা।