
18/09/2025
এটা গত কয়েক দশকে ঘটে যাওয়া সবচাইতে বড় ঘটনা গুলোর একটা হিসেবে পরিগণিত হবে এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্যে।
পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটা অলিখিত সিকিউরিটি এরেঞ্জমেন্ট ছিল কয়েক দশক ধরে।
যার আলোকে এটা ধরেই নেওয়া হতো যে সৌদিকে কেউ বড় ধরনের কোন আক্রমণ করলে পাকিস্তান ইনভলব হবে নিউক্লিয়ার জিনিস নিয়ে।
কিন্তু উল্টোটা কখনও কেউ গোনায় ধরত না।
মানে সেটা হলো পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সৌদি যুদ্ধে জড়াবে কিনা। পাকিস্তান কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু সৌদি কোন কনফ্লিক্ট এ জড়ায় নাই।
এখন থেকে সেটা আর হবে না।
পাকিস্তানে যুদ্ধ আক্রমণ হলে এখন থেকে সেই আক্রমণ সৌদিতেও আক্রমণের সমান হিসেবে ধরা হবে, এবং সৌদি আরব যুদ্ধে জড়াবে।
এটা ন্যাটোর মতো একটা আইডিয়া, যেটা এই প্রথম কোন দুই মুসলিম দেশ করে ফেললো। এই এলাইয়েন্স ভবিষ্যতে কাতার, তার্কি, ইউ আর ই সহ কয়েকটি ধনী আরব দেশের মধ্যে হয়ে যেতে পারে, পাকিস্তানকে তার নিউক্লিয়ার সক্ষমতার জন্যে মধ্যে রেখে।
পাকিস্তানের মূল শত্রু ইন্ডিয়া।
ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পাকিস্তানকে নিয়ে হোম্বি তোম্বি করা একটা পপুলার স্পোর্টস।
সেই খেলা এখন থেকে শেষ।
হোমাসা এবং গোমাসা।
ভারতের পক্ষে আর গায়ের জোড়ে পাকিস্তান আক্রমণ করার টেলিভাইজড সাহস দেখানো সম্ভব হবে না।
সৌদিদের জন্যে মজা হলো ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধে তাদের জড়াতেও হবে না।
সৌদি জাস্ট ইন্ডিয়ার চাকরিজীবীদের বেড় করে দেবে দেশ থেকে, যদি ইন্ডিয়া পাকিস্তান আক্রমণ করার মাধ্যমে "কমন ওয়ার" বা "কালেকটিভ ডিফেন্স" ডকট্রিন ট্রিগার করে।
পাকিস্তান এখন চীন থেকে অস্ত্র আর সৌদি থেকে টাকা আনতে পারবে নিজের দেশের সিকিউরিটির জন্যে।
এই ট্রিটির পর, দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে শক্তিশালী দেশ হয়ে গেল পাকিস্তান -- এফেকটিভলি।
নিজের সামরিক শক্তি ও সৈন্য, সৌদি টাকা এবং এই চুক্তি আর চায়নিজ অস্ত্র এবং জাতি সংঘের ভেটো। দক্ষিণ এশিয়ার আর কোন দেশের এতো এফেকটিভ এবং ডাইভার্স এলায়েন্স নাই।
ঘটনাটা আবার এমন একটা সময়ে ঘটলো যখন ইন্ডিয়া আমেরিকার সম্পর্কে মারাত্নক টানাপোড়ন চলছে।
তবে এই ঘটনার নেতিবাচক একটা দিক বাংলাদেশকে সামলাতে হবে।
ইন্ডিয়ার উগ্র জাতীয়তাবাদীরা এখন পাকিস্তানের পরিবর্তে বাংলাদেশ নিয়ে উগ্রবাদিতায় মনোযোগ দিতে পারে।
কারণ বাংলাদশের সাথে উগ্র আচরণ করা এখন থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু করার চাইতে তাদের জন্যে ইজি এবং সেইফ হবে।
Shafquat rabbe Anik