
06/07/2025
ইউএস এখন পর্যন্ত বি-২ স্পিরিট অন্য কোন দেশের কাছে বিক্রয় করেনি। অনেকটা এফ-২২ র্যাপ্টরের মত৷ তবে বি-২ স্পিরিট এর স্ট্রাটেজিক ইমপরটেন্স ও ডিটারেন্স অন্য কিছুর সাথে মেলানো যায়না। ইরানে হামলার ক্ষেত্রে ৩৭ ঘন্টার মিশন সম্পন্ন করেছে এই বিমান। বলতে গেলে ১১ হাজার কিলোমিটারের অপারেশনাল রেঞ্জের এই বিমান এয়ার রিফুয়েলিং করলে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে অপারেশন চালিয়ে ফেরত আসতে পারে।
সেই আমেরিকা এবার বি-২ স্পিরিট ইজ-রায়েলের কাছে দিতে পারে। আমেরিকার ল মেকারের এমন একটি প্রস্তাব ইউএস প্রেসিডেন্টকে এই বিমান হস্তান্তরের অথোরাইজেশন দেয়ার বিল উত্থাপন করেছে৷ ইরান যদি নিউক এনরিচমেন্ট বন্ধ না করে তবে ইজ-রায়েলকে এই বিমান দিতে পারে আমেরিকা সাথে ৩০,০০০ পাউন্ডের জিবিইউ-৫৭ বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা।
বাস্তবতা হল ইউএস ও ইজ-রায়েল আলাদা এন্টিটি নয়। অনেক আগের একটি লেখায় বলেছিলাম, ইজ-রায়েল পরাজিত হতে গেলে আদতে আমেরিকার পতন হতে হবে। আমেরিকা যতদিন টিকে আছে ইজ-রায়েল ততদিন টিকে থাকবে। বি-২ স্পিরিট ইজ-রায়েলের কাছে বিক্রয়ের কথা বলছিনা। যদিও আমেরিকা এটাকে বিক্রয় বলে, তথাপি এটা বিক্রয় নয়। একটি বিমান বানাতে খরচ লাগে $২ বিলিয়নের বেশি। নরমাল লজিকে ইজ-রায়েলের পক্ষে সেটা সাসটেইনেবল না অর্থনৈতিক ভাবে। ইজ-রায়েলের সাথে আমেরিকার যত সামরিক চুক্তি এগুলার কোনটাই আমার কাছে বিক্রয় মনে হয়না। বরং ভর্তুকি।
আগেও বলেছি, ইজ-রায়েলের অর্থনৈতিক ক্ষতি করলেও ওদের টেনশন কম। কারন আমেরিকা তার বাজেটের বিশাল অংশ ব্যয় করে হলেও পুনরুদ্ধার করে দিবে। এই এক্সক্লুসিভ সম্পর্ক আর দ্বিতীয়টি নেই।
তবে এই বিক্রয়ের সিদ্ধান্তের একটা পজিটিভ সাইড আছে। সম্ভবত ইজ-রায়েল এই ডিটারেন্স পেয়ে গেলে আমেরিকা সরাসরি নিজের গায়ে কাঁদা না মাখিয়ে বলতে পারে তোমাদের ক্যাপাসিটি আছে, সাপোর্ট আছে চালিয়ে নাও। আর বি-২ এর মত এসেট ইজ-রায়েলে থাকলে যদি ইন্টেলিজেন্স লিক হয় তাহলে ইজি টার্গেট হবার ঝুকি থাকবে। ক্ষয়িষ্ণু মার্কিন ক্ষমতার প্রেক্ষাপটে বললাম আর কি।
জুলাই ৬, ২০২৫