
14/09/2025
ক্রিকেটে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা টার্ম হচ্ছে মাইন্ডসেট। দুই ধরনের মাইন্ডসেট থাকে , একটি অ্যাটাকিং মাইন্ড সেট , আরেকটি ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেট।
গতকালকের বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে মূল তফাৎটি ছিল এখানেই। শুরুতেই বাংলাদেশ ছিল পুরোপুরি ডিফেন্সিভ মুডে। সেখান থেকে আর বের হয়ে আসতে পারে নি শেষ পর্যন্ত।
তামিম - ইমন আউট হওয়ার পরেও বাংলাদেশের জন্য ভালো সুযোগ ছিল। যদিও তামিম - ইমন অ্যাটাকিং শুরু করে আউট হলেও সমস্যা ছিল না, কিন্তু তারা ডিফেন্সিভ মুডে খেলতে যেয়েই দুইজনেই ডাক মেরেছে।
তাওহীদ হৃদয়ের রান আউটটা অনেক বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল। কারন, এই একাদশে এঙ্করিং রোল প্লে করার মতো ধরে খেলা ব্যাটসম্যান একমাত্র সে ছিল বাকিরা হার্ড হিটার। বিশেষ করে শামিম-জাকের এরা যদি ১৫ বলে ৩০ বা ২০ বলে ৪০ করার মতো পরিস্থিতি পেত সেটা তাদের জন্য ইজি হতো। এতো আগে নেমে এঙ্করিং রোল প্লে করা তাদের জন্য স্বভাব বিরোধী ছিল।
হৃদয়ের রান আউট নতুন কিছু না, এই ভুল সে সব সময় করে । হয় নিজে আউট হয় নাহয় অন্যকে আউট করায়।
শেখ মাহেদিকে খুবই ভুল সময়ে নামানো হয়েছে। এই সময়ে হাসারাঙ্গার সামনে আমি মাহেদি থেকে রিশাদকে বেশি প্রায়োরিটি দিব। রিশাদ তখন যদি সফল নাও হতো তাও এই আফসোসটা থাকতো না। হাসারাঙ্গার বলে রিশাদ অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সে হিসেবে সে হাসারাঙ্গার ১/২ ওভার খেলে দিয়ে ২০/২৫ রান এনে দিলে দলের জন্যই ভালো হতো, পাশাপাশি লিটনের উপর প্রেসার একটু কমে যেত।
প্ল্যান করে ব্যাটিং করলে ইজিলি ১৮০+ রান করা যেত।
বোলিং এ নিজেদের প্ল্যানে না থাকাটাই সব থেকে ভুল। শেখ মাহেদিকে শুরুর দিকে বল না দিলে তাকে একাদশে রাখা কোন কাজে দিবে না। সে পাওয়ার প্লেতে ভালো বল করে।
শেখ মাহেদি ক্যাচ মিস না করলে ম্যাচ আরও ক্লোজ হতো কিন্তু এই রানে জয় আশা করা বোকামি। ব্যাটিং এর কারনে বোলিং আর ফিল্ডিং এর ভুল খুব একটা আলোচনা হবে না স্বাভাবিক।
তবে বাংলাদেশের পরের ম্যাচটা ডু অর ডাই ম্যাচ হিসেবে আরও অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। তাই প্ল্যানিং ঠিক ভাবে করা আর এক্সিকিউট করা খুবই জরুরী।