Evergreenbd.com

Evergreenbd.com Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh

 #আবু হুরায়রা ( রা:)  থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ আমার সম্পদ...
12/07/2025

#আবু হুরায়রা ( রা:) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তাহলে আমি কী করব?

রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তাকে তোমার সম্পদ নিতে দেবে না।
লোকটি বলল, যদি সে আমার সঙ্গে এ নিয়ে মারামারি করে?

রাসুল (সা.) বলেন, তুমি তার সঙ্গে মারামারি করবে।
লোকটি বলল, আপনি কী বলেন! যদি সে আমাকে হত্যা করে?
রাসুল (সা.) বলেন, তাহলে তুমি শহীদ হিসেবে গণ্য হবে।
লোকটি বলল, আপনি কী মনে করেন, যদি আমি তাকে হত্যা করি?

রাসুল (সা.) বলেন, সে জাহান্নামি।’
(মুসলিম, হাদিস : ২৫৭)

আল্লাহ চাঁদা দিতে অস্বীকারকারী ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুক আমিন।

https://youtu.be/oEqunR1-3k4?si=gSKSGPpsA8cPSh-J
04/07/2025

https://youtu.be/oEqunR1-3k4?si=gSKSGPpsA8cPSh-J

আশুরার রোজা—এটা শুধুই একটি নফল রোজা নয়, বরং এতে লুকিয়ে আছে এমন ফজিলত, যা শুনলে আপনার হৃদয় কেঁপে উঠবে! শায়খ আহমাদুল্....

04/07/2025

With Sayed Ahmad – I'm on a streak! I've been a top fan for 6 months in a row. 🎉
11/04/2025

With Sayed Ahmad – I'm on a streak! I've been a top fan for 6 months in a row. 🎉

11/04/2025
With Abdul Hi Muhammad Saifullah – I'm on a streak! I've been a top fan for 6 months in a row. 🎉
05/04/2025

With Abdul Hi Muhammad Saifullah – I'm on a streak! I've been a top fan for 6 months in a row. 🎉

Alhamdulillah Ma-sha-allah         #রমজান
05/04/2025

Alhamdulillah Ma-sha-allah

#রমজান

বিদায়ের শেষ প্রান্তে রমজান মাস।
29/03/2025

বিদায়ের শেষ প্রান্তে রমজান মাস।

With Mizanur Rahman Azhari – I'm on a streak! I've been a top fan for 5 months in a row. 🎉
29/03/2025

With Mizanur Rahman Azhari – I'm on a streak! I've been a top fan for 5 months in a row. 🎉

23/03/2025

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।

এই পবিত্র রমজান মাসে সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া সুন্নত। আমাকে ক্ষমা করবেন, যদি আমি আপনাকে জ্ঞাতসারে বা অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকি। আমি যদি কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনাকে উপেক্ষা করে থাকি। আমি যদি কখনও সরাসরি বা অন্য কারো মাধ্যমে আপনার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলে থাকি।
.
বলা হয়েছে, গীবতকারীকে লাইলাতুল কদরে ক্ষমা করা হবে না যতক্ষণ না সে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
আমি একজন মানুষ, আমি হয়তো গীবত করেছি বা আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছি তাই আমি বিনীতভাবে আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।
আমি দুঃখিত, আপনাকে যে সমস্ত ব্যথা দিয়েছি তার জন্য এবং আপনি যদি কোনও দিন কাঁদেন অথবা আমার কারণে খারাপ অনুভব করে থাকেন তার জন্যও । আমাদের আত্মা পরিষ্কার করা ভাল যাতে আমাদের রোজা এবং দোয়া আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) কবুল করেন। আমি আপনার জন্য একই কাজ TV করব, ইন শা আল্লাহ।
রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে হিদায়াত, ঈমান, তাকওয়া ও সবর দান করুন। আমীন।

রমজানের শেষ ১০ রাতে সন্ধ্যা থেকে ফজর পর্যন্ত করনীয় ৪০টি আমল   __________________________________মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ...
22/03/2025

রমজানের শেষ ১০ রাতে সন্ধ্যা থেকে ফজর পর্যন্ত করনীয় ৪০টি আমল
__________________________________
মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা’লা আমাদের প্রতি কতটা দয়াময় হলে আমাদের জন্য এমন রাতের ব্যবস্থা করেছেন যার এক রাত হাজার মাসের চেয়েও বেশি। আল্লাহ্‌ তা’লা বলেন,
لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ
‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।(সুরা ক্বদর- আয়াত ৩)
হাজার মাস মানে কত বেশি সওয়াব, কততে গিয়ে থেমেছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা’লাই ভালো জানেন, সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহ, যেখানে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের গড় আয়ু মোটামুটি ৬০-৭০ বছর সেখানে লাইলাতুল কদরের ১ রাতের ইবাদতে সে কত বেশি ইবাদতের সওয়াব পেয়ে যাচ্ছে যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে তার সারা জীবনের আয়ুর চেয়েও বেশি আমল ১ রাতেই সে করতে পারছে আল্লাহু আকবার। সুতরাং এই রাত যেন কোন ভাবেই হাতছাড়া হয়ে না যায় সেই ব্যাপারে কতটা সতর্ক থাকা উচিত আমাদের ভাবুন! হ্যা একথা সত্য যে অনেক হাদিসে বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর খুজতে বলা হয়েছে কিন্তু আমি আপনি যদি আমাদের সবার অনুকরণীয় আদর্শ রাসুল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মত শেষ ১০ রাত সারা রাত ইবাদতে কাটিয়ে দিই সেটাই কি আমাদের জন্য কল্যাণকর নয়? এতে করে আমরা নিশ্চিত লাইলাতুল কদর পেয়ে যাবো ইন শা আল্লাহ্‌ আর যাদের পক্ষে ১০ রাত সম্ভব হবে না তারা বিজোড় রাতগুলো অন্তত সারা রাত জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশ করতে পারেন ইন শা আল্লাহ্‌।
আমরা জানি যে, লাইলাতুল কদরের জন্য শুধু ১টা দুয়া স্পেসিফিক করে বর্নিত হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোন ইবাদত নির্ধারিত করে দেওয়া হয় নি। শরিয়ত অনুমোদিত ইবাদতগুলো দ্বারাই আমাদেরকে সারা রাত জেগে ইবাদতের চেষ্টা করতে হবে। এখন আমরা দেখবো সন্ধ্যা থেকে ফজর পর্যন্ত আমরা কি কি ইবাদতের মধ্য দিয়ে সারা রাত কাটাতে পারি-
১- সন্ধ্যায় ইফতারের সময় হলে বিসমিল্লাহ বলে ইফতার করা।

২- মাগরিবের ফরজ সলাত আদায় করা।

৩- ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকিরগুলো পড়া। (দোয়া ও জিকিরগুলো এই পোস্ট থেকে দেখে নেওয়া যেতে পারে-



https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=486357761871204&id=476371559536491

৪- মাগরিবের ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।

৫- সন্ধ্যার দুয়া জিকিরগুলো পড়া। (দোয়া ও জিকিরগুলো এই পোস্ট থেকে দেখে নেওয়া যেতে পারে-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=834874143686229&id=476371559536491

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=814037909103186&id=476371559536491



৬- এরপর ইশার সলাতের আগ পর্যন্ত বিশ্রাম বা হালকা কিছু খেয়ে নেওয়া যেতে পারে যাতে সারা রাত ইবাদত করতে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়।

৭- ইশার সলাত মসজিদে জামাতেও পড়তে পারেন যেহেতু ইমামের সাথে পুরো সলাত পড়ে আসলে সারা রাত ধরে সলাত আদায়ের সওয়াব দেওয়া হয় আর এখন যেহেতু বাইরে বের হতে কিছুটা ভয় রয়েছে সেক্ষেত্রে কেউ বাড়িতে পড়লে ৪ রাকাত ফরজ সলাত আদায় করা।

৮- ইশার ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকিরগুলো পাঠ করা।

৯- ইশার ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।

১০- এরপর রুকু সিজদাতে অনেক অনেক তাসবিহ পাঠ করে, দাড়িয়ে অনেক আয়াত বা ছোট অনেকগুলো সুরা পাঠ করে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায় করা।

১১- এরপর ১ ঘন্টা এর মত কুরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।

১২- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি সুরা ইখলাস পড়া যেতে পারে যেহেতু প্রতি ৩ বার সুরা ইখলাস পড়াতে ১ বার কুরআন খতমের সওয়াব হয়।

১৩- ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর পড়া যেতে পারে-
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক ১০০বার এ দু‘আটি পড়বেঃ
لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।
তাহলে ১০টি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য ১০০টি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর ১০০টি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু‘আটির ‘আমল বেশি পরিমাণ করবে।(বুখারি- ৬৪০৩)

১৪- ১০০ বার সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী পড়া যেতে পারে-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
«سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর প্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”(বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫, মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)

১৫- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী পড়া যেতে পারে যেহেতু প্রতিবার পড়াতে জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগান হয় তার জন্য।
জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি "সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহী" পাঠ করে তবে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর চারা লাগান হয়। (তিরমিজি- ৩৪৬৪)

১৬- সুব'হা-নাল্লাহ, আল হামদু লিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাহ এই ৪টি বাক্য ১০০ বার করে পড়া যেতে পারে-
উম্মু হানি (রা) রাসূল (ﷺ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ
*তুমি ১০০ বার "সুব'হা-নাল্লাহ" বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
*তুমি ১০০ বার "আল হামদু লিল্লাহ" বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
*তুমি ১০০ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
*তুমি ১০০ বার "লা-ইলাহা ইল্লাহ" বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে।
(সুনান ইবনু মাজাহ ৩৮১০- হাসান)

১৭- লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি পড়া যেতে পারে-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললাম, নিশ্চয়ই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, “তুমি বল,
«لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».
(লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)।
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।”
(বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/২১৩, নং ৪২০৬, মুসলিম ৪/২০৭৬, নং ২৭০৪)

১৮- যেই দোয়াটা ১বার পড়লে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা অনবরত জিকিরের সওয়াব সেই দোয়াটা পড়া যেতে পারে- (দোয়াটি এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারেন-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=854654978374812&id=476371559536491

১৯- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি দরুদ পড়া যেতে পারে-
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি শুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর জন্য দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।
(সুনান নাসাঈ- ১৩০০, হাদিস সহিহ)
#হাদিসে বর্নিত ছোট্ট ১টা দরুদ যা অল্প সময়েই অধিকবার পড়ে ফেলা সম্ভব-
যায়দ ইবনু খারিজা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তোমরা আমার উপর দরুদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি দোয়া কর আর-তোমরা বলঃ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদ, ওয়া আ'লা আ-লি মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরের উপর রহ্মত বর্ষণ করো।
(সুনান নাসাঈ- ১২৯৫, হাদিস সহিহ)

২০- ১০০ বারের মত বা তারচেয়ে কম বেশি আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি পড়া যেতে পারে-
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, "ওহে মানুষেরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ করো, কেননা আমি দিনে ১০০ বার তাঁর নিকটে তাওবাহ করি।" (মুসলিম- ২৭০২)
অন্য বর্ননাতে এসেছে,
"নিশ্চয়ই আমি দিনে ১০০ বার আল্লাহর কাছে ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থণা) ও তাওবাহ (ফিরে আসা) করি।" (ইবনু মাজাহ- ৩৮১৫)

২১- সুরা মুলক পাঠ করা-
রাসূল (সাঃ) বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন (সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০, শায়খ আলবানী রঃ হাদীছটি হাসান সহিহ বলেহেন, দ্র: সহীহ তারগীব ও তারহীব, হা/ ১৪৭৫ ও ১৪৭৬)
মুখস্থ বা দেখে দেখে উভয় ভাবেই পড়া যাবে আর এটা ঘুমের আগে পড়াও শর্ত নয় বরং মাগ্রিবের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত রাতের যে কোন সময় পড়লেই হবে

২২- সুরা কাফিরুন পাঠ করা-
নবী (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)

২৩- সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পাঠ করা-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু--) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”। (বুখারি- ৪০০৮)

২৪- এরপর আল্লাহর কাছে ২ হাত তুলে কান্নাকাটি করতেই থাকা, দুয়া করতে থাকা, ক্ষমা চাইতে থাকা, এমন ভাবে দুনিয়া আখিরাতের সবকিছু চাইতেই থাকা যে, আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা’লা যেন আমাদের এমন একনিষ্ঠ চাওয়াতে খালি হাত ফিরিয়ে না দেন কোন মতেই। এই সময়ে কদরের বিশেষ দুয়া বারবার করা যেতে পারে আর তা হচ্ছে-
আয়েশা রা. জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে তাতে কী বলব? তিনি বললেন: বল,
" اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي"
উচ্চারণ:‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফুআন্নী।’’
‘‘হে আল্লাহ, নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল। অত:এব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’’
(তিরমিযী, ৫/৫৩৪ হাসান, ইবনে মাজাহ ২/১২৬৫, সহীহ)

২৫- সম্ভব হলে কিছু দান সদকা করা আর কাউকে দেওয়ার না পেলে সেই পরিমাণ সদাকার জিনিস দানের নিয়তে রেখে দেওয়া যেতে পারে, পরে সুযোগ হলে দিয়ে দিলেও রাতের সওয়াবই পাওয়া যাবে আশা করা যায় ইন শা আল্লাহ্‌।

২৬- নিজের যাকাত দেওয়া বাকি আছে কিনা, বা কোথাও ঋণী কিনা এগুলোও কিছু সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে কেননা এগুলো এমন বিপদজনক বিষয় যে, এগুলো বাকি রেখে মারা গেলে নাজাতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

২৭- নিজে এবং নিজের পরিবার সারারাত ইবাদত করার পাশাপাশি আপন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেওয়া যেতে পারে এবং তাদের ইবাদতের দিকে দাওয়াত দেওয়া যেতে পারে তবে অবশ্যই সেটা সংক্ষিপ্ত সময়ে সারতে হবে, খোশগল্প করে এত মূল্যবান সময় নষ্ট করা যাবে না কোন মতেই।

২৭- এভাবে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায়ের পর কুরআন তিলাওয়াত, জিকীর আজকার, তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া, দরুদ, ইস্তেগফার করার পর আবার ২ রাকাত রুকু সিজদাতে অনেক অনেক তাসবিহ পাঠ করে, দাড়িয়ে অনেক সুরা পাঠ করে ২ রাকাত তারাবি সলাত আদায় করা।

২৮- অতঃপর পূর্বের আমলগুলো আবার করা যেতে পারে।

২৯- অতঃপর আবার ২ রাকাত সলাত আদায় করা।

৩০- এরপর পূর্বে বর্নিত আমলগুলো করা যেতে পারে।

৩১- এরপর ২ রাকাত সলাত আদায় করে রাতের ৮ রাকাত তারাবি শেষ করা।

৩২- সাহুরের এখনো দেরি থাকলে পূর্বের আমলগুলো আবার করা যেতে পারে আর বেশি দেরি না থাকলে বিতির পড়ে নেওয়া।

৩৩- সাহুর খাওয়া।

৩৪- সাহুরের সময় কিছু খেজুরও খাওয়া যেহেতু এটা সুন্নাহ।

৩৫- ফজরের আজান হয়ে গেলে ২ রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করা।

৩৬- ফজরের ফরজ সলাত আদায় করা।

৩৭- ফরজ সলাতের পর পঠনীয় দোয়া ও জিকীর পাঠ করা।

৩৮- সকালের দুয়াগুলো পড়া।

৩৯- এরপর সম্ভব হলে যায়গায় বসে থেকেই জিকীর আজকার করতে করতে সূর্য স্পষ্ট উঠে গেলে ২ রাকাত ইশরাকের সলাত আদায় করা, এতে করে একটা কবুল হজ ও উমরার সওয়াব পাওয়া যায় তবে সারা রাত জেগে ইবাদত করাতে সুর্য উঠা পর্যন্ত বসে থাকা কষ্টকর হলে সকালের দুয়া জিকীর পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।

৪০- নারীদের যদি হায়েজ নেফাস চলতে থাকে তাহলে শুধু কুরআন তিলাওয়াত আর সলাত আদায় বাদে উপরে বর্নিত সকল আমল করতে পারবে, কুরআন তিলাওয়াত আর সলাত আদায়ের সময়টা তারা অন্যান্য উপরে বর্নিত আমলগুলো বেশি করে করতে পারবে। এতে করে তারাও এই রাতগুলোর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে না ইন শা আল্লাহ্‌।
আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তা’লা আমাদেরকে অনন্তকালীন সুখের নিবাস জান্নাতের পাথেয় গুছানোর তাওফিক দান করুণ, পোস্টটা শেয়ার করুণ দয়া করে যাতে করে আপনার মাধ্যমে আপনার অন্য বন্ধুরাও আমলগুলো জেনে করার চেষ্টা করতে পারেন এতে আপনাকেও সমপরিমাণ সওয়াব দেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ্‌।

শাহনাজ আমিন

ঈষৎ সম্পাদিত ও পরিমার্জিত

#শেয়ার_করুন

©সিরাতল মুস্তাকিম

# রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দোয়া জিকির করতেনঃ
=======================================
১. “আসতাগফিরুল্লা-হ” - ৩ বার ।( ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪ )
অর্থঃ হে আল্লাহ!আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
২. “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – ১ বার।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী।
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন “রাসুল (সাঃ) যখন সালাম ফেরাতেন তখন তিনি তিনবার ইস্তেগফার পড়তে্ন অর্থাত ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন। তারপর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম”। -মুসলিম ১/২১৮, আবু দাউদ ১/২২১
৩. একবার
ﻻَ ﺇِﻟﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَ ﻫُﻮَ ﻋَﻠﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳْﺮٌ
উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।
৪. একবার
ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻰَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟَﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟْﺠَﺪُّ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’তিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬২ নং)
৫. একবার
ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠﻪ
উচ্চারণ:- লা-হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ্।
অর্থ:- আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার শক্তি নেই।
৬. একবার
ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﻻَ ﻧَﻌْﺒُﺪُ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻟَﻪُ ﺍﻟﻨِّﻌْﻤَﺔُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﻔَﻀْﻞُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ، ﻻَ ﺇِﻟﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴْﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳْﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭْﻥَ
উচ্চারণ:- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফায্বলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বিনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউকারিহাল কা-ফিরুন।
অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত কেউসত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না, তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তাঁরই যাবতীয় সুপ্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফেরদল তা অপছন্দ করে। (মুসলিম, সহীহ , মিশকাত ৯৬৩ নং)
৭. আয়াতুল কুরসী (সুরা বাক্বারা আয়াতঃ ২৫৫) ১ বার।
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেনা”।(নাসায়ী, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহিহাহ-হাদিস ৯৭২)
৮. আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়ে এবং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” পড়ে, তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়। (মুসলিম-১২২৮)।
৯. সুরা ইখলাস,ফালাক্ব ও নাস ১ বার করে। (আবু দাঊদ২/৮৬, সহীহ তিরমিযী ১/৮, নাসাঈ ৩/৬৮)
১০. “আল্লাহুম্মা আ ই’ন্নী আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা”১বার
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার স্মরণ, তোমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার সুন্দর ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর”। -আবু দাউদ ১/২১৩
১১. একবার
ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﻗِﻨِﻲْ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﻳَﻮْﻡَ ﺗَﺒْﻌَﺚُ ﻋِﺒَﺎﺩَﻙَ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক।
অর্থ:- হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম)
১২. হযরত আব্দুর রহমান বিন গানম (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে (অর্থাৎ যেভাবে বসে নামাজ শেষ করেছে সেভাবে বসেই, এদিক অদিক ঘুরা বা অন্য রকম করে বসার পূর্বেই) নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০ বার পাঠ করবে,
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।
আল্লাহ্ তার আমলনামায় প্রত্যেকবারের বিনিময়ে ১০টি নেকি লিপিবদ্ধ করেন, ১০টি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকির) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে যে তার থেকেও উত্তম যিকির পাঠ করবে”(আহমাদ,সহীহ তারগীব-হাদিস ৪৭২)
১৩. ফজরের সলাতের পর ১ বার
ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲْ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤﺎً ﻧَّﺎﻓِﻌﺎً ﻭَّﺭِﺯْﻗﺎً ﻃَﻴِّﺒﺎً ﻭَّﻋَﻤَﻼً ﻣُّﺘَﻘَﺒَّﻼً
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান না-ফিআ, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়িবা, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ফলদায়ক শিক্ষা,হালাল জীবিকা এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।
ফজরের নামাযের পর এটি পঠনীয়। (ইবনে মাজাহ্, সুনান১/১৫২, ত্বাবারানী সাগীর, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১১১)
দ্রষ্টব্য- এখানে সিরিয়ালি যেভাবে দেওয়া হয়েছে এভাবেই করতে হবে এমন নয়, এভাবে করতে পারেন কিংবা সিরিয়াল আগ পাছ হলেও সমস্যা নেই, প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর সবগুলো দোয়া জিকিরই করার চেষ্টা করবেন হয়তো ৭-৮ মিনিট লাগতে পারে তবে সময় সল্প থাকলে সেই ওয়াক্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণগুলোও করতে পারেন মুল কথা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে এগুলো দোয়া জিকির করতেন আমাদেরও সাধ্যমত এগুলোর অনুসরণ করা উচিত।
================================
ফরজ সলাত শেষে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত এই দোয়া জিকিরগুলো পরিত্যাগ করে সম্মিলিত মুনাজাত করার মাধ্যমে আমরা কতটা খতিগ্রস্থ হয়েছি দেখুন
=================================
১- প্রতি ফরজ সলাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাত এই সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সম্মিলিত মুনাজাতের মাধ্যমে।
২- আমাদের সব পাপ ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির সুসংবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি-
“আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’(সহিহ মুসলিম হাদিস-২২২০, হাদিস একাডেমী)
যদি রাসূল (সাঃ) এর নিম্নে বর্ণিত হাদিসটি লক্ষ্য করেন--
রাসূল (সাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর-
“সুবহা-নাল্লাহ” (আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান)”« ﺱَﻥﺎَﺤْﺑُ ﺍﻟﻠَّﻪ ((৩৩ বার
“আলহামদুলিল্লাহ” (সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য) ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ، (৩৩ বার)
“আল্লা-হু আকবার” (আল্লাহ সবচেয়ে বড়)” ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ (৩৩ বার)
তারপর ১ বার নিম্নোক্ত দোয়া বলে
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
তাহলে ঐ ব্যক্তির সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমতুল্যও হয়। (সহিহ মুসলিম হাদিস-১২৩৯, হাদিস একাডেমী)
আর এ দোয়া না পারলে আর ১ বার “আল্লা-হু আকবার” বলে ১০০ পূর্ণ করবে।
# তাহলে দেখা যাচ্ছে, কোন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলেই তার ৩৬০ বার নয় ৫০০ বার উপরোক্ত তাসবিহ, তাহলিল, তাকবীর, তাহমিদ আদায় এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে যার বিনিময়ে তার সব গুনাহ মাফ এমনকি জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সেটা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি সম্মিলিত মুনাজাতের মাধ্যমে।
৩- ১২ নাম্বার হাদিসে বর্ণীত ফজর ও মাগ্রিবের সলাতের পর ১০ বার করে ঐ জিকির পাঠ করলে শিরক বাদে বাকি সব পাপ ক্ষমার কথা বলা হয়েছে, এটা কত বড় ফজিলত সেটা কি চিন্তা করা যায়!! অথচ এগুলো না করে সম্মিলিত মুনাজাতের নামে এমন বিদাতে আমরা লিপ্ত হয়েছি যার সহিহ হাদিস দূরে থাক রাসুল (সাঃ) ফরজ সলাত শেষে সাহাবীদের নিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন এই মর্মে কোন জাল হাদিসও নেই অথচ শয়তান আমাদের কাছে এটাই লোভনীয় করে তুলে ধরেছে, এমনকি বিদআতপন্থি কিছু মানুষ এই কাজকে জায়েজ প্রমান করার জন্য ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিভিন্ন দলিল দেওয়ার চেষ্টা করে অথচ কিয়ামত পর্যন্তও তারা স্পষ্ট কোন দলিল দেখাতে পারবে না যে, রাসুল (সাঃ) ফরজ সলাত শেষে সাহাবীদের নিয়ে সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন। সত্যিকার অর্থে সুন্নাতের অনুসরনেই মুক্তি রয়েছে, দলিল বিহিন আমল তথা বিদাতের অনুসরণ না করে আল্লাহর রাসুল (সঃ) যা করতেন, যা করতে বলেছেন অর্থাৎ রাসুলের সুন্নাতের ছায়াতলে আসাটাই নিরাপদ, এতেই কল্লান রয়েছে, এটাই সরল পথ যেই পথ আমাদেরকে জান্নাতে পৌঁছে দিবে ইন শা আল্লাহ।

Address

Bhatara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Evergreenbd.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share