History of Islam

History of Islam " InshaAllah the victory of Islam is very soon... "
(51)

13/07/2025

আমরা সবসময় যে গুরুতর শিরক করি তার মধ্যে কিছু:-

১) তোমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

২) তোমার কপালে দুঃখ আছে।

৩) তুমি পরীক্ষায় ফেল করবে।

৪) তোমার জীবনের উন্নতি হবে না।

৫) আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।

12/07/2025

আমরা মানুষ হবো কবে?

07/07/2025

রাত ২.৩০ টায় রোগীটা মারা গেল। বয়স প্রায় ৭০, সাথে শুধু স্ত্রী।

জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে খবর দিয়েছেন? রোগী তো সন্ধ্যা থেকেই খারাপ ছিলো। কেউ আসেনি?

এরপর এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম যার জন্য আমার কোন মানসিক প্রস্তুতি ছিল না--

রোগীর দুই ছেলে, বড় জন সৌদি আরব, ছোট ছেলে বাড়িতে। বড় ছেলের জোরাজুরিতেই হাসপাতালে আসা। ছোট ছেলের আপত্তি অগ্রাহ্য করে কেন হাসপাতালে আনা হলো, এই অপরাধে বৃদ্ধ বাবাকে একবারও দেখতে আসেনি সে। উল্টো তাকে বাবার খারাপ অবস্থা জানানো হলে তার ভাষ্য ছিলো-
" আমি তো হাসপাতালে নিতে বলিনাই, সৌদি থিকা আইসা বাপেরে দেইখা যাইতে কও"!

জিজ্ঞেস করলাম, আত্মীয় স্বজন?

জানালো কেউ আসবে না, যখন তাদের প্রয়োজন ছিল তখন এসেছে। এখন লাশ নিতে আসলে যদি দুই পয়সা খরচ করতে হয়!
রাত ২.৩০ টায় ষাটোর্ধ্ব নারী তার সদ্য প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডে, সাথে নেই কোন চেনা মুখ! কল্পনা করতেও বোধহয় কষ্ট হয়!
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কয়টা বাজে? আজান দিতে আর কতক্ষণ?
আমি বললাম বেশিক্ষণ না, দুই-আড়াই ঘণ্টা!

ভদ্রমহিলা আমার হাত ধরে ফেললেন-
"আমারে হাসপাতাল থেকে বাইর করে দিয়েন না, সকাল হইলেই ভ্যান নিয়া চইলা যামু"!

শোকার্ত নারীটি যেন ঠিকমতো শোক প্রকাশ করারও সুযোগ পাচ্ছে না। একবার লাশের কাপড় ঠিক করছে, কিছুক্ষণ দোয়া পড়ছে, কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে কান্না করছে, আবার একা একা এই লাশ বাড়ি পর্যন্ত কিভাবে নিয়ে যাবে সেটাও বোধহয় আনমনে ভাবছে।

আমি শুধু তার মাথায় হাত রেখে আস্তে করে বলতে পারলাম, "থাকেন। কোন সমস্যা নাই"।

ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম জীবন ঠিক কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে। শেষ পরিণতি হিসেবে মৃত্যুর পর লাশটা নেওয়ার মানুষটাও নেই।
আহারে জীবন!

এই জীবন নিয়ে আবার কত বড়াই!
অথচ ঠিকমতো দাফন-কাফন পাবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই!

-লিখেছেন ডা: মোঃ সেলিম

ইনকামে বরকত পাচ্ছিনা এই অভিযোগ নিয়ে একদিন আমার এক প্রিয় উস্তাযের (মেন্টর) কাছে গেলাম। কোনো কিছু নিয়ে দ্বিধান্বিত-কনফিউজড...
20/05/2025

ইনকামে বরকত পাচ্ছিনা এই অভিযোগ নিয়ে একদিন আমার এক প্রিয় উস্তাযের (মেন্টর) কাছে গেলাম। কোনো কিছু নিয়ে দ্বিধান্বিত-কনফিউজড কিংবা অশান্তিতে থাকলে তার সাথে কথা বললে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি আমি পাই।
তো একবার এইরকম একটা ডাউট নিয়ে আমি মেন্টরের সাথে দেখা করলাম।

আমাকে দুধ এবং চিনি ছাড়া স্রেফ গরম পানিতে ডুবানো একটা টি প‍্যাক এগিয়ে দিয়ে বললেন-তানভীর, আছো কেমন?
আমি কিছুটা আড়ষ্টতা নিয়ে তাকে বললাম, কনফিউজড উস্তায!
তিনি আমার চেহারার দিকে গভীর ভাবে তাকালেন, মিনিট খানেক। তারপর চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন-কি নিয়া পেরেশানিতে আছো?

আমি তার আরো একটু সামনে এসে নিচু কন্ঠে বললাম-উস্তায, আমার ইনকাম নিয়া আমি দ্বিধায় আছি। আমি সৎ পথে উপার্জন করি। পেশাগত কাজে পারলে ২০০ ভাগ নিবেদন দিয়ে কাজ করি। তারপরও কেন জানি এতো বছর কাজ করার পরও আমার মনে হয়ে যে আমার উপার্জনে কোনো বরকত পাচ্ছিনা।
উস্তায মন দিয়ে আমার কথা শুনলেন, তারপর জিজ্ঞেস করলেন
-কেন তোমার এমন মনে হচ্ছে?
আমি এবার বললাম, যে আমার সেভিংস হচ্ছেনা। প্রতিবছর যেমন আয় বাড়ছে, তেমনি খরচও বাড়ছে।

উস্তায আবার কী মনে করে যেন আমার ডান হাতটা তার হাতে নিলেন। তারপর আবার গভীর ভাবে আমার কপাল আর চোখের দিকে তাকালেন। প্রশ্ন করলেন
-কিসের খরচ বাড়ছে তোমার?
-এই ‍যেমন বাচ্চাদের এডুকেশন-ওদের স্কুলের বেতন, ওদের টিচারদের বেতন, কিছু অস্বচ্ছল আত্নীয় স্বজনদের খরচ।
-কোন স্কুলে পড়ে তোমার বাচ্চারা?
-আমি স্কুলের নাম বললাম।
-তানভীর, তুমি কি মনে করো, শুধু ব‍্যাংকে জমা বাড়া মানেই আয়ের বরকত?

আমি আমতা আমতা করি।
-এই যে তুমি সেরা একটা স্কুলে তোমার বাচ্চাদের পড়াতে পারছ, এটা কি বরকত নয়? কয়জন বাবা-মা এরকম ভালো স্কুলে তার বাচ্চাদের পড়াতে পারছে?
হ‍্যাঁ, তা তো ঠিক। আমি মাথা নাড়ি।
-তোমার বাচ্চারা কেমন? ওরা কি উচ্ছৃংখল? তোমাদের কথা বার্তা শোনেনা?
-না, না উস্তায। খুব লক্ষি বাচ্চা ওরা।
-এটা কি বরকত নয়, তানভীর?
-জি, অবশ‍্যই।

-বিগত ৫/৭ বছরে তোমার পরিবারে কেউ বড় রকম অসুস্থ হইছে? বা তুমি নিজে?
-না উস্তায, আল্লাহর রহমতে কেউ ওরকম সিরিয়াস অসুস্থ হয়নাই। আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়েছিল, আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থ হয়ে গেছে।
-হাসপাতালে ভর্তি করাতে হইছিল?
-না উস্তায, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছে।
-এই যে তোমরা সুস্থ আছো, এটা কি বরকত না, তানভীর? আমার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করেন তিনি।
-জি অবশ‍্যই।
-তানভীর, তোমার স্ত্রী কেমন মানুষ? সে কি তোমার সাথে সদাচারণ করে? তোমার খেয়াল রাখে? সে কী উন্নত চরিত্রের নয়?
-না না, উস্তায। সে অসাধারণ উন্নত চরিত্রের মানুষ। সে শুধু আমাকেই নয়। আমার সন্তাদের, আমার বাবার, আত্নীয় স্বজনেরও যত্ন নেয।

-আর কী বরকত চাও, তুমি? পরিবারে শান্তির চেয়ে বড় বরকত কী হতে পারে?
-জি উস্তায, আমি আসলে এভাবে গভীরে গিয়া চিন্তা করিনাই।
-তোমার বাবা-মা আছেন?
-মা নেই, বাবা আছেন?
-বাবা কি তোমার সাথে থাকেন, নাকি আলাদা থাকেন?
-আমার সাথে থাকেন, উস্তায। আমার সাথে।
-তোমার বাবা তোমার সাথে থাকেন, এ যুগে বাবা-মা সাথে থাকা, কত বড় বরকত তানভীর, তুমি টের পাওনা?
-টের পাই উস্তায। টেরপাই। আব্বা সাথে আছেন, এইটা
অনেক বড় বারাকা, উস্তায।

তিনি আর কথা বাড়ান না। আমাকে বুকে জড়াই ধরেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তারপর বলেন, জীবনে টাকা পয়সা-ধনসম্পদ বৃদ্ধিই শুধু বরকত না। জীবনে তুমি সুস্থ আছো, তোমার একটা সুন্দর পরিবার আছে, তুমি তাদের এবং তারা তোমার দেখভাল করতে পারছে-এটাও বরকত। জীবনে তুমি সঠিক জ্ঞানের আলো পাচ্ছ-এটাও বরকত। আত্নীয় স্বজনের খবর নিতে পারছ-এটাও বরকত। প্রতিদিন বাবার চেহারা দেখতে পাচ্ছ-এটাও বরকত।
-তুমি টাকা পয়সা ব‍্যাংকে জমাইয়া কী এরচেয়ে বেশি বরকত পাবে, তানভীর?
-উস্তায, আপনি ঠিক বলছেন।

তিনি আমাকে নিচ তলা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। আমি তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে পড়ি। গাড়ি সার্ট দিয়ে আমি প‍্যানারমিক সানরুফটা খুলে দিই। তারপর গভীর কৃতজ্ঞতায় আকাশের দিকে তাকাই। সেদিন ছিল জোৎস্না। রুপালী আলোয় ভেসে যাচ্ছে আকাশ। সানরুফের খোলা ছাদ দিয়ে আমি দুইহাত উপরে তুলে দাঁড়িয়ে যাই। তারপর দুচোখ বন্ধ করি। আমি অনুভব করি, পৃথিবীর সব বরকত জড়িয়ে আছে আমায়!

19/05/2025

"তোমার সন্তানদেরকে সত্যিটা বলিও- গা|জ্জায় যখন শিশুরা পুড়তেছিল, তাদের জন্য তুমি কী করেছিলে?"

18/05/2025

মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর পেজ আপনার ভিডিও গুলাও অনেক সুন্দর। অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।

16/05/2025

সবাইকে জুম্মা মোবারক।

Address

Bheramara
7040

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when History of Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share