Siam Lifestyle

Siam Lifestyle Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Siam Lifestyle, Digital creator, Bhola Nagar.

✨ Simple living, positive thinking.
🎓 BSc student | Dreamer | Learner
💻 Love for technology, creativity & self-growth.
🇧🇩 Trying to do something good for my country. 🌿

💡✨ নিজের হাতে বানানো স্মার্ট লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম!অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এমন একটা সিস্টেম তৈরি করবো, যেটা দিয়ে মোবাইল থে...
25/10/2025

💡✨ নিজের হাতে বানানো স্মার্ট লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম!

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এমন একটা সিস্টেম তৈরি করবো, যেটা দিয়ে মোবাইল থেকেই ঘরের লাইট অন-অফ করা যাবে, আলো বাড়ানো-কমানো যাবে, এমনকি ডিমলাইটও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অবশেষে সেই কাজটা সম্পন্ন হয়েছে! 🔥

এখন আর হাতে সুইচ টিপে লাইট চালাতে হয় না। নিজের বানানো মোবাইল অ্যাপ থেকেই সব নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চাইলে মোবাইল থেকে কমান্ড দিলেই লাইট অন হবে, আবার একটু স্পর্শেই আলো কমে যাবে — একদম নিজের মতো করে কাস্টম কন্ট্রোল করা যায়।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, পুরো সিস্টেমটা আমি নিজে প্রোগ্রাম করেছি। সফটওয়্যার থেকে হার্ডওয়্যার পর্যন্ত সবকিছু নিজের হাতে বানানো। প্রথমে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল — কানেকশন, কোডিং, সেন্সর আর মডিউল মিলিয়ে কাজ করাতে অনেক সময় লেগেছে, কিন্তু যখন প্রথমবার মোবাইল থেকে লাইট অন হলো, সেই আনন্দটা সত্যি অন্যরকম! 😍

এখন ঘরের লাইট পুরোপুরি স্মার্টভাবে কাজ করে। চাইলে রুমের পরিবেশ অনুযায়ী ডিমলাইট চালু করি, আবার কাজের সময় আলো বাড়িয়ে দিই — সব কিছুই মোবাইলের স্ক্রিনে কয়েকটা ক্লিকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ধীরে ধীরে আরও কিছু ফিচার যোগ করার পরিকল্পনা আছে — যেমন ভয়েস কন্ট্রোল, টাইমার সেটিং আর অটোমেটিক সেন্সিং সিস্টেম।
এক কথায়, এটা আমার নিজের হাতে তৈরি “স্মার্ট লাইট প্রোজেক্ট”, যার প্রতিটা অংশে আছে আমার পরিশ্রম আর ভালোবাসা। ❤️

লাইট ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর (LDR) বা ফটো রেজিস্টর হলো এমন একটি ছোট সেন্সর যা আলো চিনে ফেলে। এই সেন্সরটির মূল কাজ হলো আশেপা...
20/10/2025

লাইট ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর (LDR) বা ফটো রেজিস্টর হলো এমন একটি ছোট সেন্সর যা আলো চিনে ফেলে। এই সেন্সরটির মূল কাজ হলো আশেপাশের আলো কতটা আছে তা বুঝে নেওয়া। যখন LDR-এর ওপর আলো পড়ে, তখন এর ভেতরের পদার্থে থাকা ইলেকট্রনগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে রেজিস্ট্যান্স বা বিদ্যুতের প্রতিরোধ কমে যায় এবং বিদ্যুৎ সহজে চলতে পারে। আর যখন আলো কমে যায় বা অন্ধকার হয়, তখন ইলেকট্রনগুলো নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে, ফলে রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যায় এবং বিদ্যুৎ চলতে পারে না বা কম চলে। এই পরিবর্তন থেকেই সার্কিট বা যন্ত্র বুঝতে পারে কখন আলো আছে আর কখন অন্ধকার।

এমন বৈশিষ্ট্যের কারণে LDR সেন্সরটি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় এবং স্মার্ট প্রজেক্টে। যেমন সন্ধ্যা নামলে রাস্তার লাইট নিজে থেকেই জ্বলে ওঠা, সকালে সূর্য উঠলে লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়া, বা ঘরের ভেতরে আলো কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইট জ্বলে ওঠা—এই সব কাজের পেছনে থাকে এমন সেন্সর। এছাড়াও সূর্যের আলো অনুযায়ী সৌর প্যানেল ঘোরানো সোলার ট্র্যাকার, আলো মাপার যন্ত্র, লাইট অ্যালার্ম বা সিকিউরিটি সিস্টেমেও এটি ব্যবহৃত হয়।

LDR সেন্সর খুব ছোট—মাত্র পাঁচ মিলিমিটার আকারের, তাই এটি সহজেই যেকোনো সার্কিট বোর্ড বা প্রজেক্টে লাগানো যায়। এটি দিয়ে অ্যানালগ সার্কিট তৈরি করা সহজ এবং এটি ৩.৩ ভোল্ট বা ৫ ভোল্টের সাপ্লাইতে কাজ করে। Arduino, ESP32, ESP8266 বা Raspberry Pi-এর মতো মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এটি খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। এ কারণে এটি ইলেকট্রনিক্স, রোবোটিক্স, স্মার্ট হোম সিস্টেম এবং IoT (Internet of Things) প্রজেক্টে বহুল ব্যবহৃত।

LDR সেন্সরের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর দাম খুবই কম এবং এটি ব্যবহার করা সহজ। কোনো জটিল প্রোগ্রামিং বা সেটআপ লাগে না। শুধু আলো পড়ার দিক অনুযায়ী এর রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তন হয়, আর সেই অনুযায়ী যন্ত্রের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সংক্ষেপে বলা যায়, LDR সেন্সর এমন একটি সহজ কিন্তু বুদ্ধিমান উপাদান যা বুঝতে পারে কোথায় আলো আছে আর কোথায় অন্ধকার, এবং সেই অনুযায়ী কাজ চালু বা বন্ধ করতে সাহায্য করে। এটি দিয়ে তৈরি করা যায় স্বয়ংক্রিয় লাইট সিস্টেম, স্মার্ট ঘর, সৌর প্যানেল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং আরও অনেক ধরনের আধুনিক প্রজেক্ট। ছোট হলেও এর কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ—ঠিক যেমন একটি চোখ বুঝে নেয় আলো আছে কিনা, তেমনভাবেই LDR সার্কিটকে জানায় আলো আছে নাকি অন্ধকার।

🌡️ DHT11 সেন্সর মডিউল — তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাপার ছোট্ট যন্ত্রDHT11 সেন্সর মডিউল হলো এমন একটি ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা...
15/10/2025

🌡️ DHT11 সেন্সর মডিউল — তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাপার ছোট্ট যন্ত্র

DHT11 সেন্সর মডিউল হলো এমন একটি ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা একই সঙ্গে তাপমাত্রা (Temperature) এবং আর্দ্রতা (Humidity) মাপতে পারে।
তুমি যদি জানতে চাও — “এখন ঘরে বা বাইরে কত ডিগ্রি তাপমাত্রা?” বা “বাতাসে আর্দ্রতা কত?” — তাহলে এই সেন্সর তোমাকে সেই তথ্য খুব সহজেই জানাতে পারবে।

---

⚙️ এটা দেখতে কেমন ও কীভাবে তৈরি

এটি একটি ছোট নীল রঙের সেন্সর, যা একটি বোর্ডে (PCB) বসানো থাকে। এই বোর্ডে দরকারি সবকিছু (যেমন রেজিস্টর ইত্যাদি) আগে থেকেই যুক্ত থাকে।
তাই তোমাকে আলাদা করে কিছু লাগাতে হয় না — শুধু তিনটি তার যুক্ত করলেই কাজ শুরু করে!

---

🔌 এটার তিনটি সংযোগ (পিন):

1️⃣ VCC — পাওয়ার দেওয়ার তার (৩.৩V বা ৫V)
2️⃣ DATA — সেন্সর এখান দিয়ে তথ্য পাঠায়
3️⃣ GND — গ্রাউন্ড বা মাইনাস তার

এই তিনটি সংযোগ Arduino, ESP32, বা Raspberry Pi-এর মতো ছোট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করলে সেন্সর কাজ করতে শুরু করে।

---

🧠 কীভাবে কাজ করে

DHT11 সেন্সরের ভেতরে দুটি অংশ থাকে —
একটা থার্মিস্টর (Thermistor), যেটা তাপমাত্রা বুঝে,
আরেকটা ক্যাপাসিটিভ সেন্সর, যেটা বাতাসে কত আর্দ্রতা আছে তা বোঝে।

এই দুই অংশ মিলে আশেপাশের পরিবেশ থেকে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাপার পর, সেই তথ্যকে ডিজিটাল সিগন্যাল আকারে তোমার মাইক্রোকন্ট্রোলারে পাঠায়।
তুমি চাইলে Arduino বা ESP32 দিয়ে খুব সহজে এই ডেটা পড়ে কম্পিউটার স্ক্রিনে বা ডিসপ্লেতে দেখতে পারবে।

---

🌤️ DHT11 সেন্সরের কাজের সীমা

এটি 0°C থেকে 50°C পর্যন্ত তাপমাত্রা মাপতে পারে।

এটি 20% থেকে 90% RH পর্যন্ত আর্দ্রতা মাপতে পারে।

এটি 3.3V থেকে 5V পাওয়ারে কাজ করে।

খুবই কম বিদ্যুৎ খরচে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে।

---

💡 কোথায় ব্যবহার হয়

এই সেন্সরটি অনেক কাজে লাগে, যেমন—

ঘরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাপা,

Weather Station বা আবহাওয়া মাপার যন্ত্রে,

Smart Home System-এ, যেখানে তাপমাত্রা অনুযায়ী ফ্যান বা হিটার চালু হয়,

IoT (Internet of Things) প্রজেক্টে,

Greenhouse বা গাছের ঘরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে।

---

🧾 সংক্ষেপে বলা যায়

DHT11 সেন্সর হলো একটি ছোট কিন্তু দরকারি ইলেকট্রনিক ডিভাইস,
যা খুব সহজে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মেপে সেই তথ্য তোমার প্রজেক্ট বা যন্ত্রে পাঠিয়ে দেয়।
তুমি যদি Arduino বা ESP32 দিয়ে প্রজেক্ট বানাতে চাও — যেমন আবহাওয়া মনিটর, স্মার্ট ঘর, বা স্বয়ংক্রিয় ফ্যান নিয়ন্ত্রণ — তাহলে DHT11 তোমার জন্য দারুণ একটা সেন্সর। 🌡️💧

🔌 2N2222 ট্রানজিস্টর — ছোট যন্ত্র, বড় কাজ!তুমি কি জানো, একটা ছোট্ট যন্ত্রই পারে তোমার Arduino, ESP32 বা Raspberry Pi থে...
15/10/2025

🔌 2N2222 ট্রানজিস্টর — ছোট যন্ত্র, বড় কাজ!

তুমি কি জানো, একটা ছোট্ট যন্ত্রই পারে তোমার Arduino, ESP32 বা Raspberry Pi থেকে মোটর, LED, রিলে— সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে?
ওটার নামই হলো 👉 2N2222 ট্রানজিস্টর 💡

---

⚙️ এটা কী কাজ করে?

2N2222 হলো একধরনের NPN ট্রানজিস্টর, যা ছোট একটা সিগন্যাল দিয়ে বড় কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অর্থাৎ, ছোট ইনপুট → বড় আউটপুট 🔁

তুমি যদি Arduino থেকে শুধু 5V এর ছোট সিগন্যাল পাঠাও,
তবুও 2N2222 দিয়ে তুমি সহজে মোটর বা রিলে চালাতে পারবে।

---

🔋 মূল বৈশিষ্ট্য

টাইপ: NPN BJT

সর্বোচ্চ কারেন্ট: 800mA

সর্বোচ্চ ভোল্টেজ: 40V

পাওয়ার: 500mW

দ্রুত অন/অফ সুইচিং ক্ষমতা

ছোট TO-92 প্যাকেজ — সহজে ব্রেডবোর্ডে বসানো যায়

Arduino, ESP32, Raspberry Pi–এর সাথে একদম কম্প্যাটিবল

---

🧠 কাজের পদ্ধতি

এই ট্রানজিস্টরে তিনটি পিন থাকে 👇
1️⃣ Emitter (E): যেখানে থেকে কারেন্ট বের হয়
2️⃣ Base (B): যেখান দিয়ে ট্রানজিস্টর নিয়ন্ত্রণ করা হয়
3️⃣ Collector (C): যেখানে লোড সংযুক্ত থাকে

Base পিনে সামান্য কারেন্ট দিলে, Collector থেকে Emitter পর্যন্ত বড় কারেন্ট যায়।
এভাবেই এটি সুইচ বা অ্যাম্পলিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

---

💡 কোথায় ব্যবহার করা যায়

রিলে বা মোটর চালাতে

LED বা লাইট নিয়ন্ত্রণে

সিগন্যাল অ্যাম্পলিফায়ার হিসেবে

রোবট বা IoT সার্কিটে

সেন্সর ইন্টারফেসিং প্রজেক্টে

---

🧾 সংক্ষেপে

নাম 2N2222

ধরন NPN ট্রানজিস্টর
কাজ সুইচ ও অ্যাম্পলিফায়ার
কারেন্ট সর্বোচ্চ 800mA
ভোল্টেজ সর্বোচ্চ 40V
ব্যবহার মোটর, রিলে, LED, সেন্সর সার্কিট

---

🔧 এক কথায়:
👉 ছোট Base সিগন্যাল দিলেই বড় লোড চালানো যায়!
তাই 2N2222 হলো ইলেকট্রনিক্স শিখতে বা DIY প্রজেক্টে একদম অপরিহার্য জিনিস! 💥

VS1838B IR Receiver SensorVS1838B হলো একটি ছোট আকারের ইনফ্রারেড (IR) সেন্সর, যা রিমোট কন্ট্রোলের সিগন্যাল ধরতে ব্যবহৃত হ...
14/10/2025

VS1838B IR Receiver Sensor

VS1838B হলো একটি ছোট আকারের ইনফ্রারেড (IR) সেন্সর, যা রিমোট কন্ট্রোলের সিগন্যাল ধরতে ব্যবহৃত হয়। টিভি রিমোট, ফ্যান রিমোট বা অন্য যেকোনো 38kHz ফ্রিকোয়েন্সির রিমোটের সিগন্যাল এটি সহজেই গ্রহণ করতে পারে। তাই এটি দিয়ে রিমোট দিয়ে লাইট অন/অফ করা, রোবট নিয়ন্ত্রণ করা, বা স্মার্ট হোম প্রজেক্ট তৈরি করা যায়।

এই সেন্সরটি Arduino, ESP32, NodeMCU, Raspberry Pi—সব প্ল্যাটফর্মেই কাজ করে। রিমোটের সিগন্যাল পাওয়ার পর এটি একটি ডিজিটাল আউটপুট দেয়, যা প্রোগ্রাম করে সহজেই শনাক্ত করা যায়।

---

🔹 মূল বৈশিষ্ট্য

মডেল: VS1838B

চলবে: 3.3V থেকে 5V পর্যন্ত

ফ্রিকোয়েন্সি: 38kHz (বেশিরভাগ টিভি রিমোট এই ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে)

আউটপুট: ডিজিটাল (সিগন্যাল পেলে LOW হয়)

রিসিভ রেঞ্জ: প্রায় ৮–১০ মিটার পর্যন্ত

বিশেষত্ব: কম বিদ্যুৎ খরচে ভালো সিগন্যাল রিসিভ করে

অন্তর্নির্মিত ফিল্টার সার্কিট আছে, তাই নয়েজ কম হয়

সহজে ব্যবহারযোগ্য: Arduino, ESP32, NodeMCU, Raspberry Pi ইত্যাদির সঙ্গে

---

🔸 কোথায় ব্যবহার করা যায়

রিমোট কন্ট্রোল প্রজেক্ট

হোম অটোমেশন সিস্টেম

টিভি রিমোট বা অন্য রিমোটের সিগন্যাল পড়া

রিমোট-নিয়ন্ত্রিত রোবট

IR শেখার বা পরীক্ষার ডিভাইস

---

💰 আনুমানিক দাম: ২০–২৫ টাকা (প্রতি পিস)

12/10/2025

বাড়ি নির্মাণে যাদের বাজেট খুবই সীমিত, তাদের জন্য আমাদের কিছু পরামর্শ

🏠 আরেকজন দারুণ ডিজাইনে বাড়ি করেছে কিংবা ফেসবুক ইউটিউবে দারুণ একটা বাড়ির ডিজাইন পছন্দ হয়েছে, সেভাবেই নিজের বাড়ি করতে হবে এমন চিন্তা বাদ দিন।

🏠 ইউটিউবে একটা বাড়ির ছবি দেয়া আছে, সেখানে তারা বলছে ৬ লক্ষ টাকায় এমন ১ তলা বাড়ি হবে এমন সব বিজ্ঞাপন দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাড়ি করবেন না। ওগুলো শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন। এইসব বিজ্ঞাপন মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়, যা বাস্তবের সাথে কোন মিল থাকেনা।

🏠 ১ তলা বাড়ি করতেই আপনি হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে ৩ তলার ফাউন্ডেশন দিয়ে ১ তলা বাড়ি করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ভবিষ্যতে সন্তানের জন্য অতিরিক্ত ফাউন্ডেশন দিয়ে রাখবেন, এটা একটা ভুল চিন্তা ভাবনা। আপনার সন্তানের যখন এই ১ তলা বাড়িতে বাকি ২ তলা করার সামর্থ্য হবে ততদিনে এই বাড়ির মেয়াদ অর্ধেকটাই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে। তার সময়ে এই বর্তমানের বাড়ির ডিজাইন তার কাছে পুরাতন হয়ে যাবে। সে তার মতো করে চিন্তা করবে। তার ব্যবস্থা তাকে করতে দিন। নাহলে ফাউন্ডেশনের ঐ অতিরিক্ত টাকা আজীবন মাটির তলেই থেকেই যাবে।

🏠 আপনার কাছে সম্পূর্ণ বাড়ি করার টাকা নেই, তাহলে কিছু কিছু করে কাজ শেষ করুন। প্লাস্টার বাদ দিন, ইটের গায়ে পয়েন্টিং করে রাখুন। ফ্লোরে টাইলস এর চিন্তা বাদ দিন। পরে টাকা হলে প্লাস্টার করুন। সুযোগ তো থাকেই। ৩ রুমের দরকার? আপাতত ২ রুমই নাহয় করুন, পরে আরেক রুম!

🏠 ঘরের মেঝে পাকা করা বাদ দিন। মাটির ফ্লোরই হোকনা? টাকা হলে মেঝে পাকা করুন। নিজের বাড়িই তো! আরেকজন কি মনে করবে এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মাটির সাথে ১/২ বস্তা সিমেন্ট মিশিয়ে দিন, ভালো ফলাফল পাবেন।

🏠 কোন ইঞ্জিনিয়ার, মিস্ত্রি, ফেসবুক কিংবা বিখ্যাত ঠিকাদার বাড়ির খরচ ১০ লক্ষ হতে পারে বলেছে? এগুলো সবই কিন্তু আনুমানিক। একটা বাড়ির সকল প্রকার ডিজাইন ও বাড়িতে ব্যবহার হবে এমন প্রতিটি মালামালের নাম, পরিমাণ ও বাজার মূল্যে এস্টিমেট করুন। তাহলেই সঠিক খরচ জানতে পারবেন।

🏠 ইঞ্জিনিয়ার আর্কিটেক্টকে দিয়ে ডিজাইন করালে তো তারা অনেক টাকা দাবী করে। এই টাকাটা বাঁচাতে নিজেরা মাঝেমধ্যে ডিজাইন করেন, নেট থেকে অন্যের বাড়ির ডিজাইন নামিয়ে বাড়ি করছেন। এতে লস আপনারই হয়। কেন হয়? একজন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার ও আর্কিটেক্টকে যদি আপনি আপনার চাহিদা ও বাজেট বলে থাকেন, তিনি আপনাকে সেভাবেই ডিজাইন করে দিবে। ফলে বাজেটের ভিতরেই বাড়ি হবে। অতিরিক্ত অর্থের অপচয় এতে রোধ হয়। এখন আপনি যদি ১০ হাজার টাকায় অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার আর্কিটেক্ট দিয়ে ভালো মানের ডিজাইন চান তাহলে তো আর হবেনা। একটা ভালো ডিজাইন করতে ১০/২০ হাজার বেশি গেলেও আপনার বাড়তি খরচটা রোধ হয়, ভালো মানের ডিজাইন হয়। ১৫/২০ লক্ষ টাকা খরচ করে একজন আর্কিটেক্ট পড়ালেখা করেছেন ৫০০ টাকায় একটা থ্রিডি ডিজাইন করে দেবার জন্য নয়। হ্যাঁ ২০০ টাকাতেও আর্কিটেক্ট পাবেন। দর্জির কাজ মুচি দিয়ে করালে যাহয় তেমন হবে আর কি!

🏠 অনেকেই তো একটা বাড়ির ফ্লোর প্লান এবং সামনের একটা থ্রিডি ডিজাইন পাইলেই মনে করেন যাক বাবা আমি সব ডিজাইন পেয়ে গেছি। কিন্তু একটা টিনের বাড়ির জন্যেও যে ১৫/২০ পাতার ডিজাইন দরকার তা আপনি আসলে জানেন না। একটা ৪/৫ তলা বাড়ির ডিজাইন ৮০/১০০ পাতা হয়।

🏠 টাকা বাঁচাতে ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং ডিজাইন করছেন না এতে ক্ষতি কার? আপনার। ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং ডিজাইন মিস্ত্রির উপর ছেড়ে দিচ্ছেন। আপনার বাড়ির ইলেকট্রিক্যাল লোড কত হবে, কোন কাজে কোন ধরণের ক্যাবল ব্যবহার হবে তা কি আপনার মিস্ত্রি হিসাব করে কাজে ব্যবহার করছে? সে তার মুখস্থ বিদ্যার প্রেক্ষিতে এগুলো করছে। স্যানিটারি ডিজাইনের ব্যাপারেও তাই। যেখানে ৪ ইঞ্চি পাইপে কাজ হবে সেখানে আপনি ৬ ইঞ্চি পাইপ ব্যবহার করে খরচ বাড়াচ্ছেন।

🏠 কোন ক্যাবল বা পাইপ কোনদিক থেকে টানলে আপনার খরচ কম হবে এটার সঠিক ডিজাইন ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং ডিজাইনে থাকে। এতেই তো অনেক টাকার খরচ সেইভ হয় আপনার।

🏠 পর্যাপ্ত টাকা নেই, রঙ করা বাদ দিন।

🏠 সেগুন কাঠের দরজা দিতে হবে, এমন কোন হাদিস নেই।

🏠 থাই গ্লাস দিতেই হবে এমনও কোন নিয়ম নেই। জানালার কাজ হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী এমন বহু কিছুই আছে। এগুলো ব্যবহার করুন। এগুলো নিজেই চিন্তা করে বের করুন। সবকিছুতে ফেসবুক ইউটিউব নয়।

🏠 বাড়িতে পুরাতন কিছু যদি নতুন বাড়িতে ব্যবহার করার মতো থাকে, প্রয়োজনে তা ব্যবহার করুন।

🏠 শোনেন, বর্তমানে ১০/১২ লক্ষ টাকায় ২/৩ রুমের পূর্নাংগ ১ তলা, ১০/২০ লক্ষ টাকায় ২ তলা বাড়ি হয়না।

🏠 আপনার বাজেট যদি ৪/৫ লক্ষ টাকা হয় তাহলে ২/৩ রুমের সাধারনভাবে সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি হবে।

🏠 ২০/২২ বছরের অভিজ্ঞতায় অনেক মানুষকে শুধুমাত্র ভুল পরিকল্পনা এবং ২০ হাজার টাকা ডিজাইন চার্জ বাঁচাতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার গচ্চা দিতেও দেখেছি। ১ কোটি টাকার বাড়ি করবে, অথচ ৫০ হাজার টাকা ডিজাইন চার্জ দিতে গেলেও অনেক বাড়ির মালিক মনে করেন "এই ইঞ্জিনিয়ার আমার বাড়ি করার সব টাকা নিয়ে গেলো।" অনেকে বলে থাকেন, অমুক আমার কাছে ডিজাইনের জন্য ১০ হাজার চেয়েছে আপনি ৩০ হাজার চাইছেন কেন? ভাই, আপনি কি জানেন এমন ভুরিভুরি ইঞ্জিনিয়ার আছে যারা আপনার ২ তলা বাড়ির ডিজাইন করতেও ২ লক্ষ টাকা ডিজাইন চার্জ চাইবে, সেটাতো আর বলেন না আপনি! ১০০০ টাকাতেও ক্যামেরা মোবাইল পাওয়া যায়, ১ লক্ষতেও কিন্তু ক্যামেরা মোবাইল পাওয়া যায়। জিনিস যেটা ভালো দাম তার সবসময় একটু বেশিই হয়।

🏠 ৫/১০ হাজার টাকায় যারা বাড়ির ডিজাইন করে, তাদের ডিজাইনের মান নিয়ে আমি সন্দেহ প্রকাশ করি। সস্তা কোনকিছুই ভালো না। সেদিন একজন গ্রাহক আমাকে দেখালেন একজন ইঞ্জিনিয়ার ২৫ হাজার টাকায় একটা ৩ তলা বাড়ির সকল প্রকার ডিজাইন করে দিবেন এবং ইঞ্জিনিয়ারকে যখন ডাকবেন তখন তিনি সাইট ভিজিট করবেন, তাও ঐ ২৫ হাজার টাকাতেই। যে ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে কোয়ালিটি আছে তিনি কখনও এতো সস্তা হননা।

🏠 বাড়ির ফ্লোর প্লান ও বাইরের ডিজাইন কেমন হবে এই কাজগুলি করার দায়িত্ব আর্কিটেক্ট এর, কোন ইঞ্জিনিয়ারের নয়। কিছু ইঞ্জিনিয়ার এগুলো পারলেও আর্কিটেক্ট এর মতো তিনি পারবেন না, কারন আর্কিটেক্ট এই কাজেই পারদর্শী। আবার আর্কিটেক্টও কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারের কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানেন না। ইঞ্জিনিয়ারের কাজ ফাউন্ডেশন, কলাম, বীম, ছাদ ইত্যাদি নিয়ে।

🏠 ৮০% মানুষ জীবনে একবারই বাড়ি করে। সুতরাং আবেগ থেকে নয়, বিবেক দিয়ে বাড়ি করুন।

🏠 ঋণ যাতে না করতে হয়, পকেটে যেটুকু আছে সেটুকুতেই যদি টিনের বাড়িও হয় তাই করুন।

🏠 টিনের বাড়িতে গরম বেশি? টিনের উপর তার দিয়ে একটু উঁচু করে মাচা তৈরি করে শাক সবজি লাগিয়ে নিন।

🏠 ১ তলা ফাউন্ডেশনে ২ ফুট গর্ত করতে হয়, ৪ টা ১২ মিলি রড দিতে হয় এমন কোন মুখস্থ বিদ্যা আবিষ্কার হয়নি। আপনার জমির মাটির ধরন,কলাম থেকে কলামের দূরত্ব, বাড়িটির মোট ওজন কত এগুলো বের করেই একজন ইঞ্জিনিয়ারের ডিজাইন করার কথা। টাকার জন্য অথবা সস্তা পারিশ্রমিকের জন্য বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ার সঠিক ওজন হিসাব না করে আগে করা আছে এমন একটা ডিজাইন আপনাকে ধরিয়ে দিচ্ছে। আর আপনি ভাবছেন ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করিয়েছি, আমার বাড়ি তো ভালোই!

🏠 সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে, ঋণ করে একটা বাড়ি করলেন। আপনার বাড়ি ধ্বংস হতে একটা মাঝারি ধরণের ভূমিকম্পই যথেষ্ট। হ্যাঁ, ভূমিকম্প তো আল্লাহর সৃষ্টি, সেখানে ইঞ্জিনিয়ার কি করবে? না। আল্লাহ না চাইলে পৃথিবীর কেউ টিকে থাকবেনা। কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা নির্ধারণ করার জন্য। তিনি আপনাকে এটা বলেননি, চলন্ত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে আল্লাহ সাহায্য করবে কিনা সে পরীক্ষা দিতে।

🏠 আপনার সব ইচ্ছা একজীবনে পূরন হবে এমন কোন নিয়ম নেই। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়ি করুন, অন্যের ডিজাইন দেখে নয়।

11/10/2025

গবেষণা ও একাডেমিক কাজকে সহজ করতে Win + R কমান্ডগুলোর ব্যবহার শিখুন!

যারা নিয়মিত রিসার্চ বা একাডেমিক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য Windows-এর Win + R (Run command) একটি অত্যন্ত কার্যকর ফিচার। এই কমান্ডগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে প্রয়োজনীয় সিস্টেম টুল, ফোল্ডার বা সেটিংস চালু করা যায়। এতে সময় বাঁচে, কাজের গতি বাড়ে এবং গবেষণা বা লেখালেখির কাজ আরও সহজ হয়। নিচে প্রয়োজনীয় কিছু Run কমান্ডের তালিকা তুলে ধরা হলো —

💻 ফাইল ও ইউজার ফোল্ডার

explorer – ফাইল এক্সপ্লোরার চালু করে

%userprofile% – ইউজার প্রোফাইল ফোল্ডার খুলে

%appdata% – ইনস্টল অ্যাপ্লিকেশনের সেটিংস ফোল্ডার
– বর্তমান ইউজারের হোম ফোল্ডার
. – Root ইউজার লিস্ট

recent – সম্প্রতি খোলা ফাইল ও ফোল্ডার

💻 ইউটিলিটি টুল

notepad – টেক্সট লেখার জন্য নোটপ্যাড খুলে

write – সাধারণ লেখার জন্য WordPad চালু করে

mspaint / pbrush – ছবি আঁকা বা এডিট করার Paint ওপেন করে

calc – ক্যালকুলেটর চালু করে

snippingtool – স্ক্রিনশট নেওয়ার টুল খুলে

osk – পর্দায় ভিজ্যুয়াল কীবোর্ড চালু করে

💻 সিস্টেম চেক ও স্পেসিফিকেশন

dxdiag – গ্রাফিক্স, সাউন্ড ও RAM সম্পর্কিত তথ্য

msinfo32 – সিস্টেম কনফিগারেশন

winver – উইন্ডোজের বর্তমান ভার্সন ও বিল্ড নাম্বার

cmd – Command Prompt চালু করে

powershell – PowerShell টার্মিনাল চালু করে

💻 ক্লিনআপ ও পারফরম্যান্স বুস্ট

cleanmgr – ডিস্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে

%temp% / temp – টেম্পোরারি ফোল্ডার খুলে temporary ফাইল ডিলিট করে

prefetch – পুরোনো অ্যাপ লোড ফাইল ক্লিয়ার করে সিস্টেম দ্রুত করে

msconfig – স্টার্টআপ ও বুট কনফিগারেশন

scandisk – হার্ডড্রাইভ স্ক্যান করে ত্রুটি খুঁজে সমাধান করে

defrag – হার্ডড্রাইভ Defragment করে স্পিড বাড়ায়

💻 সেটিংস ও ইউটিলিটি

control – ক্লাসিক কন্ট্রোল প্যানেল খুলে সব সেটিংস এক জায়গায় দেখায়

appwiz.cpl – সফটওয়্যার আনইনস্টল অপশন

services.msc – পিসিতে চালু থাকা সার্ভিসগুলো স্টার্ট/স্টপ ম্যানেজ

taskmgr – Task Manager চালু করে

regedit – সিস্টেমের রেজিস্ট্রি এডিট করার টুল

sysedit – বিভিন্ন সিস্টেম কনফিগারেশন ফাইল একসাথে এডিট করতে দেয়

cliconfg – SQL Server/ODBC নেটওয়ার্ক সেটিংস কনফিগার করার টুল

mobsync – ওয়েব কনটেন্ট অফলাইনে সিঙ্ক বা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়

sfc – সিস্টেম ফাইল স্ক্যান করে ক্ষতিগ্রস্ত ফাইল ঠিক করতে ব্যবহার হয়

hwinfo /ui – HWiNFO সফটওয়্যার থাকলে বিস্তারিত হার্ডওয়্যার তথ্য দেখায়

💻 নেটওয়ার্ক ও ব্রাউজার

ncpa. cpl – নেটওয়ার্ক কানেকশন (Wi-Fi/LAN) সেটিংস খুলে

inetcpl. cpl – ব্রাউজার ও ইন্টারনেট অপশন কনফিগার

ping google. com – ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে

ftp – FTP সার্ভারে ফাইল আপলোড/ডাউনলোডের জন্য কমান্ড লাইন টুল

chrome – Google Chrome ব্রাউজার চালু করে (ইনস্টল থাকলে)

---------------

29/09/2025

জীবনে কিছু কিছু জিনিস ফিরিয়ে আনা যায় না।
যেমন ফেলে আসা সময়
বলে ফেলা কথা
আর হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস
গাছের কাঁটা থেকে মাছের কাঁটা যেমন মারাত্মক
তেমনি বাইরের মানুষের থেকে
আপন মানুষের হিংসা বেশি ভয়ংকর!

📱 আমার বানানো ব্লুটুথ কন্ট্রোল অ্যাপআসসালামু আলাইকুম সবাইকে,আজকে আমি আমার নিজের বানানো একটা অ্যাপ এবং সিস্টেম নিয়ে লিখবো...
28/09/2025

📱 আমার বানানো ব্লুটুথ কন্ট্রোল অ্যাপ

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে,
আজকে আমি আমার নিজের বানানো একটা অ্যাপ এবং সিস্টেম নিয়ে লিখবো। এটা আমি মূলত নিজের পারসোনাল ইউজের জন্য বানালেও, চাইলে যে কেউ বাস্তব জীবনে ব্যবহার করতে পারবে। বাইরে থেকে দেখতে সিম্পল মনে হলেও, ভেতরে এর মধ্যে অনেক প্রসেসিং আর সিকিউরিটি ফিচার কাজ করছে।

---

🛠️ অ্যাপটার মূল কাজ কী?

এই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার বাসার ইলেকট্রিক ডিভাইস (যেমন— এসি, ফ্রিজ, টিউব লাইট, ফ্যান, টিভি ইত্যাদি) মোবাইল ফোন থেকে অন/অফ করতে পারবেন।
👉 অর্থাৎ, আপনার হাতের মোবাইলই হবে রিমোট কন্ট্রোল।

এই কাজের জন্য লাগবে:

1. Arduino বোর্ড (UNO/Nano যেকোনোটা হতে পারে)

2. Bluetooth মডিউল (HC-05/HC-06 টাইপ)

3. Relay Module (ডিভাইস কন্ট্রোলের জন্য)

4. মোবাইল ফোন + আমার তৈরি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

---

🚀 অ্যাপ চালু হলে কী হয়?

1. অ্যাপ চালু করলে প্রথমেই একটা ডায়ালগ বক্স আসবে।

2. সেখানে আশেপাশে থাকা সব ব্লুটুথ ডিভাইস দেখাবে।

3. আপনি আপনার ডিভাইস সিলেক্ট করলে অ্যাপ নতুন স্ক্রিনে নিয়ে যাবে।

4. নতুন স্ক্রিনে থাকবে অনেকগুলো সুইচ (Switch Buttons) আর একটা টেক্সট ইনপুট ফিল্ড।

---

🔐 কেন টেক্সট ইনপুট রাখলাম?

সুইচ দিলেই তো কাজ হয়ে যেত—কিন্তু আমি চাইনি যে, অ্যাপ হাতে পেলেই যে কেউ আপনার ঘরের ডিভাইস কন্ট্রোল করতে পারে। এজন্যই টেক্সট ইনপুট (Password Input) রেখেছি।
👉 কোনো ডিভাইস চালাতে হলে আগে নির্দিষ্ট কোড লিখতে হবে। কোড না দিলে সুইচ কাজ করবে না।

---

🆕 প্রতিটি বাটনে আলাদা সিকিউরিটি সিস্টেম

প্রতিটি সুইচের সাথে আলাদা কোড আছে।
👉 এখন ধরুন, আপনি টিভি অন করতে চান।

আগে টিভির সুইচ অন করবেন।

তারপর ৫ সেকেন্ড ধরে রাখবেন।

তখন একটা পাসওয়ার্ড শো করবে।

সেই পাসওয়ার্ড ইনপুট বক্সে লিখলেই টিভি অন হবে।

ঠিক একইভাবে,

টিভি অফ করতে হলে আগে অফ বাটনে যাবেন → ৫ সেকেন্ড ধরে রাখবেন → অফ কোড আসবে → ইনপুট দিলে ডিভাইস অফ হবে।

👉 মানে, প্রতিটি মুডের (ON/OFF) জন্য আলাদা কোড সিস্টেম আছে।
এতে সিকিউরিটি অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

---

⚡ Arduino কীভাবে কাজ করে?

Arduino হলো একটা ছোট্ট মাইক্রোকন্ট্রোলার বোর্ড।
এতে আমরা কোড লিখে দেই। তারপর সেই কোড অনুযায়ী Arduino কাজ করে।
মোবাইল থেকে যখন আপনি অ্যাপে সুইচ টিপবেন:

1. কমান্ড ব্লুটুথ মডিউলে যাবে।

2. ব্লুটুথ সেটা Arduino-তে পাঠাবে।

3. Arduino বুঝে নেবে কমান্ড কী ("light on" / "fan off")।

4. Arduino রিলে মডিউল চালাবে।

5. রিলে মডিউল আপনার লাইট, ফ্যান, টিভি ইত্যাদি অন/অফ করবে।

👉 সহজভাবে বললে:
Mobile App → Bluetooth Module → Arduino → Relay → Device

---

⚡ ব্লুটুথ মডিউল কানেকশন

ব্লুটুথ মডিউল আর Arduino বোর্ডকে যুক্ত করতে হয় TX আর RX পিন দিয়ে।

Arduino TX → Bluetooth RX

Arduino RX → Bluetooth TX

কিন্তু এখানে সাবধানতা জরুরি:

Arduino TX থেকে ৫ ভোল্ট যায়।

কিন্তু ব্লুটুথ মডিউল নিতে পারে সর্বোচ্চ ৩.৩ ভোল্ট।
👉 তাই আমি একটা ছোট সার্কিট বানালাম (ভোল্টেজ ডিভাইডার) → ২টা রেজিস্টর ব্যবহার করে ভোল্টেজ কমিয়ে প্রায় ৩.৩V করে দিলাম।

---

⚡ রিলে মডিউল কী করে?

Relay Module basically একটা ইলেকট্রিক্যাল সুইচ।

Arduino সরাসরি আপনার AC (220V) লাইট/ফ্যান কন্ট্রোল করতে পারে না।

তাই Arduino → Relay Module → Electric Device
👉 Arduino রিলেকে শুধু ছোট সিগন্যাল পাঠায়।
Relay তারপর মেইন পাওয়ার লাইন কেটে/যোগ করে ডিভাইস অন/অফ করে।

---

🧑‍💻 অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রসেস

আমি অ্যাপটা তৈরি করেছি Android Studio দিয়ে (Java/XML)।

Bluetooth Connection এর জন্য BluetoothAdapter আর BluetoothSocket ব্যবহার করেছি।

UI তে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য Switch দিয়েছি।

প্রতিটি Switch এ OnClickListener + LongClickListener দিয়ে ৫ সেকেন্ড সিকিউরিটি সিস্টেম যুক্ত করেছি।

টেক্সট ইনপুট চেক করার জন্য if-else condition ব্যবহার করেছি।

সব কোড ক্লিন রাখার চেষ্টা করেছি।

---

🎯 কেন এই প্রোজেক্ট?

এই কাজটা করতে গিয়ে বুঝেছি—
👉 বাইরে থেকে জিনিসটা জটিল মনে হলেও, আসলে ধাপে ধাপে করলে অনেক সহজ হয়ে যায়।
👉 ছোট ছোট জিনিস শিখেছি—

রেজিস্টরের হিসাব

ভোল্টেজ কিভাবে ভাগ হয়

সিরিয়াল কমিউনিকেশন কিভাবে কাজ করে

অ্যাপ ও হার্ডওয়্যার একসাথে কীভাবে সিঙ্ক হয়

সব মিলিয়ে, এই প্রোজেক্ট শুধু একটা ফান প্রোজেক্ট না—বাস্তবেও কাজে লাগানো যায়।

---

💡 ভবিষ্যতের প্ল্যান

আমি চাই এই প্রোজেক্টকে আরও আপগ্রেড করতে। যেমন—

শুধু ব্লুটুথ না, WiFi/Internet দিয়ে নিয়ন্ত্রণ

অ্যাপে ভয়েস কন্ট্রোল যোগ করা (যেমন "Turn on fan")

অ্যাপে Timer System রাখা (যেমন রাত ১০টায় লাইট অটোমেটিক অফ)

অ্যাপের UI আরও সুন্দর করা

---

🔚 শেষ কথা

আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে—
👉 নিজের হাতে তৈরি জিনিস দিয়ে ঘরের কাজ সহজ করতে পারছি।
👉 সিকিউরিটি সিস্টেম থাকার কারণে অন্য কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারবে না।
👉 শিখতে শিখতে একটা বাস্তব কাজের জিনিস তৈরি হলো।

ছোট মনে হলেও ভেতরে অনেক বড় কাজ করছে এই সিস্টেম।
বাস্তবেই “Technology for Life” এর একটা ছোট্ট উদাহরণ।

---

আলহামদুলিল্লাহ 🙏আজ আমি নিজের তৈরি করা অ্যাপস ব্যবহার করে লাইট ও মোটর কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি।এটা আমার জন্য একটা বড় আনন...
26/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ 🙏
আজ আমি নিজের তৈরি করা অ্যাপস ব্যবহার করে লাইট ও মোটর কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি।
এটা আমার জন্য একটা বড় আনন্দের মুহূর্ত, কারণ শুরু থেকে নিজেই পরিশ্রম করে এই অ্যাপ তৈরি করেছি।

🔹 নিজের অ্যাপ → নিজের নিয়ন্ত্রণ
🔹 লাইট অন/অফ → সফল
🔹 মোটর কন্ট্রোল → সফল

ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এই অ্যাপকে আরও উন্নত করে আরও অনেক ফিচার যোগ করবো, যাতে সবার উপকারে আসে। 🌸

Address

Bhola Nagar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Siam Lifestyle posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share