23/07/2025
বিষ্ণুপুরাণে বর্ণনা থেকে জানা যায় ৮৪ লক্ষ রকমের জীবযোনির মধ্যে ৮০ লক্ষ জীবযোনি অতিক্রম করার পর মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ করে..🌿
জলজা নবলক্ষাণি স্থাবরা লক্ষবিংশতিঃ🌿
কৃময়ো রুদ্রসংখ্যকাঃ পক্ষিণাং দশলক্ষণম্🌿
ত্রিংশল্লক্ষাণি পশবঃ চতুর্লক্ষাণি মানুষা।।
🩸২০ লক্ষ প্রকার প্রজাতির বৃক্ষ যোনিতে জন্ম হয়। এই যোনিতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। রৌদ্রের তাপ লাগে, ঝড় বৃষ্টির ফলে ডালপালা ভাঙ্গে। শীতকালে সব পাতা ঝরে যায়, কুঠার বা tree cutter দিয়ে ডালপালা বা গাছটাই কাটা হয়। প্রকৃতি বা মনুষ্য জাতি থেকে আরো অনেক প্রকার কষ্ট পায়।
(তুলসী বৃক্ষ হয়ে জন্মানোর পর বৃক্ষ যোনি থেকে মুক্তি ঘটে)।
🩸তারপর ৯ লক্ষ প্রকার প্রজাতির জলচর যোনিতে জন্ম হয়। হাত নেই, পা নেই শুধু দেহ আর মাথা। তবে মাছেরা সামান্য পাখনা দিয়ে বহু গুন ভারী শরীরটাকে বয়ে বেড়ায়। খায় জলজ কীটপতঙ্গ, আগাছা, শ্যাওলা, নোংরা, পচা মাংস আর যা পায়। একজন অন্যজনের মাংস খেয়ে জীবন রক্ষা করে।
(শঙ্খ রূপে জন্ম এবং ভগবানের পূজা অর্চনায় ব্যবহারের পর জলজ জীব যোনি থেকে মুক্তি ঘটে)।
🩸তারপর ১১ লক্ষ প্রকার প্রজাতির কীটপতঙ্গ যোনিতে জন্ম হয়।
(মৌমাছি রূপে জন্ম এবং তার তৈরি মৌচাকের মধু ভগবানের পূজা অর্চনায় ব্যবহৃত হলে কীটপতঙ্গ যোনি থেকে মুক্তি ঘটে)।
🩸তারপর ১০ লক্ষ প্রকার প্রজাতির সরীসৃপ ও পক্ষী যোনিতে জন্ম হয়। তাদের ঘর বাড়ি নেই। গাছে, ফাঁকফোঁকর, গর্তে, কুঠুরিতে বসবাস করেন। কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, পচা গলা খাবার বা দেহাংশ যা পায় তা খায়। এক প্রজাতি অন্য প্রজাতিকে খায়, কখনও স্বপ্রজাতি স্বপ্রজাতিকে ভক্ষন করে। সাধারনত নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়। যখন সন্তান স্বাবলম্বী হয়ে চলাফেরা করতে পারে বা উড়তে পারে, তখন আর ফিরেও তাকায় না। যদি কাক, শকুন বা ঈগল হয়ে জন্মায় তবে অনেক দিন বেঁচে থাকে্ন।
(ডিমের মধ্যে জন্ম হতে হতে ময়ূর রূপে জন্ম এবং তার পালক ভগবানের মাথার চূড়ায় বা তাঁর পূজা অর্চনা বা আরতিতে ব্যবহৃত হলে এই যোনি থেকে উদ্ধার হয়)।
🩸তারপর ৩০ লক্ষ প্রকার প্রজাতির পশু যোনিতে জন্ম হয়। নানা পশু নানা কষ্ট পায়। কোনো পশু হিংস্র পশু দ্বারা আক্রান্ত। কেউ বা লোকালয়ে লুকিয়ে থাকেন। কেউ একে অন্যকে মেরে খায়। কেউবা ঘাস-তৃণ খায়, হাল চষে, গাড়ি টানে। যতো রোগ-শোকই হোক, দিন-রাত মল মূত্রের সাথেই বাস করতে হয়।
(বাঘ, সিংহ, কুকুর, বিড়াল, হায়না, শিয়াল প্রভৃতি জন্ম পার হয়ে গাভী রূপে জন্ম এবং তার থেকে প্রাপ্ত দুধ, মাখন, ঘি ভগবানের সেবায়, ভোগে বা তাঁর পূজা অর্চনায় ব্যবহৃত হলে তার পশু যোনী বা গর্ভ থেকে মুক্তি ঘটে। সুতরাং গো-যোনিতে জন্ম লাভ পশুর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। গো-র শেষ আর পশু জন্ম নেই।)
🩸অবশেষে ৪ লক্ষ প্রকারের প্রজাতির মনুষ্য যোনিতে জন্ম লাভ হয়।