Radio Meghna রেডিও মেঘনা

Radio Meghna রেডিও মেঘনা Radio Meghna 99.0fm is a community FM Radio station facilitated by COAST Foundation Radio Meghna is a community Radio at Char Fassion, Bhola.

বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে বর্ষাকাল ও গ্রামীণ জনপদে এই দুর্ঘটনা বাড়ে। পুকুর, খ...
29/10/2025

বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে বর্ষাকাল ও গ্রামীণ জনপদে এই দুর্ঘটনা বাড়ে। পুকুর, খাল, ডোবা কিংবা বাড়ির পাশের ছোট জলাশয়ও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু অন্যতম প্রধান কারণ। অথচ সামান্য সচেতনতা ও সতর্কতাই এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে।
অভিভাবকদের সচেতন করতে হামিদপুর ৪নং ওয়ার্ডে কিশোরী শ্রোতা ক্লাবের লিডার সহ কয়েকজন নারী কিশোরীর মাঝে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন শ্রোতা ফিডব্যাক অফিসার লাবনী হোসেন। আলোচনায় তিনি বলেন-
শিশুকে কখনোই পানির ধারে একা খেলতে দেওয়া উচিত নয়। ছোট শিশুদের সবসময় অভিভাবক বা পরিবারের বড়দের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে।
বাড়ির আশেপাশের পুকুর, খাল, ডোবা বা কূপের চারপাশে বেড়া দেওয়া জরুরি। পানির ট্যাংক বা ড্রামের মুখও ঢেকে রাখতে হবে।
শিশুর বয়স উপযোগী হলে তাকে সাঁতার শেখানো উচিত। এতে দুর্ঘটনা ঘটলেও বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে।

দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ মাস ব্যাপি টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর...
29/10/2025

দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ

মাস ব্যাপি টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর আজ ১৭তম দিন। আজ মঙ্গলবার চরফ্যাশন দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭তম দিনের টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।
এফডব্লিউ এ সুলেখা সরকার বলেন, আজ দাসকান্দি বিদ্যালয়ে ৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের টীকাদান সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টীকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। টিকা দেওয়ার টার্গেট ছিল ৪৫ জন, ৪৫ জনকেই দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ২দিন ব্যাপী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেরি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অষ্টম ও নবম শ্রেনির যেসকল শিক্ষার্থীরা আজ টিকা নেয়নি তাদেরকেও দেওয়া হবে।

জিন্নঘর ২নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী রোকেয়া বেগম বলেন, টাইফয়েড জ্বরে অধিকাংশ শিশুরা আক্রান্ত হয়। সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন যাতে করে ভাবিষ্যৎ প্রজন্ম সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে।

দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইয়ার উল্যাহ মাস্টার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আজ দাসকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার শিশু-কিশোরকে এই টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা কার্যক্রম চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। চলবে সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকাল ৩.০০ টা পর্যন্ত।

চরফ্যাশনে বেতুয়া নদীবন্দরে নতুন লঞ্চ টার্মিনাল উদ্বোধনচরফ্যাশন উপজেলা আসলামপুর  ইউনিয়নে বেতুয়ায় নতুন লঞ্চ টার্মিনাল উদ্ব...
27/10/2025

চরফ্যাশনে বেতুয়া নদীবন্দরে নতুন লঞ্চ টার্মিনাল উদ্বোধন

চরফ্যাশন উপজেলা আসলামপুর ইউনিয়নে বেতুয়ায় নতুন লঞ্চ টার্মিনাল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রাণালয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ সোমবার সকাল ১২ টায় এক জমকালো আয়োজন ও উদ্বোধনী ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে এই নতুন লঞ্চ টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এই বন্দর উদ্ধোধনের মাধ্যমে চরফ্যাশন, মনপুরাসহ দক্ষিণ বঙ্গের সাথে দেশের আরেকটি বাণিজ্যিক দরজা উম্মোচন হলো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- রাসনা শারমিন মিথি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল, বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পুলিশ সদস্য, সাংবাদিকবৃন্দ, রেডিও মেঘনা ও স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ থাকে যে,২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮শতাংশ জমির উপর তিন তলা বিশিষ্ট আধুনিক এই লঞ্চ টার্মিনাল প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এছাড়াও যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য আরামদায়ক ভিআইপি অয়েটিং রুম,বিশ্রামাগার,রেষ্টুরেন্ট ও যাত্রী নিরাপত্তায় আনসার এবং মনিটরিং ব্যবস্থাপনা রয়েছে ।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে, ফের নদীতে চরফ্যাশনের জেলেরামা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার ...
26/10/2025

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে, ফের নদীতে চরফ্যাশনের জেলেরা

মা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১২টায়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গাছির খাল ও মাইনউদ্দিন ঘাট সংলগ্ন মেঘনার উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জেলেদের ইলিশ ধরার ব্যস্ততা। এ এলাকার বেশিরভাগই লোকজন ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

জেলে কবির মাঝি জানান, এবারের ২২ দিনের অবোরোধ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মেনে চলা হয়েছে। শনিবার মধ্যে রাত হতে মাছ ধরা শুরু হলেও আগামীকাল থেকে নদীতে মাছ ধরতে যাবে। অবরোধ চলাকালীন সরকার থেকে দেওয়া ভিজিএফ চাউল পায়নি কার্ড থাকা স্বত্ত্বেও।

এদিকে ফারুখ মাঝি জানান, পরিবারের অভাবের কারনে অবরোধ চলাকালীন সময়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ১৫ দিন জেলে ছিলেন। জেল থেকে ফিরে এসে আর মাছ ধরতে যায়নি নদীতে। গতকাল শনিবার মধ্যেরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান , মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এবার ৫ শতাংশ মানুষ আইন অমান্য করেছেন। যারা আইন অমান্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা মাছ ধরবে এবং তাদের কাক্সিক্ষত মাছ পাবে বলে আশা করছেন।

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠছে আজ, ঘাটগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততামা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্...
25/10/2025

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠছে আজ, ঘাটগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে চরফ্যাশন উপজেলার হাজার জেলে। মাছ ঘাটগুলোতেও বেড়েছে ব্যস্ততা।
নৌকা জাল মেরামত করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত জেলেরা। অভিযান শেষে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাওয়ার আশা তাদের। ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার গত বছরের চেয়ে মাছের উৎপাদন বাড়ার আশা করছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে দেশের ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন এলাকায় এবং বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল।
আজ মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই চরফ্যাশনের জেলেরা জাল, নৌকা, ট্রলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করে গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।

23/10/2025

ইলিশ সংরক্ষণে ক্ষুদ্র জেলে সম্প্রদায়ের জীবিকার নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে
ইলিশ সংরক্ষণের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন হলেও ক্ষুদ্র জেলেরা তাতে গভীর সংকটে পড়ে। নিবন্ধিত জেলেদের মাত্র ৪৪% সহায়তা পান, কিন্তু অনেক প্রকৃত জেলেই এখনও তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রায় ৭০% ক্ষুদ্র জেলে পরিবার মহাজনের ঋণে নির্ভরশীল। নারী জেলেরা বলেন, শুধু চাল নয়, পাশাপাশি তেল, ডাল ও নগদ সহায়তা প্রয়োজন। প্রকৃত জেলে শনাক্তে অংশগ্রহণমূলক ডিজিটাল তালিকা তৈরি করা জরুরি। সরকারকে শতভাগ অন্তর্ভুক্তি, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ এটা ক্ষুদ্র জেলে সম্প্রদায়ের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জীবিকা, ন্যায্যতা ও মানবাধিকারের প্রশ্ন।
Hilsa Conservation Must Ensure Livelihood Security and Justice for Small-scale Fishers
Fishing bans are vital for Hilsa conservation, but leave small-scale fishers in severe distress. Only 44% of registered fishers receive support, while many genuine ones remain excluded. During ban periods, about 70% depend on high-interest loans from informal moneylenders. Women fishers mentioned that 40 kg of rice is really insufficient. They seek inclusion of oil, lentils, and cash support. Participants urged participatory digital verification to ensure accurate fishers’ lists. Immediate policy action is needed for full coverage, timely support, and alternative income generation and low-interest livelihood loans to uphold the human rights, dignity, and justice of coastal fishers.

মনপুরায় স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত২২ অক্টো...
22/10/2025

মনপুরায় স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় মনপুরা উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে, স্টার্ট নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের (Cyclone Preparedness and Community Resilience Building (CPCRB) Project-II ) প্রকল্পের সমাপনী সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের ভোলা জেলা সহকারি পরিচালক রাশিদা বেগমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক, আশরাফুল ইসলাম-উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী,উপ-প্রকৌশলী-এলজিডি, সাধারণ সম্পাদক, সীমান্ত হেলাল, মনপুরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ সাকুচিয়া, কলাতলী ও হাজীর হাট ইউনিয়নের প্রশাসকনিক কর্তকর্তা, ১০টি সাইক্লোন শেল্টার কাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানীত শিক্ষক মন্ডলী, উপকারভোগী, সাংবাদিক ও জন প্রতিনিধিবৃন্দ।
উক্ত সমাপনী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা সহকারি পরিচালক রাশিদা বেগম। সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন সমন্বয়কারী মোঃ ইউনুছ। তিনি বলেন, স্টার্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সাধারনত দেশে দুর্যোগকালীন সময়ে মানবিক সহায়তা প্রদানে সদস্য সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন কাজ সমূহ আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে করে ঘূর্ণিঝড় হবার আগেই ঝুকিপূর্ণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে।
সভায় শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে মিঃ সুমন দাস প্রধান শিক্ষক, এ আর খান প্রাঃ বিদ্যাঃ, হালিমা খাতুন প্রধান শিক্ষক, সোনার চর সঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ, বিক্রম চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক, দঃ সাকুচিয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ, আবদুল বারি, প্রধান শিক্ষক, ফৈয়েজ উদ্দিন মাঃ বিদ্যাঃ হাজীর হাট, মোঃ জামাল উদ্দিন প্রধান শিক্ষক, সাকুচিয়া মাঃ বিদ্যাঃ ও জন প্রতিনিধি জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন কলাতলী ও মোঃ জামাল উদ্দিন, হাজীর হাট ইউনিয়ন বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশন এ প্রকল্পে স¦চ্ছতা, জবাবদিহিতা বজায় রেখে স্থানীয় কমিউনিটির মতামতের ভিত্তিতে কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন বিধায় কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,জনাব মোঃ ফললে রাব্বি বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশন এ প্রকল্প শুরু করার সময় উপজেলা প্রশাসনের সাথে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলের মতামত গ্রহণ করে কাজ শুরু করেন। এপ্রকল্প চরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করছে। এতে করে চরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জীবনমান উন্নয়নের সহায়ক হচ্ছে। তিনি দুর্যোগকালীন সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানুষের ঘরবাড়ি উন্নত করার জন্য সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

চরফ্যাশনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালিত চরফ্যাশনে আজ ২২ অক্টোবর বেলা ১২.০০টায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে তা...
22/10/2025

চরফ্যাশনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ পালিত
চরফ্যাশনে আজ ২২ অক্টোবর বেলা ১২.০০টায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে তারুণ্যের উৎসব পালিত হয়েছে। তারুণ্যের উৎসব ২০২৫' উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক তরুণদের জন্য একটি নতুন সঞ্চয়ী স্কিম চালু করেছে। এই স্কিমটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে গৃহীত কর্মসূচির একটি অংশ এবং গ্রাহক সেবার অংশ হিসেবে তরুণ উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উক্ত সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারবে শুধু মাত্র ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষ। একজন ব্যক্তি পাঁচটির বেশি এক্যাউন্ট খুলতে পারবে না।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কার্যালয়ের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব সঞ্জয় কুমার দত্ত, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা অঞ্চলের উপ-মহব্যবস্থাপক জনাব দেবদাস সরকার, উপস্থিত ছিলেন বরিশালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক তপন কুমার সরকার,চরফ্যাশন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জনাব মামুন হোসেন, সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা টিএসএম হুদা হাসান, ছাত্র-ছাত্রী, কৃষিব্যাংকের সেবা গ্রহীতা সহ আরো অনেকে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কার্যালয়ের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব সঞ্জয় কুমার দত্ত বলেন, তারুণ্যের উৎসব শুধুমাত্র কৃষি ব্যাংক নয় সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে পালিত করছে। কৃষি ব্যাংক জনগনের ব্যাংক, এই ব্যাংক সরকারের অধীনে চলে। কৃষি ব্যাংকে সকল ধরনের আমানত সুরক্ষিত থাকে এবং এর দায় সরকার সম্পূর্ণ বহন করে থাকে।
তরূণদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন চরফ্যাশন টি.বি ব্যারেট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ধ্রুব বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে সঞ্চয়পত্র খোলা হয়েছে তা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। আমাদের অনেক বাবা-মা স্বচ্ছ স্বচ্ছল পরিবারের না। আমাদের উচিত আংশিক কিছু টাকা জমা রাখা । এতে করে বাবা-মা উপকৃত হবে ও আমরা প্রয়োজনে কাজে ব্যবহার করতে পারবো।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানটি শেষ হয় বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যোদ্ধার স্কুলে পড়–য়া কন্যা সন্তানকে একটি সাইকেল উপহার হিসেবে দেওয়া ও মৎস্য খাতে বাহারউদ্দিন বক্সী ও কাজী মো: এরশাদকে ২ লক্ষ টাকার ঋণের চেক প্রদানের মধ্যে।

চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্যঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপমাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটে (...
22/10/2025

চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্যঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ

মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটে (২৩) বছর বয়সী মো: শাকিল মাঝির সাথে কথা বললে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দশ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে আমরা বেড়ির পাড়ে বসে জাল ও নৌকা মেরামাতের কাজ করে সময় পাড় করছি।
নিষেধাজ্ঞা শুনে যখন ফিরছিলাম তখনই দেখি শত শত ভারতীয় ট্রলার মাছ ধরছে, এরকম প্রতি বছর তারা বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই ভারতীয় জেলেরা আমাদের জলসীমায় যেন প্রবেশ না করে। এমনিতেই এ বছর আবহাওয়া খারাপ ছিল, সাগরে মাছ শিকার করতে পারিনি। ধারদেনা করে চালাতে হচ্ছে আমাদের সংসার।
বেতুয়া নতুন স্লুইজের দোকানদার নূরে-আলম তোতা মিয়াসহ অনেক জেলেরা জানান, আমরা সবসময় অবরোধ মেনে চলার চেষ্টা করি। তবে আমরা তো (কূলে ফিরে ভাতে মরি)। মৌসুমের শুরুতে ইলিশ মাছ না পাওয়ায় আমরা ঋণ শোধ করতে পারেননি। তার ওপর মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর সরকারি সুবিধা আমাদের কাছে পৌঁছাতেও সময় লাগে। এছাড়াও অনেক নিবন্ধিত জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে জানান।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় চরফ্যাশন উপজেলায় ৩৫ হাজার ৩ শত ৮৬ জনকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতে জেলেদের কাঙ্খিত ইলিশ পেতে সহায়তা করবে। তাই তিনি আহ¦ান জানান যাতে জেলেরা এ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে।

২২ অক্টোবর ২০২৫ জাতীয়  নিরাপদ সড়ক দিবস ।   দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ...
22/10/2025

২২ অক্টোবর ২০২৫ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।

ভোলার নাগরিক সমাজের দাবি, ইলিশ রক্ষায় ক্ষুদ্র জেলেদের নিরাপদ জীবিকা এখনই নিশ্চিত করা জরুরি।”শুধু খণ্ডকালীন সহায়তা-নির্ভর...
20/10/2025

ভোলার নাগরিক সমাজের দাবি, ইলিশ রক্ষায় ক্ষুদ্র জেলেদের নিরাপদ জীবিকা এখনই নিশ্চিত করা জরুরি।
”শুধু খণ্ডকালীন সহায়তা-নির্ভর সমাধান নয়, চাই বিকল্প ও টেকসই আয়ের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণ”।

কোস্ট ফাউন্ডেশন আজ ২০ অক্টোবর ২০২৫, রোজ সোমবার, কোস্ট ভোলা সেন্টার, ভোলা সদর, ভোলায় “শুধু খণ্ডকালীন সহায়তা-নির্ভর সমাধান নয়, চাই বিকল্প ও টেকসই আয়ের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণ” শীর্ষক এক সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনত কুমার ভৌমিক, উপ-নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন এর সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপত্বি করেন মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী কোস্ট ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সাধারণ পরিষদের সদস্য, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ভোলা।

বক্তারা বলেন ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় ক্ষুদ্র জেলেদের সরকারি সহায়তা যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া এবং এর কার্যকর তদারকি করা জুরুরি। চাল দেয়া বন্ধ করে মোবাইলে টাকা দেয়া, পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণ ও ভর্তুকি কার্যক্রম সম্প্রসারনের উপর গুরুত্ব দেন। বক্তারা আরও বলেন বর্তমান জেলেদের তালিকা জেলে প্রতিনিধিদের সংগে নিয়ে সংশোধন করতে হবে।

মোসাম্মাৎ রাশিদা বেগম, সহকারী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ভোলার নিবন্ধিত জেলেদের ৬০% প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞাকালীন ২-৩ মাস আয়হীন অবস্থায় থাকে। সরকারি ৪০ কেজি চালের সহায়তা অপ্রতুল এবং বেশিরভাগ সময়ই তা দেরিতে পৌঁছায়।

সনত কুমার ভৌমিক বলেন ইলিশ হলো গভীর পানির মাছ, কিন্তু ডুবু চরের কারনে ইলিশ মাছ নদীতে আসতে বাধাগ্রস্থ হছে, প্রতিবছর ৪.৫%-৫% ইলিশমাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এখনি সরকারকে এবিষয়ে করনীয় নির্ধারন করা প্রয়োজন। জেলে পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে নারী ও যুবকরা বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ছাগল পালন, মাছ চাষ, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, সব্জি চাষ ইত্যাদি করতে পারেন।
জেলে নারী পরিবারের সদস্য রিমা বেগম বলেন সরকারী সহায়তার বেশীরভাগই জেলে নয় এমন পরিবারের কাছে চলে যাচ্ছে। জেলে নারী আকলিমা বেগম বলেন যে নারীরা আয়বর্ধনমূলক কাজের সাথে জড়িত তাদের পরিবারের জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় নদী বা সাগরে মাছ ধরতে যান না।

সাংবাদিক নজরুল হক অনু বলেন মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০কি.মি এবং তেতুলিয়া নদীর সীমানা ১০০কি.মি. এর বাহিরে গিয়ে মাছ ধরলেও অনেক সময় জেলেদের আটক করা হয়।
প্রধান অতিথি মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ভোলা বলেন আমাদের নদীতে একসময় প্রায় ২৬০ প্রজাতির মাছ ছিল এবং সমুদ্রে প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ ছিল, কিন্তু বর্তমানে নদীতে ২৫/২৬ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আমাদের জেলেদের জন্য বৈধ জাল বিতরন করা হচ্ছে, ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য গবাদী পশুপালনের জোর দেন।

মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী বলেন জেলেরা মহাজনি ঋনের কারনে ‍নিজেদের ইচ্ছেমত মাছ বিক্রি করতে পারেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন অজেলেদেরকে তালিকা থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাদ দিতে হবে।

শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের নিরাপদ ও টেকসই বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করুনবরিশাল ১৮ অক্টোবর ২০২৫: মাছ ধরার নিষেধাজ...
20/10/2025

শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের নিরাপদ ও টেকসই বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করুন

বরিশাল ১৮ অক্টোবর ২০২৫: মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জীবিকা সুরক্ষায় ন্যায্য সহায়তা ও বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে বরিশাল প্রেস ক্লাবে কোস্ট ফাউন্ডেশন একটি সেমিনার আয়োজন করে।

এখানে বক্তারা জানান বরিশালের জেলেরা নানাবিধ সমস্যা মোকাবেলা করেন, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার সময় এ অঞ্চলের জেলেরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করেন, সরকারীভাবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা একদিকে অপ্রতুল যা দিয়ে তাদের ৩০% খরচ মেটানো সম্ভব হয়না, যা দিয়ে তাদের সংসার চলেনা আবার সেই বরাদ্দ সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে না পৌঁছানোর কারণে খুব একটা কাজেও আসে না। জেলেদের বিকল্প আয়ের তেমন কোনো সুযোগ না থাকার কারণে তাদের পরিবারে নারী সদস্যদের ওপর এই চাপ আরও গভীর হয়। আয় কমে গেলে পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার হার বেড়ে যায়, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার সময়ে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী, বরিশালের নদী উপকূলবর্তী এলাকায় ৩৮% জেলে পরিবারের নারী সদস্য নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট ও খাদ্য ঘাটতির ফল।

বরিশাল জেলার নদীভিত্তিক মান্দা বা ভাসমান জেলে সম্প্রদায় হলো সবচেয়ে বঞ্চিত একটি গোষ্ঠী। তাদের কোনো স্থায়ী বসতি বা জমি নেই, অধিকাংশই নদীতে নৌকায় বসবাস করে। সরকারি তালিকায় না থাকায় তারা খাদ্য সহায়তা, জেলে কার্ড বা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা কিছুই পায় না।

মোঃ জহিরুল ইসলাম, জেলা সমন্বয়কারী, কোস্ট ফাউন্ডেশন তার কী নোট উপস্থাপনায় বলেন, বরিশালের জেলেদের ৮৫% নদী বা মোহনা-নির্ভর, যাদের অধিকাংশই ছোট ট্রলার বা কাঠের নৌকায় মাছ ধরেন। কোস্ট ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের মাসিক গড় আয় নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ১৫,০০০ টাকা থেকে নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৩,০০০-৪,০০০ টাকায়। পাশাপাশি সরকার যে চাল সহায়তা দেয়, তা পরিবারপ্রতি গড়ে মাত্র ১০-১২ দিন চলে। ফলে জেলেরা বাধ্য হয় দাদনদার বা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় প্রায় ৬০% জেলে দিনমজুরির কাজে (রিকশা, ভ্যান চালানো, কৃষিশ্রমিক, নৌকা মেরামত ইত্যাদি) যুক্ত হন, ২৫% জেলে ঋণের ওপর নির্ভর করেন, এবং ১৫% জেলে জীবিকার তাগিদে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরেন। এতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়লেও জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছে না।

সনত কুমার ভৌমিক, উপ-নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন বলেন,সরকারকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগেই প্রতিটি নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি চাল ও ৮ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে এবং অন্তত একজন সদস্যের জন্য বিকল্প আয়ভিত্তিক কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, যুব মৎস্যজীবীদের জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ ও বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি ছোট নৌকায় (খাল ও নদীতে) বসবাসকারী মান্দা সম্প্রদায়কে জেলে কার্ড প্রদান ও নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখার আহবান জানান। তিনি সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।

মোঃ জসিম উদ্দিন-সর্দার মান্তা জেলে জনগোষ্ঠী বলেন “জাতীয় পরিচয় হিসেবে আমাদের অনেকের এখনো জাতীয় আইডি কার্ড প্রদান করা হয় নাই, কোস্ট গার্ড এর স্পীডবোট গেলে ঢেউয়ে নৌকায় থাকা রান্না খাবার পড়ে যায়। এছাড়াও মান্তা জেলেদের থাকার জন্য কোনো জায়গা নাই এমনকি মৃত্যুর পরে তাদের কবর দেওয়ার জন্য কোনো কবরস্থান পাওয়া যায় না।”

ইসরাইল পন্ডিত- সভাপতি, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতি বলেন “ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন প্রতিনিধি জেলে জনগোষ্ঠীর তালিকা করেন সেক্ষেত্রে অনেকসময় প্রকৃত জেলে থাকেন না তাই জেলে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই তালিকা করলে প্রকৃত জেলে জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।”

জনাব ইসমত আরা, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বলেন “বিকল্প কাজের ব্যবস্থা শুধু অবরোধকালীন সময়ে না যখন তাদের কাজ থাকবে না তখনকার সময়ের জন্য বিকল্প কাজ দরকার সেজন্য বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা, এছাড়া সুদমুক্ত ঋন এর ব্যবস্থা করা, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সময়মত চাল সরবরাহ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন যে সমাজ সেবা অধিদপ্তরে এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
জনাব মেহেরুন নাহার মুন্নি, উপ-পরিচালক, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বলেন “জেলে সম্প্রদায় এর মধ্যে নারী জেলেরাও কাজ করছেন তার সাথে তাদের সন্তানরাও থাকেন তারা নৌকার ভিতরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন যাহাতে তাদের জীবন ঝুকি থাকে এক্ষেত্রে অনেকসময় তারা ঝড়, বৃষ্টিতে তাদের নৌকাডুবির শঙ্কা থাকে, তাই তাদের নিরপত্তা খুবই জরুরী।

মাইনুদ্দিন- চীফ পেটি অফিসার কোস্টগার্ড বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন অবরোধ কালীন সময়ে প্রতিটি মা ইলিশ একবারে প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ ডিম পাড়ে তাই এই সময়ে মাছ না ধরার আহবান এবং এই সাময়িক অসুবিধা কালীন সময়ে আমরা বৃহৎ ভাবে উপকৃত হবো অধিক মাছ পেয়ে, তাই সকলের উচিত জেলেদের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে, তাদের খাদ্য ও নিরাপত্তা দেয়া যাতে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন যে সেমিনারে যেসব দাবীগুলো উঠেছে সেগুলো তিনি তার ঊর্ধ্বতন অফিসারদের জানাবেন।

সেমিনারে উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান “গত পাঁচ বছরে ইলিশ আহরণ ৩.৪% হ্রাস পেয়েছে। নারী ও যুবকদের আয়ভিত্তিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা গেলে পরিবারের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সময়মতো খাদ্য ও অর্থ বিতরণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক আয়ভিত্তিক কর্মসংস্থান, স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা এবং প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের সরকারি কর্মসূচিতে ন্যায্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো মৎস্যজীবী পরিবার ক্ষুধার মুখে না পড়ে।

Address

Char Fassion
Bhola
8340

Opening Hours

Monday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Friday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 12:00
17:00 - 20:00

Telephone

+8801713144155

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Radio Meghna রেডিও মেঘনা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Radio Meghna রেডিও মেঘনা:

Share

উপকূলের কণ্ঠস্বর

www.radiomeghna.net