09/08/2024
ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের গণ-সমাবেশ ও নিহতের স্মরণে দোয়া মাহফিল
ভোলা প্রতিনিধি।। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে ৯দফা দাবি বাস্তায়নে গণ-সমাবেশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা শাখা। আজ শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে শহরের নতুন বাজার চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সহসভাপতি মুফতি ইয়াসিন নবীপুরী মাওলানা ওবায়দ বিন মোস্তফা, সেক্রেটারী
মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুফতী আব্দুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহা. ইউসুফ আদনান, সদর উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রব, দৌলতখান উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবু সাইদ আব্বাসী, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আঃ রহমান চৌধুরী, ছাত্র নেতা মুহা. আবু জাফর ও হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে খুনি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। জুলুম করলে তার পতন অবশ্যই একদিন না একদিন হবেই। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে এই বিজয়কে এক শ্রেণির লুটেরা ম্লান করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই সকলকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হব।
একই সাথে বর্মান গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পীর সাহেব চরমোনাইর দেয়া ৯দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে গণহত্যার বিচার করতে হবে। একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৬ বছরের সকল হত্যা, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও তাদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। গত ১৬ বছরে সরকারের দুর্নীতি ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। সেই সাথে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপিদের অবৈধ অর্থ সম্পত্তি ক্রোক করতে হবে। এবং বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছে তাদের বিচার করতে হবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। এবং অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পি.আর) চালু করতে হবে। গত ১৬ বছরে শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা ক্ষতি হয়েছে। তাই এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
সমাবেশ শেষে নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাত মাধ্যমে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।