24/05/2025
আদর্শের দ্বন্দ্ব চিরস্থায়ী!
১)
বদরের যুদ্ধে হযরত আবু বকর (রা) এর ছেলে আব্দুর রহমান কুরাইশ দের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, এবং হযরত আবু বকর( রা) এর হয়ে৷
ইসলাম গ্রহণের পর আব্দুর রহমান হযরত আবু বকর কে বলেন, বদরের প্রান্তে আমি কয়েকবার আপনার সামনে পড়েছিলাম কিন্তু আপনি আমার পিতা হওয়াতে আপনি আমাকে হত্যা করেন নি৷
হযরত আবু বকর (রা) বলেন, আব্দুর রহমান! যদি আমি তোমাকে সামনে পেতাম, তবে আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করতাম।
২)
হযরত ইবরাহীম (আ) তার পিতাকে বলেছিল: হে আমার পিতা! আপনি এমন কিছুকে কেন উপাসনা করছেন, যা শুনে না, দেখে না এবং আপনার কোনো উপকারে আসে না?
হে আমার পিতা! আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে যা আপনার কাছে আসেনি। আপনি আমার অনুসরণ করুন, আমি আপনাকে সরল পথ দেখাব।
হে আমার পিতা! আপনি শয়তানের উপাসনা করবেন না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের (আল্লাহর) অবাধ্য।
হে আমার পিতা! আমি ভয় করি, দয়াময়ের পক্ষ থেকে আপনার ওপর কোনো শাস্তি এসে পড়বে, আর আপনি শয়তানের সাথী হয়ে পড়বেন
সে (তার পিতা) বলল: হে ইব্রাহিম! তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছো?
যদি তুমি থেমে না যাও, আমি তোমাকে অবশ্যই পাথর মারব।
৩) বর্তমান সময়ে এই দ্বন্দ্ব চলমান৷ দেখা যাচ্ছে একদল লোক কোনো কিছু হলেই তৌহিদি জনতার সহ, যারা একটু ইসলাম প্রাকটিস করেন তাদের দিকে তেরে আসেন! আবার এ নিয়ে বিভিন্ন চেতনা উঠানো হয়৷ মূলত ঐ সকল প্রশ্ন ঘায়েল করার একটি মাধ্যম মাত্র৷
আবার যখন বিপদে পড়ে তখন আবার ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলে, ঐক্যের বুলি আওড়াতে থাকে৷ এই সকল বুলি মাত্র বিপদ থেকে উদ্ধার হবার মাধ্যম মাত্র৷
বিপদ থেকে উদ্ধার হলে তারা আবার সেই তৌহিদ জনতার ওপর ক্ষেপে যাবে, এবং তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেই চলবে৷
সুতরাং আমাদের এই লড়াই টা হওয়া প্রয়োজন আদর্শিক৷
যেখানে ইব্রাহিম (আ) ঘটনা থেকে বুঝা যায় তার পিতা তাকে মাথর মেরে হত্যা করতে চেয়েছিলো কারণ হলো আদর্শ মিল না থাকা এবং ইব্রাহিম (আ) তাদের উপাস্য দের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷
আবার হযরত আবু বকর( রা) এর ঘটনা থেকে এমন টা বুঝা যায় যে, আদর্শিল লড়াইয়ে পিতা পূত্রের বিপক্ষে যায় আবার পূত্র পিতার বিপক্ষে যায়৷
সেখানে আমাদের বঙ্গ দেশে সকল সংগ্রাম অবশ্যই দুই টা পক্ষ বিদ্যমান একটা হলো ডান পক্ষ অপর টা হলো বাম পক্ষ৷
বাম পক্ষ যাই হোক না কেন, তারা ইসলামকে কখোনো মেনে নিবে না৷ তাদের সাথে আদর্শিক লড়াই থাকবে চিরকাল৷
Send a message to learn more