10/05/2025
📌📌পলাশ শাহার মা, ভাইয়ের সাক্ষাৎকার থেকে যা বুঝলাম, বাচ্চা একটা মেয়েকে বিয়ে করেছেন উনি। মাত্র এইচএসসি পাশ করেছে। অনার্সে ভর্তি করেছেন কিনা তাও ভাই জানেন না৷ অন্যদিকে পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডার। এর আগেও চাকরি করেছেন মাস্টার্স শেষ করার পর। অর্থাৎ বয়সের ব্যবধান অনেক অনেক বেশি।
এই আঠারো কুড়ি বছর বয়সের মেয়ে স্বামীর সাথে রাগারাগি করবে, অকারণ জেদ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমি প্রথমে ভাবছিলাম ঘটনা কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত কেন গেল? মেয়ে এমন আচরণ করে কেন?
তারপর যখন জানলাম বয়স এত কম, তখন আমি আসলে বাকরুদ্ধ। এমনটা তো ও করবেই। এই বয়সের মেয়েরা প্রচন্ড ইমোশনাল হয়। অল্পে রাগে, অল্পেই মোমের মত গলে যায়। কিন্তু বয়সে অতখানি বড় একজন মানুষ ওর এসব ছেলেমানুষি বুঝবে কি করে! এমন ছোট একটা মানুষ একজন এএসপি'র পদমর্যাদা, সোশ্যাল ভ্যালু, কাজের চাপ এসবই বা বুঝবে কি করে! এই এক আসমান ব্যবধান যেটুকুও বা ঘুচতো সেটুকু অসম্ভব হয়ে পড়ে এই মহিয়সী মাতার জন্য। 🙂
এই মাতা তার স্বামী হারিয়েছেন অল্প বয়সেই। যারা স্বামীর ভালোবাসা পায় না, শ্বাশুড়ির দ্বারা নির্যা*তিত হয়, পরবর্তী সময়ে তারা যখন শ্বাশুড়ি হয়, তখন এমন পচা শ্বাশুড়ি হয়। এক্ষেত্রেও ঘটনা তাই।
ঘরদোর দেখে মনে হল, অর্থনৈতিক চাপও তার উপর ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এটা মা - ভাইদের কাছ থেকেই আসতো। বউটাও নিম্নবিত্ত পরিবারের। অর্থাভাবে থাকা মানুষ যখন হঠাৎ টাকার মুখ দেখে তখন সেটার ভাগ কাউকে দিতে চায় না। বউটাও হয়ত চাইতো না।
অতএব অশান্তি চরমে। ভাইজান বিয়ে করেছেন কচি বউ। অথচ রোমান্সের সুযোগ নেই। মা অন্তপ্রাণ ছেলে মাকেও কিছু বলতে পারতো না। অশান্তির চরম থেকে চরমে উঠেছে কেবল। দুদণ্ড শান্তি মা কিংবা বউ কেউ দিতে পারেনি। অন্তত একটা পক্ষে প্রশান্তির শীতল ছায়া পেলে মানুষটা বেঁচে যেত। সুন্দর একটা জীবন হতে পারতো। কি বলব! কেবল কষ্টই হচ্ছে। 😒
মাকে দেখা যাচ্ছে। উনি সন্তান হারিয়েছেন। অপূরণীয় ক্ষতি। তবু উনার আরো সন্তান জীবিত রয়েছে। উনার খেয়াল রাখার মানুষ আছে। কিন্তু মামা বাড়িতে মানুষ হওয়া এই বাচ্চা মেয়েটা কি বুঝতে পারছে ও কী হারিয়েছে? ও কি বুঝতে পারছে কত বড় ক্ষতি ওর হয়ে গেছে? ভাবছি কেবল।
আচ্ছা, পলাশ ভাই যদি অন্যভাবে মা*রা যেত? তখন কি এই মেয়েটাকে আমরা দেখতে পেতাম? হয়ত পেতাম। কিন্তু তখনও ও শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু পেত কি? মনে হয় না। এজন্যই বোধয় স্বামীকে স্পষ্ট করে লিখে যেতে হয়েছে স্বর্ণ বউয়ের।
এই ঘটনা থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক কিছু শেখার আছে। যেতে যেতে পলাশ ভাই অনেক কিছু শিখিয়ে গেলেন।
#