28/05/2025
জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত :
💐জিলহজ্ব রিমাইন্ডার 💐
রমাদানের পর আমাদের অনেকেরই প্রোডাক্টিভনেস হারিয়ে গিয়েছে তাই না!
অনেকেই হয়তো প্রতিদিন চিন্তা করি—
আগামীকাল থেকে প্রোডাক্টিভ হওয়ার চেষ্টা করব, সময় অপচয় করবো না
ফোন স্ক্রলিং থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করব।
কিন্তু দিনশেষে আমরা আফসোস করি এবং ভাবতে থাকি আজকেও মন মত আমল করা হলো না।
আজকের দিনটিও আন প্রোডাক্টটিভলি কেটে গেল...
যদি আপনার ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো ঘটে থাকে এবং আপনি চান প্রোডাক্টটিভ হতে, তাহলে আসছে জিলহজের দশ দিন আপনার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
এই ১০ দিনকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করুন প্রোডাক্টিভ হওয়ার এবং আমল ও আখলাকের দিক থেকে অগ্রসর হওয়ার ইনশা আল্লাহ।
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়।
প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো।
আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো।’
(তিরমিজি: ১/১৫৮)
----
❏ প্রোডাক্টিভ হতে যা করতে পারেন এই ১০ দিনেঃ
১. নিয়ত ঠিক করুন।
এই ১০ দিনকে আমলের মাধ্যমে পূর্ণ করার জন্য দৃঢ় নিয়ত করুন।
২. একটি ডেইলি প্রোডাক্টিভ লিস্ট বানান
যাতে প্রতিদিনের লক্ষ্য লিখে রাখতে পারেন।
৩. সালাতে মনোযোগী হোন।
ফরজের পাশাপাশি সুন্নত ও নফল সালাতগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৪. প্রথম ৯ দিনের রোজা রাখুন।
বিশেষ করে আরাফার দিন— যার রোজা এক বছর আগের ও এক বছর পরের গুনাহ মাফের কারণ।
৫. তাকবিরে তাশরিক পড়ুন।
পুরো জিলহজ জুড়েই অধিক তাকবিরে তাশরিক পাঠের চেষ্টা করুন।
এবং ৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রতিটি ফরজ সালাতের পর ১ বার ওয়াজিব তাকবির পড়ুন:
> اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
৬. সাদাকাহ করুন।
এই ১০ দিন শুরু হওয়ার আগেই কিছু খুচরা টাকা প্রস্তুত রাখুন এবং প্রতিদিন সেখান থেকে অল্প হলেও দান করুন।
৭. কুরআনের সাথে সময় কাটান।
অবসর না রেখে এই ১০দিন অধিক পরিমাণ তিলাওয়াত করুন, কুরআনের অর্থ বোঝা ও হিফজের চর্চা করুন।
৮. স্ক্রিন কন্ট্রোল করুন।
এই ১০ দিন কে কাজে লাগিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফোন/স্ক্রলিং থেকে বিরত থাকুন স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ করুন।
৯. আখলাকের উন্নয়ন করুন।
এই ১০ দিনকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করুন নিজের আখলাক কে আরেক ধাপ উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার।
১০. দুরুদ, ইস্তিগফার ও জিকিরে সময় দিন
দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করে তা পূরণ করার চেষ্টা করুন।
১১. আসমাউল হুসনা মুখস্থ করুন।
এই ১০ দিনকে টার্গেট করে ছোট সূরাগুলোও মুখস্থের তালিকায় রাখুন।
১২. দোয়ার অভ্যাস গড়ুন।
বিশেষ করে তাহাজ্জুদের সময়, দিন-রাতের ফাঁকে ফাঁকে,এবং বিশেষ করে আরাফার দিন বেশি বেশি দোয়া করুন।
১৩. ঘুমের সময় নিয়ন্ত্রণ করুন।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও ফজরের পর না ঘুমানোর অভ্যাস গড়ুন এই ১০ দিন কে কাজে লাগিয়ে।
১৪. সর্বোপরি নিজেকে রিমাইন্ড করুন।
“হতে পারে এটাই আমার জীবনের শেষ জিলহজ”— এই কথা নিজের অন্তরে বারবার জাগ্রত করুন।
---
বিঃদ্রঃ [একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত]
জিলহজের চাঁদ ওঠার পর এই দশ দিন কোরবানি আদায় করা পর্যন্ত শরীরের কোনো প্রকার চুল-পশম ও নখ না কাটা। এ বিষয়ে বর্ণিত সকল হাদিস এবং সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িদের আমল থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যারা কোরবানি করবেন এবং যারা সামর্থ্যের অভাবে কোরবানি করবেন না—সবার জন্যই এই আমল করা উত্তম
---
নিজে আমল করুন,এবং দাওয়াহর নিয়তে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করুন।
আল্লাহ সকলের ইবাদত কবুল করুন আমিন।
লেখাঃ- সংগৃহিত