
15/07/2024
।। সুখ কোথায়! ।।
মাতৃগর্ভে ছিলম যখন, জড়সড় হয়ে,
যা পেয়েছি তাই খেয়েছি, শত কষ্ট সয়ে।
পরাধীনতায় বন্দী হয়ে, কাটতো সারাবেলা,
বুঝতো না কেউ অন্ধকারে, একাকীত্বের জ্বালা।
কর্ণ আমার বধির ছিল, বোল ছিলনা মুখে,
অব্যক্ত সব যন্ত্রণাতে, ছিলাম বড়ই দুখে।
পা দু’খানি পঙ্গু ছিল, চোখ ছিল মোর অন্ধ,
জল তরঙ্গে ডুবে ছিলাম, কতই না দূর্গন্ধ!
কষ্ট শুধু আমার হতো, এমনটাতো নয়,
ধৈর্য মায়ের এতই বেশি, কারো কাছে না কয়!
মাতৃগর্ভে ধরে আমায়, কী যে জ্বালা হয়,
আজও বুঝি না এত কষ্ট, মা কিভাবে সয়!
ভুবন জুড়ে সুখের মেলা, ভাবতাম আমি আগে,
কেউ জানেনা এই ভাবনায়, কতই না সুখ লাগে।
দেখব কবে ভূবণটাকে, ভাবতাম একা একা,
আপন সবাই থাকবে পাশে, মিলবে সুখের দেখা।
সবার মুখে হাসির জোয়ার, কান্না আমার মুখে,
অন্তরে অতৃপ্তি নিয়ে, আসলাম ভবের বুকে।
সুখ খুঁজিতে আসলাম আমি, এমন জগৎ মাঝে
না কাঁদলে মা দেয় না খাবার, সকাল দুপুর সাঁঝে।
এখন দেখি ভূবণ জুড়ে দুখের ছড়াছড়ি
সুখের আশায় আশ্রু ঝরায় করে গড়াগড়ি।
দিনের পারে দিন চলে যায়, মাসের পারে মাস
বড়ো হলে সুখ যে পাব, মনে অভিলাস
আমি যখন সবার ছিলাম চিন্তা ছিল নাতো
অনাহারে থাকলেও হায় সময় চলে যেত।
এখন দেখি সবাই আমার চিন্তার পাহাড় বুকে।
আমি শুধুই নিদ্রাবিহীন, সবাই থাকে সুখে!