19/05/2024
১৪বছর মাদরাসায় খেদমত করার পর এখন সিএনজি ড্রাইভার। এমন একজন হাফেজে কুরআনের সাথে কথা হয় আমার। তিনি বলেন, আমি লাগাতার ১৪বছর খেদমত করেছি। কিছুদিন হল মাদরাসা খেদমত বাদ দিয়ে আওয়াম মানুষের খেদমত করছি। এতেকরে আমি এবং আমার পরিবার উভয়ই সুখে আছি। চিন্তা করে দেখলাম, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আমাকে দিয়ে চলবে না।
শিক্ষকতা সম্মানের পেশা হলেও সেটা আর বহাল নেই। ছাত্ররা বেয়াদব। আমি হিফজ পড়াইতাম তো তাই এগুলো ফেইস করতাম বেশি। ছাত্ররা বেয়াদব হবার পেছনে কোন উস্তাদ, অবিভাবকের বা কমিটির হাত থাকে। একটা ছাত্র এমনিই বেয়াদব হয় না। আশকারা পেয়ে মাথায় চড়ে বসে। সবকিছু মিলিয়ে আমাকে দিয়ে আর চলছিল না তাই নিজস্ব পেশায় নিয়জিত হলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আগের থেকে সুখে আছি।
সেসময় মুখে হাসি থাকত না। পারিবারিক চাপ,অর্থনৈতিক চাপ, মাদরাসার চাপ, কমিটির লোকদের কটু কথা। সবমিলিয়ে স্ত্রীর সাথেও দু'চারটা ভালো কথা বলতাম না। দুজনের মধ্যে মনমালিন্য লেগেই থাকত। আর এখন.আলহামদুলিল্লাহ সুখি পরিবার।
সারাদিন বাহিরে শ্রম দিচ্ছি। রাতে বাসায় ফিরে সন্তানের মুখ দেখছি, বউয়ের খেদমত পাচ্ছি। যেন কোনকিছুর কমতি নেই আমার৷ যখন যা ইচ্ছে করছি খেতে পারছি। মাদরাসায় থাকলে তো রুটিন মেপেই খেতে হত। রুটিন যেন পরিবারেও লেগে থাকত। মাসে একবার ছুটি পাইতাম, সারা মাসের বাজার একসাথে করে আসতে হত। চাইলেও আর নতুন কিছু খেতে পারত না তারা৷
পাঞ্জাবি টুপি পরে সিএনজি চালাই দেখে লোকেরা নানান কথা বলত। প্রাথমিক খারাপ লাগলেও এখন মানিয়ে নিয়েছি। এখন কেউ কিছুবলেও না। লোকে কী বলবে এই যাতনা দূর হয়ে গেছে। লোকে কী ভাবে এটা আমি ভাবলে, লোকে ভাববে কী? লোকের কথায় আমার ভাত আসবে না৷ আমি হালাল পেশায় হালালভাবে ইনকাম করছি লোকের কথায় কান দিব কেন? চলছি নিজ গতিতে নিজ গন্তব্যে।
#কপি
এভাবে অনেকেই ভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছেন তারপরও মাদ্রাসা মসজিদের দায়িত্বশীলদের অন্তরে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনা তার কারণ হলো তারা চাইলেই নতুন কাউকে পেয়ে যায়। বর্তমানে মসজিদ মাদ্রাসার প্রয়োজনের চেয়ে হাফেজ আলেমের সংখ্যা বেশি তাই বলে কি হাফেজ আলেমদের সস্তাভাবে ব্যবহার করববেন? আপনাদের বিবেক এবং মানবতা কোথায়?