Muhammad Shohan

Muhammad Shohan لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ مَحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ'।

15/06/2024
আযাব হিসেবে এতটুকুই যথেষ্ট, গুনাহের কারণে আপনি আল্লাহর ইবাদত করতে পারছেন না, যদিও আপনার মন চাচ্ছে।-ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (...
14/06/2024

আযাব হিসেবে এতটুকুই যথেষ্ট, গুনাহের কারণে আপনি আল্লাহর ইবাদত করতে পারছেন না, যদিও আপনার মন চাচ্ছে।

-ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহ)
[আদ-দা’উ ওয়াদ-দাওয়া : ৮৭]

Boycott list...
14/06/2024

Boycott list...

😪😪
08/06/2024

😪😪

দ্রুত বিয়ের আমল! ১. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা...
08/06/2024

দ্রুত বিয়ের আমল!


১. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা।

২. সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

৩. সুরা কাসাসের ২৪ আয়াতে বর্ণিত দোয়াটাও বেশি বেশি পড়তে পারি,
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
এই দোয়ায় বিয়ে, বিবিবাচ্চা, চাকুরি, ঘরবাড়ি সবকিছুর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ।

৪. বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও দোয়াবিহীন না যায়।

৫. আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী।

৬. অনেক সময় জাদু-সিহর করে বিয়ে আটকে রাখা হয়। এজন্য রুকইয়া করা।

৭. নিয়মিত সদকা করা।

৮. অন্য মুসলিম ভাইবোনের জন্য বিয়ের দোয়া করা।

৯. মা-বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি।

✍️ শায়খ আতিক উল্লাহ হাফি.

08/06/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

11/03/2024

আল্লাহ বলেন, আমি ৬টি জিনিসকে লুকিয়ে রেখেছি ৬টি স্থানে। কিন্তু মানুষ তা খুঁজে বেড়ায় ভিন্ন জায়গায়।

১. আমি দ্বীন ইসলামকে রেখেছি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও ধৈর্যের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে উদরপূর্তি ও দুনিয়ার স্বচ্ছলতার মধ্যে।

২. আমি সম্মান রেখেছি শেষ রাতের ইবাদতে, কিন্তু মানুষ খোঁজে, শাসক ও ক্ষমতাবানের সাহচর্যে।

৩. আমি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রেখেছি জান্নাতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে দুনিয়াতে।

৪. আমি বড়ত্ব রেখেছি বিনয় ও নম্রে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে অহংকারে।

৫. আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্প তুষ্টিতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে লোভ- লালসার মধ্যে।

৬. আমি দোয়া কবুল হওয়াকে নিহিত রেখেছি হালাল উপার্জনের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে হারাম উপার্জনে।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন,
আ-মীন।

🌸ফজরের সালাতের গুরত্ব: 🍀উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জ...
06/06/2023

🌸ফজরের সালাতের গুরত্ব:

🍀উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

🍀রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

🍀 ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

🍀‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)

🍀যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো...।(মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৯)

🍀রাসুল (সা.) এক হাদিসে বলেন, ‘তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়লে, শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এই কথা বলে, তোমার সামনে দীর্ঘ রাত অপেক্ষা করছে; অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে একটি গিঁট খুলে যায়। অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। অতঃপর নামাজ আদায় করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উত্ফুল্ল চিত্তে ও প্রফুল্ল মনে। না হয়, সে সকালে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে ওঠে।’ (বুখারি, হাদিস : ১১৪২)

🍀‘এমন কোনো ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের ও সূর্যাস্তের আগের নামাজ আদায় করে।’ অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩২২)

🍀রাতের অন্ধকারে মসজিদগুলোতে যাতায়াতকারীদের কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদ দাও।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৮১)

🍀‘ফেরেশতারা পালাবদল করে করে তোমাদের মাঝে আসেন; একদল দিনে আসে, আরেক দল আসে রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্রিত হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি আসমানে চলে যান। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। জবাবে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৫)

🍀হুমাইদী (রহঃ) ... জরীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ঐ চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা কোন ভীড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্য উদয়ের এবং অস্ত যাওয়ার আগের সালাত (নামায/নামাজ) (শয়তানের প্রভাবমুক্ত হয়ে) আদায় করতে পারলে তোমরা তাই করবে। তারপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করলেন, “কাজেই তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার তাসবীহ্ পাঠ কর সূর্য উদয়ের আগে ও অস্ত যওয়ার আগে।” (৫০ : ৩৯)

ইসমাঈল (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হলঃ এমনভাবে আদায় করার চেষ্টা করবে যেন কখনো ছুটে না যায়। (সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৫২৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫৫৪)

🌸 আল্লাহ আমাদের ফজরের সালাতের তাওফিক দিক সবসময়, আমীন। এ ফজিলত গুলো বাসার সবাইকে শোনানোর চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ

ঈদ মোবারক  🌙تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُ"তাকাব্বা-লাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের (ইবাদাত-বন্দে...
21/04/2023

ঈদ মোবারক 🌙

تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُ
"তাকাব্বা-লাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম"
আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের (ইবাদাত-বন্দেগী) কবুল করুন।

12/04/2023

ক্ষমা চাওয়ার কিছু দুআ
--------------------

রাসূল সা:-এর স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?’

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলবে–

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুওউন; তুহিব্বুল ‘আফওয়া; ফা-‘ফু আন্নী।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে পছন্দ করেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।

আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমা লাভে কুরআনুল কারিমে তিনি বান্দার জন্য অনেক দোয়া তুলে ধরেছেন। সেগুলো হচ্ছে–
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

‘রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াবান। (সূরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

‘রাব্বি ইন্নী জালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ : (হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (সূরা কাসাস : আয়াত ১৬)
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান-নার।’

অর্থ : হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৬)
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসিরীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।’ (সূরা আরাফ : আয়াত ২৩)
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ

‘রাব্বানাগফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করুন। (সূরা ইবরাহীম : আয়াত ৪১)
سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

‘সামি‘না ওয়া আত্বা‘না গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।’

অর্থ : আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে। (সূরা আল-বাকারাহ : আয়াত ২৮৫)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ

‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়াল ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমান।

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন। (সুরা হাশর : আয়াত ১০)
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

‘রাব্বানাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়ানছুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে আপনার সীমালঙ্ঘন হয়েছে, তা মাফ করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৪৭)
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ

‘রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনূবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১৯৩)

এছাড়া রাসূল সা: ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আল্লাহর কাছে যেসব দু‘আ করেছেন এবং আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি দু‘আ রয়েছে, যাকে হাদীসে বলা হয়েছে– ‘সাইয়িদুল ইসতিগফার’ বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দু‘আ। সাইয়িদ মানে নেতা বা সরদার। এ দু‘আকে বলা হয়েছে গুনাহমাফির দু‘আসমূহের সরদার। দু‘আটি হলো–

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

‘আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা; খালাকতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত‘তু; ‘আউযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা‘নাতু আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযামবী, ফাগফির্ লী, ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।’

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ছাড়া প্রকৃত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি আপনার গোলাম; আমি আপনার হেদায়াতের পথে চলছি এবং সাধ্যমত আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার পালনে সচেষ্ট রয়েছি। আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছেন, সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি। যত অপরাধ করেছি সেগুলোও স্বীকার করে নিচ্ছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কারণ, আপনি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নেই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়িদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে, ওই দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে। এবং যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে রাতে এ দু‘আ পাঠ করবে, ওই রাতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।’ [সহীহুল বুখারী]

12/04/2023

আজ রাতেও হতে পারে শবে ক্বদর

শবে ক্বদর মানেই ২৭ রমাদান নয়

আজ (১২ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার) ২০ রমাদান। ইফতারের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ২১ রমাদান। যা শেষ দশকের প্রথম বিজোড় রাত। হাদীস শরীফের বর্ণনানুযায়ী আজও হতে পারে মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদর। ক্বদরের ইবাদত হোক সুন্নাহের আলোয় উদ্ভাসিত ও বিদআত থেকে মুক্ত। শুধু ২৭ রমাদানই শবে ক্বদর হিসাবে ইবাদত নয়, বরং রমাদানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই শবে ক্বদরের জন্য বাড়তি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও ইবাদতে সময় দেয়া উচিত।

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,
ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যদি কদরের রাত পেয়ে যাই তবে কি দুআ’ পড়বো?

তিনি (রাসূল [সাঃ]) বলেনঃ তুমি বলবে,

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

"হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতেই ভালোবাসো। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও" (সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৮৫০)

জামে আত-তিরমিযির একটি হাদীস থেকে উক্ত দুআটি একটি বাড়তি শব্দ সহকারে পাওয়া যায়। দুআটি হচ্ছেঃ

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

"হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও"
(তিরমিযি ৩৫১৩)

রমাদানে গুনাহ মাফ করানোর গুরুত্বের ব্যাপারে নিচের হাদীসটি আমরা সকলেই জানি।

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃ) মিম্বারে উঠলেন। তিনি প্রথম সিঁড়িতে উঠে বলেনঃ আমীন। তিনি দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠেও বলেনঃ আমীন। তিনি তৃতীয় সিঁড়িতে উঠেও বলেনঃ আমীন। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমরা আপনাকে তিনবার আমীন বলতে শুনলাম।

তিনি বলেনঃ আমি প্রথম সিঁড়িতে উঠতেই জিবরাঈল (আবু দাউদ) এসে বলেন, দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে রমযান মাস পেলো এবং তা শেষ হয়ে যাওয়া সত্বেও তার গুনাহর ক্ষমা হলো না। আমি বললামঃ আমীন।

অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে উঠতেই তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে নিজ পিতা-মাতা উভয়কে অথবা তাদের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেলো, অথচ তারা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করালো না। আমি বললামঃ আমীন।

অতঃপর তৃতীয় ধাপে উঠতেই তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যার নিকট আপনার উল্লেখ হলো, অথচ সে আপনার প্রতি দুরূদ পড়েনি। আমি বললামঃ আমীন।

(আদাবুল মুফরাদ ৬৪৮, হাদীসের মানঃ সহীহ)

অর্থাৎ আমরা যদি রমাদান পেয়েও আল্লাহর থেকে ক্ষমা লাভ করতে না পরি তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্যের জন্য স্বয়ং রাসূল (সা) সমর্থন দিয়ে "আমীন" বলে গেছেন। আমরা কি এর মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারি? এলাকার একজন এমপি সাহেব বা সংসদের একজন মন্ত্রী যদি আমাদেরকে দুর্ভাগা বলেন বা আমাদের দুর্ভাগ্যের জন্য সমর্থন দেন আমরা কতই না পেরেশান হয়ে পড়ব! কিন্তু এখানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি যেই লোকদেরকে দুর্ভাগা বলেছেন আমরা সেই দলে পড়ে যাচ্ছি না তো? আমরা কি আমাদের গুনাহ মাফ করাতে পেরেছি?

রমাদানের ২০ দিন চলেই গেল। আমরা কেউই জানি না আগামী রমাদান পর্যন্ত আমরা বেঁচে থাকব কিনা। আবার আরেকটি রমাদানে আমাদের গুনাহগুলোকে মাফ করাতে পারব কিনা। তাই এই রমাদানকেই জীবনের শেষ রমাদান হিসাবে চিন্তা করি। গুনাহ মাফ করানোর জন্য রমাদানের শেষ ১০ দিনকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। যারা প্রথম দিকে তারাবীহ সালাত পড়তে অলসতা করেছি অন্তত এই ১০ দিন পড়ি। এই ১০ দিন আগের চেয়ে একটু বেশি কুরআন তিলাওয়াত ও দান সাদাকা করি। আল্লাহর রাসূল (সা) যেই দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন সেই দুআ বারবার পড়ি। দুআর অর্থ বুঝি। অন্তর থেকে উপলব্ধি করে দুআ করি। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করবেনই!

এই পবিত্র সময়গুলো আমরা ফেসবুক বা ইউটিউবে অযথা ঘুরে না বেড়াই। আমাদের প্রোডাক্টিভিটি নষ্ট করার জন্য ফেসবুক-মেসেঞ্জার আর ইউটিউব বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আমাদের ফোকাস নষ্ট করে সব কাজে ডেস্ট্রাকশন তৈরি করার জন্য এগুলোর জুড়ি নেই। ফেসবুকে আপনি হয়ত আপনার জন্য কাজের বা মূল্যবান ৫% জিনিস পাচ্ছেন। বাকি ৯৫% সময় নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কিছু না। নিজেকে ফ্রেন্ডলিস্টের শত শত হাজার হাজার মানুষের কাছে এমন cheap বা সস্তা বানিয়ে না ফেলি যে, কেউ চাইলেই যে কোনো মুহূর্তে আমাকে reach করতে পারে! চাহিবা মাত্রই যেন আমি আমার কাজ ফেলে ফেসবুকে-মেসেঞ্জারে চলে না যাই। প্রতি দিন কত ঘন্টা মেসেঞ্জার বা ফেসবুকে ব্যয় করছি আর সেগুলো আসলে কতটুকু আমাদের ইহলৌকিক বা পরলৌকিক কাজে আসছে তা চিন্তা করার সময় এসেছে। আমরা একটা কাগজে লিখে রাখতে পারি দৈনিক আনুমানিক ফেসবুক ব্যবহারের সময়। সপ্তাহ শেষে দেখতে পারি পুরো সপ্তাহে কয় ঘন্টা ফেসবুক ইউজ করলাম, কয় ঘন্টা কুরআন পড়লাম আর কয় ঘন্টা ইসলামকে জানার জন্য বই পুস্তক পড়লাম।

তাই আসুন, আমরা রমাদানের এই শেষ ১০টা দিন অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকে সীমিত করি। প্রতি বিজোড় রাতে শবে ক্বদরের উদ্দেশ্যে সাধ্যমত তাহাজ্জুদ পড়ি, কুরআন পড়ি, গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি। শেষ দশকে আমাদের টার্গেট হোক একটাই! আমাদের সকল গুনাহ থেকে মুক্তি!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মুক্ত করে দিন। আমীন।

Address

Bogura

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Shohan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muhammad Shohan:

Share