02/10/2023
#আমরা_এখনও_কেউ_কেউ_গোসলের_সঠিক_নিয়ম_জানিনা
ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া বাংলা উচ্চারণ
গোসল দৈনিন্দ কাজের অংশ। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য প্রতিদিনই গোসল করতে হয়। আবার হজ-ওমরার ইহরামের আগে এবং জুমার দিন গোসল করা আবশ্যক। তাছাড়া কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হতে চাইলেও গোসল করতে হয়। হাদিসে পাকে এসব কাজের আগে গোসল করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন তিনটি কারণ রয়েছে; যেসব অবস্থায় গোসল করা ফরজ। একে ‘ফরজ গোসল’ বলে অভিহিত করা হয়। সেসব অবস্থায় গোসল না করলে পবিত্র হওয়া যায় না। ওই কারণগুলো কী কী? কীভাবে এ গোসল করতে হয়?
গোসল ফরজ হয় যেসব কারণে
স্বপ্নদোষ হলে
স্বপ্নদোষ হলো ঘুম কিংবা জেগে থাকা অবস্থায় শারীরিক উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। যখন স্বপ্নদোষ হয় তখন ওই ব্যক্তির ওপর গোসল করা ফরজ। গোসল না করা পর্যন্ত সে অপবিত্র থাকবে।
তবে ঘুমে থাকা অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কারণ অনেক সময় ঘুমে স্বপ্নদোষ হলে টের পাওয়া যায় না। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যদি কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখা যায় আর সেক্ষেত্রে স্বপ্ন দোষের কথা স্মরণ থাকুক আর না থাকুক এ অবস্থায়ও গোসল করা ফরজ। (হেদায়া)
স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করলে
সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল করা ফরজ। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে। তাতে বীর্যপাত হোক আর না হোক; উভয়কে গোসল করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে (সহবাস করলে), তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারি)
হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত হলে
নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়েজ) বন্ধ হলে এবং সন্তান প্রসব করার পর রক্ত (নেফাস) বন্ধ হলে পবিত্রতার নিয়তে গোসল করা ফরজ। যতদিন রক্ত বন্ধ না হবে ততদিন ওই নারী অপবিত্র থাকবে।
মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে নারী-পুরুষের যৌনমিলন, স্বপ্নদোষ বা যে কোনো উপায়ে বীর্যপাতের মাধ্যমে কিংবা হাফেজ-নেফাসের কারণে অপবিত্র হলে তাকে পবিত্রতা হওয়ার নির্দেশ দেন এভাবে-
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
#গোসলের_দোয়া
#বাংলা_উচ্চারণ : “নাওয়াইতুয়ান গোছলা লিরাফিল জানাবা-তি।”
োসলের_নিয়ত
#বাংলা_উচ্চারণ : “নাওয়াইতুল গুছলা লিরাফইল জানাবাতি।”
অর্থ : “আমি নাপাকি থেকে পাক হওয়ার জন্য গোসল করছি।”
ফরজ গোসলের নিয়ম
নিম্নে ফরজ গোসলের নিয়ম দেওয়া হলো –
গোসলের দোয়া পড়া
তারপর গোসলের নিয়ত করে বিসমিল্লাহ বলে দু হাত কব্জি পর্যন্ত ভালো করে ধৌত করতে হবে।
এরপর শরীরের কোন জায়গায় অপবিত্র বস্তু লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
তারপর অজু করতে হবে। গড়গড়ার সাথে কুলি করতে হবে, রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না। তিনবার কুলি করা সুন্নত
তারপর তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে
অজুর পর মাথায় এমনভাবে পানি ঢালতে হবে যেন চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়।
এরপর ডান কাঁধে পরে বাম কাঁধে পানি ঢেলে সমস্ত শরীর ধৌত করতে হবে যেন শরীরের কোন অংশ শুকনো না থাকে।
সর্বশেষে পা ধুতে হবে
এরপর সারা শরীর কোন কাপড় বা গামছা দিয়ে মুছে শুকনো কাপড় পড়তে হবে।