OurMedia

OurMedia OurMedia,Our open eye

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য এখনো বাড়ি ভ...
22/08/2025

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য এখনো বাড়ি ভাড়া করা হয়নি। বসার মতো কোনো জায়গা এখনো তৈরি হয়নি। তবে এরই মধ্যে ভিসি (ভাইস চ্যান্সেলর) নিয়োগের পর প্রথম পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দ মিলেছে।

গত ১৮ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেট-১ অনুবিভাগ বাজেট-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’-এর অনুকূলে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।

ওই সূত্রে জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীন ‘১২৫০১-১৩১০০৫২০১-বিশ্ব বিদ্যালয়সমূহ’ এর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে মোট চার কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কালবেলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য বাড়ি ভাড়া এখনো করা হয়নি। বসার মতো কোনো জায়গা এখনো হয়নি। যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে তা বিভিন্ন খাত অনুযায়ী ছাড় হবে। এই বরাদ্দ থেকে বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে বেতন ভাতাসহ আর্থিক অন্য সব কাজ করা হবে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা কালবেলাকে জানান, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো অনেক কাজ বাকী রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ মিলেছে। ভবিষ্যতে আরও বরাদ্দ আসবে।

এর আগে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে।

অবশেষে আইন পাশের দুই যুগ পর বগুড়ায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হলো। গত ৩ জুন প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহানকে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি হিসেবে যোগদান করেন।

এর আগে বগুড়ার ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেকে (ভিটিটিআই) অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি হতে পারে অস্থায়ী ক্যাম্পাস।

গাজায় লাগাতার ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত ৬০ ফিলিস্তিনি,,,,,,,,অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় একদিন...
20/08/2025

গাজায় লাগাতার ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত ৬০ ফিলিস্তিনি,,,,,,,,

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় একদিনে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজার ১০০ জনে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতদের মধ্যে হামলায় প্রাণ হারান ৬০ জন, আর আহত হয়েছেন অন্তত ৩৪৩ জন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৩ জনে।

এছাড়া অনাহার ও অপুষ্টিতে একদিনে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে গাজায় অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৬ জনে, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু।

মানবিক সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়েও ফিলিস্তিনিরা হামলার শিকার হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ধরনের ঘটনায় আরও ৩১ জন নিহত ও ১৯৭ জন আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৯৯৬ জন, আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৯৮ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভঙ্গ করে নতুন করে হামলা শুরু করার পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫১৮ জন নিহত এবং ৪৪ হাজার ৫৩২ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে অব্যাহত হামলা ও সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা বহু মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরাইলি অবরোধে গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। খাদ্য সংকট, রোগের বিস্তার ও অবকাঠামো ধ্বংসে তাদের জীবনযাত্রা চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু, ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার
20/08/2025

অবশেষে উদ্বোধন হচ্ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু, ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার

বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে? রাজধানীর একটি পরিচিত মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক তিনি। একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের সঙ্গ...
20/08/2025

বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?

রাজধানীর একটি পরিচিত মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক তিনি। একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও বরাবরই বিএনপির প্রতি দুর্বল। এক সময় তার দল বিএনপির জোটসঙ্গী ছিল। সে হিসেবে গত কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপির হয়ে ভোটও করেছেন ওই মাওলানা। সেদিন তিনি অনেকটা ক্ষোভের সুরে বলছিলেন- বিএনপির সঙ্গে আর বোধহয় থাকা যাবে না। বিএনপি দিন দিন আলেম-উলামা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দলের নেতাদের লাগামহীন বক্তব্য আমাদেরকে বিব্রত করছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির হয়ে কাজ করা হয়ত সম্ভব হবে না।

শুধু ওই মাদরাসা শিক্ষকই নয়, এমন হাজারও আলেম পাওয়া যাবে, যারা আগে বিএনপির প্রতি দুর্বল হলেও দিন দিন দলটির ওপর আস্থা হারাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ দেখে সেটা আঁচ করা যায়। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি যেন অচেনা রূপে আবির্ভূত হচ্ছে ইসলামপন্থীদের সামনে। আলেম-উলামা, ইসলামপ্রিয় জনতা কিংবা ইসলামপন্থীদের টার্গেট করে নানা সময় বিএনপির কয়েকজন নেতার বক্তব্য সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

সবশেষ এই তালিকায় যুক্ত হলেন খোদ দলের কার্যত প্রধান তারেক রহমান। গত রোববার (১৭ আগস্ট) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া একটি বক্তব্যে বাংলাদেশ যেন চরমপন্থা ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ‘মৌলবাদী’ শব্দটি একটা সময় আওয়ামী লীগ ব্যবহার করতো ইসলামপন্থীদের ঘায়েল করার জন্য। তাহলে বিএনপিও কি সেই পথেই হাঁটছে- এমন প্রশ্ন জোরেশোরে উঠছে।

‘রাজাকার’, ‘মৌলবাদী’, ‘চরমপন্থী’, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ এসব শব্দ ইদানীং প্রায়ই শোনা যাচ্ছে বিএনপির নেতাদের মুখে। সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান দেখছি, আমি উদ্বিগ্ন’ এমন বক্তব্য সমালোচিত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান তো আলেম-উলামা, মোল্লা-মৌলভিকে অনবরত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেই চলেছেন। এর বাইরেও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ইসলামপন্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। তারা যে ভাষায় কথা বলছেন সেটা অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।

আওয়ামী লীগ যে বয়ান হাজির করে এদেশের ধর্মপ্রিয় মানুষদের ১৫ বছর ঘায়েল করে রেখেছিল, সেটা বিএনপির মুখেও শোনা গেলে তাতে ইসলামপন্থীরা কষ্ট পাওয়ারই কথা। কেননা, এই দলটি বারবার এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ভালোবাসা পেয়ে এসেছে।

আওয়ামী লীগশূন্য নির্বাচনী মাঠে বিএনপি এখন নিজেদের প্রধান শক্তি বলে ভাবছে। এজন্য দলটির মধ্যে ক্ষমতার কাছাকাছি চলে যাওয়ার একটি ভাব চলে এসেছে। ভোটের মাঠে এখন বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে একসময়ের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী জামায়াতে ইসলামী। আর জামায়াত চাচ্ছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ প্রধান ইসলামি দলগুলো নিয়ে একটি জোট বা সমঝোতা করতে। ইতোমধ্যে সেই উদ্যোগ অনেকটা এগিয়েছেও। বিশেষ করে পিআর ইস্যুসহ কিছু দাবি-দাওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো বিএনপির বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। মূলত এ কারণেই ইসলামি দলগুলোর ওপর অসন্তুষ্ট বিএনপি। আর সেটাই দলটির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে ফুটে উঠছে। বিএনপি মনে করছে, ইসলামপন্থী দলগুলো সবাই একটি বাক্স দিলে এবং তাদের সঙ্গে নতুন দল এনসিপিসহ সমমনারা যুক্ত হলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসলামপন্থীদের বিরাগভাজন করে বিএনপি ভোটের মাঠে সুবিধা করতে পারবে না। কেননা, ডান ও ইসলামপন্থীরাই হলো বিএনপির প্রধান শক্তি। বাম ও আওয়ামী ধারার বিপরীতে এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষের আস্থার ঠিকানা হলো বিএনপি। কোনো কারণে বিএনপি তাদের আস্থা হারালে রাজনীতিতে দলটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

ইসলামপন্থীদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দলটি শুরু থেকেই এদেশের আলেম-উলামা ও দীনদার মুসলমানদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে আসছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন ইসলামপন্থীদের প্রিয়ভাজন। সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং মুসলমানের বোধ ও বিশ্বাসকে ধারণ করে সংবিধানের মৌল নীতিমালায় ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘সর্ব শক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ প্রতিস্থাপন করে জিয়াউর রহমান। পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়াও ইসলামপন্থীদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রেখেই দল এবং সরকার চালিয়েছেন। ২০০১ সালে ইসলামপন্থীদের অকুণ্ঠ সমর্থনেই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার গোটা রাজনৈতিক জীবনে ইসলামপন্থীদের সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্যের নজির নেই। তাঁর কথা ও আচরণে আলেম-উলামার প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধা ও ভক্তি ফুটে উঠেছে। সুতরাং সেই দলের শীর্ষ বা পরবর্তী কোনো নেতার মুখ থেকে ইসলামপন্থীদের বিরাগভাজন হওয়ার মতো বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

কারও কারও মতে, তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি আগের অবস্থান থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে চায়।

ইসলামপন্থীদের নিয়ে চলার কারণে বিএনপি নানা সময় পশ্চিমা বিশ্বসহ নানা শক্তির কাছে কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এজন্য দলটি ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মাখামাখি আগের মতো আর করতে চায় না। যদিও ভোটের রাজনীতিতে তাদের কোনো বিকল্প এখনো বিএনপির সামনে নেই। তাছাড়া প্রায় দেড় যুগ ধরে পশ্চিমা বিশ্বে অবস্থানের কারণে তারেক রহমানের মন-মস্তিষ্ক সেভাবেই গড়ে উঠেছে, যা অতীতের সঙ্গে বিএনপির আগামী রাজনীতির সুস্পষ্ট পাথর্ক্য সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা অনেকেরই। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতার নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে বেরিয়ে গেলে আগামী দিনে দলটিকে এর চড়া মাশুল গোনা লাগতে পারে।
Source:ourislam24.net

17/08/2025
17/08/2025
শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু, মূল হোতা গ্রেফতার.......শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রা...
16/08/2025

শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু, মূল হোতা গ্রেফতার.......

শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে শনিবার ভোরে র‍্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত সবুজ দেওয়ান (২৮) সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে। শিশুর বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ ৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী এলাকার নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ মেট্রো ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা রাতে ঢাকায় নেওয়ার জন্য একটি ভাড়া অ্যাম্বুলেন্সে রওনা হন।

কিন্তু স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখে এবং চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। দীর্ঘ ৪০ মিনিট আটকে রাখার কারণে শিশুটি পথেই মারা যায়।

র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানিয়েছেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা অপরাধীদের গ্রেফতারে তৎপর হই। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের কাজও চলছে।”

শিশুর বাবা নূর হোসেন সরদার দাবি করেছেন, “প্রত্যেক অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।”

15/08/2025

🌙 জুমার দিনের ফজিলতসমূহ:

১. সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন

রাসূল (সা.) বলেন:

> "জুমার দিন হল সপ্তাহের সেরা দিন।"
— (সহীহ মুসলিম)

২. আদম (আ.) সৃষ্টি ও জান্নাতে প্রবেশ

রাসূল (সা.) বলেন:

> “আদম (আ.) কে জুমার দিনেই সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
— (সহীহ মুসলিম)

৩. জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়

রাসূল (সা.) বলেন:

> “জুমার দিনে একটি মুহূর্ত আছে, যে সময়ে আল্লাহ্‌র কোনো বান্দা যদি নামাজ অবস্থায় কিছু চায়, তবে অবশ্যই তা তাকে দেওয়া হয়।”
— (বুখারি, মুসলিম)

৪. গুনাহ মোচনের সুযোগ

রাসূল (সা.) বলেন:

> “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, অতঃপর জুমার নামাজ পড়ে, তার আগের জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত এবং আরো তিনদিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।”
— (সহীহ মুসলিম)

৫. জুমার নামাজ ফরজ ইবাদত

আল্লাহ্ বলেন:

> “হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো।”
— (সুরা জুমু'আ: ৯)

৬. দরূদ পাঠের ফজিলত

রাসূল (সা.) বলেন:

> “তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি করে দরূদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।”
— (আবু দাউদ)

---

🕌 করণীয়:

গোসল করা

পবিত্র পোশাক পরা

মসজিদে আগেভাগে যাওয়া

সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা

বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা

ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা

দোয়া করা

---

জুমার দিন এক মহা-ফজিলতপূর্ণ দিন। এই দিনের ইবাদত, দোয়া ও আমল অন্যান্য দিনের তুলনায় অধিক মর্যাদাপূর্ণ। আমাদের উচিত এই দিনকে যথাযথভাবে পালন করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা।

সবগুলা খাইতে পারেনাই,,,কিছু দেখি আছে! সব ফিরিয়ে  দিতে হবে.......
14/08/2025

সবগুলা খাইতে পারেনাই,,,কিছু দেখি আছে!
সব ফিরিয়ে দিতে হবে.......

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চলে যাওয়ার দুই বছরদেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাই...
14/08/2025

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চলে যাওয়ার দুই বছর

দেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের এই দিনে (১৪ আগস্ট) ঢাকার তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

আল্লামা সাঈদী ছিলেন এমন এক আলেম, যিনি গত পাঁচ দশক ধরে দেশ-বিদেশে কোরআনের ভাষ্য তুলে ধরেছেন এক ভিন্ন ও প্রাঞ্জল ঢংয়ে। তার সুললিত কণ্ঠ, সাহিত্যসম্মত উচ্চারণ, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণভিত্তিক তাফসির এবং ইসলামি সমাজ বিনির্মাণের আহ্বানে লাখো মানুষ হয়ে উঠেছিল তার অনুগামি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ছিলেন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগ সরকার দণ্ডিত করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৪০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাঈদখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ। প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা শেষে ১৯৬৪ সালে তিনি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এরপর পাঁচ বছর নানা বিষয়ের ওপর গভীর গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৬০ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার চার ছেলে, রাফীক, শামীম, মাসুদ ও নাসিম—সকলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজসেবায় যুক্ত ছিলেন বা আছেন।

আল্লামা সাঈদী ১৯৬৭ সাল থেকে ‘দাঈ ইলাল্লাহ’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি পৃথিবীর ৫২টি দেশ ভ্রমণ করে কোরআনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

তার তাফসির মাহফিলগুলোতে লাখো মানুষ জমায়েত হতো। চট্টগ্রাম প্যারেড গ্রাউন্ডে তার বাৎসরিক পাঁচ দিনের মাহফিলে দুইবার কাবা শরীফের ইমামও উপস্থিত ছিলেন। সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, কুমিল্লা, ঢাকা—দেশজুড়ে তার মাহফিল ছিল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

আল্লামা সাঈদী ছিলেন একজন সুলেখক ও গবেষক। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা ৭৭টিরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ‘তাফসিরে সাঈদী’, ‘সীরাতে সাইয়্যেদুল মুরসালিন’, ‘কোরআনের দৃষ্টিতে মহাকাশ ও বিজ্ঞান’, ‘কাদিয়ানীরা কেন মুসলিম নয়’, ‘ইসলামে শ্রমিকের অধিকার’ প্রভৃতি। তার রচিত কিছু গ্রন্থ বিদেশেও অনূদিত হয়েছে।

১৯৭৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত দলটির নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Address

Bogura

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when OurMedia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to OurMedia:

Share