OurMedia

OurMedia OurMedia,Our open eyes

গেল সেপ্টেম্বরে দেশের গণমাধ্যমে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং ৯৬৪ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৫০...
14/10/2025

গেল সেপ্টেম্বরে দেশের গণমাধ্যমে ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং ৯৬৪ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও তিনজন আহতের খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

তথ্যমতে, নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জন, আহত ১৫ জন এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৬৭টি দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত এবং ৯৮২ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৯ জন নিহত ও ১৮৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭.৮৯ শতাংশ এবং নিহতের ৩৯.৬৪ শতাংশ ও আহতের ১৯.৫০ শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ১২৬টি। এতে ১২২ জন নিহত ও ২১৬ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিভাগে ২২টি। এসব ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

সংগঠনটি বলছেন, বর্তমান সরকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগের পরিকল্পনায় গলদ থাকায় এই যানকে নিবন্ধন দেওয়া হলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা দিগুন হবে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৩ জন চালক, ১০৬ জন পথচারী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৫ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ৮৮ জন নারী, ৫৪ জন শিশু, দুজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন আইনজীবী, একজন সাংবাদিক, চিকিৎসক একজন এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন- পাঁচজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনা সদস্য, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন আইনজীবী, একজন চিকিৎসক, ১২৬ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০২ জন পথচারী, ৬৭ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, আটজন পরিবহন শ্রমিক, আটজন শিক্ষক ও সাতজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৭২টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯.০১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.০২ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৫৮ শতাংশ বাস, ১২.১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৩৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭.২৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৫৬ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৮.৮০ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৮.৫৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭.৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩.৭৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৩৯ শতাংশ, এবং ০.৫৯ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪৫.০৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৫.৩৯ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৯৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৯৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো

১. বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশের সড়কের মাঝে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি, এসব গর্তের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে।

২. সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, নসিমন-করিমন অবাধে চলাচল।

৩. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা।

৪. সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধবাঁকের সৃষ্টি।

৫. মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

৬. উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।

৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন।

৮. বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশগুলো

১. বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের সড়ক-মহাসড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা।

২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।

৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।

৪. গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা।

৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

৬. মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।

৭. সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা।

৮. সারাদেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৯. মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

১০. মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

১১. ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী চালকের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দেওয়া।

১২. মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাত...
14/10/2025

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনারা যেভাবে বারবার সীমান্ত লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ছে, তা এ অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতি ও শনিবারের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড গোলাগুলির পর উভয় পক্ষই একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করার দাবি করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাকটিকায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এর জবাবে গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। অথচ এই পাকিস্তানই একসময় ছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের অন্যতম মিত্র। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আফগানিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া মাত্র তিনটি দেশের একটি ছিল পাকিস্তান।

সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও বৈরিতা এ অঞ্চলে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, শনিবার রাতের ওই লড়াইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী এমন এক সীমান্তে বারবার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে; যা প্রায় এক হাজার ৬০০ মাইল দীর্ঘ দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। পাকিস্তান বারবার তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এই গোষ্ঠীর হামলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত পাকিস্তানি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের আরেক বৈরী দেশ ভারতও টিটিপিকে সমর্থন দিচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে তা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সংঘাতের জন্ম দিতে পারে; যা এ অঞ্চলের জন্য শুভ কোনো বিষয় হবে না।

সাম্প্রতিক সংঘাত প্রভাব ফেলতে পারে উভয় দেশের আন্তঃসম্পর্কেও। কারণ পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের শীর্ষ রপ্তানি অংশীদার এবং গত কয়েক দশকে নিরাপত্তাহীনতা ও বেকারত্ব থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ আফগানকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি ও আফগান কর্মকর্তাদের মতে, শনিবারের রাতের সংঘর্ষের পর দুই দেশের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে বসবাসকারী কয়েক হাজার আফগান দেশে ফিরে গেছেন।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে শান্তি স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েল যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি বলেছি, আমার ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমি যুদ্ধের ভালো সমাধান দিতে পারি। আমি লাখ লাখ জীবন বাঁচাই।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিবৃতিতে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। চীন এই অঞ্চলে তাদের নাগরিক ও বিনিয়োগ রক্ষা করার জন্য উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের উন্নতি ও বিকাশে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যেতে ইচ্ছুক।

খাইবার পাখতুনখোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী সোহাইল
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মনোনীত প্রার্থী সোহাইল আফ্রিদি সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তবে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচনকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ বলে বয়কট করেছে। সোমবার অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে স্পিকার বাবর সালিম সওয়াতি সোহাইল আফ্রিদির নাম ঘোষণা করেন। তিনি ৯০ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।

বিরোধীদলীয় নেতা ড. ইবাদুল্লাহসহ জেএইউআই-এফ নেতা মাওলানা লুতফুর রহমান ও আকরাম দুররানি ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সভা থেকে বেরিয়ে যান। ইবাদুল্লাহ নির্বাচনকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, যখন আলি আমিন গান্ধাপুর এখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন, তখন নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের কোনো বৈধতা নেই। এর আগে, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্ধাপুর পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়ে সোহাইল আফ্রিদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশেই পদত্যাগ করেছেন এবং বিরোধীদের প্রতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিলম্ব না করার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যে গাজা শান্তিচুক্তি তৈরি হয়েছে তা অস্পষ্ট, অনিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশেষজ...
14/10/2025

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যে গাজা শান্তিচুক্তি তৈরি হয়েছে তা অস্পষ্ট, অনিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের একদল মনে করছেন, ইচ্ছে করেই এই চুক্তি অস্পষ্ট রাখা হয়েছে কারণ, এর ফলে দুই পক্ষকে চুক্তি মানতে রাজি করানো সহজ হয়েছে। অন্যদিকে, অপরপক্ষের অভিমত, অস্পষ্টতার কারণে এই চুক্তি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। খবর ডয়চে ভেলের।

গাজা স্ট্রিপের দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার। প্রস্থে ১০ কিলোমিটার। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছিল, তারা প্রায় পুরো অঞ্চলটিই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। বিশেষত উপকূলবর্তী অঞ্চল তাদের দখলে চলে গেছিল।

শান্তি চুক্তিতে বলা হয়েছে, জীবিত সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিলে ইসরায়েলের সেনাকে গাজা ছেড়ে চলে আসতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলের সেনা ইয়েলো লাইন পর্যন্ত পিছিয়ে এসেছে। এই ইয়েলো লাইন গাজার ভিতরেই অবস্থিত।

ফলে এখনো গাজার অর্ধেক অংশ ইসরায়েল সেনার দখলে, এমনটা বলাই যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই বক্তব্য. ইসরায়েল পুরোপুরি গাজা ছেড়ে চলে যাবে না।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করবে সাতটি রাজনৈতিক দল। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবত...
14/10/2025

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করবে সাতটি রাজনৈতিক দল। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত রুটে বিভিন্ন স্থানে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।

দলগুলো হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।

গত মাস থেকে প্রায় অভিন্ন দাবিতে এই দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রথম দফায় রাজধানীসহ সারা দেশে তিন দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের পর গত ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় গোলটেবিল আলোচনা, মতবিনিময়, সেমিনার আয়োজন ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তারা। সর্বশেষ গত রোববার দেশের সব জেলায় একযোগে প্রধান উপদেষ্টা বরারব স্মারকলিপি পেশ করেছে দলগুলো।

এরই অংশ হিসেবে আজ যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় দফায় কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে সবকটি দল। তাদের দাবি ও কর্মসূচি প্রায় অভিন্ন হলেও তাঁরা নিজস্ব ব্যানারে পৃথকভাবে মানববন্ধনে দাঁড়াবে বলে জানা গেছে। সকাল ১১টায় শুরু হবে মানববন্ধন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত। দলটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী নেতারা মৎস ভবন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা মতিঝিলিরে শাপলা চত্বরে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলার মোড় থেকে যাত্রাবাড়ি মোড় ও উত্তরের নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলার মোড় থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেবেন।

দৈনিক বাংলা মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নেবেন মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারাও। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জানিয়েছে, তারা পল্টন থেকে প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে অংশ নেবেন। পল্টন মোড়ে খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরের নেতাদেরও মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন জানিয়েছে দলটির আমির আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, নায়েব আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা শাহবাগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করবে সাতটি রাজনৈতিক দল। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবত...
14/10/2025

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকায় মানববন্ধন করবে সাতটি রাজনৈতিক দল। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত রুটে বিভিন্ন স্থানে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।

দলগুলো হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।

গত মাস থেকে প্রায় অভিন্ন দাবিতে এই দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। প্রথম দফায় রাজধানীসহ সারা দেশে তিন দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের পর গত ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় গোলটেবিল আলোচনা, মতবিনিময়, সেমিনার আয়োজন ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তারা। সর্বশেষ গত রোববার দেশের সব জেলায় একযোগে প্রধান উপদেষ্টা বরারব স্মারকলিপি পেশ করেছে দলগুলো।

এরই অংশ হিসেবে আজ যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় দফায় কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে সবকটি দল। তাদের দাবি ও কর্মসূচি প্রায় অভিন্ন হলেও তাঁরা নিজস্ব ব্যানারে পৃথকভাবে মানববন্ধনে দাঁড়াবে বলে জানা গেছে। সকাল ১১টায় শুরু হবে মানববন্ধন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত। দলটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী নেতারা মৎস ভবন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জানিয়েছে তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা মতিঝিলিরে শাপলা চত্বরে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলার মোড় থেকে যাত্রাবাড়ি মোড় ও উত্তরের নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলার মোড় থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেবেন।

দৈনিক বাংলা মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নেবেন মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারাও। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জানিয়েছে, তারা পল্টন থেকে প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে অংশ নেবেন। পল্টন মোড়ে খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরের নেতাদেরও মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন জানিয়েছে দলটির আমির আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, নায়েব আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা শাহবাগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

আসুন জেনে নেই আজকের দিন তারিখ,,,,,,
14/10/2025

আসুন জেনে নেই আজকের দিন তারিখ,,,,,,

গাজায় আটক অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময়...
13/10/2025

গাজায় আটক অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

গাজায় প্রধম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার কিংবা দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতোমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিসরে সম্মেলন শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক এ সময়টায় ইসরায়েলে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখান থেকে তার মিসরে যাওয়ার কথা। ইসরায়েল সফরে দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার মূল শর্তগুলো হলো—গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ, উপত্যকাটির নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনাদের সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময়। রবিবার দিনভর বন্দিদের মুক্তি বিষয়ে তৎপরতা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1247932500708563&id=100064754734174&mibextid=ZbWKwL
13/10/2025

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1247932500708563&id=100064754734174&mibextid=ZbWKwL

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই রোববার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে পাক-আফগান সীমান্তে চলমান সংঘাতে উভয় পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মুসলমানরা পরস্পর ভাই। একজন মুসলমানের ওপরে ওপর মুসলমানের রক্ত হারাম। এমনকি হাদিসের ভাষ্যমতে মুসলমানরা পরস্পর একদেহের মতো। একজন আহত হলে অপরজনও ব্যথা অনুভব করা ঈমানের দাবি। মুসলমানদের এমন পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদের একই বিশ্বাস থাকার পরেও পাক-আফগানের চলতি সংঘাত বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারণ হচ্ছে। আমরা উভয়পক্ষকে বিষয়টি সহনশীলতা, কৌশল ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে আলোচনার টেবিলে সমাধান করতে আহবান জানাচ্ছি।

মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, আফগানের সাথে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। আফগানদের সোভিয়েত বিরোধী সংগ্রামে পাকিস্তানের ভূমিকা ইতিহাসের একটি ইতিবাচক অধ্যায়। লাখো আফগানী বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে হৃদ্যতা কিংবদন্তিতুল্য। এমন দুই প্রতিবেশী মুসলিম দেশের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত কোনভাবেই কাম্য নয়। উভয় দেশের উলামায়ে কেরাম, রাজনীতিবিদগণ একসাথে বসলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে আমরা আশা করি।

পীর সাহেব চরমোনাই উভয় দেশের নেতৃবৃন্দকে বতর্মানে বিরাজমান এই সমস্যাকে ধৈর্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে সমাধান করার আহ্বান জানান।
সূত্র :আওয়ার ইসলাম ২৪

Address

Bogura

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when OurMedia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to OurMedia:

Share