05/09/2025
আসছে ২২ই সেপ্টেম্বর , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ৭ই আশ্বিন
মিসবাহুত-ত্বরিকত, হযরত সৈয়দ ফকির আব্দুল মান্নান শাহ্ নকশেবন্দ (রঃ) উপমহাদেশের অন্যাতম ওলী আল্লাহ। উপরিউক্ত তারিখে উনার পবিত্র বেছাল রজনী এবং উরস শরীফ।
হযরতের পূর্বপুরুষগণ ইয়েমেন হইতে ভারতবর্ষ হয়ে সীলসিলাহ্ গতভাবে আগমন করেন এবং সিজরায়ে আলীয়া, খেলাফতে হোসাইনি'র ৪৩ তম খেলাফতে বাংলায় পদার্পণ করেন। বাংলাদেশের বি-বাড়িয়া অঞ্চলে গুনারা শরীফে আদি ও ঐতিহ্যবাহী গুনারা দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন যার বর্তমান নাম গুনারা মান্নানীয়া জামানীয়া দরবার শরীফ।
সেখানে তিনি ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি মানুষের আধ্যাত্মিক এবং আত্বিক উন্নয়ন সাধনে ত্বরিকতের জ্ঞ্যানের প্রদিপ প্রজ্জ্বলিত করেন। যিনি তৎকালীন সময়ে সুন্নীয়ত ও সুফি ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেন। উনার সান্নিধ্য লাভের আশায় তৎকালীন উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ভক্ত, মুরিদান আশেকান ও বুযুর্গ ব্যাক্তিগন উপস্থিত হতেন এমনকি বার্মা(মিয়ানমার) ও উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক দরবার শরীফ ও পীর সাহেবগন উনার নিকট/দরবারে হাদিয়া ও নজরানা প্রেরন করতেন।
এ থেকেই অনুমান করা যায় কতো বড় মাপের ওলী আল্লাহ তিনি ছিলেন। উনার অনেক বিখ্যাত মুরীদানগনের মধ্যে হযরত আব্দুল আজিজ কারী (রঃ) অন্যতম যার মাজার শরীফ বি-বাড়িয়াতেই অবস্থিত।
এখনও পর্যন্ত কোরআন-হদিসের আলোকে ও সম্পুর্ন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়েই উক্ত দরবার শরীফে হযরতের বেছাল রজনীতে বাৎসরিক বড় উরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা এতটাই পুত ও পবিত্র নিচের চোখে না দেখলে ভুল ভাঙাবে না।
বিদ্রঃ বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উরস মাহফিল এর সময়ে যেসব অ-ইসলামিক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয়া হয় তা নিন্দনীয় কিন্তু সত্যিকার আউলিয়ায় আল্লাহির দরবার শরীফ যে দুনিয়াবী অর্থ প্রতিপত্তি ও শক্তিকে কে প্রাধান্য না দিয়ে আল্লাহ-আল্লাহর হাবীবের প্রেম ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হয় তার সুস্পষ্ট উদাহরণ হযরতের পবিত্র মাজার শরীফ ও গুনারা মান্নানীয়া জামানীয়া দরবারে আক্বিদা। আল্লাহপাক এই মহান ওলীর উছিলায় আমাদের সত্য ও সুপথ দান করুন, আমীন।
আল্লাহ পাক ও উনার পেয়ারা হাবীব (সঃ) এর শাহী দরবারে আকুল আবেদন এই যে, আমরা যেন আউলিয়া আল্লাহির আদর্শে জীবন গড়তে পারি ও উনাদের ফয়েজ ও বরকত লাভ করতে পারি।🙏❤️