01/02/2025
আলহামদুলিল্লাহ!
৩৪ বছরে পদার্পণ করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র "দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া"।
মোহাম্মদ নূরুল হোসেন ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক,আমার বাবা।
স্বপ্নবাজ মানুষ ছিলেন বাবা। স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো খবর ও খবরের কাগজ। মাত্র বারো বছর বয়সে হাতেলেখা দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করার মাধ্যমে সংবাদপত্রের জগতে বাবার পথচলা শুরু হয়েছিল।আশির দশকে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংবাদপত্র জগতের ভরসা ও প্রত্যাশার নাম ছিল "সাপ্তাহিক তিতাস"।জুবিলি প্রেস থেকে প্রতি মঙ্গলবার প্রকাশিত হতো তৎকালীন সময়ের একমাত্র এই সাপ্তাহিকটি।এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকও ছিলেন বাবা।চলতি শতকের গোড়ার দিকে পত্রিকাটি হাতবদল হয়।
সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য খবরাখবর নিয়ে পত্রিকাটি প্রকাশিত হলেও এতে মন ভরছিল না বাবার।চিন্তা করছিলেন একটি দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশ করবেন।এই নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক সুধীজনের সাথে আলোচনাও করেছেন দীর্ঘদিন।অধ্যাপক হরলাল রায় স্যার,অধ্যাপক মিন্নত আলী স্যার তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।তা়ঁরা দুইজনই বাবার শিক্ষক ছিলেন।এজন্য বাবার মুখে তাঁদের দুজনের নাম অনেকবার শুনেছি ।তাঁদের ছাড়া আরও অনেকেই ছিলেন।আমার ব্যাক্তিগতভাবে তাঁদের কথা মনে নেই।
তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো একটা জেলা শহর থেকে দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশ একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।বাবা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন এবং সফল হলেন, আলহামদুলিল্লাহ।১৯৯১ সালের ১ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২০১৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর আমার মা দেওয়ান ফয়জুন্নাহার চৌধুরী বর্তমানে সংবাদপত্রটির সম্পাদক।নানারকম প্রতিকূল পরিস্থিতির পরও অনেকের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় এখনো তিনি পত্রিকাটি প্রকাশ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
পত্রিকার এই গৌরবময় ৩৪ বছর বয়সে দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সেসকল সাংবাদিক,পাঠক,বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ পাশে ছিলেন,আছেন তাদের প্রতি দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবারের অশেষ কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল 🌿💐