18/08/2025
▫️ *১)কালেমা তাইবাঃ*
لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ
_অর্থ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।_
`আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই। হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রসূল।`
▫️ *২)কালেমা শাহাদাতঃ*
اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
_উচ্চারণ : আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু |_
`অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের উপযুক্ত না এবং আল্লাহর কোন অংশীদার নেই | আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ(সাঃ ) আল্লার শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং আল্লাহ প্রেরিত রসূল |`
▫️ *৩)ভাল মৃত্যু লাভের দুয়া:*
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُسْنَ الْخَاتِمَةِ
_"আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুসনাল খতীমাহ।"_
`অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে উত্তম মৃত্যু দান করুন।`
▫️ *৪)সবসময় পড়ার দুআঃ*
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ الْعَافِيَةَ
_"আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফিয়াহ।"_
`অর্থ: হে আল্লাহ আপনার কাছে আমি নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি।`
▫️ *৫)জান্নাত ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় পাওয়ার জন্য দুআঃ*
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
_"আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আউজুবিকা মিনান নার।"_
`’অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’`
▫️ *৬) মা বাবার জন্য দুআঃ*
رَّبِّ ارْحَــمْــهُـمَا كَـمَا رَبَّـيَـانِـي صَـغِـيـرًا
_"রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা।”_
`"হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতা-মাতার প্রতি দয়া করুন, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।"`
▫️ *৭)শবে কদর এবং সবসময় এই দুআ:*
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
_"আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।"_
`অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)`
▫️ *৮)হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বেশি বেশি এই দোয়া করতেন।দ্বীনের উপর অটল থাকার দুআঃ*
اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ
_‘আল্লাহুম্মা ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিক’।_
`অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার হৃদয়কে আপনার দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন’।`
▫️ *৯)দ্বীনে ফেরার পর আগের মত হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় এর উদ্দেশ্যে দুআঃ*
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
_“রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা'দা ইয হাদাইতানা, অহাব লানা মিল্লাদুন্কা রাহমাহ, ইন্নাকা আন্তাল অহহাব।”_
`অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিয়ো না এবং তোমার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর। নিশ্চয় তুমি মহাদাতা। (আলে ইমরানঃ ৮)।`
▫️ *১০)দুশ্চিন্তা ও দুঃখ দূর করার দুআঃরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পড়তেন-*
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَأضَلَعَ الدَّيْنِ وَ غَلَبَةِ الرِّجَالِ
_উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আঝযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ (নাসাঈ_)
`হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে। অধিক ঋণ থেকে এবং দুষ্টু লোকের প্রাধান্য থেকে।’`
▫️ *১১)হিংসা বিদ্বেষ দূর করার দুআঃ*
-رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ‘
_রাব্বানাগফিরলানা ওয়া লি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা ছাবকুনা বিল ইমানি ওয়া লা তাঝআল ফি কুলুবিনা গিল্লাল লিল্লাজিনা আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম।’ (সুরা হাশর : আয়াত ১০)_
`হে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের সেসব ভাইকেও ক্ষমা কর যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে আর মুমিনদের প্রতি আমাদের হৃদয়ে কোনো বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি অতি স্নেহশীল ও পরম করুণাময়।’`
▫️ *১২)খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দুআঃ*
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
_উচ্চারণঃ রব্বানাগফিরলি অলিওয়া লিদাইয়্যা অ- লিলমুমিনীনা ইয়াওমা_ ইয়াকুমুল হিসা-ব্।
`অর্থ: হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। (সূরা ইবরাহিম- আয়াত ৪১)`
🔶৩ /১ বার করে হলেও পড়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।