Mohammad Abdul Mazid

Mohammad Abdul Mazid السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

20/08/2025

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
ফজরের শুভেচ্ছা রইল।

20/08/2025

I got over 50 reactions on my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

স্বার্থ যেখানে শেষ বদনাম সেখান থেকে শুরু এটাই দুনিয়ার রীতি।
18/08/2025

স্বার্থ যেখানে শেষ
বদনাম সেখান থেকে শুরু
এটাই দুনিয়ার রীতি।

18/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ
সকলকে ফজরের শুভেচ্ছা রইল

চুনতী মাহফিলের এই বছর ওয়ায়েজিনের তালিকা। #১ম দিনের ওয়ায়েজঃ১/মাওলানা মোস্তফা নূরী, চকরিয়া ২/ড. মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম ...
18/08/2025

চুনতী মাহফিলের এই বছর ওয়ায়েজিনের তালিকা।

#১ম দিনের ওয়ায়েজঃ
১/মাওলানা মোস্তফা নূরী, চকরিয়া
২/ড. মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম
৩/মাওলানা শরিয়ত উল্লাহ জিহাদি চট্টগ্রাম
৪/মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী,চট্টগ্রাম
৫/মাওলানা জয়নুল আবেদীন কক্সবাজার

#২য় দিনের ওয়ায়েজঃ
৬/মাওলানা জালাল উদ্দীন চকরিয়া
৭/মাওলানা শহিদুল ইসলাম নিজামী চুনতী
৮/মাওঃ লুৎফুর রহমান লোহাগাড়া
৯/মাওলানা নুরুল আমিন সিদ্দিকী রামু
১০/মাওলানা মহসিন আল হোসাইনী চট্টগ্রাম
১১/মাওলানা ওসমান গনি লোহাগাড়া চট্টগ্রাম
১২/মাওলানা শফিউল হক জিহাদি চকরিয়া

#৩য় দিনের ওয়ায়েজঃ
১৩/মাওঃ মুসলেহ উদ্দিন ফারুকী বান্দরবান
১৪/মাওলানা কফিলউদ্দিন বান্দরবান
১৫/মাওলানা মুজিবুল হক বান্দরবান
১৬/মাওলানা এনামুল হক মুঈন বান্দরবান

#৪থ দিনের ওয়ায়েজঃ
১৭/মাওলানা ওমর ফারুক ইয়াকুবী লোহাগাড়া
১৮/মাওলানা কফিলউদ্দিন চকরিয়া
১৯/মাওঃ রিদওয়ানুল হক নিজামী চুনতী
২০/মাওলানা মাহমুদুল হাসান পতেঙ্গা

#৫ম দিনের ওয়ায়েজঃ
২১/মাওলানা সালাহ উদ্দীন হাবিবী চুনতী
২২/মাওলানা আবদুর রহিম ঢাকা
২৩/মাওঃ আবু মুছা খালেদ জামিল লোহাগাড়া
২৪/মাওঃ আবদুর রহমান জাবেরী নারায়ণগঞ্জ

#৬ষ দিনের ওয়ায়েজঃ
২৫/ মাওঃ ইদ্রীস হোসাইন সাতকানিয়া
২৬/মাওলানা আবুল ফয়েজ আনসারী রামু
২৭/মাওলানা মাহমুদুল হাসান কুমিল্লা
২৮/মাওলানা আ.ন.ম নোমান লোহাগাড়া

#৭ম দিনের ওয়ায়েজঃ
২৯/মাওলানা আবদুর রহিম চকরিয়া
৩০/মাওলানা কুতুবউদ্দিন সাতকানিয়া
৩১/ড. শহিদুল হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩২/মাওলানা এনামুল হক আযাদী ঢাকা

#৮ম দিনের ওয়ায়েজঃ
৩৩/মাওলানা আবদুল মোমেন সাতকানিয়া
৩৪/ড.ছাবের আহমদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫/মাওলানা আহমুদুর রহমান চট্টগ্রাম
৩৬/মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ দোহাজারী

#৯ম দিনের ওয়ায়েজঃ
৩৭/মাওলানা নিজাম উদ্দিন চুনতী
৩৮/মাওলানা মুজাহিদুর রহমান চুনতী
৩৯/মাওলানা শরাফত হোসাইন চট্টগ্রাম
৪০/মাওঃ তাওফিক আল মোবারক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৪১/মাওলানা শহিদুল ইসলাম পেকুয়া
৪২/ড. সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩/ড. মুনাওয়ার আজহার চট্টগ্রাম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়

#১০ম দিনের ওয়ায়েজঃ
৪৪/মাওলানা খোবাইব চুনতী
৪৫/মাওলানা হেলাল উদ্দিন লোহাগাড়া
৪৬/মাওলানা কামাল হোসাইন টঙ্গী
৪৭/মাওলানা আবদুস সালাম কাসেমী টঙ্গী
৪৮/ড. আবদুল কাদের নিজামী লোহাগাড়া

#১১তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৪৯/মাওলানা শফি উদ্দিন মিনহাজ চট্টগ্রাম
৫০/মাওঃ আবরার হোসাইন আসহাবী কক্সবাজার
৫১/মাওলানা সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী ঢাকা
৫২/ডাঃ হুমায়ুন কবির খান চুয়াডাঙ্গা

#১২তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৫৩/আবদুল হালিম চট্টগ্রাম
৫৪/মাওলানা শাহাদাত হোসাইন লোহাগাড়া
৫৫/মাওলানা ফারুক হোসাইন চুনতী
৫৬/মাওলানা শাহে আলম জিহাদী

#১৩তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৫৭/মাওলানা আরমান বিন আমিন চট্টগ্রাম
৫৮/ড. এনামুল হক মুজাদ্দেদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫৯/মাওলানা মনিরুল আলম সাতকানিয়া
৬০/মাওলানা ফখরুদ্দীন ঢাকা

#১৪তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৬১/মাওলানা কাজী বদরুদ্দীন সাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬২/মাওলানা শিহাব উদ্দিন বায়তুশরফ চট্টগ্রাম
৬৩/মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাকী নদভী চট্টগ্রাম
৬৪/মাওলানা সেলিম জাহাঙ্গীর সীতাকুণ্ড

#১৫তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৬৫/মাওলানা ইসমাঈল হানাফি চট্টগ্রাম
৬৬/মাওলানা জিয়াউল করিম চুনতী
৬৭/মাওলানা শায়খ জামাল উদ্দিন ঢাকা
৬৮/রাফি বিন মুনির ঢাকা

#১৬তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৬৯/মাওলানা আবদুল মন্নান শামসী সাতকানিয়া
৭০/মাওলানা জামাল উদ্দিন লোহাগাড়া
৭১/মাওলানা আবদুল হামিদ চুনতী
৭২/ড.আ ফ ম খালেদ হোসেন মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা
৭৩/ড. ফয়জুল হক সিলেট
৭৪/মাওঃ মাহমুদুর রহমান দেলোয়ার সিলেট

#১৭তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৭৫/মাওলানা আবদুল করিম লোহাগাড়া
৭৬/মাওলানা ইমরান সাঈদ লোহাগাড়া
৭৭/মাওলানা আবু তৈয়ব লোহাগাড়া
৭৮/মাওঃ হাফিজুল হক নিজামী লোহাগাড়া
৭৯/মাওঃ আবদুর রহিম বশরী কক্সবাজার
৮০/মুফতী আমির হামজা কুষ্টিয়া

#১৮তম দিনের ওয়ায়েজঃ
৮১/মাওলানা জোবাইর হোসাইন ছিদ্দিকী লোহাগাড়া
৮২/মাওলানা সফওয়ান আজহারী চট্টগ্রাম
৮৩/মাওলানা শফিউল আলম কক্সবাজার
৮৪/মাওলানা মুহি উদ্দিন মাহবুব চট্টগ্রাম
৮৫/মাওলানা শাহে আলম চুনতী
৮৬/মাওঃ জাকারিয়া আল হোসাইনী ঢাকা
৮৭/মাওঃ সাদিকুর রহমান আজহারী ঢাকা

#১৯তম দিনের ওয়ায়েজঃ তথা সমাপনী দিবস
৮৮/মাওলানা জাফর সাদেক ইকবাল লোহাগাড়া
৮৯/মাওলানা কাজী নাসির উদ্দীন লোহাগাড়া
৯০/মাওলানা ড. ঈসা শাহেদী ঢাকা
৯১/মাওলানা সাইয়িদ আবু নোমান চট্টগ্রাম
৯২/মাওলানা আবদুল হাই নদভী রাহবারে বায়তুশরফ চট্টগ্রাম
৯৩/মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী কুমিল্লা
৯৪/মাওলানা ড. আ ক ম আবদুল কাদের চট্টগ্রাম
৯৫/মাওলানা ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার চট্টগ্রাম
৯৬/মাওলানা এহসান উল্লাহ আব্বাসী নারায়ণগঞ্জ
৯৭/মাওলানা জহিরুল ইসলাম জাবেরী ঢাকা
৯৮/মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন ঢাকা
৯৯/ড. শহীদুল ইসলাম বারাকাতী ঢাকা
১০০/ড. এনায়েতুল্লাহ্ আব্বাসী, নারায়ণগঞ্জ ঢাকা।।

17/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ
শুভ রাত্রি 🌹

17/08/2025
17/08/2025

শুভ বিকাল 🤲

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 মদিনা থাই এ্যালুমিনিয়াম, মোহাম্মদ হামিদ...
16/08/2025

Thanks for being a top engager and making it on to my weekly engagement list! 🎉 মদিনা থাই এ্যালুমিনিয়াম, মোহাম্মদ হামিদ হোসেন, Nurjahan Sultana Dilu

15/08/2025

প্রসঙ্গঃ কুড়ানো মালের শর'য়ী বিধান
•••••••••••••••••••••••••••••••
সুপ্রিয় পাঠক!
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কুড়ানো মালকে "গনীমতের মাল" মনে করে।
আসলেই কি তাই ? না,কখনো না ।
মূলতঃ কুড়ানো মাল হচ্ছে সেই আমানতেরই একটি প্রকার, ইসলামের দৃষ্টিতে যার হিফাজত হচ্ছে প্রকৃত মু'মিনের অনিবার্য দায়িত্ব।
অতএব আমি মনে করি কুড়ানো সম্পদের বিস্তারিত শর'য়ী বিধান জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরী বিষয়। তাই আসুন,সবিস্তারে জেনে নেই :
#কুড়ানো_মালের_শরয়ী_বিধান।

মালিকের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া ও অন্যজন কর্তৃক কুড়ানো সম্পদ কে পরিভাষায় বলা হয় اللقطة ( লুক্বতাহ)।
'লুক্বতাহ সম্পর্কিত বিধিমালা' ইসলামী শরী'য়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
ইসলাম মুসলমানদেরকে মানুষের সহায়-সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে সে সবের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়।
মূলতঃ এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রবর্তিত হয়েছে ' কুড়ানো মালের শর'য়ী বিধান '।

মালিকের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া সম্পদ তিনটি অবস্থার বাইরে হয় না।
✍️ প্রথম অবস্থা :
--------------------
হারানো বস্তুটি এমন স্বল্প মূল্যের হবে যে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা একে খুঁজে বেড়ায় না,যেমন - বেত, রুটি, ফল, লাঠি , রশি।
এ ধরনের স্বল্প মূল্যের বস্তুর প্রাপক বিধিসম্মত প্রচার-প্রচারণা ব্যতিরেকে নিজ মালিকানায় এটিকে ব্যবহার করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন :
رخص لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في العصا والسوط والحبل وأشباهه يلتقطه الرجل ينتفع به.
" রাসুলুল্লাহ সা. আমাদের অনুমতি দিয়েছেন,কোন ব্যক্তি লাঠি, বেত, রশি ও এ ধরনের বস্তু কুড়িয়ে নিয়ে তা দ্বারা উপকার লাভ করতে পারবে।(আবু দাউদ)

✍️ দ্বিতীয় অবস্থা:
--------------------
হারানো বস্তুটি এমন জন্তু হবে , যেটি নিজেকে হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
হয়তোবা স্বীয় দৈহিক শক্তির মাধ্যমে হোক, যেমন উট, ঘোড়া,গরু,খচ্চর ।
অথবা স্বীয় উড্ডয়নের মাধ্যমে হোক, যেমন পক্ষিকুল।
অথবা স্বীয় গতির ক্ষীপ্রতার মাধ্যমে হোক, যেমন হরিণ।
অথবা স্বীয় দাঁত বা থাবার সাহায্যে প্রতিরোধের মাধ্যমে হোক, যেমন শিকারী জন্তু।
এ প্রকারের মালিক বিহীন প্রাপ্ত জন্তু কুড়িয়ে নেয়া হারাম। বিধি সম্মত প্রচার-প্রচারণা সম্পন্ন করেও প্রাপক ও গ্রাহক ব্যাক্তি এ সবের মালিক হতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম শরীফে উল্লেখিত হযরত যাঈদ বিন খালেদ আল জুহনী (رضى الله عنه) বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্য :
রাসুলুল্লাহ সা. কে প্রশ্ন করা হল মালিক বিহীন প্রাপ্ত উট সম্পর্কে, তখন তিনি বললেন:
مالك ولها ؟ معها سقاؤها وحذاؤها ترد الماء ، وتأكل الشجر ، حتى يجدها ربها.
" সেটির ব্যাপারে তোমার টেনশন কিসের? তার সাথে রয়েছে পান করার পানীয় ও হাঁটার জুতা।প্রয়োজনে সেটি পানিতে নামবে ও গাছপালা খাবে। অবশেষে তাকে পেয়ে যাবে তার মালিক।"

এ প্রকারের বিধান ভূক্ত বস্তু হলো - বড় ও ভারী দ্রব্য, যেমন বড় ডেক, কাঠ, লোহা তথা ঐ সকল বস্তু , যেগুলো সংরক্ষিত থাকে,সহজে নষ্ট হয় না এবং যেগুলোকে নিজ স্থান হতে অন্যত্র বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় না। তাই উপর্যুক্ত মালিক বিহীন প্রাপ্ত জন্তু গুলোর মত এগুলোকেও গ্রহন করা যায় না।
✍️ তৃতীয় অবস্থা :
--------------------
হারানো বস্তুটি অন্য প্রকারের মাল হবে, যেমন নগদ অর্থ,আসবাবপত্র এবং এমন সব ছোট জন্তু, যে গুলো হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে না। যেমন - ছাগল، উট ও গরুর বাচ্চা।
এ প্রকারের সম্পদের প্রাপক যদি এগুলোর আত্মসাত ও অপব্যবহারের ব্যাপারে নিজেকে নিরাপদ মনে করে, তাহলে ( নিম্নে বর্ণিত ব্যাখ্যার আলোকে) এগুলোকে উঠিয়ে নিতে পারে।

এই সম্পদ হতে পারে তিন প্রকারের।
প্রথম প্রকার :
-----------------
খাওয়ার উপযুক্ত জন্তু, যেমন উট-গরুর বাচ্চা, ছাগল ও হাঁস- মুরগি। এই প্রকারের প্রাপ্ত জন্তুর প্রাপক নিম্নে বর্ণিত উপায় গুলোর মধ্যে মালিকের জন্য যেটি উপকারী মনে করবে সেটি করতে পারে।
১. মালিক পাওয়া গেলে মূল্য পরিশোধ করার শর্তে খেয়ে ফেলা।
২. বিক্রি করে মালিকের জন্য মূল্য সংরক্ষণ করা। তবে জেনে রাখতে হবে এর চিহ্ন ও বৈশিষ্ট্যগুলো।
৩. মালিকানায় নেয়া ছাড়া নিজের কাছে সংরক্ষণ করা ও স্বীয় সম্পদ হতে তার জন্য ব্যায় নির্বাহ করা। মালিক আসলে খরচের অর্থ ফেরত নিয়ে তার কাছে সমর্পণ করা।
এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম শরীফে উল্লেখিত হযরত যাঈদ বিন খালেদ আল জুহনী রা. বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্য :
রাসুলুল্লাহ সা. কে যখন প্রশ্ন করা হল মালিক বিহীন প্রাপ্ত ছাগল সম্পর্কে, তখন তিনি বললেন:
خذها ، فإنما هي لك أو لأخيك أو للذئب.
" তুমি একে নিজ আয়ত্তে নিয়ে নাও । কারণ এটি হয় তোমার জন্য হবে অথবা তোমার অপর ভাইয়ের জন্য হবে অথবা নেকড়ে বাঘের জন্য হবে।"
এর অর্থ হলো : এই জন্তটি দূর্বল, ধ্বংসের মুখোমুখি এবং একে হয় তোমাকে নিতে হবে অথবা অন্য কাউকে নিতে হবে , অন্যথায় একে খেয়ে ফেলবে নেকড়ে বাঘ।

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন:
এই হাদীসের মধ্যে রয়েছে মালিক বিহীন ছাগলকে উঠিয়ে নেয়ার বৈধতা।
ছাগলের মালিক খুঁজতে না আসলে সেটি প্রাপকের মালিকানায় থাকবে। সে চাইলে মূল্য পরিশোধ করার শর্তে তা খাবে অথবা বিক্রি করে মালিকের জন্য মূল্য সংরক্ষণ করে রাখবে অথবা না খেয়ে ও না বেচে স্বীয় সম্পদ থেকে তার জন্য ব্যয় নির্বাহ করবে।"
দ্বিতীয় প্রকার:
-----------------
পচনশীল বস্তু , যেমন তরমুজ ও ফলমূল। এ গুলোর ব্যাপারে প্রাপক ব্যক্তি মালিকের জন্য দুটি উপায়ের যেটি উপকারী মনে করবে সেটি করতে পারে। যথা - মালিক পাওয়া গেলে মূল্য পরিশোধ করার শর্তে খেয়ে ফেলা অথবা বিক্রি করে মালিকের জন্য মূল্য সংরক্ষণ করা।
তৃতীয় প্রকার :
-----------------
উপরোক্ত দুই প্রকার ছাড়া অন্য সব সম্পদ, যেমন - নগদ অর্থ, আসবাবপত্র। এ সবের ব্যাপারে প্রাপক ও গ্রাহকের জন্য আবশ্যক হলো এ গুলোকে নিজ হাতে আমানত হিসেবে রেখে দেয়া এবং জনসমাগমস্থলে এর প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

প্রাসঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয় :
----------------------------------
বিভিন্ন প্রকারের মালিক বিহীন প্রাপ্ত সম্পদকে কুড়িয়ে নেয়া তখনই বৈধ হবে, যখন প্রাপক এ গুলোর আত্মসাত ও অপব্যবহারের ব্যাপারে নিজেকে নিরাপদ মনে করবে এবং বিধিসম্মত প্রচার- প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণে সক্ষম হবে।
এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম শরীফে উল্লেখিত হযরত যাঈদ বিন খালেদ আল জুহনী রা. বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্য :
তিনি বলেন নবী সা. কে কুড়ানো স্বর্ণ ও রৌপ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:
اعرف وكاءها وعفاصها ، ثم عرفها سنة ، فإن لم تعرف ، فاستنفقها ، ولتكن وديعة عندك ، فإن جاء طالبها يوماً من الدهر ، فادفعها إليه ،
" তুমি চিনে নাও এর وكاء অর্থাৎ ব্যাগ বা প্যাকেটের বাঁধন ও عفاص অর্থাৎ ব্যাগ বা প্যাকেটের ধরণ-প্রকৃতি অতঃপর এক বৎসর যাবৎ এর প্রচার-প্রচারণা চালাও। অনন্তর মালিকের খোঁজ যদি না পাও তাহলে একে নিজ প্রয়োজনে ব্যায় কর। তবে এটি তোমার নিকট আমানত হিসেবেই থাকবে , অতএব পরবর্তী সময়ের কোন একদিন যদি এর দাবিদার এসে উপস্থিত হয় তখন একে তাকে দিয়ে দেবে।"

হাদীসের মধ্যে যে এক বছর প্রচার-প্রচারণার কথা বলা হয়েছে, এর অর্থ হলো পূর্ণ এক বছর জনসমাগমস্থলে তথা হাটে-বাজারে, মসজিদ গুলোর ফটকে ও মজলিস-মাহফিলে এর কথা প্রচার করা। প্রথম সপ্তাহে প্রচার করা হবে প্রতিদিন, কারণ এ সময়ে মালিক আসার সম্ভাবনা প্রবল। এক সপ্তাহ পর প্রচার করা হবে প্রচারের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে।
উল্লেখ্য, এই প্রচারের দ্বারা উদ্দেশ্য যেহেতু মালিকের সন্ধান লাভ করা সেহেতু প্রচার-প্রচারণা ক্ষেত্রে প্রাচীন পদ্ধতির সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
অত্র হাদীসটি প্রচার-প্রচারণার আবশ্যকতা নির্দেশ করে।

রাসুলুল্লাহর সা. এর বাণী اعرف وكاءها وعفاصها এই বিষয়ে প্রমাণ বহন করে যে, কুড়ানো বস্তুর গুনাগুণ জেনে রাখাটা আবশ্যক। যাতে করে বস্তুটির মালিক আসলে এবং তার প্রদত্ত বিবরণ প্রাপ্ত বস্তুর গুনাগুণ অনুযায়ী হলে তাকে তা ফেরত দেয়া যায়।

রাসুলুল্লাহর বাণী فإن لم تعرف ، فاستنفقها এ বিষয়ে প্রমাণ বহন করে যে, এক বছর যাবত প্রচার-প্রচারণার পর মালিক পাওয়া না গেলে প্রাপক ব্যক্তি তার মালিক হবে। তবে বস্তুটির গুনাগুণ তথা এর ব্যাগ বা প্যাকেটের বাঁধন , পাত্র তথা ব্যাগ বা প্যাকেট , পরিমাণ, জাত ও বৈশিষ্ট্য জানা ছাড়া এতে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অনন্তর এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি মালিক এসে বস্তুর গুনাগুণের অনুরূপ বিবরণ দেয় , তখন তাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে।
কেননা রাসূলুল্লাহ এরশাদ করেন :
فإن جاء طالبها يوماً من الدهر ، فادفعها إليه.
"অতএব পরবর্তী সময়ের কোন একদিন যদি এর দাবিদার এসে উপস্থিত হয় তখন একে তা দিয়ে দেবে।"

▪উপরোক্ত বিবরণের আলোকে স্পষ্ট হলো যে , কুড়ানো সম্পদের ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় আবশ্যক।
প্রথমত :
•••••••••
সম্পদ পাওয়ার পর প্রাপক তখনই তা তুলে নেয়ার জন্য উদ্যত হবে যখন সে উহার হেফাজতের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা অবলম্বনের ব্যাপারে সুনিশ্চিত হবে এবং মালিকের সন্ধান লাভ করা পর্যন্ত এর প্রচার-প্রচারণার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জন করবে। অন্যথায় তার জন্য উহা তুলে নেয়া বৈধ হবে না। এতদসত্ত্বেও সে যদি তুলে নেয় তাহলে সে অবৈধ উপায়ে অন্যের সম্পদ নেয়া ও অন্যের সম্পদ নষ্ট করার দোষে আত্মসাত কারি হিসেবে বিবেচিত হবে।
দ্বিতীয়ত:
••••••••••
তুলে নেয়ার আগে কুড়ানো বস্তুর ব্যাগের বাঁধন, ব্যাগের ধরণ, পরিমাণ, জাত ও শ্রেণি জেনে নেয়ার মাধ্যমে এর গুনাগুণ সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করতে হবে।
তৃতীয়ত:
•••••••••
কুড়ানো বস্তুর মালিকের সন্ধানে পূর্ণ এক বছর প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন , এক সপ্তাহ পর প্রচলিত নিয়ম অনুসারে। প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে জনসমাগমস্থলে তথা হাটে-বাজারে, নামাজের সময়ে মসজিদ গুলোর ফটকে। তবে মসজিদের অভ্যন্তরে কুড়ানো বস্তু সম্পর্কে কোন ঘোষণা দেয়া যাবে না , কারণ মসজিদ এই উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি।
চতুর্থত:
••••••••
কুড়ানো বস্তু দাবিদার এসে তার গুনাগুণ অনুযায়ী বিবরণ দিলে কোন প্রমাণ ও শপথ ছাড়া তাকে তা দিয়ে দিতে হবে। যেহেতু এ ব্যাপারে রাসুল সা. এর নির্দেশ আছে। অধিকন্তু তার প্রদত্ত অনুরূপ বিবরণ হচ্ছে প্রমাণ ও শপথের স্থলাভিষিক্ত। মূল বস্তুর সাথে প্রদান করা হবে বস্তুটির সংযুক্ত - অসংযুক্ত প্রবৃদ্ধি। দাবিদার অনুরূপ বিবরণ প্রদানে অক্ষম হলে তাকে তা দেয়া যাবে না। কারণ এটি হচ্ছে আমানত, যা ঐ ব্যক্তিকে দেয়া যাবে না, যে মালিক বলে সাব্যস্ত হয়নি।
পঞ্চমত
•••••••••
এক বছর যাবত প্রচার-প্রচারণার পর মালিক না আসলে তা প্রাপক ব্যক্তির মালিকানা ভূক্ত হবে। তবে তাকে তাতে হস্তক্ষেপের আগে এর গুনাগুণ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করতে হবে। যাতে এক বছর পর কোন সময় মালিক এসে বস্তুর গুনাগুণের অনুরূপ বিবরণ দিলে, বস্তুটি বিদ্যমান থাকলে তা তাকে ফেরত দেয়া যায় আর না থাকলে বিনিময় প্রদান করা যায়। কারণ বস্তুটির উপর তার মালিকানা ছিল রক্ষক হিসেবে,যা মালিকের আগমনে কারণে রহিত হয়ে যাবে।

উপসংহার :
কুড়ানো মালের ব্যাপারে ইসলামী শরী'য়তের বর্ণিত দিক নির্দেশনা এই বিষয়ের সুষ্পষ্ট প্রমাণ যে, ইসলাম মুসলমানদেরকে মানুষের সহায়-সম্পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দানের মাধ্যমে সেগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ ও উৎসাহ প্রদান করে। সর্বোপরি ইসলাম উদ্বুদ্ধ করে কল্যাণকর ও ভালো কাজের ব্যাপারে একজন আরেকজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করার।
------------------------------------
সম্পাদনা :
▪আ ম ম খালেদ জমীল
অধ্যক্ষ,
আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা।

[সুত্র :الشيخ صالح بن فوزان آل فوزان সংকলিত গ্রন্থ كتاب الملخص الفقهي এর ছায়া অবলম্বনে লিখিত। (islamqa.info থেকে সংগৃহীত)।
হযরত ওলামায়ে কেরামের জ্ঞাতার্থে এখানে উক্ত কিতাবের মূল আরবি ভাষ্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
_______________&&_______________

أحكام اللقطة
السؤال :
ما حكم من وجد مالاُ في الطريق ؟ هل يجوز له أن يأخذه ؟
الجواب:
الحمد لله
هذا السؤال يتعلّق بباب اللقطة وهو من أبواب الفقه الإسلامي واللقطة : هي مال ضل عن صاحبه ، وهذا الدين الحنيف جاء بحفظ المال ورعايته ، وجاء باحترام مال المسلم والمحافظة عليه ، ومن ذلك اللقطة .
فإذا ضل مال عن صاحبه ؛ فلا يخلو من ثلاث حالات :
الحالة الأولى : أن يكون مما لا تتبعه همة أوساط الناس ، كالسوط ، والرغيف ، والثمرة ، والعصا ، فهذا يملكه آخذه وينتفع به بلا تعريف ،
لما روى جابر قال : ( رخص رسول الله صلى الله عليه وسلم في العصا والسوط والحبل يلتقطه الرجل ) رواه أبو داود .
الحالة الثانية : أن يكون مما يمتنع من صغار السباع ، إما لضخامته كالإبل والخيل والبقر والبغال ، وإما لطيرانه كالطيور ، وإما لسرعة عدوها كالظباء ، وإما لدفاعها عن نفسها بنابها كالفهود ، فهذا القسم بأنواعه يحرم التقاطه ، ولا يملكه آخذه بتعريفه لقوله صلى الله عليه وسلم لما سئل عن ضالة الإبل : ( مالك ولها ؟! معها سقاؤها وحذاؤها ترد الماء ، وتأكل الشجر ، حتى يجدها ربها ) متفق عليه ،
وقال عمر : ( من أخذ الضالة فهو ضال ) أي مخطئ ، وقد حكم صلى الله عليه وسلم في هذا الحديث بأنها لا تلتقط ، بل تترك ترد الماء وتأكل الشجر حتى يلقاها ربها .
ويلحق بذلك الأدوات الكبيرة ، كالقدر الضخمة والخشب والحديد وما يحتفظ بنفسه ولا يكاد يضيع ولا ينتقل عن مكانه ، فيحرم أخذه كالضوال ، بل هو أولى .

الحالة الثالثة : أن يكون المال الضال من سائر الأموال : كالنقود والأمتعة وما لا يمتنع من صغار السباع ، كالغنم والفصلان والعجول ، فهذا القسم إن أمن واجده نفسه عليه ، جاز له التقاطه ،
وهو ثلاثة أنواع :
النوع الأول : حيوان مأكول ، كفصيل وشاة ودجاجة .. فهذا يلزم واجده إذا أخذه الأحظّ لمالكه من أمور ثلاثة :
أحدها : أكله وعليه قيمته في الحال .
الثاني : بيعه والاحتفاظ بثمنه لصاحبه بعد معرفة أوصافه .
الثالث : حفظه والإنفاق عليه من ماله ، ولا يملكه ، ويرجع بنفقته على مالكه إذا جاء واستلمه ،
لأنه صلى الله عليه وسلم لما سئل عن الشاة قال : ( خذها ، فإنما هي لك أو لأخيك أو للذئب ) متفق عليه ، ومعناه : أنها ضعيفة ، عرضة للهلاك ، مترددة بين أن تأخذها أنت أو يأخذها غيرك أو يأكلها الذئب .
قال ابن القيم في الكلام على هذا الحديث الشريف : ( وفيه جواز التقاط الغنم ، وأن الشاة إذا لم يأت صاحبها ، فهي ملك المتلقط ، فيخير بين أكلها في الحال وعليه قيمتها ، وبين بيعها وحفظ ثمنها ، وبين تركها والإنفاق عليها من ماله ، وأجمعوا على أنه لو جاء صاحبها قبل أن يأكلها الملتقط ، له أخذها ) .
النوع الثاني : ما يخشى فساده ؛ كبطيخ وفاكهة ، فيفعل الملتقط الأحظّ لمالكه من أكله ودفع قيمته لمالكه ، وبيعه وحفظ ثمنه حتى يأتي مالكه .
النوع الثالث : سائر الأموال ما عدا القسمين السابقين ، كالنقود والأواني ، فيلزمه حفظ الجميع أمانة بيده ، والتعريف عليه في مجامع الناس .
ولا يجوز له أخذ اللقطة بأنواعها إلا إذا أمن على نفسه عليها وقوي على تعريف ما يحتاج إلى تعريف ، لحديث زيد بن خالد الجهني رضي الله عنه ، قال : سئل النبي صلى الله عليه وسلم عن لقطة الذهب والورق ؟ فقال : ( اعرف وكاءها وعفاصها ، ثم عرفها سنة ، فإن لم تعرف ، فاستنفقها ، ولتكن وديعة عندك ، فإن جاء طالبها يوماً من الدهر ، فادفعها إليه ) ، وسأله عن الشاة ؟ فقال : ( خذها ، فإنما هي لك أو لأخيك أو للذئب )، وسئل عن ضالة الإبل ، فقال : ( مالك ولها ؟! معها سقاؤها وحذاؤها ترد الماء ، وتأكل الشجر ، حتى يجدها ربها ) متفق عليه .
ومعنى قوله صلى الله عليه وسلم : ( اعرف وكاءها وعفاصها ) : الوكاء : ما يربط به الوعاء الذي تكون به النفقة ، والعفاص ، الوعاء الذي تكون فيه النفقة .
- ومعنى قوله صلى الله عليه وسلم : ( ثم عرِّفها سنة ) ، أي اذكرها للناس في مكان اجتماعهم من الأسواق وأبواب المساجد والمجامع والمحافل ، ( سنة ) أي : مدة عام كامل ، ففي الأسبوع الأول من التقاطها ينادى عليها كل يوم ، لأن مجيء صاحبها في ذلك الأسبوع أحرى ، ثم بعد الأسبوع ينادى عليها حسب عادة الناس في ذلك .
( وإذا كانت هذه طريقة التعريف في العهد الماضي فإنّ الملتقط يعرّف اللقطة بالطرق المناسبة في هذا العصر ، والمهم حصول المقصود وهو بذل ما يُمكن للوصول إلى صاحبها ) .
- والحديث يدل على وجوب التعريف باللقطة ، وفي قوله صلى الله عليه وسلم : ( اعرف وكاءها وعفاصها ) : دليل على وجوب معرفة صفاتها ، حتى إذا جاء صاحبها ووصفها وصفاً مطابقاً لتلك الصفات ، دُفعت إليه ، وإن اختلف وصفه لها عن الواقع لم يجز دفعها إليه .
- وفي قوله صلى الله عليه وسلم : ( فإن لم تعرف ، فاستنفقها ) : دليل على أن الملتقط يملكها بعد الحول وبعد التعريف ، لكن لا يتصرف فيها قبل معرفة صفاتها : أي حتى يعرف وعاءها ووكاءها وقدرها وجنسها وصفتها ، فإن جاء صاحبها بعد الحول ، ووصفها بما ينطبق على تلك الأوصاف ، دفعها إليه ، لقوله صلى الله عليه وسلم : ( فإن جاء طالبها يوماً من الدهر ، فادفعها إليه ) .
وقد تبين مما سبق أنه يلزم نحو اللقطة أمور :
أولاً : إذا وجدها ، فلا يُقْدم على أخذها إلا إذا عرف من نفسه الأمانة في حفظها والقوة على تعريفها بالنداء عليها حتى يعثر على صاحبها ، ومن لا يأمن نفسه عليها ، لم يجز له أخذها ، فإن أخَذَها ، فهو كغاصب ، لأنه أخذ مال غيره على وجه لا يجوز له أخذه ، ولما في أخذها حينئذ من تضييع مال غيره .
ثانياً : لا بد له قبل أخذها من ضبط صفاتها بمعرفة وعائها ووكائها وقدرها وجنسها وصنفها ، والمراد بوعائها ظرفها الذي هي فيه كيساً كان أو خرقة ، والمراد بوكائها ما تُشدّ به ؛ لأن النبي صلى الله عليه وسلم أمر بذلك ، والأمر يقتضي الوجوب .
ثالثاً : لابد من النداء عليها وتعريفها حولاً كاملاً في الأسبوع الأول كل يوم ، وبعد ذلك ما جرت به العادة ، ويقول في التعريف مثلاً : من ضاع له شيء ونحو ذلك ، وتكون المناداة عليها في مجامع الناس كالأسواق ، وعند أبواب المساجد في أوقات الصلوات ، ولا ينادي عليها في المساجد لأن المساجد لم تبن لذلك ، لقوله صلى الله عليه وسلم : ( من سمع رجلاً ينشد ضالة في المسجد ، فليقل لا ردها الله عليك ) .
رابعاً : إذا جاء طالبها ، فوصفها بما يطابق وصفها ، وجب دفعها إليه بلا بينة ولا يمين ، لأمره صلى الله عليه وسلم بذلك ، ولقيام صفتها مقام البينة واليمين ، بل ربما يكون وصفه لها أظهر وأصدق من البينة واليمين ، ويدفع معها نماءها المتصل والمنفصل ، أما إذا لم يقدر على وصفها ، فإنها لا تدفع إليه ، لأنها أمانة في يده ، فلم يجز دفعها إلى من لم يثبت أنه صاحبها .
خامساً : إذا لم يأت صاحبها بعد تعريفها حولاً كاملاً ، تكون ملكاً لواجدها ، لكن يجب عليه قبل التصرف فيها ضبط صفاتها ، بحيث لو جاء صاحبها في أي وقت ، ووصفها ردها عليه إن كانت موجودة ، أو ردَّ بدلها إن لم تكن موجودة ، لأن ملكه لها مراعى يزول بمجيء صاحبها .
تنبيه : من هدي الإسلام في شأن اللقطة تدرك عنايته بالأموال وحفظها وعنايته بحرمة مال المسلم وحفاظه عليه ، وفي الجملة ندرك من ذلك كله حث الإسلام على التعاون على الخير ، نسأل الله سبحانه أن يثبتنا جميعاً على الإسلام ويتوفانا مسلمين .
من كتاب الملخص الفقهي للشيخ صالح بن فوزان آل فوزان ص 150.

Address

Chakaria
4396

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Abdul Mazid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mohammad Abdul Mazid:

Share