22/07/2025
আপনি চোখ বন্ধ করে নারায়ণগঞ্জের একটা ভবন ধরবেন, ৯৯% ক্ষেত্রে দেখবেন ওইটার কোনো বিল্ডিং প্ল্যান নাই, ফায়ার এক্সিট নাই, ইমার্জেন্সি এক্সিট নাই, কোনো কিছু মেইন্টেন না করেই বিল্ডিংটা দাঁড়ায়ে আছে!
যেকোনো একটা ফ্যাক্টরি ধরেন, দেখবেন শ্রমিকদের নিরাপত্তার ন্যূনতম কোনো প্রস্তুতি নাই। হাইজিন বা হেলথ বাদই দিলাম।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মাটির নিচে অসংখ্য অবৈধ গ্যাসের লাইন! এই চোরাই লাইনগুলো যে পাইপ দিয়ে বসানো হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের এবং বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে যখন তখন মাটির নিচে গ্যাস লিক হয়!
পুরান ঢাকায় যান; কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলো যথেচ্ছভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে! ভবনগুলো শুধু অপেক্ষায় আছে কখন ভেঙে পড়বে! চকবাজার, নামাপাড়া (বংশাল), আরমানিটোলা, নন্দকুমার দত্ত রোড এগুলা প্রতিটা মৃত্যু ফাঁদ!
মহাখালি বাস টার্মিনাল কিংবা গাবতলি বাস টার্মিনাল বা তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড এর র্যান্ডম যেকোনো ড্রাইভাররে ধরে ডোপ টেস্ট করান, আমি ৯৯% শিউর সে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হবে!
ঢাকার বাস যেগুলো চলে চোখ বন্ধ করে ওদের কাগজপত্র চাইলেও দেখবেন ওরা কোনো কাগজই দেখাতে পারছেনা। না গাড়ির, না ড্রাইভারের! রুট পারমিট তো জোক পুরা!
ঢাকা শহরে এত গাড়ি অথচ আমরা ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় একদম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে আধুনিক করতে পারতাম!
ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ কয়েকটা বড় শহরে যান, দেখবেন ব্যাঙয়ের ছাতার মত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং এখানে এমন অনেক ডাক্তার আছে যাদের বিএমডিসির কোনো সার্টিফিকেটই নাই! সেদিন এক ডেন্টাল ডিগ্রিওয়ালা ডাক্তারের খোঁজ পেলাম যে দিব্যি জেনারেল মেডিসিনের প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছে ৫ বছর যাবত!
এবার আসি গতকালের ফাইটার জেটের আলাপে।
২০১৩ সালেই প্রোডাকশন অফ হওয়া এই জিনিস আমরা চালাতে দিচ্ছি আমাদের শার্পেস্ট ছেলেমেয়েগুলা রে! ইটস আ ফ্রিকিং প্যাসিভ সুইসাইড!
আমাদের ছোট একটা দেশ; বিমান বাহিনীর তো ওই লেভেলের পাওয়ারের দরকার নাই যে আমরা আমেরিকা বা ব্রিটিশ রয়াল এয়ারফোর্স হয়ে যাওয়া লাগবে!
আমাদের তো এয়ারফোর্সের কাজ মূলত মানবিক হওয়া উচিৎ জাপানের মতো! জাপানের Japan Air Self-Defense Force – JASDF এর বেশিরভাগ কাজই হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে (ভূমিকম্প, সুনামি, টাইফুন) ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ আর মেডিকেল এভাকুয়েশন ও জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ জাস্ট!
বাংলার আকাশ মুক্ত রাখার চাইতে সুস্থ রাখা বেশি জরুরি এখন!
এতো এতো ডিফেন্স বাজেট আমাদের, এগুলোর উদাহারণ কই?!
দৃশ্যমান সংস্কার হওয়ার দরকার ছিলো মূলত এগুলো কারণ এগুলোতে হাত দিলেই আপনি সরাসরি জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। বহু বছর ধরে রাষ্ট্র এইসব অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিলো!
পলিসি লেভেল চেঞ্জ করা, আইন-বিধি পালটানো কিংবা অন্য থিওরেটিকাল চেঞ্জগুলোর দরকার আছে তবে সেগুলো কখনোই দ্রুত বাস্তবায়নের মতো ইমার্জেন্সি বলে আমি মনে করিনা। বরং উপরের বিষয়গুলো সবচাইতে বেশি জরুরি!
তানাহলে আরও একটা লাশের মিছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র!!
বি:দ্র: ছবিটা নারায়ণগঞ্জে থাকাকালীন। একটা জায়গায় গ্যাস লিক হয়ে আগুন ধরার পর জানতে পারলাম পুরো এলাকার লাইনই অবৈধ!!