21/07/2025
তারেক রহমান একজন পলিটিকাল ইঞ্জিনিয়ার। 💞🌾🇧🇩
আজ থেকে এক বছর আগেও কেউ বিশ্বাস করতো না,
বিএনপি মাথা তুলে দাড়াতে পারবে।
গ্রুপিং আর রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তে ক্রমশ দলটি দূর্বলভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে থাকে।
বড় প্রোগ্রাম বলতে প্রেসক্লাব কিংবা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন।
মামলায় জর্জরিত নেতা কর্মীদের ক্লান্ত পদচারনা আদালত পাড়াতেই শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়।
মিডিয়া তথা সাধারন মানুষের মুখে চর্চিত হয় বিএনপি রাজনীতি জানে না বা আন্দোলন পারে না আর সরকারি দলের নেতারা তো বিএনপিকে আন্দোলন শেখার সবক দিয়েই গেছেন।
এর মাঝে দলের চেয়ারপার্সনকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জেল দেয়া হল।
দূর্বল সংগঠন নিয়ে গর্জন উঠলো না।
আবেগ ছিল বিশাল কিন্তু তাতে তাতিয়ে দেবার মত লোক ছিল না।
পাদপ্রদীপে আসলেন একজন,তিনি জনাব তারেক রহমান।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
তিনি তখনো অপ-প্রচারের শিকার জনাব তারেক রহমান।
উনার পিতার মত হোম ওয়ার্ক করলেন।
ঘন্টার পর ঘন্টা দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললেন।
তারা কি চায়❓
কি কারনে দূর্বলতা❓
কোথায় সমস্যা তিনি জানলেন।
যদিও তিনি রাজনৈতিক ভাবে সংযুক্ত হয়েছিলেন ৯১ সালে।
একটি ছবিতে দেখা যায়,তিনি তার মায়ের জন্য জনসভায় ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখছেন।
তারপর ২০০১ সালে তার মেধার পরিস্ফুটন দেখা যায়।
সেই বছর তার ট্যাকনিকাল ও ট্যাকটিকাল ইলেকশন ক্যাম্পেইন,যার ফলে বিএনপি ভূমিধস বিজয় নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়।
তারেক রহমান দলে গনতন্ত্র ফেরাতে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন চালু করেন।
এতে জনপ্রিয় নেতারা পদ পায় আর পদ বানিজ্য করে কমিটি দেয়া থমকে যায়।
তারেক রহমানের ক্যারিশমা ২০২২...........…....................................
একজন ঢাকার রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী হিসাবে জনাব তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমান খুব কাছে হতে দেখেছি।
আজ হতে ১ বছর আগে মহানগরের দুটি নতুন কমিটি হবার পর ও কেউ ঢাকার নেতাদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছিলেন না,অতিত ইতিহাসের কারনে।
আমরা যারা পদ প্রত্যাশি ছিলাম,তারাও মনে করতাম নেতারা রাজপথে নামবে না।
যেন তেন প্রকারে কমিটি হবে।
চোরা গুপ্তা চে গুয়েভরা মিছিল আন্দোলন হবে কিন্তু জনাব তারেক রহমান ঢাকাকে স্পেশাল করতে তার হোম ওয়ার্ক কমপ্লিট করেই কমিটি দিয়েছেন।
বিশস্ত ৪ সেনাপতি সহ উত্তর দক্ষিণে সেরাদের সমন্বয়ে।
প্রথম ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সম্মেলন করার নির্দেশ দিলেন জনাব তারেক রহমান।
প্রতি ওয়ার্ডে কর্মী সভা করতে হবেই।
অনেকে ভাবলেন এই সময়ে কি সম্ভব❓
অনেকে সমালোচনা করলেন এই সিদ্ধান্তের।
বললেন রাস্তায় হাটা যায় না আর সম্মেলন কিন্তু দৃঢ় তারেক রহমানের নির্দেশে সফল ভাবেই সম্মেলন হল।
তারেক রহমানের প্রাইমারি স্টেপ ১ সফল হলো।
আহবায়ক কমিটি হলো এবার ইউনিট কমিটি করার নির্দেশ।
আবারো সমালোচনা সম্ভব কি❓
কিন্তু দেখা গেল ধারনার চেয়ে বেশী ইউনিট কমিটি গঠন হলো আর দিন রাত পরিশ্রম করে তা তুলে আনছেন উত্তর ও দক্ষিন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
তারেক রহমানের স্টেপ ২ সফল।
আবার নির্বাচনের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের নির্দেশ।
ভোট ও কাউন্সিল এলাকাতে হবে❓
আবার ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন তাও সফল হলো।
স্টেপ ৩ সফল।
জনাব তারেক রহমান মহানগরীর রাজনীতিটাকে অন্ধকার গলি হতে বের করে রাজপথে আনলেন।
প্রায়শই মিটিং-সমাবেশ মিটিং করালেন প্রেসক্লাব,পল্টন পার্টি অফিস এরিয়ায়।
দারুন সফল প্রতিটি প্রোগামেই।
স্টেপ ৪ সফল কর্মীদের মিছিলের অভ্যাস করনে।
এবার ঘোষনায় এলাকায় জোন ভিত্তিক সমাবেশ হবে।
পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার বিপরিতে প্রথম কয়েকটা প্রোগাম সফল হলেও লীগের কর্মীদের মারমুখি আচরনে শান্ত আচরন ছিল বিএনপির নেতা কর্মীদের কিন্তু পরবর্তীতে হামলার পর সেই কর্মীরা বিগ টার্ন করেন।
অবিশ্বাস্য সেই টার্ন বিএনপির নেতা কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়।
তারেক রহমান কোচের ভূমিকায় ধীরে ধীরে তার কর্মীদের তৈরি করেছেন স্টেপ বাই স্টেপ।
তাদের প্রতি প্রতিনিয়ত বানী দিয়ে গেছেন,
"যদি তুমি ভয় পাও-তবে তুমি শেষ"
"যদি তুমি রুখে দাড়াও-তবে তুমিই বাংলাদেশ"
আজ কর্মীরা রুখে দাড়িয়ে গেছে জাতীয় পতাকা হাতে বলেছিলেন,
"ফয়সালা হবে রাজপথে-হবেই"
আরো বলেছিলেন,
"টেক ব্যাক বাংলাদেশ"
হ্যা বাংলাদেশকেই ফিরে পাবোই আর তিনি শুধু মহানগর নয়,প্রায়ই সমগ্র দেশে দলকে সাজিয়েছেন।
অংগ সংগঠন গুলিতে নতুন নেতৃত্ব দিয়েছেন,গাইড করছেন।
নেতাদের সারাদেশে দৌড়াতে বলছেন।
সিনিয়র নেতাদের মাঠে নামানো-
----------------------------------------------
আগে কর্মীদের অনুযোগ ছিল সিনিয়র নেতারা মাঠে নামেন না,তারা এসি রুমে থাকেন।
এই মিথ ভেঙেছেন জনাব তারেক রহমান।
তিনি কেন্দ্রীয় সকল নেতাকে মাঠে নামিয়েছেন।
প্রথমে জেলা ভিত্তিক সমাবেশে তালিকা করে সিনিয়র লিডারদের প্রধান অতিথি বা বক্তা করে পাঠিয়েছেন।
স্টেপ ১ কমপ্লিট।
তারপর উপজেলাতে তার ধারাবাহিকতা ধরে নেতাদের পাঠিয়েছেন।
সেখানেও এর প্রভাবে স্থানীয় নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন।
স্টেপ ২ কমপ্লিট।
তারপর নির্দেশ দিরেন স্ব-স্ব আসনের এমপি নির্বাচন কারীদের নিজ এলাকায় নেতৃত্ব দিতে হবে রাজপথে।
ফলে সকল নেতাই ছুটে গেলেন এলাকায়।
কর্মীরা জেগে উঠলেন।
হামলা হলো মামলা হলো,হত্যা নির্যাতিত হলেও ফিনিক্স পাখির মত জেগে উঠলো।
সত্যি বলতে কি জনাব তারেক রহমানের এই একটি স্টেপেই দলের ৮০% গ্রুপিং শেষ হয়ে গেছে।
রাজপথে এখন সবাই নামছে।
সকল গ্রুপ একত্রে আন্দোলন করছে।
এইযে দলের বুনন,এটা একদিনে হয় নি।
জনাব তারেক রহমানের মেধা,শ্রম,নিরলস সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ফল।
যারা বলতো বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে❓
তাদের জন্য জনাব তারেক রহমান আজ জলজ্যান্ত উত্তর।
বিপক্ষ শিবির বলতো খালেদা জিয়ার কিছু হলে বিএনপি ভেঙে খান খান হবে।
তাদের জন্য করুনা কারন বাংলাদেশ পেয়ে গেছে আরেক জিয়া জনাব তারেক রহমানকে।
সত্যি বলছি,তারমত পলিটিকাল ইঞ্জিনিয়ার আমি দেখিনি বিগত ২০ বছরে।
আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা হয়তো চিনি নাই তাকে কিন্তু বিপক্ষরা ঠিকই চিনেছে।
তাইতো তাকে টার্গেট করে চালিয়েছে অপপ্রচার,হেট স্পিচ,গালাগালি,মিথ্যা গল্প,মামলা কিন্তু মেধাবীদের আটকানো যায় না।
তারা ঠিকই ফাঁকফোকর বের করে রেজাল্ট বের করে নিয়ে আসে।
ইনশাআল্লাহ,জনাব তারেক রহমান
"সো বি কাম ব্যাক ইন বাংলাদেশ"
নেতৃত্ব তাকেই মানায়,যিনি যোগ্য আর জনাব তারেক রহমান সেই জন।
কার্টেসী...