07/07/2025
➡️ চাতুর্মাস্য ব্রতের সময়সূচি ও মূলত কিভাবে পালন করা যেতে পারে? এই তারিখ গুলো হচ্ছে যে সমস্ত ভক্ত পূর্নিমা থেকে ব্রত পালন শুরু করবেন।
✅ ব্রতের সময়সূচি:২০২৫
১০ জুলাই - ৮ আগস্ট (শাক বর্জন)
৯ আগস্ট - ৬ সেপ্টেম্বর (দধি বর্জন)
৭ সেপ্টেম্বর - ৬ অক্টোবর (দুধ বর্জন)
৭ অক্টোবর - ৪ নভেম্বর (আমিষ বর্জন যেমন:
মাছ, মাংস,ডিম, পেঁয়াজ,রসুন, মাশরুম,মসুর ডাল,কলাই ডাল,মাসকলাই,শিম,বরবটি, বেগুন,পটল,বাসিদ্রব্য।)
মূলত বছরের টানা ৪টি উল্লেখযোগ্য মাস তথা শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে যথাক্রমে শাক, দধি, দুধ ও আমিষ আহার বর্জন করার মাধ্যমে আপনি চাতুর্মাস্য ব্রত পালন করতে পারেন। 😌
⚠️এই সময়ে এগুলো খেলে শরীর রোগাক্রান্ত হয়।যা শাস্ত্রীয় ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী প্রমাণিত।
আমিষ আহারী হলে -
🔆চতুয়ো বাষিকান্মাসান যাে মাংসং পরিবজ্জয়েৎ।
চত্বারি ভদ্রাণ্যাপ্নোতি কীর্তিমায়ুর্যশাে বলম॥
🔴[মহাভারত অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০০, শ্লোক--৯৩]🔴
⏩বঙ্গানুবাদঃ
যিনি বর্ষাকালে শ্রাবণ প্রভৃতি চারি মাস( শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে) মাংস বর্জন করেন, তিনি কীর্তি, আয়ু,যশ ও বল এই চারি প্রকার মঙ্গল লাভ করিয়া থাকেন।।
অর্থাৎ, কেউ যদি-
🔸শ্রাবণ মাসে আমিষ ত্যাগ করেন, তবে তিনি কীর্তিমান হন।
🔸ভাদ্র মাসে আমিষ ত্যাগ করেন, তবে তিনি দীর্ঘায়ু হন।
🔸আশ্বিন মাসে আমিষ ত্যাগ করেন, তবে তিনি যশবান হন।
🔸কার্তিক মাসে আমিষ ত্যাগ করেন, তবে তিনি বলবান হন।
যারা আমিষাহারী, তারা আজ থেকেই আমিষাহার ত্যাগ করুন, সকল জীবের প্রতি সদয় হোন, -- দেখবেন, ভগবানও আপনার প্রতি সদয় হবেন এবং আপনি ভগবানের কৃপাধন্য হবেন।
🔴চতুর্মাসের নিয়ম-
➡️এই সময়ে মনোযোগ সহকারে অধিক সংখ্যক জপ ও ভক্ত সঙ্গে কৃষ্ণ কথা শ্রবণ ও কীর্তন করা উচিত। এটা সমস্ত নিয়মের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।
➡️চাতুর্মাসে বিবাহ, নামকরণ সংস্কার, উপনয়ন, গৃহ প্রবেশের মতো শুভকর্ম করা হয় না।
➡️চুল, দাড়ি কাটা উচিত নয়।
➡️চাতুর্মাসে সাত্বিক ভোজন করা উচিত। এ সময় আমিষ খাবার, পেঁয়াজ, রসুন খেতে নেই। এমনকী মদ্যপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।
➡️মিথ্যা, কটূ কথা বললে বা কারও নিন্দা করলে বিষ্ণু ক্ষুব্ধ হন।
➡️পশুপাখিদের কষ্ট দেবেন না। কারও প্রতি মনের মধ্যে বিদ্বেষ রাখতে নেই।
➡️এ সময়ে অন্যেকে উপকার করা উচিত।
➡️এ ছাড়াও চাতুর্মাসে ধর্মীয় গ্রন্থের অধ্যয়ন, ধর্মীয় কাজে সময় কাটানো শুভ। এতে নারায়ণ প্রসন্ন হন এবং জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির আগমন ঘটে।
➡️এই সময়কালে মাটিতে শোয়া, যত বেশি সম্ভব মৌন ব্রত(অর্থাৎ কৃষ্ণ কথা ব্যতীত অন্য কোন প্রকার কথা বলা উচিত নয়)পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
➡️এই সময়ে সকলে ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করা একান্ত কর্তব্য।
------------------------------------------------------------------------------
পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই সকলকে শেয়ার করবেন।
প্রনিপাত
সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....
ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ...(১০৮ বার)
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন ...
জয় শ্রীল প্রভুপাদ🙌🙌🙌
জয় শ্রীল গুরুদেব🙌🙌🙌
দয়া করে পোস্টটির নিজস্ব মতামত জানান, এবং আপনার নিকটতম এবং প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে লাইক ও শেয়ার করুন যাতে তারা ও কৃষ্ণভাবনাময় হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়... 🙏🙏🙏