09/10/2022
ইস্তেগফার অর্থ হলো আল্লহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, আর তওবা হলো আল্লহর পথে ফিরে আসা। ২ টি শব্দের অর্থ প্রায় কাছাকাছি। প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ যারা বেশি বেশি ইস্তেগফার করে।
তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি মহাক্ষমাশীল। (সূরা নূহ, ১০)
আর আল্লাহ এমন নন যে, তাদেরকে আযাব দেবেন এ অবস্থায় যে, তুমি তাদের মাঝে বিদ্যমান এবং আল্লাহ তাদেরকে আযাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে। (সূরা আনফাল, ৩৩)
হে ইমানদারেরা, তোমরা আল্লহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাসমূহ প্রবহমান। (সূরা তাহরিম, ৮)
নিশ্চয়ই আল্লহ তাআলা তওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। (সূরা বাকারা, ২২২)
নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যহ ১০০ বার আল্লহর নিকট তওবা করতেন, অথচ আমরা এতো গুনাহ করি তারপরও প্রত্যহ ১০০ বার ইস্তেগফার করার সময় আমাদের হয়না!
আল্লহর রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লহর সমীপে তওবা কর ও তাঁর নিকট ক্ষমা চাও! কেননা, আমি প্রতিদিন ১০০ বার করে তওবাহ করে থাকি। (রিয়াদুস সলেহিন, ১৫)
সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফার হলো আস্তাগফিরুল্লহ। অর্থ: আমি আল্লহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
ইবলিস তার রবকে বলেছেঃ আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি বনি আদমকে ভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লহ বলেনঃ আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তেগফার করে। (সহিহ হাদিসে কুদসি, ৩২)
রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লহ তা‘আলা নেক বান্দার মর্তবা জান্নাতে বুলন্দ করবেন, সে বলবেঃ হে আমার রব এটা আমার জন্য কিভাবে হল? তিনি বলবেনঃ তোমার জন্য তোমার সন্তানের ইস্তেগফারের কারণে। (সহিহ হাদিসে কুদসি, ১২১)
তারপরও কি ইস্তেগফার করবেন না?
©