
05/06/2025
কোরবানি দেওয়ার পেছনে ধর্মীয়, আত্মিক ও সামাজিক বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় আদায় করা হয়।
নিচে কোরবানি দেওয়ার কয়েকটি মূল কারণ তুলে ধরা হলো:
১. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ
কোরবানি হল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সম্পদ, ভালোবাসা ও ইচ্ছার ত্যাগ। হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) -কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন—এটা ছিল তাঁর আনুগত্যের চূড়ান্ত নিদর্শন। এই ঘটনার স্মরণে মুসলমানরা কোরবানি দিয়ে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।
২. আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের চর্চা
কোরবানি মানুষকে আত্মত্যাগ ও বিনয় শিখায়। এটা আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম—যেখানে মানুষ নিজ স্বার্থ ভুলে আল্লাহর পথে ত্যাগ করে।
৩. সামাজিক সাম্য ও সহানুভূতির চর্চা
কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
নিজের জন্য আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের জন্য
গরীব ও দরিদ্রদের জন্য,
এতে সমাজে খাদ্য বণ্টনের মাধ্যমে সমতা ও সহানুভূতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৪. সুন্নাত আদায় করা
রাসূল (সা.) নিজ হাতে কোরবানি করেছেন এবং সাহাবিদেরকেও কোরবানি দিতে উৎসাহিত করেছেন। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
৫. পাপ মোচন ও সওয়াব লাভ
হাদীসে এসেছে, কোরবানির প্রতিটি পশুর লোমের বিনিময়ে সওয়াব দেওয়া হয়। এটা পাপ মোচনের একটি মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত।
সংক্ষিপ্তভাবে: কোরবানি আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, আনুগত্য, ত্যাগ ও মানবিকতার চর্চা। এটি মুসলমানদের জন্য ইবাদতের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।